এলজিআরডি ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে নতুন সরকার এসেছে, তাই মানুষের প্রত্যাশা পূরণই এ সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য।
গতকাল ভূমি ভবনে এ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি বিষয়ক নীতি নির্ধারণী অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথা জনদুর্ভোগ লাঘবে নিবন্ধন পরিদপ্তরের কার্যক্রম আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম ম্যানুয়ালি হওয়ায় ভূমি অফিস হতে ই-নামজারি, ভূমি কর প্রদান ও হোল্ডিং নম্বর পেতে সাধারণ মানুষ অমানবিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুস সবুর মন্ডল ও ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন। সভায় ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ও উপসচিব সেলিম আহমদ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করেন।
উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা অনুযায়ী জনগণের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে। বিগত সরকারের সময় গণ আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে আমরা জনসেবার সুযোগ পেয়েছি। এ জন্য সমাজ পরিবর্তনের মানসে প্রভূ নয়, জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমি জরিপ ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের মধ্যে সদা দুঃখ-হতাশা বিরাজ করে। কেননা যখন কোনো এলাকায় জরিপ কাজ চলে তখন কারও মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আবার কারও দুঃখের সীমা থাকে না। তিনি জরিপ কাজটা সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করে জনদুর্ভোগ লাঘবের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে সামাজিক মোটিভেশনের মাধ্যমে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব কর্ম-কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংবাদমাধ্যমের সহায়ক ভূমিকা কামনা করেন।