শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:২০, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই-সন্তান হত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। অনেক পাঠকই গল্পের সোর্স জানতে চেয়েছেন। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। প্রতি শনিবারের  এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো ৮ম পর্ব। সব পর্ব একসঙ্গে পেতে হলে ঢু মারতে পারেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে।

 

[পূর্ব প্রকাশের পর]


ছেলেবেলা থেকেই অটোমানদের জৌলুস আর বিজয় দেখে এসেছেন সুলেমান। সিংহাসনের জন্য রক্তারক্তি আর নোংরা রাজনীতির গল্পও সুলেমানের অজানা রয়। রাজরক্তের জৌলুস আর শিক্ষা নিয়ে ছাব্বিশ বসন্তে পা দিয়েছেন। আর এই টগবগে তারুণ্যের মাঝেই অভিষিক্ত হয়েছেন অটোমান সাম্রাজ্যের দশম সুলতান হিসেবে। তিনি জানেন শাসনভার পরিচালনার কাজটা সহজ হবে না মোটেই। বাবার অসমাপ্ত কাজ কিংবা সাধারণ তুর্কিদের মনের আশা পূরণ করতে হলে তাকে ভীষণ কৌশলী হতে হবে। আলেকজান্ডারের মতো দিগ্বিজয়ী বীর হয়ে ওঠার যে বাসনা সুলেমানের মনে ছোটবেলা থেকেই উঁকি-ঝুঁকি মারছিল সেটিকেও টেনে নিতে হবে। পারিপার্শ্বিকতা আপাত দৃষ্টিতে অনুকূল মনে হলেও বিদেশি ষড়যন্ত্র কিংবা এখানকার সবাই তাকে কীভাবে গ্রহণ করে তার ওপরও নির্ভর করবে অনেক কিছুই।

এসব বিষয় নিয়ে সুলেমান চিন্তিত নন একদমই। তবে সতর্ক ভীষণ। সাবধানে পা ফেলতে হবে। সুলেমানের সুলতান হয়ে ওঠা এবং এর আগের সময়গুলোতে তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী পারগালি ইব্রাহীম। বন্ধু এবং কাছের মানুষ। কেবল সে-ই জানেন সুলেমানের গোপন ইচ্ছা। কেবল সে-ই বুঝতে পারে সুলেমানের চোখের ইশারা। অভিষিক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক দরবারে যাওয়ার আগে তাই একান্তে পারগালির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন সুলেমান।

ঘরে প্রবেশ করেই পরম শ্রদ্ধায় সুলতানের নতুন চকচকে কাফতানে চুমু খেলেন ইব্রাহীম।

‘সুলতান সুলেমান খানের জয় হোক। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে অটোমান পতাকা ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে।’

বলেই মুখ তুলে তাকালেন ইব্রাহীম।

সুলতান ইব্রাহীকে টেনে দাঁড় করালেন। এরপর জড়িয়ে ধরলেন।

‘ইব্রাহীম, আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। তোপকাপি প্রাসাদ আর এই অটোমান সাম্রাজ্যে আমি একেবারেই নতুন একজন। মা আয়শা হয়তো আমার পাশে আছেন। কিন্তু আমি জানি না বাকিদের কী অবস্থা। তুমি আমার ভাই, তুমি আমার বন্ধু। আমার এই নতুন যাত্রায় তোমাকে আমার পাশে চাই।’

সুলেমানের এ আচরণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ইব্রাহীম। সাধারণ একজন দাসকে অটোমান সুলতান সুলেমান খান যে সম্মান দিচ্ছেন, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ইব্রাহীম।

সুলতানের বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হয়েই ইব্রাহীম বললেন,

‘এই দাসের জীবন আপনার পদতলে লুটিয়ে দেব। আমার রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে হলেও আপনার মান রাখব।’

‘তোমার সহযোগিতা ছাড়া আমি এগোতে পারব না ইব্রাহীম।’

একেবারে ইব্রাহীমের চোখে চোখ রেখে বললেন সুলেমান।

দ্রুত চোখ নামিয়ে নিলেন ইব্রাহীম।

‘ওভাবে বলবেন না সুলেমান। আপনি মহান অটোমান সাম্রাজ্যের একমাত্র বৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করছেন। হাজার হাজার সেনা আর লাখ লাখ জনগণ আপনার পেছনে আছে। আপনি আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী। আপনাকে আটকায় এমন কেউ নেই। আমি জানি সাফল্য ঠিক আপনার পায়ে লুটোপুটি খাবে। ইনশাআল্লাহ আপনি আলেকজান্ডারের মতো বীর হিসেবে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখবেন।’

‘ইন-শাআল্লাহ।’

বলে ইব্রাহীমের সঙ্গে সুর মেলালেন সুলেমান।

কিছুক্ষণ নীরবে কাটল।

‘কাফতান-টায় আপনাকে দারুণ মানিয়েছে হুজুর।’

কিঞ্চিৎ হাসির রেখা দেখা গেল পারগালির ঠোঁটে। সে হাসি সংক্রমিত হলো সুলেমানের মুখেও।

‘হুমম। এটা মা নিজে তদারকি করে আমার জন্য বানিয়েছেন। বিশেষ করে আজকের দিনের জন্য।’

‘হুজুর দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আর অটোমানদের নিয়ম অনুসারে আপনি প্রথম দরবারে যাওয়ার আগে গোটা প্রাসাদে একবার চক্কর দিতে হবে। সবাই আপনাকে শুভেচ্ছা ও বরণ করে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এরপরই আপনি দরবারে চলে যাবেন।’

‘হুমম। মা আমাকে বলেছেন। চলো বের হওয়া যাক।’

ইব্রাহীমকে নিয়ে ঘরের বাইরের দিকে পা ফেললেন সুলেমান।

বাইরে বের হতেই ছয়জন দেহরক্ষী সুলেমান আর ইব্রাহীমের পিছু নিল।

নতুন সুলতানকে বরণ করে নেওয়ার জন্য গোটা তোপকাপি প্রাসাদই সেজেছে দারুণ করে। চারদিকে রঙিন সব কাপড়-কাগজের কারুকাজ। আলোর ঝলকানি আর তাজা ফুলের সুবাস। সবই সুলতানের জন্য।

অটোমান হারেম অনেকগুলো দালানকোঠার একটি পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স যা হাঁটাপথ দিয়ে একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হাঁটাপথের মাধ্যমে প্রতিটি ভবন আর কক্ষ একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হারেম আঙিনার চারপাশজুড়ে বিভিন্ন সেবাদানকারী দাসীদের থাকার জায়গা ছিল। বিভিন্ন স্তরের সেবা দানকারীদের জন্য বিভিন্ন স্তরে কক্ষ বরাদ্দ আছে। এদের কক্ষগুলোকে দায়েরিস বলে। দায়েরিস এর পাশেই পায়ে হাঁটার রাস্তা। যে রাস্তা গোটা হারেমকে সংযুক্ত করেছে। এই রাস্তাগুলোও দারুণ করে সাজানো। সেখানকার সব দাসী কক্ষের বাইরে অপেক্ষমাণ সুলতানের জন্য। প্রহরী খোজারাও একই দলে। সুলতান সুলেমান আর পারগালি যখন এ পথ দিয়ে হেঁটে গেলেন তখন মধুর সংগীত আর ফুলের শুভেচ্ছায় তাদের বরণ করে নেওয়া হলো।

সুলেমানের মনে সবার শুভেচ্ছা অন্যরকম এক ঢেউ খেলিয়ে দিল। হাঁটতে হাঁটতে আরাবালা কাপিসি বা ঘোড়া প্রবেশের দরজার কাছাকাছি চলে এলেন সুলেমান। সেখানে অপেক্ষমাণ ছিলেন দারুসসাদি আগাসি বা হারেমের প্রধান খোজা মালিদ আগা ও তার সঙ্গীরা। তাদের পক্ষ থেকে সুলতানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হলো। এভাবে দশ মিনিটের মধ্যে গোটা প্রাসাদ ঘোরা হয়ে গেল। ঘোরা শেষ করে হারেম যখন হুনকার সোফাস বা সুলতানের জন্য নির্মিত ডোমাকৃতির রাজকীয় হলরুমের কাছাকাছি তখনই ঘটে গেল একটা ঘটনা। ফিরতি পথে হারেমের একটা দায়েরিস পার হচ্ছিলেন সুলেমান। সেখানেই নজরে পড়ল মেয়েটাকে। সেই লাল পোশাক পরা মেয়েটা। মায়ের অসুস্থতার জন্য যেবার এখানে এসেছিল সেবার দেখেছিল মেয়েটাকে। কী যেন নাম মেয়েটার? এই মুহূর্তে ঠিক মনে আসছে না সুলেমানের। তবে এটুকু ঠিক মনে আছে ইব্রাহীম বলেছিল মেয়েটাকে ক্রিমিয়া থেকে আনা হয়েছে। সোনালি চুলের ফাঁক গলিয়ে একটা করুণ মলিন মায়াবী মুখ! মেয়েটাকে চোখে পড়তেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য আটকে গিয়েছিল সুলেমানের পা।

ইব্রাহীম সঙ্গে সঙ্গে সুলেমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল,

‘সুলতান আমি চিনতে পেরেছি। এখন আমরা এগিয়ে যাই। এখানে বিলম্ব করা ঠিক হবে না।’

এ কারণেই ইব্রাহীমকে এতো পছন্দ সুলেমানের। কী করে যেন সবকিছুই খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন তিনি। মেয়েটার মলিন মুখটা ভালোই ছাপ ফেলেছে সুলেমানের মনে। মনের ভিতরের কবিটা নড়াচড়া করে উঠছে! কিন্তু এখনতো কবির জেগে ওঠার সময় নয়। এখন সময়টা সুলতানের!

সুলতানের হলরুম হুনকার সাফোসকে সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ডোমাকৃতির এই রাজকীয় হলরুমেই রয়েছে সুলতানের সিংহাসন। তোপকাপি প্রাসাদে এরকম বেশ কয়েকটি হলরুম রয়েছে। তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। সুলতান প্রবেশের আগেই কক্ষের বাইরে থেকে একজন রক্ষী চিৎকার করে উঠল

‘মহামান্য সুলতান সুলেমান খান...’

সুলতান কক্ষে প্রবেশ করতেই সবাই তাকে অভিবাদন জানালেন। রীতি মোতাবেক সুলতান এগিয়ে গিয়ে সিংহাসনে বসলেন।

অটোমান সাম্রাজ্যের প্রধান মুফতি অটোমান রীতি অনুসারে নতুন সুলতানের জন্য দোয়া করলেন। সবাই মোনাজাতে সুলতানের সাফল্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া করল। এরপর শুরু হলো আনুষ্ঠানিকতা।

সবার আগে সভাসদদের পক্ষ থেকে উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশা নতুন সুলতানকে অভিনন্দন জানালেন। তার লিখিত অভিনন্দনবার্তা যখন শেষ হলো তখন ‘সুলতানের জয় হোক, সুলতানের জয় হোক...’ বলে প্রকম্পিত হয়ে উঠল গোটা হলরুম।

সুলেমান সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। পাশে ফিরে ইব্রাহীমকে না দেখে একটু একা লাগল সুলতানের। কিন্তু এখনই ইব্রাহীমকে এখানে ডাকা যাবে না। কারণ নিয়মানুসারে সে অটোমান সাম্রাজ্যের কেউ নন। কিন্তু এখানে যারা আছেন তারা সবাই বড় বড় দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে সুলেমান চাইলেও আপাতত ইব্রাহীমকে ভিতরে ডাকা যাবে না। তবে একটা ব্যাপার ঠিক অনুভব করছেন সুলেমান। সুলতান হিসেবে একেবারে প্রথম দিকের যে সিদ্ধান্তগুলো আছে, তার মধ্যে ইব্রাহীমের ব্যাপারটিও রয়েছে। খুব দ্রুত ইব্রাহীমকে কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে।

উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশার অভিনন্দনবার্তা পাঠের শেষে তিনি এগিয়ে গেলেন। এগিয়ে গিয়ে সুলতানের কাফতানে চুমু খেলেন। কুর্নিশ করে সুলতানের প্রতি নিজের আনুগত্য আর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলেন। এটাই অটোমানদের নিয়ম। এরপর উজিরে আজমকে অনুসরণ করলেন বাকিরা। এখানকার নিয়ম অনুসারে নতুন কোনো সুলতান এলে তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ও আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হয়। একে একে উজিরে সামি ফেরাত পাশা, উজিরে শালিস আহমেদ পাশা, কাপ্তান ই দরিয়া জাফর আগাসহ অন্যরা সুলতানের কাফতানে চুমু খেয়ে অভিনন্দন জানালেন। সুলতানও পরিচিতিমূলক সভায় সবার সঙ্গে পরিচিত হলেন। সবার কামনা একটাই সুলতান দীর্ঘস্থায়ী-দীর্ঘায়ু হবেন। অটোমানদের গৌরব ছড়িয়ে দেবেন বিশ্বময়।

মনজিলার সঙ্গে নিজের সুখের কথা ভাগাভাগি করছেন আয়শা হাফসা। স্বামী সেলিম খানের মৃত্যুশোক কাটিয়ে তিনি পুত্র সুলেমানের সাফল্যের আশায় উদগ্রীব। প্রিয় সুলতানার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি মনজিলাও।

‘দেখবেন সুলতান সুলেমান খান অটোমান বংশের মুখ ঠিক উজ্জ্বল করবে। ছোটকাল থেকেই দেখে এসেছি তিনি অন্যদের চেয়ে একেবারে আলাদা। বুদ্ধিমান এবং সাহসী। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি তার নাম পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

মনজিলার কথায় খুশি হয়ে ওঠে আয়শা হাফসা।

‘তাই যেন হয়, তাই যেন হয়।’

এর মধ্যেই একটা মেয়ে এসে জানালো সুলতান সুলেমান খান এসেছেন দেখা করার জন্য। ইশারায় মনজিলাকে চলে যেতে বললেন। সুলেমান কক্ষে প্রবেশ করেই জড়িয়ে ধরলেন মাকে। মায়ের কাছে দোয়া চাইলেন। মা আয়শা সুলেমানের কপালে ছোট্টো করে একটা চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসতে বললেন।

সুলেমান মায়ের পাশে বসে তার পরামর্শে কাজ শুরু করলেন। নিজেই বললেন,

‘মা আমি চাই পীরে মেহমুদ পাশাই উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করুন।’

মায়ের সম্মতি চাইলেন সুলেমান। প্রশ্ন শুনে একটু থামলেন আয়শা। তারপর বললেন,

‘তিনি অভিজ্ঞ, সুলেমান খানের উজির ছিলেন। তুমি তাকেও রাখতে পার। আবার যদি বয়সের কথা ভাব তিনি কিন্তু যথেষ্ট প্রবীণ। সেক্ষেত্রে অন্য কাউকে বেছে নিতে পার। এই স্বাধীনতা তোমার।’

‘আমি আপাতত এই পদে কোনো পরিবর্তন চাই না। ধীরে ধীরে। আগে সব বুঝে নিই। তাই আপাতত মেহমুদ পাশাই থাকুন দায়িত্বে।’

‘ঠিক আছে। মেহমুদ পাশাকে ডেকে খবরটা দিয়ে দাও।’

মায়ের সম্মতি পেয়ে একটু ভালোই লাগল সুলেমানের। যদিও মায়ের অনুমতি ছাড়াই কাজটা সারতে পারত সে। কিন্তু প্রথম দিকের সিদ্ধান্ত বলে কথা। তাই জানিয়ে নেওয়াটা ভালো।

‘জি মা। আমি মেহমুদ পাশাকে বলে দেব।’

কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর আয়শা বললেন,

‘আর একটা কথা সুলেমান। তোমার উচিত এখানকার রক্ষী কিংবা সভাসদদের মধ্য থেকে কাউকে তোমার ব্যক্তিগত সহকারী বা খাস কামরা প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া। পারলে আজই সেটা করে ফেল। মনে রেখ উজিরে আজমের পর বড় ক্ষমতাশালী পদগুলোর একটি কিন্তু খাস কামরা প্রধানের পদ।’

‘জি। কাকে নেওয়া যায় মা?’

‘সলিম সাফেরি নামে একটা ছেলে আছে। বিশ্বস্ত। ওকে নিতে পার। শিক্ষিত, সুবোধ এবং শক্তিশালী।’

‘কিন্তু মা, আমিতো তার সঙ্গে পরিচিত নই। তাছাড়া আমার একজন ব্যক্তিগত সহকারী আছে।’

‘কার কথা বলছ?’

‘বাজপাখি রক্ষক পারগালি ইব্রাহীম।’

‘কিন্তু...’

একটু আপত্তি করতে চাইলেন আয়শা। তাকে থামিয়ে দিলেন সুলেমান।

‘কিন্তু কেন মা? সেই ছোটকাল থেকেই ইব্রাহীম আমার সঙ্গে ছায়ার মতো আছে। সেও বিশ্বস্ত, অনুগত এবং শিক্ষিত। আমি খেয়াল করে দেখেছি তার বুদ্ধিমত্তাও প্রচুর। তার সাহচর্য আমাকে প্রচুর অনুপ্রেরণা দেবে। আমার এগিয়ে যাওয়ার পথে দারুণ সহযোগিতা করবে।’

‘কিন্তু সুলেমান সে এখানকার কেউ নয়। সুদূর পারগার অধিবাসী। এমন বড় একটি পদে ভিনদেশি কাউকে সুযোগ দিলে বাকিরা বিষয়টিকে কীভাবে নেবে সেটিও কিন্তু ভাবতে হবে।’

‘বাকিদের কথা কে জানতে চেয়েছে? আমিতো কেবল আপনার কথাই জানতে চেয়েছি মা।’

‘তুমি চাইলে আমি খুব বেশি আপত্তি করব না। তবে আরেকবার ভাবতে পার।’

‘ভাবার কিছু নেই। আমার ইব্রাহীমকেই দরকার।’

‘তাহলে একসঙ্গেই ঘোষণা দিয়ে দাও। এটাও মেহমুদ পাশাকে ডেকে বলে দিও।’

‘জি আচ্ছা। ধন্যবাদ।’

হারেমের মেয়েদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ওদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনো সময় সুলতানের তরফ থেকে ডাক আসবে। তরুণ নতুন সুলতান সম্পর্কে একেক জনের একেক রকম অভিমত। তবে নতুন সুলতানের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য হারেমের সব মেয়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতা দেখা গেল। কেবল নতুন কয়েকটি মেয়ে এই প্রতিযোগিতার বাইরে। এদেরই একজন আলেকজান্দ্রা।

‘মেয়েগুলো কী নির্লজ্জ তাই না? একজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য কী ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এদের মধ্যে। এদের কী কোনো লজ্জা নেই।’

ক্রিমিয়া থেকে একসঙ্গে এখানে বন্দী হয়ে আসা আলেকজান্দ্রার ছোটবেলার বান্ধবী ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল সে।

ইসাবেলা চুপচাপ শুনল। এরপর বলল

‘এখানে এটাই নিয়ম। কেউ এই নিয়মের বাইরে নেই। এটাই আমাদের নিয়তি।’

‘নিয়তি না কচু! আমি অটোমানদের এই জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই।’

‘দেখ আলেক। একবার ভাব আমরা সুলতানের দাসী না হয়ে যদি কোনো যৌনপল্লীতে দাস হিসেবে যেতাম তাহলে কী হতো? অথবা ধর অন্য কোনো মানুষের ব্যক্তিগত হারেমে? আমাদের ভাগ্য যে আমরা অটোমান সুলতানের হারেমে পৌঁছতে পেরেছি। আমি শুনেছি মাথা খাটিয়ে চলতে পারলে এখানে সবচেয়ে সুখে থাকা যায়।’

‘এর নাম সুখ?’

পাশের মেয়েগুলোর দিকে আঙ্গুল তুলে বলল আলেকজান্দ্রা।

‘দেখ আলেক, তুমি তোমার পরিবার-পরিজন সবাইকে হারিয়েছ। এখন আর তোমার কোনো পিছুটান নেই। এখন তোমার গোটা জীবনটা নতুন করে শুরু করতে হবে। একদম নতুন করে। একটু ভাব। তারপর সিদ্ধান্ত নাও। স্রোতের বিরুদ্ধে খুব বেশি দূর এগোনো যায় না। তুমি সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। আমি তোমাকে বোঝাব সে সাধ্যি আমার নেই। কেবল মনে রেখ এখানে কেউই আনন্দ নিয়ে আসেনি। বরং আসার পর পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে।’

ইসাবেলার এবারের কথাগুলো ছুঁয়ে গেল আলেকজান্দ্রাকে। সত্যিইতো! একটু আগে ও যাদের বকা দিচ্ছিল তাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চয়ই একটি অতীত আছে। প্রত্যেকেই হয়তো তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হারিয়ে এখানে এসেছে। তার নিজের মতো ওদের জীবনেও হয়তোবা দুঃখের কোনো শেষ নেই।

কিন্তু এরপরও সুলতানকে নিয়ে স্বপ্নের ছবি আঁকে ওরা।

নিজেকে যত্ন করে গড়ে তুলছে।

প্রতিদিন নিয়ম করে শিখছে কীভাবে সুলতানকে খুশি করা যায়। সুলতানের সামনে গেলে কী ধরনের ব্যবহার করতে হবে, সুলতান হাসলে কী হবে, কাঁদলে কী হবে কিংবা কোনো উপহার দিলে তখন কী করতে হবে সবই সানন্দে শিখছে অটোমান হারেমের মেয়েরা।

এসব নিশ্চয়ই মনের আনন্দে শিখছে না মেয়েগুলো। নিশ্চয়ই পরিস্থিতির কারণে এসব উপভোগ করতে শুরু করেছে ওরা।

তবে এখানকার একটা রীতি ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। হারেমের মেয়েগুলোকে কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের উপায়ই শেখানো হয় এমন না। এই মেয়েগুলোকে অন্যান্য শিক্ষায়ও শিক্ষিত করা হয়। গান শেখানো হয়। ভাষা শেখানো হয়। গণিত, সাজগোজ, নৃত্যকলা কোনোকিছুই হারেমের পাঠক্রমের বাইরে নয়। এটা খুব ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। গোটা বিষয়টা নতুন করে ভাবিয়ে তুলল আলেকজান্দ্রাকে। আসলেই কী কিছুই করার নেই তার? সত্যিই কী বাকি জীবনটা এই অন্ধকারে কেটে যাবে।

অনেক ভেবেচিন্তে মনে হলো সত্যিই এখান থেকে বেরুবার কোনো উপায় নেই। কেবল ইসাবেলাই নয়, আরও অনেকেই আলেকজান্দ্রাকে একই পরামর্শ দিয়েছে। স্বয়ং মালিদ আগা পর্যন্ত বলেছেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং নরম হয়ে ভালোবাসার মাধ্যমেই কাজ সারতে হবে। কেউ যদি সুলতানের সেবায় নিয়োজিত হয়ে সুলতানের সন্তানের মা হতে পারে তাহলেই তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। অটোমান সম্রাটের স্ত্রীর মর্যাদা পাবে সেই নারী। এই স্বপ্নটাকে খুবই কুরুচিপূর্ণ মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেটাকে লক্ষ্য করেই এগোতে হবে। সুলতানের নাম যেন কি? ‘সুলেমান’, তবে তাই হোক। লক্ষ্য এবার সুলেমান খান।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ মে, ২০১৬/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.১১ বিলিয়ন ডলার
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.১১ বিলিয়ন ডলার

এই মাত্র | অর্থনীতি

টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০
টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম
শিবচরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, যা বললেন ট্রাম্প
রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, যা বললেন ট্রাম্প

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বানিয়াচংয়ে দুই পরিবারের বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা
বানিয়াচংয়ে দুই পরিবারের বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের জন্য সহজ হলো অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতাদের জন্য সহজ হলো অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল

২৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মগবাজারে নিজ বাসা থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মগবাজারে নিজ বাসা থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রশান্ত মহাসাগরে নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩
প্রশান্ত মহাসাগরে নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি আজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি আজ

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?
আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি
কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব অপরিহার্য : ডুয়েট উপাচার্য
জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব অপরিহার্য : ডুয়েট উপাচার্য

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল বিষয়ে এনসিপির বক্তব্য
আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল বিষয়ে এনসিপির বক্তব্য

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শীত আসার আগেই গোড়ালি ফেটে চৌচির? জানুন সমধান
শীত আসার আগেই গোড়ালি ফেটে চৌচির? জানুন সমধান

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস
ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মান্দায় তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু
মান্দায় তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি
রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি
আজ সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফ্রাঙ্কফুর্টকে উড়িয়ে স্বরূপে ফিরল লিভারপুল
ফ্রাঙ্কফুর্টকে উড়িয়ে স্বরূপে ফিরল লিভারপুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর
আইনের প্রতি শ্রদ্ধার নতুন দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীর

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়
মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বেলিংহ্যামের গোলে জুভেন্তাসকে হারাল রিয়াল
বেলিংহ্যামের গোলে জুভেন্তাসকে হারাল রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’
‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ
শাপলা না দেওয়ার আইনি ব্যাখ্যা দিলে অন্য প্রতীক বিবেচনা করা হবে: নাহিদ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা
বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন
সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা
প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ে ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনলেন জেমস
বিয়ে ও সন্তানকে প্রকাশ্যে আনলেন জেমস

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আচমকা শাহরুখের গালে চড়, হকচকিয়ে যান কিং খান
আচমকা শাহরুখের গালে চড়, হকচকিয়ে যান কিং খান

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার
দুবাই ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনছে সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ
নির্বাচন কমিশনের আচরণ নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না : নাহিদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ
একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির
৩৮ বছর বয়সে অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড আসিফ আফ্রিদির

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুবদলকে জড়িয়ে এ কে আজাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ
যুবদলকে জড়িয়ে এ কে আজাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে বিক্ষোভ

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)
ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার নামতেই দেবে গেল হেলিপ্যাড (ভিডিও)

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি
রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল
শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্ষমতা থাকলে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেখান, ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
ক্ষমতা থাকলে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেখান, ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভর মিউজিয়ামে চুরি হওয়া গয়নার দাম জানাল ফ্রান্স
ল্যুভর মিউজিয়ামে চুরি হওয়া গয়নার দাম জানাল ফ্রান্স

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ অক্টোবর)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
জোট বাড়ছে বিএনপির
জোট বাড়ছে বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের

সম্পাদকীয়

প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব
প্রশ্নবিদ্ধ মিরাজের নেতৃত্ব

মাঠে ময়দানে

মিঠামইনের অঘোষিত রাজা
মিঠামইনের অঘোষিত রাজা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক
ভাগবাঁটোয়ারায় উপদেষ্টারা গণভোটের পর তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী পাঁচ নেতাই

নগর জীবন

ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না
ধানের শীষের জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক
এক বছরে বন্ধ ১৮৫ কারখানা বেকার লাখো শ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা
আজাদের গ্রেপ্তার চায় ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা

প্রথম পৃষ্ঠা

এই চুরি রুধিবে কে?
এই চুরি রুধিবে কে?

নগর জীবন

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ভাবমূর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না
চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার
জীবন বাজি রেখে রাস্তা পার

রকমারি নগর পরিক্রমা

কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট
কয়েক উপদেষ্টায় আপত্তি নির্বাচনের আগে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা
কারাগারে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন
অভুক্ত প্রাণীর পাশে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন

নগর জীবন

রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে
রাতযাপন নিষিদ্ধ সেন্ট মার্টিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার
দুর্ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট
দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে তীব্র গ্যাস সংকট

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামি দলের প্রার্থীরা

নগর জীবন

অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী
অপকর্মে জড়িতদের প্রশাসনে নয় : রিজভী

নগর জীবন

আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই
আগামী নির্বাচন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে
সরকার থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাদ পড়লেন শাকিব খান
বাদ পড়লেন শাকিব খান

শোবিজ

মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

দেশগ্রাম

হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী
হাজী কালাচাঁন মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর

সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ
সিলেটে রেললাইনে শিক্ষার্থীর লাশ

খবর

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর