শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:২০, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই-সন্তান হত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। অনেক পাঠকই গল্পের সোর্স জানতে চেয়েছেন। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। প্রতি শনিবারের  এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো ৮ম পর্ব। সব পর্ব একসঙ্গে পেতে হলে ঢু মারতে পারেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে।

 

[পূর্ব প্রকাশের পর]


ছেলেবেলা থেকেই অটোমানদের জৌলুস আর বিজয় দেখে এসেছেন সুলেমান। সিংহাসনের জন্য রক্তারক্তি আর নোংরা রাজনীতির গল্পও সুলেমানের অজানা রয়। রাজরক্তের জৌলুস আর শিক্ষা নিয়ে ছাব্বিশ বসন্তে পা দিয়েছেন। আর এই টগবগে তারুণ্যের মাঝেই অভিষিক্ত হয়েছেন অটোমান সাম্রাজ্যের দশম সুলতান হিসেবে। তিনি জানেন শাসনভার পরিচালনার কাজটা সহজ হবে না মোটেই। বাবার অসমাপ্ত কাজ কিংবা সাধারণ তুর্কিদের মনের আশা পূরণ করতে হলে তাকে ভীষণ কৌশলী হতে হবে। আলেকজান্ডারের মতো দিগ্বিজয়ী বীর হয়ে ওঠার যে বাসনা সুলেমানের মনে ছোটবেলা থেকেই উঁকি-ঝুঁকি মারছিল সেটিকেও টেনে নিতে হবে। পারিপার্শ্বিকতা আপাত দৃষ্টিতে অনুকূল মনে হলেও বিদেশি ষড়যন্ত্র কিংবা এখানকার সবাই তাকে কীভাবে গ্রহণ করে তার ওপরও নির্ভর করবে অনেক কিছুই।

এসব বিষয় নিয়ে সুলেমান চিন্তিত নন একদমই। তবে সতর্ক ভীষণ। সাবধানে পা ফেলতে হবে। সুলেমানের সুলতান হয়ে ওঠা এবং এর আগের সময়গুলোতে তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী পারগালি ইব্রাহীম। বন্ধু এবং কাছের মানুষ। কেবল সে-ই জানেন সুলেমানের গোপন ইচ্ছা। কেবল সে-ই বুঝতে পারে সুলেমানের চোখের ইশারা। অভিষিক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক দরবারে যাওয়ার আগে তাই একান্তে পারগালির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন সুলেমান।

ঘরে প্রবেশ করেই পরম শ্রদ্ধায় সুলতানের নতুন চকচকে কাফতানে চুমু খেলেন ইব্রাহীম।

‘সুলতান সুলেমান খানের জয় হোক। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে অটোমান পতাকা ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে।’

বলেই মুখ তুলে তাকালেন ইব্রাহীম।

সুলতান ইব্রাহীকে টেনে দাঁড় করালেন। এরপর জড়িয়ে ধরলেন।

‘ইব্রাহীম, আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। তোপকাপি প্রাসাদ আর এই অটোমান সাম্রাজ্যে আমি একেবারেই নতুন একজন। মা আয়শা হয়তো আমার পাশে আছেন। কিন্তু আমি জানি না বাকিদের কী অবস্থা। তুমি আমার ভাই, তুমি আমার বন্ধু। আমার এই নতুন যাত্রায় তোমাকে আমার পাশে চাই।’

সুলেমানের এ আচরণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ইব্রাহীম। সাধারণ একজন দাসকে অটোমান সুলতান সুলেমান খান যে সম্মান দিচ্ছেন, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ইব্রাহীম।

সুলতানের বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হয়েই ইব্রাহীম বললেন,

‘এই দাসের জীবন আপনার পদতলে লুটিয়ে দেব। আমার রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে হলেও আপনার মান রাখব।’

‘তোমার সহযোগিতা ছাড়া আমি এগোতে পারব না ইব্রাহীম।’

একেবারে ইব্রাহীমের চোখে চোখ রেখে বললেন সুলেমান।

দ্রুত চোখ নামিয়ে নিলেন ইব্রাহীম।

‘ওভাবে বলবেন না সুলেমান। আপনি মহান অটোমান সাম্রাজ্যের একমাত্র বৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করছেন। হাজার হাজার সেনা আর লাখ লাখ জনগণ আপনার পেছনে আছে। আপনি আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী। আপনাকে আটকায় এমন কেউ নেই। আমি জানি সাফল্য ঠিক আপনার পায়ে লুটোপুটি খাবে। ইনশাআল্লাহ আপনি আলেকজান্ডারের মতো বীর হিসেবে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখবেন।’

‘ইন-শাআল্লাহ।’

বলে ইব্রাহীমের সঙ্গে সুর মেলালেন সুলেমান।

কিছুক্ষণ নীরবে কাটল।

‘কাফতান-টায় আপনাকে দারুণ মানিয়েছে হুজুর।’

কিঞ্চিৎ হাসির রেখা দেখা গেল পারগালির ঠোঁটে। সে হাসি সংক্রমিত হলো সুলেমানের মুখেও।

‘হুমম। এটা মা নিজে তদারকি করে আমার জন্য বানিয়েছেন। বিশেষ করে আজকের দিনের জন্য।’

‘হুজুর দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আর অটোমানদের নিয়ম অনুসারে আপনি প্রথম দরবারে যাওয়ার আগে গোটা প্রাসাদে একবার চক্কর দিতে হবে। সবাই আপনাকে শুভেচ্ছা ও বরণ করে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এরপরই আপনি দরবারে চলে যাবেন।’

‘হুমম। মা আমাকে বলেছেন। চলো বের হওয়া যাক।’

ইব্রাহীমকে নিয়ে ঘরের বাইরের দিকে পা ফেললেন সুলেমান।

বাইরে বের হতেই ছয়জন দেহরক্ষী সুলেমান আর ইব্রাহীমের পিছু নিল।

নতুন সুলতানকে বরণ করে নেওয়ার জন্য গোটা তোপকাপি প্রাসাদই সেজেছে দারুণ করে। চারদিকে রঙিন সব কাপড়-কাগজের কারুকাজ। আলোর ঝলকানি আর তাজা ফুলের সুবাস। সবই সুলতানের জন্য।

অটোমান হারেম অনেকগুলো দালানকোঠার একটি পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স যা হাঁটাপথ দিয়ে একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হাঁটাপথের মাধ্যমে প্রতিটি ভবন আর কক্ষ একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হারেম আঙিনার চারপাশজুড়ে বিভিন্ন সেবাদানকারী দাসীদের থাকার জায়গা ছিল। বিভিন্ন স্তরের সেবা দানকারীদের জন্য বিভিন্ন স্তরে কক্ষ বরাদ্দ আছে। এদের কক্ষগুলোকে দায়েরিস বলে। দায়েরিস এর পাশেই পায়ে হাঁটার রাস্তা। যে রাস্তা গোটা হারেমকে সংযুক্ত করেছে। এই রাস্তাগুলোও দারুণ করে সাজানো। সেখানকার সব দাসী কক্ষের বাইরে অপেক্ষমাণ সুলতানের জন্য। প্রহরী খোজারাও একই দলে। সুলতান সুলেমান আর পারগালি যখন এ পথ দিয়ে হেঁটে গেলেন তখন মধুর সংগীত আর ফুলের শুভেচ্ছায় তাদের বরণ করে নেওয়া হলো।

সুলেমানের মনে সবার শুভেচ্ছা অন্যরকম এক ঢেউ খেলিয়ে দিল। হাঁটতে হাঁটতে আরাবালা কাপিসি বা ঘোড়া প্রবেশের দরজার কাছাকাছি চলে এলেন সুলেমান। সেখানে অপেক্ষমাণ ছিলেন দারুসসাদি আগাসি বা হারেমের প্রধান খোজা মালিদ আগা ও তার সঙ্গীরা। তাদের পক্ষ থেকে সুলতানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হলো। এভাবে দশ মিনিটের মধ্যে গোটা প্রাসাদ ঘোরা হয়ে গেল। ঘোরা শেষ করে হারেম যখন হুনকার সোফাস বা সুলতানের জন্য নির্মিত ডোমাকৃতির রাজকীয় হলরুমের কাছাকাছি তখনই ঘটে গেল একটা ঘটনা। ফিরতি পথে হারেমের একটা দায়েরিস পার হচ্ছিলেন সুলেমান। সেখানেই নজরে পড়ল মেয়েটাকে। সেই লাল পোশাক পরা মেয়েটা। মায়ের অসুস্থতার জন্য যেবার এখানে এসেছিল সেবার দেখেছিল মেয়েটাকে। কী যেন নাম মেয়েটার? এই মুহূর্তে ঠিক মনে আসছে না সুলেমানের। তবে এটুকু ঠিক মনে আছে ইব্রাহীম বলেছিল মেয়েটাকে ক্রিমিয়া থেকে আনা হয়েছে। সোনালি চুলের ফাঁক গলিয়ে একটা করুণ মলিন মায়াবী মুখ! মেয়েটাকে চোখে পড়তেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য আটকে গিয়েছিল সুলেমানের পা।

ইব্রাহীম সঙ্গে সঙ্গে সুলেমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল,

‘সুলতান আমি চিনতে পেরেছি। এখন আমরা এগিয়ে যাই। এখানে বিলম্ব করা ঠিক হবে না।’

এ কারণেই ইব্রাহীমকে এতো পছন্দ সুলেমানের। কী করে যেন সবকিছুই খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন তিনি। মেয়েটার মলিন মুখটা ভালোই ছাপ ফেলেছে সুলেমানের মনে। মনের ভিতরের কবিটা নড়াচড়া করে উঠছে! কিন্তু এখনতো কবির জেগে ওঠার সময় নয়। এখন সময়টা সুলতানের!

সুলতানের হলরুম হুনকার সাফোসকে সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ডোমাকৃতির এই রাজকীয় হলরুমেই রয়েছে সুলতানের সিংহাসন। তোপকাপি প্রাসাদে এরকম বেশ কয়েকটি হলরুম রয়েছে। তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। সুলতান প্রবেশের আগেই কক্ষের বাইরে থেকে একজন রক্ষী চিৎকার করে উঠল

‘মহামান্য সুলতান সুলেমান খান...’

সুলতান কক্ষে প্রবেশ করতেই সবাই তাকে অভিবাদন জানালেন। রীতি মোতাবেক সুলতান এগিয়ে গিয়ে সিংহাসনে বসলেন।

অটোমান সাম্রাজ্যের প্রধান মুফতি অটোমান রীতি অনুসারে নতুন সুলতানের জন্য দোয়া করলেন। সবাই মোনাজাতে সুলতানের সাফল্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া করল। এরপর শুরু হলো আনুষ্ঠানিকতা।

সবার আগে সভাসদদের পক্ষ থেকে উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশা নতুন সুলতানকে অভিনন্দন জানালেন। তার লিখিত অভিনন্দনবার্তা যখন শেষ হলো তখন ‘সুলতানের জয় হোক, সুলতানের জয় হোক...’ বলে প্রকম্পিত হয়ে উঠল গোটা হলরুম।

সুলেমান সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। পাশে ফিরে ইব্রাহীমকে না দেখে একটু একা লাগল সুলতানের। কিন্তু এখনই ইব্রাহীমকে এখানে ডাকা যাবে না। কারণ নিয়মানুসারে সে অটোমান সাম্রাজ্যের কেউ নন। কিন্তু এখানে যারা আছেন তারা সবাই বড় বড় দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে সুলেমান চাইলেও আপাতত ইব্রাহীমকে ভিতরে ডাকা যাবে না। তবে একটা ব্যাপার ঠিক অনুভব করছেন সুলেমান। সুলতান হিসেবে একেবারে প্রথম দিকের যে সিদ্ধান্তগুলো আছে, তার মধ্যে ইব্রাহীমের ব্যাপারটিও রয়েছে। খুব দ্রুত ইব্রাহীমকে কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে।

উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশার অভিনন্দনবার্তা পাঠের শেষে তিনি এগিয়ে গেলেন। এগিয়ে গিয়ে সুলতানের কাফতানে চুমু খেলেন। কুর্নিশ করে সুলতানের প্রতি নিজের আনুগত্য আর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলেন। এটাই অটোমানদের নিয়ম। এরপর উজিরে আজমকে অনুসরণ করলেন বাকিরা। এখানকার নিয়ম অনুসারে নতুন কোনো সুলতান এলে তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ও আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হয়। একে একে উজিরে সামি ফেরাত পাশা, উজিরে শালিস আহমেদ পাশা, কাপ্তান ই দরিয়া জাফর আগাসহ অন্যরা সুলতানের কাফতানে চুমু খেয়ে অভিনন্দন জানালেন। সুলতানও পরিচিতিমূলক সভায় সবার সঙ্গে পরিচিত হলেন। সবার কামনা একটাই সুলতান দীর্ঘস্থায়ী-দীর্ঘায়ু হবেন। অটোমানদের গৌরব ছড়িয়ে দেবেন বিশ্বময়।

মনজিলার সঙ্গে নিজের সুখের কথা ভাগাভাগি করছেন আয়শা হাফসা। স্বামী সেলিম খানের মৃত্যুশোক কাটিয়ে তিনি পুত্র সুলেমানের সাফল্যের আশায় উদগ্রীব। প্রিয় সুলতানার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি মনজিলাও।

‘দেখবেন সুলতান সুলেমান খান অটোমান বংশের মুখ ঠিক উজ্জ্বল করবে। ছোটকাল থেকেই দেখে এসেছি তিনি অন্যদের চেয়ে একেবারে আলাদা। বুদ্ধিমান এবং সাহসী। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি তার নাম পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

মনজিলার কথায় খুশি হয়ে ওঠে আয়শা হাফসা।

‘তাই যেন হয়, তাই যেন হয়।’

এর মধ্যেই একটা মেয়ে এসে জানালো সুলতান সুলেমান খান এসেছেন দেখা করার জন্য। ইশারায় মনজিলাকে চলে যেতে বললেন। সুলেমান কক্ষে প্রবেশ করেই জড়িয়ে ধরলেন মাকে। মায়ের কাছে দোয়া চাইলেন। মা আয়শা সুলেমানের কপালে ছোট্টো করে একটা চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসতে বললেন।

সুলেমান মায়ের পাশে বসে তার পরামর্শে কাজ শুরু করলেন। নিজেই বললেন,

‘মা আমি চাই পীরে মেহমুদ পাশাই উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করুন।’

মায়ের সম্মতি চাইলেন সুলেমান। প্রশ্ন শুনে একটু থামলেন আয়শা। তারপর বললেন,

‘তিনি অভিজ্ঞ, সুলেমান খানের উজির ছিলেন। তুমি তাকেও রাখতে পার। আবার যদি বয়সের কথা ভাব তিনি কিন্তু যথেষ্ট প্রবীণ। সেক্ষেত্রে অন্য কাউকে বেছে নিতে পার। এই স্বাধীনতা তোমার।’

‘আমি আপাতত এই পদে কোনো পরিবর্তন চাই না। ধীরে ধীরে। আগে সব বুঝে নিই। তাই আপাতত মেহমুদ পাশাই থাকুন দায়িত্বে।’

‘ঠিক আছে। মেহমুদ পাশাকে ডেকে খবরটা দিয়ে দাও।’

মায়ের সম্মতি পেয়ে একটু ভালোই লাগল সুলেমানের। যদিও মায়ের অনুমতি ছাড়াই কাজটা সারতে পারত সে। কিন্তু প্রথম দিকের সিদ্ধান্ত বলে কথা। তাই জানিয়ে নেওয়াটা ভালো।

‘জি মা। আমি মেহমুদ পাশাকে বলে দেব।’

কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর আয়শা বললেন,

‘আর একটা কথা সুলেমান। তোমার উচিত এখানকার রক্ষী কিংবা সভাসদদের মধ্য থেকে কাউকে তোমার ব্যক্তিগত সহকারী বা খাস কামরা প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া। পারলে আজই সেটা করে ফেল। মনে রেখ উজিরে আজমের পর বড় ক্ষমতাশালী পদগুলোর একটি কিন্তু খাস কামরা প্রধানের পদ।’

‘জি। কাকে নেওয়া যায় মা?’

‘সলিম সাফেরি নামে একটা ছেলে আছে। বিশ্বস্ত। ওকে নিতে পার। শিক্ষিত, সুবোধ এবং শক্তিশালী।’

‘কিন্তু মা, আমিতো তার সঙ্গে পরিচিত নই। তাছাড়া আমার একজন ব্যক্তিগত সহকারী আছে।’

‘কার কথা বলছ?’

‘বাজপাখি রক্ষক পারগালি ইব্রাহীম।’

‘কিন্তু...’

একটু আপত্তি করতে চাইলেন আয়শা। তাকে থামিয়ে দিলেন সুলেমান।

‘কিন্তু কেন মা? সেই ছোটকাল থেকেই ইব্রাহীম আমার সঙ্গে ছায়ার মতো আছে। সেও বিশ্বস্ত, অনুগত এবং শিক্ষিত। আমি খেয়াল করে দেখেছি তার বুদ্ধিমত্তাও প্রচুর। তার সাহচর্য আমাকে প্রচুর অনুপ্রেরণা দেবে। আমার এগিয়ে যাওয়ার পথে দারুণ সহযোগিতা করবে।’

‘কিন্তু সুলেমান সে এখানকার কেউ নয়। সুদূর পারগার অধিবাসী। এমন বড় একটি পদে ভিনদেশি কাউকে সুযোগ দিলে বাকিরা বিষয়টিকে কীভাবে নেবে সেটিও কিন্তু ভাবতে হবে।’

‘বাকিদের কথা কে জানতে চেয়েছে? আমিতো কেবল আপনার কথাই জানতে চেয়েছি মা।’

‘তুমি চাইলে আমি খুব বেশি আপত্তি করব না। তবে আরেকবার ভাবতে পার।’

‘ভাবার কিছু নেই। আমার ইব্রাহীমকেই দরকার।’

‘তাহলে একসঙ্গেই ঘোষণা দিয়ে দাও। এটাও মেহমুদ পাশাকে ডেকে বলে দিও।’

‘জি আচ্ছা। ধন্যবাদ।’

হারেমের মেয়েদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ওদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনো সময় সুলতানের তরফ থেকে ডাক আসবে। তরুণ নতুন সুলতান সম্পর্কে একেক জনের একেক রকম অভিমত। তবে নতুন সুলতানের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য হারেমের সব মেয়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতা দেখা গেল। কেবল নতুন কয়েকটি মেয়ে এই প্রতিযোগিতার বাইরে। এদেরই একজন আলেকজান্দ্রা।

‘মেয়েগুলো কী নির্লজ্জ তাই না? একজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য কী ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এদের মধ্যে। এদের কী কোনো লজ্জা নেই।’

ক্রিমিয়া থেকে একসঙ্গে এখানে বন্দী হয়ে আসা আলেকজান্দ্রার ছোটবেলার বান্ধবী ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল সে।

ইসাবেলা চুপচাপ শুনল। এরপর বলল

‘এখানে এটাই নিয়ম। কেউ এই নিয়মের বাইরে নেই। এটাই আমাদের নিয়তি।’

‘নিয়তি না কচু! আমি অটোমানদের এই জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই।’

‘দেখ আলেক। একবার ভাব আমরা সুলতানের দাসী না হয়ে যদি কোনো যৌনপল্লীতে দাস হিসেবে যেতাম তাহলে কী হতো? অথবা ধর অন্য কোনো মানুষের ব্যক্তিগত হারেমে? আমাদের ভাগ্য যে আমরা অটোমান সুলতানের হারেমে পৌঁছতে পেরেছি। আমি শুনেছি মাথা খাটিয়ে চলতে পারলে এখানে সবচেয়ে সুখে থাকা যায়।’

‘এর নাম সুখ?’

পাশের মেয়েগুলোর দিকে আঙ্গুল তুলে বলল আলেকজান্দ্রা।

‘দেখ আলেক, তুমি তোমার পরিবার-পরিজন সবাইকে হারিয়েছ। এখন আর তোমার কোনো পিছুটান নেই। এখন তোমার গোটা জীবনটা নতুন করে শুরু করতে হবে। একদম নতুন করে। একটু ভাব। তারপর সিদ্ধান্ত নাও। স্রোতের বিরুদ্ধে খুব বেশি দূর এগোনো যায় না। তুমি সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। আমি তোমাকে বোঝাব সে সাধ্যি আমার নেই। কেবল মনে রেখ এখানে কেউই আনন্দ নিয়ে আসেনি। বরং আসার পর পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে।’

ইসাবেলার এবারের কথাগুলো ছুঁয়ে গেল আলেকজান্দ্রাকে। সত্যিইতো! একটু আগে ও যাদের বকা দিচ্ছিল তাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চয়ই একটি অতীত আছে। প্রত্যেকেই হয়তো তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হারিয়ে এখানে এসেছে। তার নিজের মতো ওদের জীবনেও হয়তোবা দুঃখের কোনো শেষ নেই।

কিন্তু এরপরও সুলতানকে নিয়ে স্বপ্নের ছবি আঁকে ওরা।

নিজেকে যত্ন করে গড়ে তুলছে।

প্রতিদিন নিয়ম করে শিখছে কীভাবে সুলতানকে খুশি করা যায়। সুলতানের সামনে গেলে কী ধরনের ব্যবহার করতে হবে, সুলতান হাসলে কী হবে, কাঁদলে কী হবে কিংবা কোনো উপহার দিলে তখন কী করতে হবে সবই সানন্দে শিখছে অটোমান হারেমের মেয়েরা।

এসব নিশ্চয়ই মনের আনন্দে শিখছে না মেয়েগুলো। নিশ্চয়ই পরিস্থিতির কারণে এসব উপভোগ করতে শুরু করেছে ওরা।

তবে এখানকার একটা রীতি ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। হারেমের মেয়েগুলোকে কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের উপায়ই শেখানো হয় এমন না। এই মেয়েগুলোকে অন্যান্য শিক্ষায়ও শিক্ষিত করা হয়। গান শেখানো হয়। ভাষা শেখানো হয়। গণিত, সাজগোজ, নৃত্যকলা কোনোকিছুই হারেমের পাঠক্রমের বাইরে নয়। এটা খুব ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। গোটা বিষয়টা নতুন করে ভাবিয়ে তুলল আলেকজান্দ্রাকে। আসলেই কী কিছুই করার নেই তার? সত্যিই কী বাকি জীবনটা এই অন্ধকারে কেটে যাবে।

অনেক ভেবেচিন্তে মনে হলো সত্যিই এখান থেকে বেরুবার কোনো উপায় নেই। কেবল ইসাবেলাই নয়, আরও অনেকেই আলেকজান্দ্রাকে একই পরামর্শ দিয়েছে। স্বয়ং মালিদ আগা পর্যন্ত বলেছেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং নরম হয়ে ভালোবাসার মাধ্যমেই কাজ সারতে হবে। কেউ যদি সুলতানের সেবায় নিয়োজিত হয়ে সুলতানের সন্তানের মা হতে পারে তাহলেই তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। অটোমান সম্রাটের স্ত্রীর মর্যাদা পাবে সেই নারী। এই স্বপ্নটাকে খুবই কুরুচিপূর্ণ মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেটাকে লক্ষ্য করেই এগোতে হবে। সুলতানের নাম যেন কি? ‘সুলেমান’, তবে তাই হোক। লক্ষ্য এবার সুলেমান খান।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ মে, ২০১৬/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
খানাখন্দে ভরা কোচাশহর-ফাঁসিতলা সড়ক
খানাখন্দে ভরা কোচাশহর-ফাঁসিতলা সড়ক

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

১ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯২৪ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯২৪ মামলা

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

ড্রপেই সারবে অসুখ, লাগবে না চশমা?
ড্রপেই সারবে অসুখ, লাগবে না চশমা?

১০ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

চিকিৎসকসহ ৫২ জন পেলেন গবেষণা অনুদান
চিকিৎসকসহ ৫২ জন পেলেন গবেষণা অনুদান

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু

২২ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আশিষ কিফায়েতের আমাদ’স ড্রিম
জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আশিষ কিফায়েতের আমাদ’স ড্রিম

৩৩ মিনিট আগে | শোবিজ

বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলার উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলার উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা

৩৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মামলাজট কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রাম আদালত
মামলাজট কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রাম আদালত

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য নতুন সূচনা বয়ে আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য নতুন সূচনা বয়ে আনবে: প্রধান উপদেষ্টা

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় ২১তম আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস শুরু
মালয়েশিয়ায় ২১তম আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস শুরু

৪৬ মিনিট আগে | পরবাস

কলাপাড়ায় দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ
কলাপাড়ায় দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আইসিএসবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আইসিএসবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটাই কমেছে: ডব্লিউএমও
আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটাই কমেছে: ডব্লিউএমও

৫৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন
‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের!
নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের!

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
সিলেটে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

চকরিয়ায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার
চকরিয়ায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নড়াইল জেলা ইউনিট কমান্ড বাতিলের দাবি
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নড়াইল জেলা ইউনিট কমান্ড বাতিলের দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
সিলেটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দিনাজপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেল–সড়ক অবরোধ
দিনাজপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেল–সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে’
‌‘পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাঙামাটিতে ৪১টি মণ্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব
রাঙামাটিতে ৪১টি মণ্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চবিতে সংঘর্ষ, আশঙ্ক্ষাজনক দুইজনই এখন সুস্থ
চবিতে সংঘর্ষ, আশঙ্ক্ষাজনক দুইজনই এখন সুস্থ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি
এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর

নগর জীবন

রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এটি সরকারি স্কুল!
এটি সরকারি স্কুল!

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা
চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা
বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা

নগর জীবন

মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা
মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা

নগর জীবন

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা
বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না
নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়
ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা
সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন

সম্পাদকীয়

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন

দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

দেশগ্রাম