শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:২০, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই-সন্তান হত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। অনেক পাঠকই গল্পের সোর্স জানতে চেয়েছেন। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। প্রতি শনিবারের  এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো ৮ম পর্ব। সব পর্ব একসঙ্গে পেতে হলে ঢু মারতে পারেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে।

 

[পূর্ব প্রকাশের পর]


ছেলেবেলা থেকেই অটোমানদের জৌলুস আর বিজয় দেখে এসেছেন সুলেমান। সিংহাসনের জন্য রক্তারক্তি আর নোংরা রাজনীতির গল্পও সুলেমানের অজানা রয়। রাজরক্তের জৌলুস আর শিক্ষা নিয়ে ছাব্বিশ বসন্তে পা দিয়েছেন। আর এই টগবগে তারুণ্যের মাঝেই অভিষিক্ত হয়েছেন অটোমান সাম্রাজ্যের দশম সুলতান হিসেবে। তিনি জানেন শাসনভার পরিচালনার কাজটা সহজ হবে না মোটেই। বাবার অসমাপ্ত কাজ কিংবা সাধারণ তুর্কিদের মনের আশা পূরণ করতে হলে তাকে ভীষণ কৌশলী হতে হবে। আলেকজান্ডারের মতো দিগ্বিজয়ী বীর হয়ে ওঠার যে বাসনা সুলেমানের মনে ছোটবেলা থেকেই উঁকি-ঝুঁকি মারছিল সেটিকেও টেনে নিতে হবে। পারিপার্শ্বিকতা আপাত দৃষ্টিতে অনুকূল মনে হলেও বিদেশি ষড়যন্ত্র কিংবা এখানকার সবাই তাকে কীভাবে গ্রহণ করে তার ওপরও নির্ভর করবে অনেক কিছুই।

এসব বিষয় নিয়ে সুলেমান চিন্তিত নন একদমই। তবে সতর্ক ভীষণ। সাবধানে পা ফেলতে হবে। সুলেমানের সুলতান হয়ে ওঠা এবং এর আগের সময়গুলোতে তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী পারগালি ইব্রাহীম। বন্ধু এবং কাছের মানুষ। কেবল সে-ই জানেন সুলেমানের গোপন ইচ্ছা। কেবল সে-ই বুঝতে পারে সুলেমানের চোখের ইশারা। অভিষিক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক দরবারে যাওয়ার আগে তাই একান্তে পারগালির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন সুলেমান।

ঘরে প্রবেশ করেই পরম শ্রদ্ধায় সুলতানের নতুন চকচকে কাফতানে চুমু খেলেন ইব্রাহীম।

‘সুলতান সুলেমান খানের জয় হোক। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে অটোমান পতাকা ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে।’

বলেই মুখ তুলে তাকালেন ইব্রাহীম।

সুলতান ইব্রাহীকে টেনে দাঁড় করালেন। এরপর জড়িয়ে ধরলেন।

‘ইব্রাহীম, আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। তোপকাপি প্রাসাদ আর এই অটোমান সাম্রাজ্যে আমি একেবারেই নতুন একজন। মা আয়শা হয়তো আমার পাশে আছেন। কিন্তু আমি জানি না বাকিদের কী অবস্থা। তুমি আমার ভাই, তুমি আমার বন্ধু। আমার এই নতুন যাত্রায় তোমাকে আমার পাশে চাই।’

সুলেমানের এ আচরণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ইব্রাহীম। সাধারণ একজন দাসকে অটোমান সুলতান সুলেমান খান যে সম্মান দিচ্ছেন, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ইব্রাহীম।

সুলতানের বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হয়েই ইব্রাহীম বললেন,

‘এই দাসের জীবন আপনার পদতলে লুটিয়ে দেব। আমার রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে হলেও আপনার মান রাখব।’

‘তোমার সহযোগিতা ছাড়া আমি এগোতে পারব না ইব্রাহীম।’

একেবারে ইব্রাহীমের চোখে চোখ রেখে বললেন সুলেমান।

দ্রুত চোখ নামিয়ে নিলেন ইব্রাহীম।

‘ওভাবে বলবেন না সুলেমান। আপনি মহান অটোমান সাম্রাজ্যের একমাত্র বৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করছেন। হাজার হাজার সেনা আর লাখ লাখ জনগণ আপনার পেছনে আছে। আপনি আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী। আপনাকে আটকায় এমন কেউ নেই। আমি জানি সাফল্য ঠিক আপনার পায়ে লুটোপুটি খাবে। ইনশাআল্লাহ আপনি আলেকজান্ডারের মতো বীর হিসেবে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখবেন।’

‘ইন-শাআল্লাহ।’

বলে ইব্রাহীমের সঙ্গে সুর মেলালেন সুলেমান।

কিছুক্ষণ নীরবে কাটল।

‘কাফতান-টায় আপনাকে দারুণ মানিয়েছে হুজুর।’

কিঞ্চিৎ হাসির রেখা দেখা গেল পারগালির ঠোঁটে। সে হাসি সংক্রমিত হলো সুলেমানের মুখেও।

‘হুমম। এটা মা নিজে তদারকি করে আমার জন্য বানিয়েছেন। বিশেষ করে আজকের দিনের জন্য।’

‘হুজুর দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আর অটোমানদের নিয়ম অনুসারে আপনি প্রথম দরবারে যাওয়ার আগে গোটা প্রাসাদে একবার চক্কর দিতে হবে। সবাই আপনাকে শুভেচ্ছা ও বরণ করে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এরপরই আপনি দরবারে চলে যাবেন।’

‘হুমম। মা আমাকে বলেছেন। চলো বের হওয়া যাক।’

ইব্রাহীমকে নিয়ে ঘরের বাইরের দিকে পা ফেললেন সুলেমান।

বাইরে বের হতেই ছয়জন দেহরক্ষী সুলেমান আর ইব্রাহীমের পিছু নিল।

নতুন সুলতানকে বরণ করে নেওয়ার জন্য গোটা তোপকাপি প্রাসাদই সেজেছে দারুণ করে। চারদিকে রঙিন সব কাপড়-কাগজের কারুকাজ। আলোর ঝলকানি আর তাজা ফুলের সুবাস। সবই সুলতানের জন্য।

অটোমান হারেম অনেকগুলো দালানকোঠার একটি পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স যা হাঁটাপথ দিয়ে একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হাঁটাপথের মাধ্যমে প্রতিটি ভবন আর কক্ষ একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হারেম আঙিনার চারপাশজুড়ে বিভিন্ন সেবাদানকারী দাসীদের থাকার জায়গা ছিল। বিভিন্ন স্তরের সেবা দানকারীদের জন্য বিভিন্ন স্তরে কক্ষ বরাদ্দ আছে। এদের কক্ষগুলোকে দায়েরিস বলে। দায়েরিস এর পাশেই পায়ে হাঁটার রাস্তা। যে রাস্তা গোটা হারেমকে সংযুক্ত করেছে। এই রাস্তাগুলোও দারুণ করে সাজানো। সেখানকার সব দাসী কক্ষের বাইরে অপেক্ষমাণ সুলতানের জন্য। প্রহরী খোজারাও একই দলে। সুলতান সুলেমান আর পারগালি যখন এ পথ দিয়ে হেঁটে গেলেন তখন মধুর সংগীত আর ফুলের শুভেচ্ছায় তাদের বরণ করে নেওয়া হলো।

সুলেমানের মনে সবার শুভেচ্ছা অন্যরকম এক ঢেউ খেলিয়ে দিল। হাঁটতে হাঁটতে আরাবালা কাপিসি বা ঘোড়া প্রবেশের দরজার কাছাকাছি চলে এলেন সুলেমান। সেখানে অপেক্ষমাণ ছিলেন দারুসসাদি আগাসি বা হারেমের প্রধান খোজা মালিদ আগা ও তার সঙ্গীরা। তাদের পক্ষ থেকে সুলতানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হলো। এভাবে দশ মিনিটের মধ্যে গোটা প্রাসাদ ঘোরা হয়ে গেল। ঘোরা শেষ করে হারেম যখন হুনকার সোফাস বা সুলতানের জন্য নির্মিত ডোমাকৃতির রাজকীয় হলরুমের কাছাকাছি তখনই ঘটে গেল একটা ঘটনা। ফিরতি পথে হারেমের একটা দায়েরিস পার হচ্ছিলেন সুলেমান। সেখানেই নজরে পড়ল মেয়েটাকে। সেই লাল পোশাক পরা মেয়েটা। মায়ের অসুস্থতার জন্য যেবার এখানে এসেছিল সেবার দেখেছিল মেয়েটাকে। কী যেন নাম মেয়েটার? এই মুহূর্তে ঠিক মনে আসছে না সুলেমানের। তবে এটুকু ঠিক মনে আছে ইব্রাহীম বলেছিল মেয়েটাকে ক্রিমিয়া থেকে আনা হয়েছে। সোনালি চুলের ফাঁক গলিয়ে একটা করুণ মলিন মায়াবী মুখ! মেয়েটাকে চোখে পড়তেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য আটকে গিয়েছিল সুলেমানের পা।

ইব্রাহীম সঙ্গে সঙ্গে সুলেমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল,

‘সুলতান আমি চিনতে পেরেছি। এখন আমরা এগিয়ে যাই। এখানে বিলম্ব করা ঠিক হবে না।’

এ কারণেই ইব্রাহীমকে এতো পছন্দ সুলেমানের। কী করে যেন সবকিছুই খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন তিনি। মেয়েটার মলিন মুখটা ভালোই ছাপ ফেলেছে সুলেমানের মনে। মনের ভিতরের কবিটা নড়াচড়া করে উঠছে! কিন্তু এখনতো কবির জেগে ওঠার সময় নয়। এখন সময়টা সুলতানের!

সুলতানের হলরুম হুনকার সাফোসকে সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ডোমাকৃতির এই রাজকীয় হলরুমেই রয়েছে সুলতানের সিংহাসন। তোপকাপি প্রাসাদে এরকম বেশ কয়েকটি হলরুম রয়েছে। তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। সুলতান প্রবেশের আগেই কক্ষের বাইরে থেকে একজন রক্ষী চিৎকার করে উঠল

‘মহামান্য সুলতান সুলেমান খান...’

সুলতান কক্ষে প্রবেশ করতেই সবাই তাকে অভিবাদন জানালেন। রীতি মোতাবেক সুলতান এগিয়ে গিয়ে সিংহাসনে বসলেন।

অটোমান সাম্রাজ্যের প্রধান মুফতি অটোমান রীতি অনুসারে নতুন সুলতানের জন্য দোয়া করলেন। সবাই মোনাজাতে সুলতানের সাফল্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া করল। এরপর শুরু হলো আনুষ্ঠানিকতা।

সবার আগে সভাসদদের পক্ষ থেকে উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশা নতুন সুলতানকে অভিনন্দন জানালেন। তার লিখিত অভিনন্দনবার্তা যখন শেষ হলো তখন ‘সুলতানের জয় হোক, সুলতানের জয় হোক...’ বলে প্রকম্পিত হয়ে উঠল গোটা হলরুম।

সুলেমান সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। পাশে ফিরে ইব্রাহীমকে না দেখে একটু একা লাগল সুলতানের। কিন্তু এখনই ইব্রাহীমকে এখানে ডাকা যাবে না। কারণ নিয়মানুসারে সে অটোমান সাম্রাজ্যের কেউ নন। কিন্তু এখানে যারা আছেন তারা সবাই বড় বড় দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে সুলেমান চাইলেও আপাতত ইব্রাহীমকে ভিতরে ডাকা যাবে না। তবে একটা ব্যাপার ঠিক অনুভব করছেন সুলেমান। সুলতান হিসেবে একেবারে প্রথম দিকের যে সিদ্ধান্তগুলো আছে, তার মধ্যে ইব্রাহীমের ব্যাপারটিও রয়েছে। খুব দ্রুত ইব্রাহীমকে কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে।

উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশার অভিনন্দনবার্তা পাঠের শেষে তিনি এগিয়ে গেলেন। এগিয়ে গিয়ে সুলতানের কাফতানে চুমু খেলেন। কুর্নিশ করে সুলতানের প্রতি নিজের আনুগত্য আর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলেন। এটাই অটোমানদের নিয়ম। এরপর উজিরে আজমকে অনুসরণ করলেন বাকিরা। এখানকার নিয়ম অনুসারে নতুন কোনো সুলতান এলে তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ও আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হয়। একে একে উজিরে সামি ফেরাত পাশা, উজিরে শালিস আহমেদ পাশা, কাপ্তান ই দরিয়া জাফর আগাসহ অন্যরা সুলতানের কাফতানে চুমু খেয়ে অভিনন্দন জানালেন। সুলতানও পরিচিতিমূলক সভায় সবার সঙ্গে পরিচিত হলেন। সবার কামনা একটাই সুলতান দীর্ঘস্থায়ী-দীর্ঘায়ু হবেন। অটোমানদের গৌরব ছড়িয়ে দেবেন বিশ্বময়।

মনজিলার সঙ্গে নিজের সুখের কথা ভাগাভাগি করছেন আয়শা হাফসা। স্বামী সেলিম খানের মৃত্যুশোক কাটিয়ে তিনি পুত্র সুলেমানের সাফল্যের আশায় উদগ্রীব। প্রিয় সুলতানার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি মনজিলাও।

‘দেখবেন সুলতান সুলেমান খান অটোমান বংশের মুখ ঠিক উজ্জ্বল করবে। ছোটকাল থেকেই দেখে এসেছি তিনি অন্যদের চেয়ে একেবারে আলাদা। বুদ্ধিমান এবং সাহসী। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি তার নাম পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

মনজিলার কথায় খুশি হয়ে ওঠে আয়শা হাফসা।

‘তাই যেন হয়, তাই যেন হয়।’

এর মধ্যেই একটা মেয়ে এসে জানালো সুলতান সুলেমান খান এসেছেন দেখা করার জন্য। ইশারায় মনজিলাকে চলে যেতে বললেন। সুলেমান কক্ষে প্রবেশ করেই জড়িয়ে ধরলেন মাকে। মায়ের কাছে দোয়া চাইলেন। মা আয়শা সুলেমানের কপালে ছোট্টো করে একটা চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসতে বললেন।

সুলেমান মায়ের পাশে বসে তার পরামর্শে কাজ শুরু করলেন। নিজেই বললেন,

‘মা আমি চাই পীরে মেহমুদ পাশাই উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করুন।’

মায়ের সম্মতি চাইলেন সুলেমান। প্রশ্ন শুনে একটু থামলেন আয়শা। তারপর বললেন,

‘তিনি অভিজ্ঞ, সুলেমান খানের উজির ছিলেন। তুমি তাকেও রাখতে পার। আবার যদি বয়সের কথা ভাব তিনি কিন্তু যথেষ্ট প্রবীণ। সেক্ষেত্রে অন্য কাউকে বেছে নিতে পার। এই স্বাধীনতা তোমার।’

‘আমি আপাতত এই পদে কোনো পরিবর্তন চাই না। ধীরে ধীরে। আগে সব বুঝে নিই। তাই আপাতত মেহমুদ পাশাই থাকুন দায়িত্বে।’

‘ঠিক আছে। মেহমুদ পাশাকে ডেকে খবরটা দিয়ে দাও।’

মায়ের সম্মতি পেয়ে একটু ভালোই লাগল সুলেমানের। যদিও মায়ের অনুমতি ছাড়াই কাজটা সারতে পারত সে। কিন্তু প্রথম দিকের সিদ্ধান্ত বলে কথা। তাই জানিয়ে নেওয়াটা ভালো।

‘জি মা। আমি মেহমুদ পাশাকে বলে দেব।’

কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর আয়শা বললেন,

‘আর একটা কথা সুলেমান। তোমার উচিত এখানকার রক্ষী কিংবা সভাসদদের মধ্য থেকে কাউকে তোমার ব্যক্তিগত সহকারী বা খাস কামরা প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া। পারলে আজই সেটা করে ফেল। মনে রেখ উজিরে আজমের পর বড় ক্ষমতাশালী পদগুলোর একটি কিন্তু খাস কামরা প্রধানের পদ।’

‘জি। কাকে নেওয়া যায় মা?’

‘সলিম সাফেরি নামে একটা ছেলে আছে। বিশ্বস্ত। ওকে নিতে পার। শিক্ষিত, সুবোধ এবং শক্তিশালী।’

‘কিন্তু মা, আমিতো তার সঙ্গে পরিচিত নই। তাছাড়া আমার একজন ব্যক্তিগত সহকারী আছে।’

‘কার কথা বলছ?’

‘বাজপাখি রক্ষক পারগালি ইব্রাহীম।’

‘কিন্তু...’

একটু আপত্তি করতে চাইলেন আয়শা। তাকে থামিয়ে দিলেন সুলেমান।

‘কিন্তু কেন মা? সেই ছোটকাল থেকেই ইব্রাহীম আমার সঙ্গে ছায়ার মতো আছে। সেও বিশ্বস্ত, অনুগত এবং শিক্ষিত। আমি খেয়াল করে দেখেছি তার বুদ্ধিমত্তাও প্রচুর। তার সাহচর্য আমাকে প্রচুর অনুপ্রেরণা দেবে। আমার এগিয়ে যাওয়ার পথে দারুণ সহযোগিতা করবে।’

‘কিন্তু সুলেমান সে এখানকার কেউ নয়। সুদূর পারগার অধিবাসী। এমন বড় একটি পদে ভিনদেশি কাউকে সুযোগ দিলে বাকিরা বিষয়টিকে কীভাবে নেবে সেটিও কিন্তু ভাবতে হবে।’

‘বাকিদের কথা কে জানতে চেয়েছে? আমিতো কেবল আপনার কথাই জানতে চেয়েছি মা।’

‘তুমি চাইলে আমি খুব বেশি আপত্তি করব না। তবে আরেকবার ভাবতে পার।’

‘ভাবার কিছু নেই। আমার ইব্রাহীমকেই দরকার।’

‘তাহলে একসঙ্গেই ঘোষণা দিয়ে দাও। এটাও মেহমুদ পাশাকে ডেকে বলে দিও।’

‘জি আচ্ছা। ধন্যবাদ।’

হারেমের মেয়েদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ওদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনো সময় সুলতানের তরফ থেকে ডাক আসবে। তরুণ নতুন সুলতান সম্পর্কে একেক জনের একেক রকম অভিমত। তবে নতুন সুলতানের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য হারেমের সব মেয়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতা দেখা গেল। কেবল নতুন কয়েকটি মেয়ে এই প্রতিযোগিতার বাইরে। এদেরই একজন আলেকজান্দ্রা।

‘মেয়েগুলো কী নির্লজ্জ তাই না? একজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য কী ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এদের মধ্যে। এদের কী কোনো লজ্জা নেই।’

ক্রিমিয়া থেকে একসঙ্গে এখানে বন্দী হয়ে আসা আলেকজান্দ্রার ছোটবেলার বান্ধবী ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল সে।

ইসাবেলা চুপচাপ শুনল। এরপর বলল

‘এখানে এটাই নিয়ম। কেউ এই নিয়মের বাইরে নেই। এটাই আমাদের নিয়তি।’

‘নিয়তি না কচু! আমি অটোমানদের এই জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই।’

‘দেখ আলেক। একবার ভাব আমরা সুলতানের দাসী না হয়ে যদি কোনো যৌনপল্লীতে দাস হিসেবে যেতাম তাহলে কী হতো? অথবা ধর অন্য কোনো মানুষের ব্যক্তিগত হারেমে? আমাদের ভাগ্য যে আমরা অটোমান সুলতানের হারেমে পৌঁছতে পেরেছি। আমি শুনেছি মাথা খাটিয়ে চলতে পারলে এখানে সবচেয়ে সুখে থাকা যায়।’

‘এর নাম সুখ?’

পাশের মেয়েগুলোর দিকে আঙ্গুল তুলে বলল আলেকজান্দ্রা।

‘দেখ আলেক, তুমি তোমার পরিবার-পরিজন সবাইকে হারিয়েছ। এখন আর তোমার কোনো পিছুটান নেই। এখন তোমার গোটা জীবনটা নতুন করে শুরু করতে হবে। একদম নতুন করে। একটু ভাব। তারপর সিদ্ধান্ত নাও। স্রোতের বিরুদ্ধে খুব বেশি দূর এগোনো যায় না। তুমি সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। আমি তোমাকে বোঝাব সে সাধ্যি আমার নেই। কেবল মনে রেখ এখানে কেউই আনন্দ নিয়ে আসেনি। বরং আসার পর পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে।’

ইসাবেলার এবারের কথাগুলো ছুঁয়ে গেল আলেকজান্দ্রাকে। সত্যিইতো! একটু আগে ও যাদের বকা দিচ্ছিল তাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চয়ই একটি অতীত আছে। প্রত্যেকেই হয়তো তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হারিয়ে এখানে এসেছে। তার নিজের মতো ওদের জীবনেও হয়তোবা দুঃখের কোনো শেষ নেই।

কিন্তু এরপরও সুলতানকে নিয়ে স্বপ্নের ছবি আঁকে ওরা।

নিজেকে যত্ন করে গড়ে তুলছে।

প্রতিদিন নিয়ম করে শিখছে কীভাবে সুলতানকে খুশি করা যায়। সুলতানের সামনে গেলে কী ধরনের ব্যবহার করতে হবে, সুলতান হাসলে কী হবে, কাঁদলে কী হবে কিংবা কোনো উপহার দিলে তখন কী করতে হবে সবই সানন্দে শিখছে অটোমান হারেমের মেয়েরা।

এসব নিশ্চয়ই মনের আনন্দে শিখছে না মেয়েগুলো। নিশ্চয়ই পরিস্থিতির কারণে এসব উপভোগ করতে শুরু করেছে ওরা।

তবে এখানকার একটা রীতি ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। হারেমের মেয়েগুলোকে কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের উপায়ই শেখানো হয় এমন না। এই মেয়েগুলোকে অন্যান্য শিক্ষায়ও শিক্ষিত করা হয়। গান শেখানো হয়। ভাষা শেখানো হয়। গণিত, সাজগোজ, নৃত্যকলা কোনোকিছুই হারেমের পাঠক্রমের বাইরে নয়। এটা খুব ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। গোটা বিষয়টা নতুন করে ভাবিয়ে তুলল আলেকজান্দ্রাকে। আসলেই কী কিছুই করার নেই তার? সত্যিই কী বাকি জীবনটা এই অন্ধকারে কেটে যাবে।

অনেক ভেবেচিন্তে মনে হলো সত্যিই এখান থেকে বেরুবার কোনো উপায় নেই। কেবল ইসাবেলাই নয়, আরও অনেকেই আলেকজান্দ্রাকে একই পরামর্শ দিয়েছে। স্বয়ং মালিদ আগা পর্যন্ত বলেছেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং নরম হয়ে ভালোবাসার মাধ্যমেই কাজ সারতে হবে। কেউ যদি সুলতানের সেবায় নিয়োজিত হয়ে সুলতানের সন্তানের মা হতে পারে তাহলেই তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। অটোমান সম্রাটের স্ত্রীর মর্যাদা পাবে সেই নারী। এই স্বপ্নটাকে খুবই কুরুচিপূর্ণ মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেটাকে লক্ষ্য করেই এগোতে হবে। সুলতানের নাম যেন কি? ‘সুলেমান’, তবে তাই হোক। লক্ষ্য এবার সুলেমান খান।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ মে, ২০১৬/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
কুলাউড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দের উদ্বোধন
কুলাউড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দের উদ্বোধন

এই মাত্র | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় যুবক নিহত
গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় যুবক নিহত

১ মিনিট আগে | নগর জীবন

গামিনীকে সংবর্ধনা মাঠকর্মীদের
গামিনীকে সংবর্ধনা মাঠকর্মীদের

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে ‘তারুণ্যের চোখে ডোমার’ সেমিনার অনুষ্ঠিত
উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে ‘তারুণ্যের চোখে ডোমার’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবক নিহত
উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবক নিহত

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অস্ত্র, মাদক ও টাকাসহ নারী গ্রেপ্তার, স্বামী পলাতক
বরিশালে অস্ত্র, মাদক ও টাকাসহ নারী গ্রেপ্তার, স্বামী পলাতক

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট
বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট

২০ মিনিট আগে | নগর জীবন

২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এশিয়ান আরচারির সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
এশিয়ান আরচারির সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জি-মেইল হ্যাক করে ব্যাংক হিসাব থেকে ১৭ লাখ টাকা স্থানান্তর, গ্রেপ্তার ২
জি-মেইল হ্যাক করে ব্যাংক হিসাব থেকে ১৭ লাখ টাকা স্থানান্তর, গ্রেপ্তার ২

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরের ডাসারে সেলুনে বই পড়ার নতুন উদ্যোগ
মাদারীপুরের ডাসারে সেলুনে বই পড়ার নতুন উদ্যোগ

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় বাস টার্মিনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
গাইবান্ধায় বাস টার্মিনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কালকিনি তাঁতী লীগের সম্পাদক গ্রেফতার
কালকিনি তাঁতী লীগের সম্পাদক গ্রেফতার

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বুয়েটের অপূর্বের নেতৃত্বে ‘নিউরাল নিনজাস’ দলের আন্তর্জাতিক সাফল্য
বুয়েটের অপূর্বের নেতৃত্বে ‘নিউরাল নিনজাস’ দলের আন্তর্জাতিক সাফল্য

৪৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ওয়াটসন মারা গেছেন
নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ওয়াটসন মারা গেছেন

৫১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

কাস্তে প্রতীকের সমর্থনে গাইবান্ধায় সিপিবির কর্মীসভা
কাস্তে প্রতীকের সমর্থনে গাইবান্ধায় সিপিবির কর্মীসভা

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টির করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে : আইজিপি
ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টির করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে : আইজিপি

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

যমুনামুখী প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা
যমুনামুখী প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিব্রত করছেন ট্রাম্প: বাইডেন
গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিব্রত করছেন ট্রাম্প: বাইডেন

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অলিম্পিক ২০২৮-এ ক্রিকেট ফিরলেও ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান
অলিম্পিক ২০২৮-এ ক্রিকেট ফিরলেও ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ ইসির
ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ ইসির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেসক্লাব বাঞ্ছারামপুরের নতুন কমিটি গঠন
প্রেসক্লাব বাঞ্ছারামপুরের নতুন কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাগুরায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‍্যালি
মাগুরায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‍্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গুগল ম্যাপসের এআই সুবিধা
বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গুগল ম্যাপসের এআই সুবিধা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

লিবিয়া থেকে চলতি মাসে ফিরলেন ৯২৮ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে চলতি মাসে ফিরলেন ৯২৮ বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্যপ্রাণী ও বন রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিবন্ধন শুরু
বন্যপ্রাণী ও বন রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিবন্ধন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে ডাকাত দলের চার সদস্য গ্রেফতার
কক্সবাজারে ডাকাত দলের চার সদস্য গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন বিতর্ক
মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন বিতর্ক

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৮ ঘণ্টা আগে | টক শো

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম