শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:২০, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই-সন্তান হত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। অনেক পাঠকই গল্পের সোর্স জানতে চেয়েছেন। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। প্রতি শনিবারের  এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো ৮ম পর্ব। সব পর্ব একসঙ্গে পেতে হলে ঢু মারতে পারেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে।

 

[পূর্ব প্রকাশের পর]


ছেলেবেলা থেকেই অটোমানদের জৌলুস আর বিজয় দেখে এসেছেন সুলেমান। সিংহাসনের জন্য রক্তারক্তি আর নোংরা রাজনীতির গল্পও সুলেমানের অজানা রয়। রাজরক্তের জৌলুস আর শিক্ষা নিয়ে ছাব্বিশ বসন্তে পা দিয়েছেন। আর এই টগবগে তারুণ্যের মাঝেই অভিষিক্ত হয়েছেন অটোমান সাম্রাজ্যের দশম সুলতান হিসেবে। তিনি জানেন শাসনভার পরিচালনার কাজটা সহজ হবে না মোটেই। বাবার অসমাপ্ত কাজ কিংবা সাধারণ তুর্কিদের মনের আশা পূরণ করতে হলে তাকে ভীষণ কৌশলী হতে হবে। আলেকজান্ডারের মতো দিগ্বিজয়ী বীর হয়ে ওঠার যে বাসনা সুলেমানের মনে ছোটবেলা থেকেই উঁকি-ঝুঁকি মারছিল সেটিকেও টেনে নিতে হবে। পারিপার্শ্বিকতা আপাত দৃষ্টিতে অনুকূল মনে হলেও বিদেশি ষড়যন্ত্র কিংবা এখানকার সবাই তাকে কীভাবে গ্রহণ করে তার ওপরও নির্ভর করবে অনেক কিছুই।

এসব বিষয় নিয়ে সুলেমান চিন্তিত নন একদমই। তবে সতর্ক ভীষণ। সাবধানে পা ফেলতে হবে। সুলেমানের সুলতান হয়ে ওঠা এবং এর আগের সময়গুলোতে তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী পারগালি ইব্রাহীম। বন্ধু এবং কাছের মানুষ। কেবল সে-ই জানেন সুলেমানের গোপন ইচ্ছা। কেবল সে-ই বুঝতে পারে সুলেমানের চোখের ইশারা। অভিষিক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক দরবারে যাওয়ার আগে তাই একান্তে পারগালির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন সুলেমান।

ঘরে প্রবেশ করেই পরম শ্রদ্ধায় সুলতানের নতুন চকচকে কাফতানে চুমু খেলেন ইব্রাহীম।

‘সুলতান সুলেমান খানের জয় হোক। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে অটোমান পতাকা ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে।’

বলেই মুখ তুলে তাকালেন ইব্রাহীম।

সুলতান ইব্রাহীকে টেনে দাঁড় করালেন। এরপর জড়িয়ে ধরলেন।

‘ইব্রাহীম, আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। তোপকাপি প্রাসাদ আর এই অটোমান সাম্রাজ্যে আমি একেবারেই নতুন একজন। মা আয়শা হয়তো আমার পাশে আছেন। কিন্তু আমি জানি না বাকিদের কী অবস্থা। তুমি আমার ভাই, তুমি আমার বন্ধু। আমার এই নতুন যাত্রায় তোমাকে আমার পাশে চাই।’

সুলেমানের এ আচরণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ইব্রাহীম। সাধারণ একজন দাসকে অটোমান সুলতান সুলেমান খান যে সম্মান দিচ্ছেন, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ইব্রাহীম।

সুলতানের বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হয়েই ইব্রাহীম বললেন,

‘এই দাসের জীবন আপনার পদতলে লুটিয়ে দেব। আমার রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে হলেও আপনার মান রাখব।’

‘তোমার সহযোগিতা ছাড়া আমি এগোতে পারব না ইব্রাহীম।’

একেবারে ইব্রাহীমের চোখে চোখ রেখে বললেন সুলেমান।

দ্রুত চোখ নামিয়ে নিলেন ইব্রাহীম।

‘ওভাবে বলবেন না সুলেমান। আপনি মহান অটোমান সাম্রাজ্যের একমাত্র বৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করছেন। হাজার হাজার সেনা আর লাখ লাখ জনগণ আপনার পেছনে আছে। আপনি আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী। আপনাকে আটকায় এমন কেউ নেই। আমি জানি সাফল্য ঠিক আপনার পায়ে লুটোপুটি খাবে। ইনশাআল্লাহ আপনি আলেকজান্ডারের মতো বীর হিসেবে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখবেন।’

‘ইন-শাআল্লাহ।’

বলে ইব্রাহীমের সঙ্গে সুর মেলালেন সুলেমান।

কিছুক্ষণ নীরবে কাটল।

‘কাফতান-টায় আপনাকে দারুণ মানিয়েছে হুজুর।’

কিঞ্চিৎ হাসির রেখা দেখা গেল পারগালির ঠোঁটে। সে হাসি সংক্রমিত হলো সুলেমানের মুখেও।

‘হুমম। এটা মা নিজে তদারকি করে আমার জন্য বানিয়েছেন। বিশেষ করে আজকের দিনের জন্য।’

‘হুজুর দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আর অটোমানদের নিয়ম অনুসারে আপনি প্রথম দরবারে যাওয়ার আগে গোটা প্রাসাদে একবার চক্কর দিতে হবে। সবাই আপনাকে শুভেচ্ছা ও বরণ করে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এরপরই আপনি দরবারে চলে যাবেন।’

‘হুমম। মা আমাকে বলেছেন। চলো বের হওয়া যাক।’

ইব্রাহীমকে নিয়ে ঘরের বাইরের দিকে পা ফেললেন সুলেমান।

বাইরে বের হতেই ছয়জন দেহরক্ষী সুলেমান আর ইব্রাহীমের পিছু নিল।

নতুন সুলতানকে বরণ করে নেওয়ার জন্য গোটা তোপকাপি প্রাসাদই সেজেছে দারুণ করে। চারদিকে রঙিন সব কাপড়-কাগজের কারুকাজ। আলোর ঝলকানি আর তাজা ফুলের সুবাস। সবই সুলতানের জন্য।

অটোমান হারেম অনেকগুলো দালানকোঠার একটি পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স যা হাঁটাপথ দিয়ে একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হাঁটাপথের মাধ্যমে প্রতিটি ভবন আর কক্ষ একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হারেম আঙিনার চারপাশজুড়ে বিভিন্ন সেবাদানকারী দাসীদের থাকার জায়গা ছিল। বিভিন্ন স্তরের সেবা দানকারীদের জন্য বিভিন্ন স্তরে কক্ষ বরাদ্দ আছে। এদের কক্ষগুলোকে দায়েরিস বলে। দায়েরিস এর পাশেই পায়ে হাঁটার রাস্তা। যে রাস্তা গোটা হারেমকে সংযুক্ত করেছে। এই রাস্তাগুলোও দারুণ করে সাজানো। সেখানকার সব দাসী কক্ষের বাইরে অপেক্ষমাণ সুলতানের জন্য। প্রহরী খোজারাও একই দলে। সুলতান সুলেমান আর পারগালি যখন এ পথ দিয়ে হেঁটে গেলেন তখন মধুর সংগীত আর ফুলের শুভেচ্ছায় তাদের বরণ করে নেওয়া হলো।

সুলেমানের মনে সবার শুভেচ্ছা অন্যরকম এক ঢেউ খেলিয়ে দিল। হাঁটতে হাঁটতে আরাবালা কাপিসি বা ঘোড়া প্রবেশের দরজার কাছাকাছি চলে এলেন সুলেমান। সেখানে অপেক্ষমাণ ছিলেন দারুসসাদি আগাসি বা হারেমের প্রধান খোজা মালিদ আগা ও তার সঙ্গীরা। তাদের পক্ষ থেকে সুলতানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হলো। এভাবে দশ মিনিটের মধ্যে গোটা প্রাসাদ ঘোরা হয়ে গেল। ঘোরা শেষ করে হারেম যখন হুনকার সোফাস বা সুলতানের জন্য নির্মিত ডোমাকৃতির রাজকীয় হলরুমের কাছাকাছি তখনই ঘটে গেল একটা ঘটনা। ফিরতি পথে হারেমের একটা দায়েরিস পার হচ্ছিলেন সুলেমান। সেখানেই নজরে পড়ল মেয়েটাকে। সেই লাল পোশাক পরা মেয়েটা। মায়ের অসুস্থতার জন্য যেবার এখানে এসেছিল সেবার দেখেছিল মেয়েটাকে। কী যেন নাম মেয়েটার? এই মুহূর্তে ঠিক মনে আসছে না সুলেমানের। তবে এটুকু ঠিক মনে আছে ইব্রাহীম বলেছিল মেয়েটাকে ক্রিমিয়া থেকে আনা হয়েছে। সোনালি চুলের ফাঁক গলিয়ে একটা করুণ মলিন মায়াবী মুখ! মেয়েটাকে চোখে পড়তেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য আটকে গিয়েছিল সুলেমানের পা।

ইব্রাহীম সঙ্গে সঙ্গে সুলেমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল,

‘সুলতান আমি চিনতে পেরেছি। এখন আমরা এগিয়ে যাই। এখানে বিলম্ব করা ঠিক হবে না।’

এ কারণেই ইব্রাহীমকে এতো পছন্দ সুলেমানের। কী করে যেন সবকিছুই খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন তিনি। মেয়েটার মলিন মুখটা ভালোই ছাপ ফেলেছে সুলেমানের মনে। মনের ভিতরের কবিটা নড়াচড়া করে উঠছে! কিন্তু এখনতো কবির জেগে ওঠার সময় নয়। এখন সময়টা সুলতানের!

সুলতানের হলরুম হুনকার সাফোসকে সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ডোমাকৃতির এই রাজকীয় হলরুমেই রয়েছে সুলতানের সিংহাসন। তোপকাপি প্রাসাদে এরকম বেশ কয়েকটি হলরুম রয়েছে। তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। সুলতান প্রবেশের আগেই কক্ষের বাইরে থেকে একজন রক্ষী চিৎকার করে উঠল

‘মহামান্য সুলতান সুলেমান খান...’

সুলতান কক্ষে প্রবেশ করতেই সবাই তাকে অভিবাদন জানালেন। রীতি মোতাবেক সুলতান এগিয়ে গিয়ে সিংহাসনে বসলেন।

অটোমান সাম্রাজ্যের প্রধান মুফতি অটোমান রীতি অনুসারে নতুন সুলতানের জন্য দোয়া করলেন। সবাই মোনাজাতে সুলতানের সাফল্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া করল। এরপর শুরু হলো আনুষ্ঠানিকতা।

সবার আগে সভাসদদের পক্ষ থেকে উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশা নতুন সুলতানকে অভিনন্দন জানালেন। তার লিখিত অভিনন্দনবার্তা যখন শেষ হলো তখন ‘সুলতানের জয় হোক, সুলতানের জয় হোক...’ বলে প্রকম্পিত হয়ে উঠল গোটা হলরুম।

সুলেমান সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। পাশে ফিরে ইব্রাহীমকে না দেখে একটু একা লাগল সুলতানের। কিন্তু এখনই ইব্রাহীমকে এখানে ডাকা যাবে না। কারণ নিয়মানুসারে সে অটোমান সাম্রাজ্যের কেউ নন। কিন্তু এখানে যারা আছেন তারা সবাই বড় বড় দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে সুলেমান চাইলেও আপাতত ইব্রাহীমকে ভিতরে ডাকা যাবে না। তবে একটা ব্যাপার ঠিক অনুভব করছেন সুলেমান। সুলতান হিসেবে একেবারে প্রথম দিকের যে সিদ্ধান্তগুলো আছে, তার মধ্যে ইব্রাহীমের ব্যাপারটিও রয়েছে। খুব দ্রুত ইব্রাহীমকে কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে।

উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশার অভিনন্দনবার্তা পাঠের শেষে তিনি এগিয়ে গেলেন। এগিয়ে গিয়ে সুলতানের কাফতানে চুমু খেলেন। কুর্নিশ করে সুলতানের প্রতি নিজের আনুগত্য আর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলেন। এটাই অটোমানদের নিয়ম। এরপর উজিরে আজমকে অনুসরণ করলেন বাকিরা। এখানকার নিয়ম অনুসারে নতুন কোনো সুলতান এলে তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ও আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হয়। একে একে উজিরে সামি ফেরাত পাশা, উজিরে শালিস আহমেদ পাশা, কাপ্তান ই দরিয়া জাফর আগাসহ অন্যরা সুলতানের কাফতানে চুমু খেয়ে অভিনন্দন জানালেন। সুলতানও পরিচিতিমূলক সভায় সবার সঙ্গে পরিচিত হলেন। সবার কামনা একটাই সুলতান দীর্ঘস্থায়ী-দীর্ঘায়ু হবেন। অটোমানদের গৌরব ছড়িয়ে দেবেন বিশ্বময়।

মনজিলার সঙ্গে নিজের সুখের কথা ভাগাভাগি করছেন আয়শা হাফসা। স্বামী সেলিম খানের মৃত্যুশোক কাটিয়ে তিনি পুত্র সুলেমানের সাফল্যের আশায় উদগ্রীব। প্রিয় সুলতানার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি মনজিলাও।

‘দেখবেন সুলতান সুলেমান খান অটোমান বংশের মুখ ঠিক উজ্জ্বল করবে। ছোটকাল থেকেই দেখে এসেছি তিনি অন্যদের চেয়ে একেবারে আলাদা। বুদ্ধিমান এবং সাহসী। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি তার নাম পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

মনজিলার কথায় খুশি হয়ে ওঠে আয়শা হাফসা।

‘তাই যেন হয়, তাই যেন হয়।’

এর মধ্যেই একটা মেয়ে এসে জানালো সুলতান সুলেমান খান এসেছেন দেখা করার জন্য। ইশারায় মনজিলাকে চলে যেতে বললেন। সুলেমান কক্ষে প্রবেশ করেই জড়িয়ে ধরলেন মাকে। মায়ের কাছে দোয়া চাইলেন। মা আয়শা সুলেমানের কপালে ছোট্টো করে একটা চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসতে বললেন।

সুলেমান মায়ের পাশে বসে তার পরামর্শে কাজ শুরু করলেন। নিজেই বললেন,

‘মা আমি চাই পীরে মেহমুদ পাশাই উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করুন।’

মায়ের সম্মতি চাইলেন সুলেমান। প্রশ্ন শুনে একটু থামলেন আয়শা। তারপর বললেন,

‘তিনি অভিজ্ঞ, সুলেমান খানের উজির ছিলেন। তুমি তাকেও রাখতে পার। আবার যদি বয়সের কথা ভাব তিনি কিন্তু যথেষ্ট প্রবীণ। সেক্ষেত্রে অন্য কাউকে বেছে নিতে পার। এই স্বাধীনতা তোমার।’

‘আমি আপাতত এই পদে কোনো পরিবর্তন চাই না। ধীরে ধীরে। আগে সব বুঝে নিই। তাই আপাতত মেহমুদ পাশাই থাকুন দায়িত্বে।’

‘ঠিক আছে। মেহমুদ পাশাকে ডেকে খবরটা দিয়ে দাও।’

মায়ের সম্মতি পেয়ে একটু ভালোই লাগল সুলেমানের। যদিও মায়ের অনুমতি ছাড়াই কাজটা সারতে পারত সে। কিন্তু প্রথম দিকের সিদ্ধান্ত বলে কথা। তাই জানিয়ে নেওয়াটা ভালো।

‘জি মা। আমি মেহমুদ পাশাকে বলে দেব।’

কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর আয়শা বললেন,

‘আর একটা কথা সুলেমান। তোমার উচিত এখানকার রক্ষী কিংবা সভাসদদের মধ্য থেকে কাউকে তোমার ব্যক্তিগত সহকারী বা খাস কামরা প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া। পারলে আজই সেটা করে ফেল। মনে রেখ উজিরে আজমের পর বড় ক্ষমতাশালী পদগুলোর একটি কিন্তু খাস কামরা প্রধানের পদ।’

‘জি। কাকে নেওয়া যায় মা?’

‘সলিম সাফেরি নামে একটা ছেলে আছে। বিশ্বস্ত। ওকে নিতে পার। শিক্ষিত, সুবোধ এবং শক্তিশালী।’

‘কিন্তু মা, আমিতো তার সঙ্গে পরিচিত নই। তাছাড়া আমার একজন ব্যক্তিগত সহকারী আছে।’

‘কার কথা বলছ?’

‘বাজপাখি রক্ষক পারগালি ইব্রাহীম।’

‘কিন্তু...’

একটু আপত্তি করতে চাইলেন আয়শা। তাকে থামিয়ে দিলেন সুলেমান।

‘কিন্তু কেন মা? সেই ছোটকাল থেকেই ইব্রাহীম আমার সঙ্গে ছায়ার মতো আছে। সেও বিশ্বস্ত, অনুগত এবং শিক্ষিত। আমি খেয়াল করে দেখেছি তার বুদ্ধিমত্তাও প্রচুর। তার সাহচর্য আমাকে প্রচুর অনুপ্রেরণা দেবে। আমার এগিয়ে যাওয়ার পথে দারুণ সহযোগিতা করবে।’

‘কিন্তু সুলেমান সে এখানকার কেউ নয়। সুদূর পারগার অধিবাসী। এমন বড় একটি পদে ভিনদেশি কাউকে সুযোগ দিলে বাকিরা বিষয়টিকে কীভাবে নেবে সেটিও কিন্তু ভাবতে হবে।’

‘বাকিদের কথা কে জানতে চেয়েছে? আমিতো কেবল আপনার কথাই জানতে চেয়েছি মা।’

‘তুমি চাইলে আমি খুব বেশি আপত্তি করব না। তবে আরেকবার ভাবতে পার।’

‘ভাবার কিছু নেই। আমার ইব্রাহীমকেই দরকার।’

‘তাহলে একসঙ্গেই ঘোষণা দিয়ে দাও। এটাও মেহমুদ পাশাকে ডেকে বলে দিও।’

‘জি আচ্ছা। ধন্যবাদ।’

হারেমের মেয়েদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ওদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনো সময় সুলতানের তরফ থেকে ডাক আসবে। তরুণ নতুন সুলতান সম্পর্কে একেক জনের একেক রকম অভিমত। তবে নতুন সুলতানের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য হারেমের সব মেয়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতা দেখা গেল। কেবল নতুন কয়েকটি মেয়ে এই প্রতিযোগিতার বাইরে। এদেরই একজন আলেকজান্দ্রা।

‘মেয়েগুলো কী নির্লজ্জ তাই না? একজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য কী ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এদের মধ্যে। এদের কী কোনো লজ্জা নেই।’

ক্রিমিয়া থেকে একসঙ্গে এখানে বন্দী হয়ে আসা আলেকজান্দ্রার ছোটবেলার বান্ধবী ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল সে।

ইসাবেলা চুপচাপ শুনল। এরপর বলল

‘এখানে এটাই নিয়ম। কেউ এই নিয়মের বাইরে নেই। এটাই আমাদের নিয়তি।’

‘নিয়তি না কচু! আমি অটোমানদের এই জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই।’

‘দেখ আলেক। একবার ভাব আমরা সুলতানের দাসী না হয়ে যদি কোনো যৌনপল্লীতে দাস হিসেবে যেতাম তাহলে কী হতো? অথবা ধর অন্য কোনো মানুষের ব্যক্তিগত হারেমে? আমাদের ভাগ্য যে আমরা অটোমান সুলতানের হারেমে পৌঁছতে পেরেছি। আমি শুনেছি মাথা খাটিয়ে চলতে পারলে এখানে সবচেয়ে সুখে থাকা যায়।’

‘এর নাম সুখ?’

পাশের মেয়েগুলোর দিকে আঙ্গুল তুলে বলল আলেকজান্দ্রা।

‘দেখ আলেক, তুমি তোমার পরিবার-পরিজন সবাইকে হারিয়েছ। এখন আর তোমার কোনো পিছুটান নেই। এখন তোমার গোটা জীবনটা নতুন করে শুরু করতে হবে। একদম নতুন করে। একটু ভাব। তারপর সিদ্ধান্ত নাও। স্রোতের বিরুদ্ধে খুব বেশি দূর এগোনো যায় না। তুমি সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। আমি তোমাকে বোঝাব সে সাধ্যি আমার নেই। কেবল মনে রেখ এখানে কেউই আনন্দ নিয়ে আসেনি। বরং আসার পর পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে।’

ইসাবেলার এবারের কথাগুলো ছুঁয়ে গেল আলেকজান্দ্রাকে। সত্যিইতো! একটু আগে ও যাদের বকা দিচ্ছিল তাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চয়ই একটি অতীত আছে। প্রত্যেকেই হয়তো তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হারিয়ে এখানে এসেছে। তার নিজের মতো ওদের জীবনেও হয়তোবা দুঃখের কোনো শেষ নেই।

কিন্তু এরপরও সুলতানকে নিয়ে স্বপ্নের ছবি আঁকে ওরা।

নিজেকে যত্ন করে গড়ে তুলছে।

প্রতিদিন নিয়ম করে শিখছে কীভাবে সুলতানকে খুশি করা যায়। সুলতানের সামনে গেলে কী ধরনের ব্যবহার করতে হবে, সুলতান হাসলে কী হবে, কাঁদলে কী হবে কিংবা কোনো উপহার দিলে তখন কী করতে হবে সবই সানন্দে শিখছে অটোমান হারেমের মেয়েরা।

এসব নিশ্চয়ই মনের আনন্দে শিখছে না মেয়েগুলো। নিশ্চয়ই পরিস্থিতির কারণে এসব উপভোগ করতে শুরু করেছে ওরা।

তবে এখানকার একটা রীতি ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। হারেমের মেয়েগুলোকে কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের উপায়ই শেখানো হয় এমন না। এই মেয়েগুলোকে অন্যান্য শিক্ষায়ও শিক্ষিত করা হয়। গান শেখানো হয়। ভাষা শেখানো হয়। গণিত, সাজগোজ, নৃত্যকলা কোনোকিছুই হারেমের পাঠক্রমের বাইরে নয়। এটা খুব ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। গোটা বিষয়টা নতুন করে ভাবিয়ে তুলল আলেকজান্দ্রাকে। আসলেই কী কিছুই করার নেই তার? সত্যিই কী বাকি জীবনটা এই অন্ধকারে কেটে যাবে।

অনেক ভেবেচিন্তে মনে হলো সত্যিই এখান থেকে বেরুবার কোনো উপায় নেই। কেবল ইসাবেলাই নয়, আরও অনেকেই আলেকজান্দ্রাকে একই পরামর্শ দিয়েছে। স্বয়ং মালিদ আগা পর্যন্ত বলেছেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং নরম হয়ে ভালোবাসার মাধ্যমেই কাজ সারতে হবে। কেউ যদি সুলতানের সেবায় নিয়োজিত হয়ে সুলতানের সন্তানের মা হতে পারে তাহলেই তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। অটোমান সম্রাটের স্ত্রীর মর্যাদা পাবে সেই নারী। এই স্বপ্নটাকে খুবই কুরুচিপূর্ণ মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেটাকে লক্ষ্য করেই এগোতে হবে। সুলতানের নাম যেন কি? ‘সুলেমান’, তবে তাই হোক। লক্ষ্য এবার সুলেমান খান।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ মে, ২০১৬/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত
বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল
শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল

১৪ মিনিট আগে | শোবিজ

ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ
ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ

২০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স
গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স

২১ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২

২৬ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি
বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক
নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক

৪৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় একজনের মৃত্যু
ট্রাকচাপায় একজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৬
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৬

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৎ মানুষদের রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার
সৎ মানুষদের রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি
একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৭৬ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৭৬ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টেস্টের বিরল ক্লাবে জাদেজা
টেস্টের বিরল ক্লাবে জাদেজা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ
আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে কারাগারে ভারতীয় জেলের মৃত্যু
বাগেরহাটে কারাগারে ভারতীয় জেলের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্ধারণে কাজ করবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
আগামী নির্বাচন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্ধারণে কাজ করবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুরে সুজনের জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন
রংপুরে সুজনের জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় মহিলা দলের কর্মীসভা
গাইবান্ধায় মহিলা দলের কর্মীসভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিকদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মুন্সীগঞ্জে ফারুক ওয়াসিফ
সাংবাদিকদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মুন্সীগঞ্জে ফারুক ওয়াসিফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুড়িয়ে দেওয়া হলো কৃষকের ৬ বিঘা জমির ধান, গ্রেপ্তার ১
পুড়িয়ে দেওয়া হলো কৃষকের ৬ বিঘা জমির ধান, গ্রেপ্তার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না : আইজিপি
কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না : আইজিপি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা