শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:২০, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৮)

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই-সন্তান হত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। অনেক পাঠকই গল্পের সোর্স জানতে চেয়েছেন। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। প্রতি শনিবারের  এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো ৮ম পর্ব। সব পর্ব একসঙ্গে পেতে হলে ঢু মারতে পারেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে।

 

[পূর্ব প্রকাশের পর]


ছেলেবেলা থেকেই অটোমানদের জৌলুস আর বিজয় দেখে এসেছেন সুলেমান। সিংহাসনের জন্য রক্তারক্তি আর নোংরা রাজনীতির গল্পও সুলেমানের অজানা রয়। রাজরক্তের জৌলুস আর শিক্ষা নিয়ে ছাব্বিশ বসন্তে পা দিয়েছেন। আর এই টগবগে তারুণ্যের মাঝেই অভিষিক্ত হয়েছেন অটোমান সাম্রাজ্যের দশম সুলতান হিসেবে। তিনি জানেন শাসনভার পরিচালনার কাজটা সহজ হবে না মোটেই। বাবার অসমাপ্ত কাজ কিংবা সাধারণ তুর্কিদের মনের আশা পূরণ করতে হলে তাকে ভীষণ কৌশলী হতে হবে। আলেকজান্ডারের মতো দিগ্বিজয়ী বীর হয়ে ওঠার যে বাসনা সুলেমানের মনে ছোটবেলা থেকেই উঁকি-ঝুঁকি মারছিল সেটিকেও টেনে নিতে হবে। পারিপার্শ্বিকতা আপাত দৃষ্টিতে অনুকূল মনে হলেও বিদেশি ষড়যন্ত্র কিংবা এখানকার সবাই তাকে কীভাবে গ্রহণ করে তার ওপরও নির্ভর করবে অনেক কিছুই।

এসব বিষয় নিয়ে সুলেমান চিন্তিত নন একদমই। তবে সতর্ক ভীষণ। সাবধানে পা ফেলতে হবে। সুলেমানের সুলতান হয়ে ওঠা এবং এর আগের সময়গুলোতে তার সবচেয়ে কাছের সঙ্গী পারগালি ইব্রাহীম। বন্ধু এবং কাছের মানুষ। কেবল সে-ই জানেন সুলেমানের গোপন ইচ্ছা। কেবল সে-ই বুঝতে পারে সুলেমানের চোখের ইশারা। অভিষিক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক দরবারে যাওয়ার আগে তাই একান্তে পারগালির সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন সুলেমান।

ঘরে প্রবেশ করেই পরম শ্রদ্ধায় সুলতানের নতুন চকচকে কাফতানে চুমু খেলেন ইব্রাহীম।

‘সুলতান সুলেমান খানের জয় হোক। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে অটোমান পতাকা ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে।’

বলেই মুখ তুলে তাকালেন ইব্রাহীম।

সুলতান ইব্রাহীকে টেনে দাঁড় করালেন। এরপর জড়িয়ে ধরলেন।

‘ইব্রাহীম, আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। তোপকাপি প্রাসাদ আর এই অটোমান সাম্রাজ্যে আমি একেবারেই নতুন একজন। মা আয়শা হয়তো আমার পাশে আছেন। কিন্তু আমি জানি না বাকিদের কী অবস্থা। তুমি আমার ভাই, তুমি আমার বন্ধু। আমার এই নতুন যাত্রায় তোমাকে আমার পাশে চাই।’

সুলেমানের এ আচরণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ইব্রাহীম। সাধারণ একজন দাসকে অটোমান সুলতান সুলেমান খান যে সম্মান দিচ্ছেন, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ইব্রাহীম।

সুলতানের বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হয়েই ইব্রাহীম বললেন,

‘এই দাসের জীবন আপনার পদতলে লুটিয়ে দেব। আমার রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে হলেও আপনার মান রাখব।’

‘তোমার সহযোগিতা ছাড়া আমি এগোতে পারব না ইব্রাহীম।’

একেবারে ইব্রাহীমের চোখে চোখ রেখে বললেন সুলেমান।

দ্রুত চোখ নামিয়ে নিলেন ইব্রাহীম।

‘ওভাবে বলবেন না সুলেমান। আপনি মহান অটোমান সাম্রাজ্যের একমাত্র বৈধ উত্তরাধিকার হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করছেন। হাজার হাজার সেনা আর লাখ লাখ জনগণ আপনার পেছনে আছে। আপনি আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী। আপনাকে আটকায় এমন কেউ নেই। আমি জানি সাফল্য ঠিক আপনার পায়ে লুটোপুটি খাবে। ইনশাআল্লাহ আপনি আলেকজান্ডারের মতো বীর হিসেবে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখবেন।’

‘ইন-শাআল্লাহ।’

বলে ইব্রাহীমের সঙ্গে সুর মেলালেন সুলেমান।

কিছুক্ষণ নীরবে কাটল।

‘কাফতান-টায় আপনাকে দারুণ মানিয়েছে হুজুর।’

কিঞ্চিৎ হাসির রেখা দেখা গেল পারগালির ঠোঁটে। সে হাসি সংক্রমিত হলো সুলেমানের মুখেও।

‘হুমম। এটা মা নিজে তদারকি করে আমার জন্য বানিয়েছেন। বিশেষ করে আজকের দিনের জন্য।’

‘হুজুর দেরি হয়ে যাচ্ছে। সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। আর অটোমানদের নিয়ম অনুসারে আপনি প্রথম দরবারে যাওয়ার আগে গোটা প্রাসাদে একবার চক্কর দিতে হবে। সবাই আপনাকে শুভেচ্ছা ও বরণ করে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এরপরই আপনি দরবারে চলে যাবেন।’

‘হুমম। মা আমাকে বলেছেন। চলো বের হওয়া যাক।’

ইব্রাহীমকে নিয়ে ঘরের বাইরের দিকে পা ফেললেন সুলেমান।

বাইরে বের হতেই ছয়জন দেহরক্ষী সুলেমান আর ইব্রাহীমের পিছু নিল।

নতুন সুলতানকে বরণ করে নেওয়ার জন্য গোটা তোপকাপি প্রাসাদই সেজেছে দারুণ করে। চারদিকে রঙিন সব কাপড়-কাগজের কারুকাজ। আলোর ঝলকানি আর তাজা ফুলের সুবাস। সবই সুলতানের জন্য।

অটোমান হারেম অনেকগুলো দালানকোঠার একটি পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স যা হাঁটাপথ দিয়ে একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হাঁটাপথের মাধ্যমে প্রতিটি ভবন আর কক্ষ একটি আরেকটির সঙ্গে সংযুক্ত। হারেম আঙিনার চারপাশজুড়ে বিভিন্ন সেবাদানকারী দাসীদের থাকার জায়গা ছিল। বিভিন্ন স্তরের সেবা দানকারীদের জন্য বিভিন্ন স্তরে কক্ষ বরাদ্দ আছে। এদের কক্ষগুলোকে দায়েরিস বলে। দায়েরিস এর পাশেই পায়ে হাঁটার রাস্তা। যে রাস্তা গোটা হারেমকে সংযুক্ত করেছে। এই রাস্তাগুলোও দারুণ করে সাজানো। সেখানকার সব দাসী কক্ষের বাইরে অপেক্ষমাণ সুলতানের জন্য। প্রহরী খোজারাও একই দলে। সুলতান সুলেমান আর পারগালি যখন এ পথ দিয়ে হেঁটে গেলেন তখন মধুর সংগীত আর ফুলের শুভেচ্ছায় তাদের বরণ করে নেওয়া হলো।

সুলেমানের মনে সবার শুভেচ্ছা অন্যরকম এক ঢেউ খেলিয়ে দিল। হাঁটতে হাঁটতে আরাবালা কাপিসি বা ঘোড়া প্রবেশের দরজার কাছাকাছি চলে এলেন সুলেমান। সেখানে অপেক্ষমাণ ছিলেন দারুসসাদি আগাসি বা হারেমের প্রধান খোজা মালিদ আগা ও তার সঙ্গীরা। তাদের পক্ষ থেকে সুলতানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হলো। এভাবে দশ মিনিটের মধ্যে গোটা প্রাসাদ ঘোরা হয়ে গেল। ঘোরা শেষ করে হারেম যখন হুনকার সোফাস বা সুলতানের জন্য নির্মিত ডোমাকৃতির রাজকীয় হলরুমের কাছাকাছি তখনই ঘটে গেল একটা ঘটনা। ফিরতি পথে হারেমের একটা দায়েরিস পার হচ্ছিলেন সুলেমান। সেখানেই নজরে পড়ল মেয়েটাকে। সেই লাল পোশাক পরা মেয়েটা। মায়ের অসুস্থতার জন্য যেবার এখানে এসেছিল সেবার দেখেছিল মেয়েটাকে। কী যেন নাম মেয়েটার? এই মুহূর্তে ঠিক মনে আসছে না সুলেমানের। তবে এটুকু ঠিক মনে আছে ইব্রাহীম বলেছিল মেয়েটাকে ক্রিমিয়া থেকে আনা হয়েছে। সোনালি চুলের ফাঁক গলিয়ে একটা করুণ মলিন মায়াবী মুখ! মেয়েটাকে চোখে পড়তেই কয়েক সেকেন্ডের জন্য আটকে গিয়েছিল সুলেমানের পা।

ইব্রাহীম সঙ্গে সঙ্গে সুলেমানের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলল,

‘সুলতান আমি চিনতে পেরেছি। এখন আমরা এগিয়ে যাই। এখানে বিলম্ব করা ঠিক হবে না।’

এ কারণেই ইব্রাহীমকে এতো পছন্দ সুলেমানের। কী করে যেন সবকিছুই খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন তিনি। মেয়েটার মলিন মুখটা ভালোই ছাপ ফেলেছে সুলেমানের মনে। মনের ভিতরের কবিটা নড়াচড়া করে উঠছে! কিন্তু এখনতো কবির জেগে ওঠার সময় নয়। এখন সময়টা সুলতানের!

সুলতানের হলরুম হুনকার সাফোসকে সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। ডোমাকৃতির এই রাজকীয় হলরুমেই রয়েছে সুলতানের সিংহাসন। তোপকাপি প্রাসাদে এরকম বেশ কয়েকটি হলরুম রয়েছে। তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। সুলতান প্রবেশের আগেই কক্ষের বাইরে থেকে একজন রক্ষী চিৎকার করে উঠল

‘মহামান্য সুলতান সুলেমান খান...’

সুলতান কক্ষে প্রবেশ করতেই সবাই তাকে অভিবাদন জানালেন। রীতি মোতাবেক সুলতান এগিয়ে গিয়ে সিংহাসনে বসলেন।

অটোমান সাম্রাজ্যের প্রধান মুফতি অটোমান রীতি অনুসারে নতুন সুলতানের জন্য দোয়া করলেন। সবাই মোনাজাতে সুলতানের সাফল্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া করল। এরপর শুরু হলো আনুষ্ঠানিকতা।

সবার আগে সভাসদদের পক্ষ থেকে উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশা নতুন সুলতানকে অভিনন্দন জানালেন। তার লিখিত অভিনন্দনবার্তা যখন শেষ হলো তখন ‘সুলতানের জয় হোক, সুলতানের জয় হোক...’ বলে প্রকম্পিত হয়ে উঠল গোটা হলরুম।

সুলেমান সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। পাশে ফিরে ইব্রাহীমকে না দেখে একটু একা লাগল সুলতানের। কিন্তু এখনই ইব্রাহীমকে এখানে ডাকা যাবে না। কারণ নিয়মানুসারে সে অটোমান সাম্রাজ্যের কেউ নন। কিন্তু এখানে যারা আছেন তারা সবাই বড় বড় দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে সুলেমান চাইলেও আপাতত ইব্রাহীমকে ভিতরে ডাকা যাবে না। তবে একটা ব্যাপার ঠিক অনুভব করছেন সুলেমান। সুলতান হিসেবে একেবারে প্রথম দিকের যে সিদ্ধান্তগুলো আছে, তার মধ্যে ইব্রাহীমের ব্যাপারটিও রয়েছে। খুব দ্রুত ইব্রাহীমকে কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে।

উজিরে আজম পীরে মেহমুদ পাশার অভিনন্দনবার্তা পাঠের শেষে তিনি এগিয়ে গেলেন। এগিয়ে গিয়ে সুলতানের কাফতানে চুমু খেলেন। কুর্নিশ করে সুলতানের প্রতি নিজের আনুগত্য আর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলেন। এটাই অটোমানদের নিয়ম। এরপর উজিরে আজমকে অনুসরণ করলেন বাকিরা। এখানকার নিয়ম অনুসারে নতুন কোনো সুলতান এলে তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচিতি ও আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হয়। একে একে উজিরে সামি ফেরাত পাশা, উজিরে শালিস আহমেদ পাশা, কাপ্তান ই দরিয়া জাফর আগাসহ অন্যরা সুলতানের কাফতানে চুমু খেয়ে অভিনন্দন জানালেন। সুলতানও পরিচিতিমূলক সভায় সবার সঙ্গে পরিচিত হলেন। সবার কামনা একটাই সুলতান দীর্ঘস্থায়ী-দীর্ঘায়ু হবেন। অটোমানদের গৌরব ছড়িয়ে দেবেন বিশ্বময়।

মনজিলার সঙ্গে নিজের সুখের কথা ভাগাভাগি করছেন আয়শা হাফসা। স্বামী সেলিম খানের মৃত্যুশোক কাটিয়ে তিনি পুত্র সুলেমানের সাফল্যের আশায় উদগ্রীব। প্রিয় সুলতানার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি মনজিলাও।

‘দেখবেন সুলতান সুলেমান খান অটোমান বংশের মুখ ঠিক উজ্জ্বল করবে। ছোটকাল থেকেই দেখে এসেছি তিনি অন্যদের চেয়ে একেবারে আলাদা। বুদ্ধিমান এবং সাহসী। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি তার নাম পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

মনজিলার কথায় খুশি হয়ে ওঠে আয়শা হাফসা।

‘তাই যেন হয়, তাই যেন হয়।’

এর মধ্যেই একটা মেয়ে এসে জানালো সুলতান সুলেমান খান এসেছেন দেখা করার জন্য। ইশারায় মনজিলাকে চলে যেতে বললেন। সুলেমান কক্ষে প্রবেশ করেই জড়িয়ে ধরলেন মাকে। মায়ের কাছে দোয়া চাইলেন। মা আয়শা সুলেমানের কপালে ছোট্টো করে একটা চুমু খেলেন। তারপর পাশে বসতে বললেন।

সুলেমান মায়ের পাশে বসে তার পরামর্শে কাজ শুরু করলেন। নিজেই বললেন,

‘মা আমি চাই পীরে মেহমুদ পাশাই উজিরে আজমের দায়িত্ব পালন করুন।’

মায়ের সম্মতি চাইলেন সুলেমান। প্রশ্ন শুনে একটু থামলেন আয়শা। তারপর বললেন,

‘তিনি অভিজ্ঞ, সুলেমান খানের উজির ছিলেন। তুমি তাকেও রাখতে পার। আবার যদি বয়সের কথা ভাব তিনি কিন্তু যথেষ্ট প্রবীণ। সেক্ষেত্রে অন্য কাউকে বেছে নিতে পার। এই স্বাধীনতা তোমার।’

‘আমি আপাতত এই পদে কোনো পরিবর্তন চাই না। ধীরে ধীরে। আগে সব বুঝে নিই। তাই আপাতত মেহমুদ পাশাই থাকুন দায়িত্বে।’

‘ঠিক আছে। মেহমুদ পাশাকে ডেকে খবরটা দিয়ে দাও।’

মায়ের সম্মতি পেয়ে একটু ভালোই লাগল সুলেমানের। যদিও মায়ের অনুমতি ছাড়াই কাজটা সারতে পারত সে। কিন্তু প্রথম দিকের সিদ্ধান্ত বলে কথা। তাই জানিয়ে নেওয়াটা ভালো।

‘জি মা। আমি মেহমুদ পাশাকে বলে দেব।’

কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর আয়শা বললেন,

‘আর একটা কথা সুলেমান। তোমার উচিত এখানকার রক্ষী কিংবা সভাসদদের মধ্য থেকে কাউকে তোমার ব্যক্তিগত সহকারী বা খাস কামরা প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া। পারলে আজই সেটা করে ফেল। মনে রেখ উজিরে আজমের পর বড় ক্ষমতাশালী পদগুলোর একটি কিন্তু খাস কামরা প্রধানের পদ।’

‘জি। কাকে নেওয়া যায় মা?’

‘সলিম সাফেরি নামে একটা ছেলে আছে। বিশ্বস্ত। ওকে নিতে পার। শিক্ষিত, সুবোধ এবং শক্তিশালী।’

‘কিন্তু মা, আমিতো তার সঙ্গে পরিচিত নই। তাছাড়া আমার একজন ব্যক্তিগত সহকারী আছে।’

‘কার কথা বলছ?’

‘বাজপাখি রক্ষক পারগালি ইব্রাহীম।’

‘কিন্তু...’

একটু আপত্তি করতে চাইলেন আয়শা। তাকে থামিয়ে দিলেন সুলেমান।

‘কিন্তু কেন মা? সেই ছোটকাল থেকেই ইব্রাহীম আমার সঙ্গে ছায়ার মতো আছে। সেও বিশ্বস্ত, অনুগত এবং শিক্ষিত। আমি খেয়াল করে দেখেছি তার বুদ্ধিমত্তাও প্রচুর। তার সাহচর্য আমাকে প্রচুর অনুপ্রেরণা দেবে। আমার এগিয়ে যাওয়ার পথে দারুণ সহযোগিতা করবে।’

‘কিন্তু সুলেমান সে এখানকার কেউ নয়। সুদূর পারগার অধিবাসী। এমন বড় একটি পদে ভিনদেশি কাউকে সুযোগ দিলে বাকিরা বিষয়টিকে কীভাবে নেবে সেটিও কিন্তু ভাবতে হবে।’

‘বাকিদের কথা কে জানতে চেয়েছে? আমিতো কেবল আপনার কথাই জানতে চেয়েছি মা।’

‘তুমি চাইলে আমি খুব বেশি আপত্তি করব না। তবে আরেকবার ভাবতে পার।’

‘ভাবার কিছু নেই। আমার ইব্রাহীমকেই দরকার।’

‘তাহলে একসঙ্গেই ঘোষণা দিয়ে দাও। এটাও মেহমুদ পাশাকে ডেকে বলে দিও।’

‘জি আচ্ছা। ধন্যবাদ।’

হারেমের মেয়েদের মধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ওদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনো সময় সুলতানের তরফ থেকে ডাক আসবে। তরুণ নতুন সুলতান সম্পর্কে একেক জনের একেক রকম অভিমত। তবে নতুন সুলতানের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য হারেমের সব মেয়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতা দেখা গেল। কেবল নতুন কয়েকটি মেয়ে এই প্রতিযোগিতার বাইরে। এদেরই একজন আলেকজান্দ্রা।

‘মেয়েগুলো কী নির্লজ্জ তাই না? একজন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার জন্য কী ঘৃণ্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এদের মধ্যে। এদের কী কোনো লজ্জা নেই।’

ক্রিমিয়া থেকে একসঙ্গে এখানে বন্দী হয়ে আসা আলেকজান্দ্রার ছোটবেলার বান্ধবী ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল সে।

ইসাবেলা চুপচাপ শুনল। এরপর বলল

‘এখানে এটাই নিয়ম। কেউ এই নিয়মের বাইরে নেই। এটাই আমাদের নিয়তি।’

‘নিয়তি না কচু! আমি অটোমানদের এই জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই।’

‘দেখ আলেক। একবার ভাব আমরা সুলতানের দাসী না হয়ে যদি কোনো যৌনপল্লীতে দাস হিসেবে যেতাম তাহলে কী হতো? অথবা ধর অন্য কোনো মানুষের ব্যক্তিগত হারেমে? আমাদের ভাগ্য যে আমরা অটোমান সুলতানের হারেমে পৌঁছতে পেরেছি। আমি শুনেছি মাথা খাটিয়ে চলতে পারলে এখানে সবচেয়ে সুখে থাকা যায়।’

‘এর নাম সুখ?’

পাশের মেয়েগুলোর দিকে আঙ্গুল তুলে বলল আলেকজান্দ্রা।

‘দেখ আলেক, তুমি তোমার পরিবার-পরিজন সবাইকে হারিয়েছ। এখন আর তোমার কোনো পিছুটান নেই। এখন তোমার গোটা জীবনটা নতুন করে শুরু করতে হবে। একদম নতুন করে। একটু ভাব। তারপর সিদ্ধান্ত নাও। স্রোতের বিরুদ্ধে খুব বেশি দূর এগোনো যায় না। তুমি সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। আমি তোমাকে বোঝাব সে সাধ্যি আমার নেই। কেবল মনে রেখ এখানে কেউই আনন্দ নিয়ে আসেনি। বরং আসার পর পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে।’

ইসাবেলার এবারের কথাগুলো ছুঁয়ে গেল আলেকজান্দ্রাকে। সত্যিইতো! একটু আগে ও যাদের বকা দিচ্ছিল তাদের প্রত্যেকেরই নিশ্চয়ই একটি অতীত আছে। প্রত্যেকেই হয়তো তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হারিয়ে এখানে এসেছে। তার নিজের মতো ওদের জীবনেও হয়তোবা দুঃখের কোনো শেষ নেই।

কিন্তু এরপরও সুলতানকে নিয়ে স্বপ্নের ছবি আঁকে ওরা।

নিজেকে যত্ন করে গড়ে তুলছে।

প্রতিদিন নিয়ম করে শিখছে কীভাবে সুলতানকে খুশি করা যায়। সুলতানের সামনে গেলে কী ধরনের ব্যবহার করতে হবে, সুলতান হাসলে কী হবে, কাঁদলে কী হবে কিংবা কোনো উপহার দিলে তখন কী করতে হবে সবই সানন্দে শিখছে অটোমান হারেমের মেয়েরা।

এসব নিশ্চয়ই মনের আনন্দে শিখছে না মেয়েগুলো। নিশ্চয়ই পরিস্থিতির কারণে এসব উপভোগ করতে শুরু করেছে ওরা।

তবে এখানকার একটা রীতি ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। হারেমের মেয়েগুলোকে কেবল সুলতানের মনোরঞ্জনের উপায়ই শেখানো হয় এমন না। এই মেয়েগুলোকে অন্যান্য শিক্ষায়ও শিক্ষিত করা হয়। গান শেখানো হয়। ভাষা শেখানো হয়। গণিত, সাজগোজ, নৃত্যকলা কোনোকিছুই হারেমের পাঠক্রমের বাইরে নয়। এটা খুব ভালো লেগেছে আলেকজান্দ্রার। গোটা বিষয়টা নতুন করে ভাবিয়ে তুলল আলেকজান্দ্রাকে। আসলেই কী কিছুই করার নেই তার? সত্যিই কী বাকি জীবনটা এই অন্ধকারে কেটে যাবে।

অনেক ভেবেচিন্তে মনে হলো সত্যিই এখান থেকে বেরুবার কোনো উপায় নেই। কেবল ইসাবেলাই নয়, আরও অনেকেই আলেকজান্দ্রাকে একই পরামর্শ দিয়েছে। স্বয়ং মালিদ আগা পর্যন্ত বলেছেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং নরম হয়ে ভালোবাসার মাধ্যমেই কাজ সারতে হবে। কেউ যদি সুলতানের সেবায় নিয়োজিত হয়ে সুলতানের সন্তানের মা হতে পারে তাহলেই তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। অটোমান সম্রাটের স্ত্রীর মর্যাদা পাবে সেই নারী। এই স্বপ্নটাকে খুবই কুরুচিপূর্ণ মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেটাকে লক্ষ্য করেই এগোতে হবে। সুলতানের নাম যেন কি? ‘সুলেমান’, তবে তাই হোক। লক্ষ্য এবার সুলেমান খান।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ মে, ২০১৬/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

২৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

২৯ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৫৩ মিনিট আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ
ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল
উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল

দেশগ্রাম

এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়
হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়

মাঠে ময়দানে

উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব
উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব

নগর জীবন

মানুষ আর কত জীবন দেবে
মানুষ আর কত জীবন দেবে

নগর জীবন

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে

নগর জীবন