শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

মত প্রকাশের অধিকার

অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম
অনলাইন ভার্সন
মত প্রকাশের অধিকার

নিরাপদ মত প্রকাশ হচ্ছে গণতন্ত্র সুসংহতকরণের অন্যতম মাইলফলক। স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার লক্ষ্যে সব নাগরিকের মতামত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই মতামত প্রকাশের অধিকার গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হিসেবে বিবেচনা করে সর্বান্তকরণে সংবর্ধিত করা প্রয়োজন- কেননা এই অধিকার কেবল গণতন্ত্রকেই সুসংহত, প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে না জনগণের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মতামত প্রকাশের পথও সুগম করে দেয়। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার্থে কিছু কিছু মতামত প্রকাশ জনজীবনে সীমাবদ্ধ করা প্রয়োজন। সংবিধানের ৩৯ উল্লেখ্য (১)- চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল। (২) তবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ- সংগঠনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ- সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা অধিকারের (খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অক্টোবর ২০১১)। সংবিধানের ৩৯, ৯ এবং ৩২ অনুচ্ছেদে তথ্য প্রাপ্তি ও পরবর্তীতে মত প্রকাশ এবং অন্যান্য প্রিন্ট/ইলেকট্রনিক মাধ্যমের প্রকাশের অধিকার সম্পৃক্ত। গবেষকদের মতে, সংবিধানের এই বিধানটির ওপর ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের সংবিধানের অশুভ প্রভাব আছে অর্থাৎ বাধানিষেধের শর্তটি দীর্ঘায়িত হয়েছে। কিন্তু উদার দৃষ্টিতে পরিলক্ষিত যে কোনো সীমাবদ্ধতা ব্যতিরেকে চিন্তা-চেতনা ও বিবেক বুদ্ধির সম্পূর্ণ স্বাধীনতার মতো অবাধ তথ্য প্রাপ্তির স্বাধীনতাও বাংলাদেশের নাগরিকগণ 'মৌলিক অধিকার' হিসেবে অর্জন করেছে (তথ্যের অধিকার, ২০০৭)।

বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন মত প্রকাশে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। নিরাপদ মত প্রকাশে গণমাধ্যম মুক্ত কিনা, এই আলোচনার জন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ প্রয়োজন। বিশ দশকের পূর্বে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি ছিল আন্দোলন বা অধিকার হিসেবে 'স্বীকৃতি আদায়ের' বিষয়। কারণ কাঠামোগতভাবে রাষ্ট্র ছিল স্বৈরতান্ত্রিক এবং জনসম্মুখে নিজের মতামত প্রকাশ করাটাই তখন মুখ্য ছিল। ইংরেজ কবি মিল্টন সপ্তদশ শতকে ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হন বিবেকের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠায়। অ্যারিওপ্যাজিটিকায় তার উচ্চারণ ছিল এই রকম; দাও আমায়, জ্ঞানের স্বাধীনতা দাও, কথা কইবার স্বাধীনতা দাও, মুক্তভাবে বিতর্ক করার স্বাধীনতা দাও। সবার ওপরে আমাকে দাও মুক্তি। লক্ষণীয় যে, শর্তহীন বাকস্বাধীনতার অধিকার আজও আমরা অর্জন করতে পারিনি। উল্লেখ্য, মিল্টন স্বাধীনতা চেয়েছিল চার্চ ও রাষ্ট্র থেকে কারণ ক্ষমতার বিলিবণ্টন তখন এ দুটি প্রতিষ্ঠান করত। আঠারো শতকের শেষ পর্যায়ে ভাব বা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সংবাদপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সে সময় সংবাদপত্র একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা মতাদর্শগত বিতর্কের জন্য। গণমাধ্যম তাত্তি্বক জুর্গেন হেবারমাস মুক্ত আলোচনা বিষয়ে প্রথমে উদাহরণ দিয়েছে আঠারো শতকের public sphere-এ আলোচনাকে যেটা ছিল চার্চ ও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। হেবারমাসের প্রতীতি, আঠার শতকে সংবাদপত্র ও সাময়িকী 'জনপরিসর'-এর অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছিল। পরবর্তীতে হেবারমাস সংক্ষুব্ধ হন যে, সংবাদপত্র ও সাময়িকীগুলো বিজ্ঞাপন ও পণ্য বাণিজ্যের কবলে পড়ে যায়; যার পরিণতিতে সৃষ্টি হয় গণভোক্তা ও গণবণ্টন ব্যবস্থা, যার ফলে স্বার্থের বিষয়গুলো আলোচনার শিরোনাম হতে ব্যর্থ হয়। পত্রিকার উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় কাটতির দিকে। ফলে গণমাধ্যম ক্রমশ ঝুঁকে পড়ে ব্যবসায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর (তথ্যের অধিকার, ২০০৭)।

হেবারমাস যদিও গণমাধ্যমের বাণিজ্যকরণ প্রক্রিয়ার উল্লেখ করেছেন কিন্তু ইউরোপে তখন সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি তথ্য ও শিক্ষার মতো বিষয়ও ব্যক্তিখাতে চলে যায়। পুঁজিবাদের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই রাষ্ট্রের চরিত্র, বাণিজ্য সম্পর্ক, পণ্য অর্থব্যবস্থার প্রকৃতি এবং সামাজিক মূল্যবোধ বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়টি প্রভাবিত হতে শুরু করে। পুঁজিবাদের সঙ্গে এসেছে শিল্পায়ন, নগরায়ণ এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি (তথ্যের অধিকার, ২০০৭ : ibid))। এই পুঁজিবাদের নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যম কতটুকু মুক্ত? লক্ষণীয় যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক/প্রিন্ট মাধ্যমের বেশির ভাগ মালিকানা চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে এবং সম্পাদকরা মালিক হিসেবে পত্রিকায় কাজ করছেন। যদিও অনেক সম্পাদক/নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করেন যে তারা মালিকের স্বার্থের ঊর্ধ্বে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছেন কিন্তু বাস্তবে সবসময় তার প্রতিফলন নেই। গণমাধ্যমও অন্যান্য সেক্টরের মতো রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। উপরন্তু কোনো কোনো সময় সাংবাদিকরা স্বার্থ হাসিলের জন্য বেতনভুক্ত কর্মকর্তা/মালিক হিসেবে অসত্য তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। সমষ্টিগত স্বার্থের বিপরীতে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য গণমাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে। তাত্তি্বক দৃষ্টিকোণ থেকে গণমাধ্যম দুভাবে কাজ করতে পারে। Radical  Approach যেটা গণমাধ্যমকে status/law দ্বারা নির্ধারিত করে না। গণমাধ্যমে এই ধারার চর্চা অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহার হয়। অপরদিকে Technocratic Control যুক্তি যেটা গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্ন করে। তাই গণমাধ্যম পরিচালিত হতে হবে নির্ধারিত ধারা এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। যেটা প্রয়োজন তা হলো যৌক্তিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে গণমাধ্যমের নিরাপদ মত প্রকাশ নিশ্চিতকরণ।

বর্তমানে যে রাজনৈতিক দলটি সরকারের দায়িত্বে আছে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চিতকরণের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মূলত গণমাধ্যম কাজ করে রাষ্ট্রের এবং সরকারের যাবতীয় কার্যকলাপের ‘Watch Dog’ হিসেবে। এ কারণে গণমাধ্যম ‘Second State’ হিসেবেও বিবেচিত। গণমাধ্যমের মূল কাজ হচ্ছে সরকার এবং জনজীবনের সব কার্যকলাপের স্বচ্ছতা এবং ঘটনা নাগরিকের কাছে বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করা। এই জাতীয় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমেই গণমাধ্যম তার নিজস্ব স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রটি প্রতিষ্ঠিত করে নেয়। যদি মুক্তভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয় তখনই গণমাধ্যম হয়ে যায় ‘Lap Dog’। মোদ্দাকথা গণমাধ্যম এখন একটি শিল্প এবং এই সেক্টরেও শিল্পের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো উৎপাদন বণ্টন, শ্রম বিভাজন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় নয়া পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। গণমাধ্যম সজ্জিত হচ্ছে করপোরেট সংস্কৃতির আলোকে এবং দেশে দেশে তা সফলও হচ্ছে। প্রযুক্তির অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সংবাদপত্র তার উৎপাদনের গতি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এসেছে প্রায় ২৯টি বেসরকারি চ্যানেল, ঢাকায় প্রকাশিত ১১৩টি পত্রিকা এবং সমগ্র দেশে প্রকাশিত হচ্ছে প্রায় ৫০০টি পত্রিকা। পূর্বের যে কোনো সময় থেকে সংবাদকর্মীদের কাজ পদ্ধতি মাফিক ও কাঠামোবদ্ধ হয়েছে। গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী মালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাবমুক্ত হয়ে ন্যায্য মজুরি এবং কাজের স্বীকৃতি কি পাচ্ছে? গণমাধ্যমের গবেষকদের মতে, পুঁজিবাদের বিকাশ যত ত্বরান্বিত হয়েছে অন্য শিল্পের মতো গণমাধ্যমেও উদ্বৃত্ত মূল্যের শোষণ প্রক্রিয়া কি তীব্র হচ্ছে না? লক্ষণীয় গণভোক্তা তৈরির কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বিজ্ঞাপন আয়ের উৎস হিসেবে। আশঙ্কা করা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পত্রিকা এবং বেসরকারি চ্যানেলের বিপুল গ্রহণযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি পর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন না থাকে তবে এটি বন্ধ হয়ে যাবে (তথ্যের অধিকার; ২০০৭ : ৪২৮)। তাই লক্ষণীয়, যখন গণজাগরণ মঞ্চে প্রজন্ম চত্বরে 'চেতনার আন্দোলন' থেকে উৎসারিত ছয়টি দাবির মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, জামায়াত-শিবির রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং মৌলবাদ অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সব অর্থনৈতিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান বয়কট, তখনই দেখা যাচ্ছে গণমাধ্যমের প্রজন্ম চত্বরের দাবির সঙ্গে একাত্দতা থাকা সত্ত্বেও সর্বোচ্চ সার্কুলেশন অর্জিত কিছু পত্রিকা এবং কিছু জনপ্রিয় বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো বিশেষ মৌলবাদী অর্থনৈতিক সংগঠনের বিজ্ঞাপন প্রচার করে চলেছে। ৪৭-এর দেশ বিভাগের সময়ে এবং আইয়ুবের সামরিক শাসনে 'সংবাদপত্র প্রকাশ ও প্রকাশনা অর্ডিনেন্স'-এর মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টা চালানো হয় কিন্তু প্রতিবাদের মুখে কিছুটা সংশোধন হলেও তৎকালীন সময়ে সাংবাদিকতার ওপর হামলা/হুমকি অব্যাহত ছিল। বর্তমান বাংলাদেশে সামরিক শাসনামলে গণমাধ্যম সেন্সরশিপেরও সম্মুখীন হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ এখনো নানা কায়দায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশেও সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হচ্ছে এবং সাহসী সত্য রিপোর্টের জন্য বহু সাংবাদিকের প্রাণহানিও ঘটছে।

বাংলাদেশে গণমাধ্যমে পুঁজির বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি। গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে আচরণ করছে বহুজাতিক কোম্পানির মতো। এমনকি প্রাইভেট সেক্টর হওয়ার দরুন তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে কোনো নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে না কিন্তু গণমাধ্যমের কর্মীরা অনুসন্ধানীমূলক রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে সম্প্রচার নীতিমালা তৈরির, তবে প্রক্রিয়াটা হতে হবে মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণমূলক। এই প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদী সমাজ পুঁজি অবাধ প্রবাহ, সুস্থ প্রতিযোগিতা এবং মুক্তবুদ্ধি ও চর্চা- এসব প্রপঞ্চ একসঙ্গে যায়- কিন্তু সেটা কি সম্ভব? নিরাপদ মত প্রকাশে গণমাধ্যম বাজার অর্থনীতি ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ঊর্ধ্বে কতটুকু যেতে পারবে? তবে হতাশ হলে চলবে না, এই গণমাধ্যমই নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ডেসটিনি, হলমার্ক, শেয়ার বাজারের কেলেঙ্কারি, নারী ধর্ষণ, বিভিন্ন নির্যাতন, সাম্প্রতিককালে বাস্তবের বিরোধী দল কর্তৃক নাশকতা ও সহিংসতার চিত্র, সংখ্যালঘিষ্ঠদের ওপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, তাজরীন, স্মার্ট এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সবচেয়ে মর্মস্পর্শী সাভারে রানা প্লাজায় গার্মেন্ট ট্র্যাজেডির খবর সার্বক্ষণিকভাবে দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে গণমাধ্যম জনগণের কত কাছাকাছি- যারা সংবাদপত্র পড়তে পারে না তাদেরই নিকটজন। নিরাপদ মত প্রকাশে তাই সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক সনদের আলোকে মুক্ত গণমাধ্যম সুষুম মত প্রকাশে প্রয়োজন।

সাম্প্রতিককালে সামাজিক মাধ্যমে মতামতের অধিকার নিয়ে ও বিভিন্ন স্তরে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে আমার দেশ পত্রিকায় পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু ব্লগারের মতামত, প্রজন্ম চত্বরকে ঘিরে বিভিন্ন উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ, সাঈদীর মক্কা শরিফে গিলাফ পরিবর্তনের ছবি প্রকাশ এবং প্রথম আলোতে হাসনাত আবদুল হাই রচিত 'টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি' শীর্ষক ছোটগল্পে ব্যক্ত মতামত তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দার শিকার হয়েছে। মুক্তচিন্তার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এলাকায় ড. অভিজিৎ রায়কে পরিকল্পিতভাবে নিষ্ঠুর পৈশাচিক উপায়ে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা স্বাধীন মুক্তচিন্তা প্রকাশের প্রশ্নটি সামনে এনেছে। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড নির্মম, কিন্তু নতুন বা আকস্মিক ঘটনা নয়। কয়েক বছর আগে বুদ্ধিজীবী ও সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদের একই ধরনের হত্যা প্রচেষ্টা (পরিণতিতে মৃত্যু) আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এ ব্যতীত আমরা দেখেছি পৈশাচিক জঙ্গিদের হাতে রাজীবসহ একাধিক ব্লগারের নির্মম মৃত্যুবরণ। অভিজিৎ মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। অভিজিৎ লেখক বা ব্লগার হিসেবে কোনো ধর্মীয় মহাপুরুষকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেননি। বরং তিনি অধ্যাপক অজয় রায়ের সুযোগ্য পুত্র হিসেবে বর্তমানের ধর্মান্ধতা, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মকে রাজনীতিতে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করা, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও সন্ত্রাসের ঘোর বিরোধী ছিলেন। অর্থাৎ ছিলেন একজন ধর্মনিরপেক্ষ সজ্জন ব্যক্তি। একজন ধর্মনিরপেক্ষ হলেই কি তাকে হত্যা করার বিধান কোনো ধর্মের রয়েছে? ইসলাম এই জাতীয় মধ্যযুগীয় বর্বরতা সমর্থন করে না। তাই ধর্মের মুখোশের আড়ালে এই হত্যাকারীরা যারা মুক্তচিন্তার বিরোধী তারা আসলে ঘৃণ্য ঘাতক। এরা ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তাবিদদের মতে মানবতার শত্রু। 'সামাজিক মাধ্যম' মত প্রকাশের একটি অন্যতম প্লাটফর্ম, যেখানে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বিভিন্ন বিষয়ে মতামত তরুণরা প্রদান করে যাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রদত্ত বিভিন্ন মতামত বিনয়ের সঙ্গে বলছি যে, প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকদের অজানা। সবসময় সমাজের পরিবর্তন আনে নতুন প্রজন্ম। বর্তমানে নতুন প্রজন্মকে দাবি আদায় বা মতামত প্রদানের জন্য মিটিং-মিছিল করতে হয় না। প্রথাগত প্রচার মাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে তারা কাজে লাগাচ্ছে। নতুন জীবন দর্শনের জন্ম দিচ্ছে। তারা সমাজ ও রাজনীতির মারাত্দক অবক্ষয়ের মধ্যে ও বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। 'সামাজিক মাধ্যম' গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চারও সুযোগ দেয়। তাই এই চর্চার জায়গাটি রক্ষা করতে হবে। জনগণ সমাজ এবং রাষ্ট্রের বাইরে নয়। সমাজ ও রাজনীতির কায়েমী স্বার্থের আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা কোনো প্রতিবাদী ব্লগ বা গণমাধ্যমের কতটা থাকতে পারে, যদি তার পাশে শক্ত নাগরিক সমাজ না থাকে। যেখানে ক্রিটিক্যাল অথরিটি বা সমালোচনার কর্তৃত্ব দুর্বল, সেখানে কেবল মুক্তচিন্তার বিভিন্ন মাধ্যম জনস্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। সমাজ পরিবর্তনের জন্য তাই ভিন্ন মতামত গ্রহণের উদার মানসিকতা এবং রাষ্ট্রের সমর্থন কাম্য।

লেখক : সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং

সাবেক তথ্য কমিশনার

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

১৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১৪ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

৩৫ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

৩৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন