শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০১৫

ছোট্ট একটি আয়াতের সংক্ষিপ্ত তাফসির

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
ছোট্ট একটি আয়াতের সংক্ষিপ্ত তাফসির

পবিত্র কোরআনের ছোট্ট একটি আয়াত। সেখানে বাক্য মাত্র দুটি, তাও আবার সংক্ষিপ্ত। অথচ অর্থ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিষয়বস্তুর গুরুত্বের কথা চিন্তা করলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। আয়াতটিতে আল্লাহপাক মানুষের রুহ এবং বুদ্ধি সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সূরা বনি ইসরাইলের ৮৫ নম্বর আয়াতের বাংলা তর্জমায় বলা হয়েছে- 'তারা আপনাকে রুহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে; বলে দিন- রুহ আমার রবের নির্দেশ মাত্র। তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই প্রদান করা হয়েছে; ব্যস এটুকুই- অথচ আয়াতটির গভীরতা প্রশান্ত মহাসাগরের অতলান্ত পেরিয়ে চলে যাবে অসীমের পানে। আবার যদি একে উচ্চতায় তোলা হয় তবে আকাশ-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারা ভেদ করে পৌঁছে যাবে আদি ঠিকানায়- অর্থাৎ আরশে আজিমের সংরক্ষিত লোহ মাহফুজে।

আয়াতটির তাফসিরে প্রবেশের আগে সূরা বনি ইসরাইল সম্পর্কে কিছু বলে নিই। এটি আল কোরআনের ১৭ নম্বর সূরা। এটিকে যেমন সূরা বনি ইসরাইল বলা হয় তেমনি সূরা আল ইসরা নামেও রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। আল ইসরা শব্দের অর্থ, রাত্রিকালীন ভ্রমণ বা The night journey অন্যদিকে; বনি ইসরাইল শব্দের অর্থ হলো ইসরাইলের সন্তানগণ বা Children of Israel. সূরাটির ১১১টি আয়াত রয়েছে। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল হিজরতের ঠিক এক বছর আগে। সূরাটিতে পবিত্র মেরাজের ঘটনা বর্ণিত হলেও এটির মাধ্যমে মুসলমানগণ সর্বপ্রথম দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দেশনা পায়। এর বাইরে সূরাটিতে ব্যভিচার নিষিদ্ধকরণ, পিতামাতার প্রতি ভক্তি ও আনুগত্য প্রদর্শন এবং তৎকালীন সময়ে মুসলমানদের দৈন্যদশার বিপরীতে মহান আল্লাহর প্রতি নির্ভর করে ধৈর্যশীল হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ইমাম আল হাফিজ আবু আবদুল্লাহ বিন ইসমাইল আল বুখারি হজরত ইবনে মাসউদ (রা.)-এর রেওয়াতে বর্ণনা করেন- 'সূরা বনি ইসরাইল, সূরা কাহফ এবং সূরা মারিয়াম সর্বাপেক্ষা সুন্দরতম সূরা এবং এগুলো হলো আমার কাছে মহামূল্যবান স্বর্ণখনি; অন্যদিকে ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল মা আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর রেওয়াতে বলেন, আল্লাহর রসুল (সা.) কখনো কখনো কোনো বিরতি না দিয়ে এমনভাবে রোজা রাখতেন যখন মনে হতো- তিনি হয়তো রোজা ভাঙবেন না। আবার কখনো কখনো অনেক দিন একনাগাড়ে এমনভাবে রোজা রাখতেন না যখন মনে হতো তিনি হয়তো আর রোজা রাখবেন না। তার নিত্যকার জীবনধারায় এই ব্যতিক্রমের মধ্যেও তিনি প্রতিরাতে নিয়ম করে সূরা বনি ইসরাইল এবং সূরা আজ-যুমার তেলাওয়াত করতেন।

মূল সূরার বিস্তারিত বর্ণনা বাদ দিয়ে এবার আমরা সরাসরি প্রসঙ্গে চলে যাই। ৮৫ নম্বর আয়াত নাজিলের শানে-নজুল বর্ণনা করতে গিয়ে ইমাম বুখারি (রহ.) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর রেওয়াতে বর্ণনা করেন, আমি একদিন আল্লাহর রসুল (সা.) সঙ্গে একটি খামারবাড়িতে ছিলাম। রসুল (সা.) একটি তালপাতার বোনা বিছানায় বসে আরাম ফরমাচ্ছিলেন। এমন সময় সেখান দিয়ে কয়েকজন ইহুদি যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে একদল অন্যদলকে বলল, তাকে (হুজুর (সা.)-কে রুহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর তো! একদল বলল, কী দরকার জিজ্ঞাসা করার! কারণ সে হয়তো এমন জবাব দেবে যা শুনে তোমাদের একদম ভালো লাগবে না। অন্যদল বলল, আচ্ছা ঠিক আছে দেখি না কী বলে। শেষমেশ তারা একত্র হয়ে আল্লাহর রসুল (সা.)-কে রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। হুজুর (সা.) তাদের প্রশ্ন শুনে চুপচাপ রইলেন এবং কোনো উত্তর দিলেন না। আমি বুঝলাম হুজুরের প্রতি ওহি নাজিল হচ্ছিল। সুতরাং আমি তার কাছ থেকে একটু দূরে অবস্থান নিলাম। ওহি নাজিল সম্পন্ন হলে রসুল (সা.) নিম্নোক্ত আয়াতটি তেলাওয়াত করে ইহুদিদের শুনিয়ে দিলেন- 'তারা আপনাকে রুহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে; বলে দিন রুহ আমার রবের নির্দেশ মাত্র। তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই প্রদান করা হয়েছে।'

এবার আমরা রুহ নিয়ে আলোচনা করব। একই সঙ্গে এ কথাও আলোচনা করব যে, মহান রব কেন রুহ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আমাদের হুঁশিয়ার করে দিলেন, আমাদের জ্ঞানের দৈন্য সম্পর্কে। আধুনিক বিজ্ঞানকে যদি বলা হয়, রুহ, আত্মা, মন, নফস, ইচ্ছাশক্তি সম্পর্কে কিছু বলার জন্য তবে বিজ্ঞান মাহরুম হয়ে পড়বে। তাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, কেন একজন মানুষ ইচ্ছে করার সঙ্গে সঙ্গে তার পায়খানা এবং প্রস্রাবের দরজা খুলে যায় এবং ইচ্ছে না করলে কেনইবা তা বন্ধ হয়ে যায়। মানব শরীরের এই প্রক্রিয়াটি কীভাবে হয় এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজ্ঞান ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা কথা বলবে কিন্তু প্রকৃত ঘটনার ধারেকাছেও যেতে পারবে না। অন্যদিক মানুষের মনটি আসলে কোথায়! এটা দেখতে কেমন, ওজনইবা কতটুকু? বড় মনের আকার কেমন আর কিপটে মনের আকৃতিবা কতটুকু- এসব কথা বললে বিজ্ঞান প্রশ্নকারীকে এড়িয়ে যাবে নয়তো বলবে লোকটি পাগল হয়ে গেছে। অন্যদিকে রুহ, আত্মা ও নফস নিয়ে লোকজন হাজার হাজার বছর ধরে কেবল গবেষণাই করে যাচ্ছে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি। আর এ কারণেই আল্লাহ বললেন, ওয়ামা উতিতুম মিনাল ইলাম ইল্লা কলিলা। অর্থাৎ তোমাদের খুব সামান্যই জ্ঞানদান করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো- মানুষের সহজাত জ্ঞান বুদ্ধিতে যদি রুহ সম্পর্কে বিস্তারিত না জানা যায় তবে করণীয়টা কী? এক্ষেত্রে জবাব হলো- প্রথমত, নিজেদের চিন্তাচেতনাকে সীমিত করা এবং দ্বিতীয়ত, ঐশী জ্ঞান বা এলমে মারেফতের সন্ধান করা। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে রুহ সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তাতে মনে হয়েছে এটি একটি বায়বীয় বস্তু যা কিনা আল্লাহর হুকুমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহর হুকুমে মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এটি যতক্ষণ শরীরে থাকে তখন শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং ইন্দ্রিয়সমূহ একে অপরের সঙ্গে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। বিজ্ঞান একে মানব কোষের প্লোটোপ্লাজম নামক এক ধরনের পদার্থের ক্রিয়া-বিক্রিয়াকে বুঝিয়েছে। এই ক্রিয়া-বিক্রিয়া যতক্ষণ সচল থাকে ততক্ষণ মানব শরীরে এক ধরনের চৌম্বক শক্তি তৈরি হয়, যা কিনা একদিকে শরীরের হাড়সমূহকে একটির সঙ্গে অপরটিকে সংযুক্ত রাখে- অপরদিকে শরীরকে মাটির সঙ্গে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে আটকে রাখে এবং অপরদিকে মহাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রসমূহের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক তৈরি করে দেয়। ফলে মানুষ ভারসাম্য রক্ষা করে জমিনের বুকে চলাফেরা করতে পারে, প্রয়োজন মতো লাফ দেয় কিংবা সাঁতার কাটে এবং বাতাসের মাধ্যমে শব্দ শুনতে পারে। মানুষের দেহ থেকে আল্লাহর নির্দেশে রুহ চলে যাওয়ার পর শরীরের মধ্যকার চৌম্বক শক্তি কাজ করে না- প্লোটোপ্লাজমের ক্রিয়া-কর্ম বা বিক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেহ মাটি, পানি, আকাশ, বাতাস, গ্রহ-নক্ষত্র প্রভৃতির সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলে এবং পচতে পচতে তার আদিরূপ মাটির সঙ্গে মিশে যায়।

রুহের মতো মন, নফস এবং আত্মাও বায়বীয় আকারে মানব শরীরে থাকে। রুহ হলো মানব শরীরের প্রধান উপকরণ। এটি আল্লাহর হুকুম হওয়ার কারণে এটির মর্যাদা বা কর্তৃত্ব সবার ওপরে। ইংরেজিতে রুহকে বলা হয় Sprit. অন্যদিকে মনের প্রতিশব্দ হলো Mind আর আত্মাকে বলা হয় Soul. নফসকে বলা হয় Self রুহের কারণে মন, নফস এবং আত্মার সৃষ্টি হয়। রুহের ওপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু মন নফস এবং আত্মার উন্নতি এবং ধ্বংস সাধন সম্পূর্ণরূপে মানুষের ইচ্ছেশক্তি এবং কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে।

মানুষের মন- মনের গতি-প্রকৃতি ভালো মন, মন্দ মন ইত্যাদি নিয়ে এখানে আলোচনার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ মন সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানে। তার চেয়ে বরং Soul বা আত্মা নিয়ে দু-চার কথা বলে নফস প্রসঙ্গে চলে যাই। মানুষের ব্যক্তিত্ব, কর্মশক্তি, সফলতা ইত্যাদির ধারককে বলা হয় আত্মা। মানুষের আত্মা অমর। রুহ এমন- কেবল একটি খোদায়ী হুকুম। তেমনি আত্মা খোদায়ী হুকুম না হলে এটি মানুষের কর্মকাণ্ড ধারণ করার জন্য একটি অমর বায়বীয় পাত্র। মানুষ জীবিত অবস্থায় এটি জমিনে অবস্থান করে। অন্যদিকে মৃত্যুর পর আত্মার গন্তব্য মানুষের কর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। কোনো কোনো আত্মা বাতাসের সঙ্গে জমিনে ভেসে বেড়ায় আবার প্রশান্ত আত্মা চলে যায় ঊর্ধ্বালোক।

এবার আমরা নফস সম্পর্কে কিছু আলোচনার চেষ্টা করব। মূলত মানুষের অভ্যন্তরীণ সব উন্নয়ন এবং অধঃপতন হয়ে থাকে নফসের কারণে। মানুষ যদি ইচ্ছে করে তবে সে নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং এটির উন্নয়ন ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। অন্যদিকে মানুষ যদি বেখেয়াল হয় তবে নফসই মানুষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানুষের অধঃপতন এবং ধ্বংস ডেকে নিয়ে আসে। নফস চার প্রকার- নফসে আমমার, নফসে লাওয়ামা, নফসে মূলহাসাহ এবং নফসে মুতমাইন্না। দুর্বল মানুষ সবসময় নফসে আমমার দ্বারা পরিচালিত হয়ে কুকর্ম, নাফরমানী এবং জুলুমে শয়তানকে ছাড়িয়ে যায়। অন্যদিকে প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ এই ধ্বংসাত্মক নফসটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে করতে এক সময় নফসে লাওয়ামার অধিকারী হয়ে যায়। বান্দা তখন তার জীবনের সব কুকর্মের জন্য প্রতিনিয়ত অনুশোচনা করতে থাকে এবং আল্লাহর দরবারে তওবা করে অধিক ভালো কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে। এরূপ চেষ্টার ফলে মানুষ একদিন উন্নত নফস বা নফসে মূলহামার অধিকারী হয়ে যায়। বান্দা তখন ইচ্ছে করেও মন্দ কাজ করতে পারে না। আল্লাহর রহমতের চাদরে আবৃত থেকে মানুষ এক সময় সর্বোচ্চ মাকাম অর্থাৎ নফসে মুতমাইন্নার হালতে পৌঁছে যায়। এই অবস্থার মানুষকে বলা হয় প্রশান্ত আত্মার অধিকারী যারা দুনিয়াতে থেকে বেহেশতী সুখ-শান্তি এবং সুগন্ধ লাভ করে।

রুহ যেমন আল্লার একটি নির্দেশ তেমনি মানুষের পদমর্যাদা মানসম্মান এবং সম্ভ্রমও কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ। মহান আল্লাহর হুকুমে মানুষ এগুলো লাভ করে। আবার আল্লাহ তার হুকুম উঠিয়ে নিয়ে গেলে মানুষ সব কিছু হারায়। মানুষ যখন ওগুলো লাভ করে তখন কৃতজ্ঞচিত্তে তা সংরক্ষণ, পরিচর্যা করতে হয়। আমরা আজকের প্রসঙ্গের একদম শেষ পর্যায় চলে আসছি। এখন বলব কেন আল্লাহ রুহ প্রসঙ্গে খুব সংক্ষেপে বললেন এটি আল্লাহর একটি নির্দেশ মাত্র এবং পরবর্তী বাক্যে বললেন তোমাদেরকে খুব সামান্যই জ্ঞানদান করা হয়েছে!

মানুষকে চিন্তার জগতে একচ্ছত্র স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। দুনিয়াতে কোনো কাজ করতে গেলে মানুষকে হাজারো বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু চিন্তার জগতে সে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে এবং এই কাজ করতে গিয়ে সে প্রায়ই সীমা অতিক্রম করে। চিন্তার জগতে সীমা অতিক্রমের ফলে মানুষ ব্যক্তিগত ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। প্রথমে সে নিজেকে ধ্বংস করে এবং পরে তার ধ্বংসলীলা পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের মাঝে ছড়িয়ে দেয় মহামারী রূপে। কাজেই মানুষের উচিত নয় সেই সব বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ঘাঁটাঘাঁটি করা, যা কিনা তার মন-মস্তিষ্ক এবং চিন্তাচেতনা জিন্দেগীভর চেষ্টা করেও জয় করতে পারবে না। রুহ তেমনি একটি বিষয় যা মানুষের চিন্তা দিয়ে পরিপূর্ণরূপে আবিষ্কার করা অসম্ভব। আর তাই ওটা যে মানব শরীরে আল্লাহর একটি নির্দেশ হিসেবে কাজ করে সে ব্যাপারে চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্যেই সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল।

আল্লাহ মানুষকে অতি অল্প জ্ঞানদান করেছেন। এই অল্প জ্ঞানের একটি মারেফতি এবং একটি শরিয়তী উদাহরণ দিয়ে আজকের লেখা শেষ করব। প্রথম ঘটনাটি বহু হাজার বছরের পূর্বেকার ঘটনা, যখন জমিনের একটি এলাকার লোকজন জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় খুবই পারদর্শী হয়ে উঠল। তারা তাদের বিদ্যাবুদ্ধির জন্য বড়াই করত এবং কথায় কথায় দাম্ভিকতা করে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করত, আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিলেন এই জনপদ ধ্বংস করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য। এই সময়ের কিছুদিন আগে হজরত জিবরাইল (আ.) ওই জনপদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি দেখলেন ৮-১০ বছরের একটি বালক পথের ধারে বসে ধুলোবালি নিয়ে খেলছে। জিবরাইল (আ.) কৌতূহলবশত বালকটির কাছে গেলেন এবং বললেন- আচ্ছা বলত জিবরাইল কোথায় আছে। বালক উত্তর করল- দাঁড়ান বলছি। এই কথা বলে সে সামান্য সময়ের জন্য চোখ বুঝল এবং একটু পর চোখ খুলে বলল- আমি আসমান-জমিনের সর্বত্র তন্নতন্ন করে জিবরাইলকে খুঁজলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না। আমার মনে হচ্ছে, আমাদের দুজনের মধ্যে কেউ একজন জিবরাইল হবেন- হয়তো আপনি, নয়তো আমি!

দ্বিতীয় ঘটনাটি হাল আমলের একটি বৈজ্ঞানিক উদাহরণ। পৃথিবীর মানুষ মঙ্গলগ্রহে পাথফাইন্ডার নামের একটি নভোযান পাঠালো ১৯৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর। পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ৫০ লাখ মাইল। নভোযানটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৬০০ মাইল গতিতে ছুটতে ছুটতে মঙ্গলে পৌঁছল ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই বিকাল ৪টা ৫৬ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড সময়ে। ৫০ লাখ মাইল দূরে বসে পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা পাথফাইন্ডার নামক নভোযানটি নিয়ন্ত্রণ করতে থাকলেন। নভোযানের মধ্য থেকে সোজারনার নামক ছয় চাকার একটি রোবট গাড়ি মঙ্গলের মাটিতে লাফিয়ে পড়ল। রোবটটি মঙ্গলের মাটিতে ঘোরাফেরা শুরু করল এবং একটির পর একটি ছবি তুলে মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীতে পাঠাতে থাকল। এ কাজ করতে গিয়ে রোবটটি হঠাৎ একটি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেলে পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা ৫০ লাখ মাইল দূরে বসে কম্পিউটারের সাহায্যে সোজারনারকে উল্টানো অবস্থা থেকে সোজা করল এবং নতুন করে ছবি তোলার পর্যায়ে নিয়ে এলো।

এই যদি হয় মানুষের অতি সামান্য জ্ঞানের বহর এবং ক্ষমতা তাহলে মহাবিশ্বের মালিক এবং সব জ্ঞানের জন্মদাতা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জ্ঞানের বিশালত্ব কিরূপ হতে পারে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আমরা কেবল বলতে পারি- সুবহানাল্লাহে বিহামদিহি! সুবহানাল্লাহিল আজিম! রব্বানা লাকাল হামদ! হামদান কাসিরান! তৈয়্যেবান! মুবারাকান ফিহে!

লেখক : কলামিস্ট

 

এই বিভাগের আরও খবর
মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ
মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
সর্বশেষ খবর
চড়া সুদের মাশুল দিচ্ছে সরকার
চড়া সুদের মাশুল দিচ্ছে সরকার

১ সেকেন্ড আগে | অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈদুল আজহার প্রভাব
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈদুল আজহার প্রভাব

৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ জুন)

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

এআই জেনারেটেড ডিপফেক ভিডিও এড়িয়ে চলার অনুরোধ
এআই জেনারেটেড ডিপফেক ভিডিও এড়িয়ে চলার অনুরোধ

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ
মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ

২৯ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

দেড় হাজার হত্যা মামলা পাঁচ মাসে
দেড় হাজার হত্যা মামলা পাঁচ মাসে

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ডেমরায় ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
ডেমরায় ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প
জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাই না, তবে হামলার জবাব দেব: পেজেশকিয়ান
যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাই না, তবে হামলার জবাব দেব: পেজেশকিয়ান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাইয়ে সপ্তাহে চার দিনের অফিস !
দুবাইয়ে সপ্তাহে চার দিনের অফিস !

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

১১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

১২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প
জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে বললেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এমপিওভুক্ত এক লাখ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধের আইনে উদ্বেগ জাতিসংঘের
দল নিষিদ্ধের আইনে উদ্বেগ জাতিসংঘের

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা