শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৪, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

বিএনপি ব্রিফিং ও ‘এলাহিভরসা’র দল!

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি ব্রিফিং ও ‘এলাহিভরসা’র দল!

বিএনপি কাউন্সিলের ভেন্যু জটিলতার এখনো অবসান হয়নি। এটা ভালো কথা নয়। গত সপ্তাহের লেখায় আশা প্রকাশ করেছিলাম যে, সমস্যাটির সমাধান হয়ে যাবে। না হওয়াটা দুঃখজনকই শুধু নয়, উদ্বেগজনকও বটে। বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল তার জাতীয় কাউন্সিল করার জন্য প্রার্থিত ভেন্যুর সরকারি অনুমতি পাবে না কেন? এটা তো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদে সমাবেশের ও সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। বিএনপি গঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ৩৮ বছর আগে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরই ঘোষণা করা হয় যা দলটির ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। আমাদের সংবিধানের ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদের নির্দেশের সঙ্গে বিএনপির ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত অঙ্গীকার মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। যদি তাই হতো স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয় পার্টির শাসনামল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামল এবং মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের শাসনামলে সাংবিধানিকভাবে বৈধ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কেউ টিকিয়ে রাখত না। একটি বৈধ রাজনৈতিক দলকে তার জাতীয় কাউন্সিলের জন্য প্রার্থিত ভৈন্যুর অনুমতি না দেওয়ার অর্থ তার কাউন্সিল অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা। এতে সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদ যে লঙ্ঘিত হচ্ছে সেদিকে সরকার কেন নজর দিচ্ছে না তা বুঝতে পারি না। সরকার হয়তো বলবে, অনুমতি তো সরকার দেয় না দেয় পুলিশ বা কোনো সংস্থা। কিন্তু মানুষ কি এত বোকা আছে এখন? পুলিশ বলুন আর কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বলুন, সবকিছুর নিয়ন্ত্রক তো সরকারই। বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলটি তাদের নির্দিষ্ট সময়ে যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হোক, সরকার যদি তা আন্তরিকভাবে চায় তাহলে পুলিশ বিভাগ বা কোনো গোয়েন্দা সংস্থা অথবা ভেন্যুর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তাতে আপত্তি করবে বলে মনে হয় না। বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র রাজনৈতিক দলকে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয় না বলে যুক্তি দেখিয়ে আবেদন নাকচ করেছে বলে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে তা মোটেই ধোপে টেকে না। ২৩ ফেব্রুয়ারিই আওয়ামী লীগ সেখানে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে এবং দলীয় সভানেত্রী হিসেবে তাতে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতীতের উদাহরণ দেওয়ার আর দরকার কি? সরকারের বৈরী আচরণের কারণে ভেন্যু না পাওয়ার ‘অজুহাতে’ বিএনপি যদি তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ মার্চ জাতীয় কাউন্সিল করতে না পারে তাতে সরকার লাভবান হবে না। মানুষ মনে করবে, বিএনপির ভয়ে সরকার যেমন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সরকারি প্রভাবমুক্ত একটি ইনক্লুসিভ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চায় না, একইভাবে পুনর্জাগরণের ভয়ে আতঙ্কে বিএনপিকে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় কাউন্সিলও করতে দিতে চায় না। এতে এটাও মানুষের কাছে স্পষ্ট হবে যে, সরকারের বিএনপি-ভীতিটা কোথায়? একটা ধারণা তো ইতিমধ্যেই জন্ম নিয়েছে যে, সরকার দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই তারা অতিরিক্ত পুলিশ ও প্রশাসননির্ভর হয়ে পড়েছে। প্রধান ও প্রবল, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দাবিয়ে রাখার জন্য পুলিশ, র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথেচ্ছ ব্যবহার এবং তাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ মানুষ এখন আর অবিশ্বাস করছে না। অবশ্য সম্প্রতি পরিস্থিতিটা কিছুটা সহনীয় হয়ে আসছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন ছাড়া বন্দী সবাই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত যাদের মুখ দেখা যায় তারাও বেরিয়ে এসেছেন কয়েদখানা থেকে। ধারণা করা হচ্ছিল, অন্তরালের কোনো সমঝোতা কিংবা সরকারের নতুন উদার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণার পরও পৌরসভা নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণে বিএনপির সম্মতি, এমনকি পৌরসভা নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এবং ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে মাত্র ২৫টি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হওয়ার পরও সেই নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেওয়ায় একটা ধারণা জনমনে জন্ম দিয়েছিল যে, আগাম একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে সমঝোতার ভিত্তিতেই বুঝি সবকিছু এগুচ্ছে। বাড়াবাড়ি করলে ‘সমঝোতা’ ভেঙে যেতে পারে আশঙ্কায় বোধহয় বিএনপি সব মেনে নিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও একই লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছে পৌর নির্বাচনের মতো। প্রথম ধাপের ৭৩৮ ইউনিয়ন পরিষদের অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান পদে সরকারি দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী নেই; তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী! ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কথা কল্পনা করা যায়? বিএনপি অভিযোগ করেছে তাদের শতাধিক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতেই দেওয়া হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এমন অসংখ্য অভিযোগ করা হয়েছে। মনে হচ্ছে প্রতিপক্ষকে দারুণ ভয় পাচ্ছে শাসক দলের প্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হেরে গেলে তো তা সরকারের প্রতিই ‘নো-কনফিডেন্স’ হয়ে যায়। তাই কি ভোটের আগেই ফলাফল নিশ্চিত করার উদ্যোগ? মিডিয়ায় এমন খবরও এসেছে যে, দলীয় মনোনয়ন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়নপত্র পাওয়ার পরই অনেক জায়গায় উল্লাস হয়েছে। ভোটের আগে উল্লাসের অর্থ তো এভাবেই করা যায় যে, ভোটটা কেমন হবে এটা তারই আভাস। এরপরও বিএনপি নির্বাচনে আছে। নির্বাচনে থাকবে বলেই মনে হয়। যাই হোক, নির্বাচনে তাদের থাকা উচিত। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে দলকে সংগঠিত করার ভালো একটা সুযোগ নিতে পারে তারা। দলীয়ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিএনপিকেই অধিক সুবিধা দেবে দল গোছানোর কাজে। পনেরো সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের হটকারী কর্মসূচি দলের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও দুর্যোগে ফেলে দিয়েছিল। ঘরে থাকতে পারেনি অনেকে। নির্বাচন সামনে রেখে ধরপাকড় কমানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বাড়িঘরে যেতে পারছে প্রায় সবাই। দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান, প্রতীকে না হলেও ওয়ার্ড সদস্যদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কাজটাও সেরে নিতে পারে দলটি। আনুষ্ঠানিকভাবে যদিও পুনর্গঠন কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে, পুনর্গঠনের কাজটা অন্তত গুছিয়ে রাখতে পারে। তবে পুনর্গঠন কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত ঘোষণার পেছনে তৃণমূল পর্যায়েও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল স্পষ্ট হয়ে গেছে। নিয়মতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রসম্মতভাবে যদি একটি রাজনৈতিক দল পরিচালিত না হয়, কর্মচারী দিয়ে যদি দল চালানো হয়, নিবেদিতপ্রাণ সত্, পরিশ্রমী ও যোগ্যরা যদি কাজের স্বীকৃতি ও মর্যাদা না পায়, পকেট কমিটি আর পদ-পদবি বেচা-কেনার যদি হাট বসে তাহলে সাংগঠনিক বিরোধ এক সময় তীব্র কোন্দলে রূপ নিতেই পারে। বিএনপি এখন সে সমস্যায় আক্রান্ত। আর এ সুযোগটিই বোধহয় নিচ্ছে সরকার। জাতীয় কাউন্সিলের ভেন্যুর ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার শক্তি, ক্ষমতা এখন বিএনপির নেই। বিএনপি এ শক্তি আহরণ করুক সরকার তা নাও চাইতে পারে তার স্বার্থে। নানা কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। কাউন্সিলের জন্য ভেন্যুর অনুমতি এখনো পায়নি বিএনপি, কিন্তু তাদের কোনো ভেন্যুরই অনুমতি দেওয়া হবে না তেমন কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও পুলিশ কর্তৃপক্ষ বা ভেন্যু কর্তৃপক্ষ বা সরকার নেয়নি। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে হয়তো অনুমতিটা পাবে বিএনপি; যাতে কাউন্সিলের ব্যানার পোস্টারসহ অন্যান্য প্রচারসামগ্রী নিয়ে বেশিদিন তারা সাংগঠনিক তত্পরতা চালাতে না পারে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে এমন সাংগঠনিক সফর নির্বাচনী ফলাফলে প্রভাব ফেলবে অবশ্যই। এ ধরনের সাংগঠনিক সফরে কেন্দ্রীয় নেতারা যখন জেলা-উপজেলায় যান, জেলা-উপজেলার নেতারা যখন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে যান, তখন নেতাকর্মীরা উদ্দীপ্ত-উজ্জীবিত হয়। সংগঠনের ভিত মজবুত হয়। এ সুযোগ না দেওয়ার জন্যই বিএনপিকে ভোগানো হচ্ছে। শাসকদল আওয়ামী লীগেরও কাউন্সিল প্রায় কাছাকাছি সময়ে! হওয়ার কথা ২৮ মার্চ। ইউপি নির্বাচনের কারণে তারিখ পেছানোর কথা ভাবছে দলটি। কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে তারাও কিন্তু তৃণমূলে যাচ্ছে না। তাদের সংকট ভিন্ন। অভ্যন্তরীণ বিরোধ তাদেরও আছে। নিত্যই তো নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর আসে মিডিয়ায়। তাদের সংকটটার চরিত্র ভিন্ন। সেখানেও পকেট কমিটি, এমপি কমিটি, কেনা-বেচা কমিটির অভিযোগ আছে। সংকট আরও তীব্র হয়েছে হালুয়া-রুটির ভাগাভাগি নিয়ে। সরকারি দলে এসব সুযোগ-সুবিধা বেশি। ‘ভাইজান’ (নেতা) হতে পারলে এবং সেই ভাইজানের সঙ্গে থাকলে থানা-ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব সরকারি অফিস-দফতর আছে, যেখানে ‘বাণিজ্য’ ঠিকাদারি আছে সেখানে সমীহ পাওয়া যায়, পাওয়া যায় সুবিধা। ইউপি নির্বাচনের আগে পানি ঘোলা করতে চাচ্ছে না শাসকদল।

কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার বা ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা সিল মারামারির প্রয়োজন হলে সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া দরকার। কিন্তু জাতীয় কাউন্সিলের আগে থানা, ইউনিয়নের সম্মেলনের আয়োজন করলে যে তীব্র সাংগঠনিক বিরোধের সূত্রপাত হবে তাতে তৃণমূলে বহু খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যাবে দল। এর প্রভাব পড়বে ইউপি নির্বাচনে। তাই শাসক দল ঐক্যবদ্ধভাবে যাতে প্রশাসননির্ভর হয়ে ইউপি নির্বাচন সেরে নিতে পারে সে কৌশলই হয়তো নিয়েছে। সব শাসক দলেরই এ রকম ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা থাকে। সরকারদলীয় কোনো সিদ্ধান্ত মনঃপুত না হলেও তার বিরোধিতা করার সাহস সরকারি কর্মচারীদের থাকে না। কোনো সরকারের আমলেই আমাদের দেশে খুব একটা দেখা যায়নি এরশাদ আমলের কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। সেই আমলেও ভোটের বাক্স ভরার কাহিনী আছে।

কিন্তু বিএনপি করছে কী? বৃহত্তর কোনো বিষয়ে পর্দার আড়ালে কোনো সমঝোতা হলেও সবক্ষেত্রে সরকার তাদের ছাড় দেবে এমন প্রত্যাশা বিএনপি করবে কেন? এরশাদ আমলে বিএনপি যেভাবে বিরোধী দলের রাজনীতি করেছে সংসদের বাইরে থেকেও, আওয়ামী লীগ আমলে যে তা তত সহজ হবে না বিএনপির তো তা বোঝা উচিত। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে মির্জা গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, শেখ রাজ্জাক আলী, কে এম ওবায়দুর রহমান, ব্যারিস্টার সালাম তালুকদার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মতো ঝানু রাজনীতিবিদ, জেনারেল (অব.) মাজেদুল হক, কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের মতো কিছু অদম্য পুরুষ ছিলেন দলে যাদের কথা ও পরামর্শের মূল্য ছিল। শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, রাজ্জাক আলী, সালাম তালুকদার, মান্নান ভূঁইয়ার মতো প্রাজ্ঞ রাজনীতিকরা ছিলেন, যারা দলীয় সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করতে পারতেন। এখনো ক্যারিয়ার পলিটিশিয়ান দলে নেই তেমন নয়, তবে তাদের কণ্ঠ দুর্বল। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় যারা আছেন, তাদের ভুল বা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অক্ষমতা দলের অনেক ক্ষতি করেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। জাতীয় কাউন্সিল নিয়েও তারা কী করবেন বোধহয় বুঝতে পারছেন না। দলটি এখন যেন শুধুই ‘এলাহিভরসা’র দল। শুধু ‘ভেন্যু ভেন্যু’ নিয়ে ‘ব্রিফিংবাজি’ করছেন। পার্টি কাউন্সিল ঘিরে আরও অনেক সাংগঠনিক কাজ থাকে। সেসব কাজ বিএনপি করছে কই? বেশ কয়েকটি উপকমিটি করা হয়েছে। যারা খোঁজখবর রাখেন, তাদের অভিমত হচ্ছে ‘কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’-এর মতো কমিটি কাগজে আছে কাজে নেই। বড় বড় পদাধিকারী ‘জিন্দেগিতে’ ঢাকার বাইরে যাননি সংগঠনের কাজে। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তরা অধিকাংশই কাজ সেরেছেন ঢাকায় বসে। কাউন্সিল উপলক্ষেও বাইরে যেতে অনেকের ভয়। হঠাত্ ভেন্যু পাওয়ার চিঠি হাতে এলে কী করবে বিএনপি? বিপুল জনসমর্থিত একটি দল রাজনীতি, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শুধু ক্ষমতার কাঙ্গালিপনা আর মুষ্টিমেয় লোকের ‘অনৈতিক পন্থায় ভোগ-বিলাসের অবলম্বন হয়ে গেলে কী করুণ পরিণতি হয় বিএনপি তার একটি বাংলাদেশি উদাহরণ। দলটির ভাগ্য ভালো যে, এর জনসমর্থনে এখনো ভাটা পড়েনি। একমাত্র নেতৃত্বের ব্যর্থতার তা ক্যাশ করতে পারছে না। ওরা কেন এখনো ভাবছে না যে, বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হতে পারেন, অন্য সব নেতাকে ছেড়ে দিয়ে তাকে জেলে রেখে দেওয়া হতে পারে আইনি প্রক্রিয়াতেই। তারেক রহমানও দেশে আসতে পারবেন না অন্তত এ সরকারের আমলে। ডা. জোবায়দা এসে হাল ধরলে দলের ওপর বেগম জিয়ার পারিবারিক মালিকানা হয়তো অক্ষুণ্ন থাকবে, কিন্তু তিনি দল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। দলের প্রবীণ-নবীনদের সমন্বয়ে একটি যৌথ বিকল্প নেতৃত্ব কাঠামোই দলটিকে রক্ষা করতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। তার আগে বিভিন্ন কমিটি ও পদ-পদবি এবং কোনো নির্বাচন এলে মনোনয়ন বেচা-কেনার পাইকারদের দল থেকে ঝেটিয়ে দূর করা উচিত বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। গুলশান অফিসের দরজা উন্মুক্ত করে দিলে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাই এ পাইকারদের হদিস দিতে পারবেন। এ পাইকাররাই মহাসচিব পদসহ নানা বিষয়ে ক্লিকবাজি করছে বলে অভিযোগ দল সংশ্লিষ্টদের। বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান কি কিছুই জানেন না এদের সম্পর্কে? এদের ছাঁটাই করে দিলে দলের উপরে নিচে এমনিতেই নিবেদিতপ্রাণ সত্-যোগ্যদের জন্য অনেক স্থান সৃষ্টি হয়ে যাবে। দল যদি গোছানো থাকে কাউন্সিল করার জন্য রাজধানীতেই ভেন্যু লাগবে কেন? রাজনৈতিক দলের কাউন্সিল ঢাকার বাইরে হওয়ার নজিরও তো আছে। বিএনপি কি কাউন্সিল করতে সক্ষম, নাকি ভেন্যুর অজুহাতে কাউন্সিল বাদ দিয়ে উমেদার, তোষামোদকারীদের দিয়ে ‘উড়াল কমিটি’ করতে চাচ্ছে?

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : kazi.shiraz@yahoo.com


বিডি-প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
নির্বাচন দিতে টালবাহানা কেন?
নির্বাচন দিতে টালবাহানা কেন?
নিয়মতান্ত্রিকতার বিভ্রম এবং অসংগতি থেকে ফুটবল মুক্তি পাক
নিয়মতান্ত্রিকতার বিভ্রম এবং অসংগতি থেকে ফুটবল মুক্তি পাক
সহায়তার বদলে ভঙ্গুর শিল্প-বাণিজ্যে কুঠারাঘাত!
সহায়তার বদলে ভঙ্গুর শিল্প-বাণিজ্যে কুঠারাঘাত!
জিয়া : অনন্য রাষ্ট্রনায়ক
জিয়া : অনন্য রাষ্ট্রনায়ক
মবের সংস্কৃতি, পাল্টা আঘাতের সূচনা
মবের সংস্কৃতি, পাল্টা আঘাতের সূচনা
সর্বশেষ খবর
মাত্র ৫০০ টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
মাত্র ৫০০ টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
রংপুরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বাসের সিটের জন্য যাত্রীদের হাহাকার
কুমিল্লায় বাসের সিটের জন্য যাত্রীদের হাহাকার

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পর্যটক নিখোঁজ-মৃত্যুর ঘটনায় বর্ষা গ্রেফতার
পর্যটক নিখোঁজ-মৃত্যুর ঘটনায় বর্ষা গ্রেফতার

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে এনসিপির সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
খাগড়াছড়িতে এনসিপির সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
খাগড়াছড়িতে এনসিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদক ব্যবসার পাওনা ঘিরে দুই ভাইয়ের উপর হামলা, নিহত ১
মাদক ব্যবসার পাওনা ঘিরে দুই ভাইয়ের উপর হামলা, নিহত ১

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যৌতুকের দাবিতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, শ্বশুর আটক
যৌতুকের দাবিতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, শ্বশুর আটক

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে আরো একজনের করোনা শনাক্ত
চট্টগ্রামে আরো একজনের করোনা শনাক্ত

৪৭ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

ক্রিকেটের আইনে বড়সড় পরিবর্তন আইসিসির
ক্রিকেটের আইনে বড়সড় পরিবর্তন আইসিসির

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীপুরে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ
শ্রীপুরে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

'আগামী নির্বাচনে সৎ নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আকাঙ্খা ফুটে উঠবে'
'আগামী নির্বাচনে সৎ নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আকাঙ্খা ফুটে উঠবে'

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড নির্মাণের প্রতিবাদে গণঅনশন
গাইবান্ধায় তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড নির্মাণের প্রতিবাদে গণঅনশন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় ঐক্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এখন সময় : ডা. শাহাদাত হোসেন
জাতীয় ঐক্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এখন সময় : ডা. শাহাদাত হোসেন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাখাইনে পাচারকালে সার ও এনার্জি ড্রিংক্স জব্দ
রাখাইনে পাচারকালে সার ও এনার্জি ড্রিংক্স জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান
আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদারীপুরে নিখোঁজের ১৭ দিন পর পাটক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার
মাদারীপুরে নিখোঁজের ১৭ দিন পর পাটক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সফল উদ্যোক্তা মিছবাহকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
সফল উদ্যোক্তা মিছবাহকে সম্মাননা স্মারক প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাত্রীবাহী বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে কুতুবদিয়ায় নিহত ১
যাত্রীবাহী বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে কুতুবদিয়ায় নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিমান দুর্ঘটনার পর যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত
বিমান দুর্ঘটনার পর যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নবজাতককে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
নবজাতককে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বজ্রপাতে একজন নিহত
বজ্রপাতে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১২
গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফাই দেশের মানুষের মুক্তির সনদ: দুলু
৩১ দফাই দেশের মানুষের মুক্তির সনদ: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে যুবদলের আলোচনা সভা
মাদারীপুরে যুবদলের আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন
নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আবিব, এক ইহুদির রোমহর্ষক বর্ণনা
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে ওঠে তেল আবিব, এক ইহুদির রোমহর্ষক বর্ণনা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও পাইলট আটকের দাবি ইরানের
ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও পাইলট আটকের দাবি ইরানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা
মধ্য ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, বহু হতাহতের আশঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে ৩০০ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় আমেরিকা
ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে ৩০০ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় আমেরিকা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত
ইরান এখন পারমাণবিক বোমার পথে আরও দৃঢ় : বিশ্লেষকদের মতামত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
এবার গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও নারী পাইলট আটকের দাবি, যা বলল ইসরায়েল
ইরানে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ও নারী পাইলট আটকের দাবি, যা বলল ইসরায়েল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা ইসরায়েলের
আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা ইসরায়েলের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরতে না পারা ইরানি হাজিদের পাশে দাঁড়াল সৌদি আরব
দেশে ফিরতে না পারা ইরানি হাজিদের পাশে দাঁড়াল সৌদি আরব

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপলো তেলআবিব : নিহত নারী, আহত অন্তত ৬৩

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশসীমা খুলে দিয়েছে জর্ডান
আকাশসীমা খুলে দিয়েছে জর্ডান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
ইরানি হামলায় ইসরায়েলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে তৃতীয় দফায় মিসাইল হামলা ইরানের
ইসরায়েলে তৃতীয় দফায় মিসাইল হামলা ইরানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি
ইসরায়েলকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে তারা হবে পরবর্তী টার্গেট, ইরানের হুমকি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইহুদিবাদীদের বর্বরোচিত হামলার জবাব’
‘ইহুদিবাদীদের বর্বরোচিত হামলার জবাব’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের পাশে জ্বলছে আগুন
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের পাশে জ্বলছে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা নিয়ে যা বলল হামাস
ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা নিয়ে যা বলল হামাস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পাশে ভেনেজুয়েলা, নেতানিয়াহুকে একবিংশ শতাব্দীর হিটলার বলে নিন্দা
ইরানের পাশে ভেনেজুয়েলা, নেতানিয়াহুকে একবিংশ শতাব্দীর হিটলার বলে নিন্দা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান বাভুমা
মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান বাভুমা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান
আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নরকের দরজা খুলে যাবে ইসরায়েলের জন্য’
‘নরকের দরজা খুলে যাবে ইসরায়েলের জন্য’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমা অতিক্রম করেছে ইরান : ইসরায়েল
সীমা অতিক্রম করেছে ইরান : ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একরাতে পাঁচবার বাংকারে আশ্রয় নিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত
একরাতে পাঁচবার বাংকারে আশ্রয় নিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানি ড্রোন
আবারও ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ইরানি ড্রোন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: সৌদি যুবরাজ ও ট্রাম্পের ফোনালাপ
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: সৌদি যুবরাজ ও ট্রাম্পের ফোনালাপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কতগুলো পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের?
কতগুলো পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে ইরানের?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট
লন্ডনে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারিতে ভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা
ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমান বিধ্বস্তে অনেক প্রশ্ন
বিমান বিধ্বস্তে অনেক প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডনে কী কথা হলো খসরু খলিলের
লন্ডনে কী কথা হলো খসরু খলিলের

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সমালোচনার মুখে টাকা ফেরত দিলেন শাকিব
সমালোচনার মুখে টাকা ফেরত দিলেন শাকিব

শোবিজ

টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নাখোশ হামজা!
টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নাখোশ হামজা!

মাঠে ময়দানে

এখন প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে দেশবাসী
এখন প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঙাশের দাম ৩৫ হাজার টাকা
পাঙাশের দাম ৩৫ হাজার টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের এবার শ্রীলঙ্কা মিশন
নাজমুলদের এবার শ্রীলঙ্কা মিশন

মাঠে ময়দানে

হনুমানের সঙ্গে সখ্য
হনুমানের সঙ্গে সখ্য

শনিবারের সকাল

নৃশংস হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
নৃশংস হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঈদে যে নাটকগুলো আলোচনায়
ঈদে যে নাটকগুলো আলোচনায়

শোবিজ

ধরা পড়ে মাত্র ১০ শতাংশ
ধরা পড়ে মাত্র ১০ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দাম কমেছে সবজি মুরগির মাছের বাজার চড়া
দাম কমেছে সবজি মুরগির মাছের বাজার চড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি যুগের সিনেমা ‘এপার ওপার’ - সোমার প্রেমে সোহেল রানা
সোনালি যুগের সিনেমা ‘এপার ওপার’ - সোমার প্রেমে সোহেল রানা

শোবিজ

যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও
যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামপন্থিদের ঐক্য সময়ের দাবি
ইসলামপন্থিদের ঐক্য সময়ের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই নেতা জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন
দুই নেতা জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর তৎপরতা এনসিপির
সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর তৎপরতা এনসিপির

পেছনের পৃষ্ঠা

বিশ্বকে অস্থির করেছে ইসরায়েল
বিশ্বকে অস্থির করেছে ইসরায়েল

প্রথম পৃষ্ঠা

নীরবে নিভৃতে ক্লাব বিশ্বকাপ
নীরবে নিভৃতে ক্লাব বিশ্বকাপ

মাঠে ময়দানে

কাজলের অপছন্দ
কাজলের অপছন্দ

শোবিজ

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

মাঠে ময়দানে

স্বাগত অধিকাংশ দলের, ক্ষোভ প্রকাশ এনসিপির
স্বাগত অধিকাংশ দলের, ক্ষোভ প্রকাশ এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

করোনায় মারা গেলেন দুজন, শনাক্ত ১৫
করোনায় মারা গেলেন দুজন, শনাক্ত ১৫

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যানেল আইতে মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজ
চ্যানেল আইতে মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজ

শোবিজ

ক্ষমা চেয়ে কামব্যাকের আশা আল আমিনের
ক্ষমা চেয়ে কামব্যাকের আশা আল আমিনের

মাঠে ময়দানে

চ্যাম্পিয়ন হয়েও এলোমেলো মোহামেডান
চ্যাম্পিয়ন হয়েও এলোমেলো মোহামেডান

মাঠে ময়দানে

খুলে দেওয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি গ্রেপ্তার আরও ৬
খুলে দেওয়া হলো রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি গ্রেপ্তার আরও ৬

পেছনের পৃষ্ঠা