শিরোনাম
প্রকাশ: ২১:১১, শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

নিষিদ্ধ সময়ের বঙ্গবন্ধু বনাম চাটুকারিতার সময়ের বঙ্গবন্ধু

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
নিষিদ্ধ সময়ের বঙ্গবন্ধু বনাম চাটুকারিতার সময়ের বঙ্গবন্ধু

১৯৭৬। ১৭ মার্চ, বুধবার। দেশের প্রধান তিনটি জাতীয় দৈনিকের কোথাও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কোনো খবর নেই। দৈনিক ইত্তেফাকের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় কোনায় অনাদরে এক কলামের ছোট্ট একটি খবরের শিরোনাম- ‘আজ শেখ মুজিবের জন্মদিন’। ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের বিয়োগান্ত ঘটনার পর জাতির পিতা ছিলেন নির্বাসিত। নিষিদ্ধ। জন্মদিন পালন দূরের কথা, তাঁর নাম উচ্চারণ যেন ছিল এক ভয়ংকর অপরাধ!

২০২১। ১৭ মার্চ, বুধবার। দেশের সব জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠাজুড়ে শুধু বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু। অর্ধেক লেখা, অর্ধেক বিজ্ঞাপন। নানা রঙে, নানা সাজে বিজ্ঞাপন। প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, যে যেভাবে পেরেছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। কিছু কিছু বিজ্ঞাপন উৎকট, আবেগহীন তেলমর্দন। কিছু বিজ্ঞাপন এত বাহারি যে তা দেখে মনের ভিতর অজান্তেই প্রশ্ন ওঠে, জাতির পিতাকে কি এরা পণ্য বানিয়ে ফেলছে?

Bangladesh Pratidin৪৫ বছরের ব্যবধানে এ বৈপরীত্য যেমন আনন্দের, তেমনি ভয়, আতঙ্কের। আনন্দের এজন্য যে, যারা বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেছিল তারা পরাজিত হয়েছে। যারা জাতির পিতাকে নির্বাসিত করার চেষ্টা করেছিল, তারা নিজেরাই আজ নির্বাসিত। আর আতঙ্কের এজন্য যে, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে যারা লোক দেখানো আবেগের পসার বসিয়েছে, তারাই বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ঘাতক কিনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রীতিমতো বাণিজ্যে মেতে ওঠা এই অতি উৎসাহীরা জনগণ এবং বঙ্গবন্ধুর মধ্যে দূরত্ব তৈরি করেছে কিনা। বাহারি প্রচারণায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাঙালির আবেগ শুষে নেওয়া হচ্ছে কিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কখনই তাঁর জন্মদিন ঘটা করে পালন করতেন না। শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার প্রতিটি পর্বে তাঁর জন্মদিন ছিল সহজাত, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত। হৃদয় দিয়ে বাঙালি তাঁর উৎসব করেছে। ১৯৭১ সালের উত্তাল এবং অনিশ্চয়তায় ভরা সময়ে ১৭ মার্চ পালিত হয়েছে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসায়। হাজার হাজার মানুষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে এসেছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রাণের চেয়েও প্রিয় বাঙালিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিজের জন্মদিন নিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না। এই দুঃখিনী বাংলায় আমার জন্মদিনই বা কি আর মৃত্যুদিনই বা কি।’ সারা জীবন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সবকিছু উৎসর্গ করা এই মানুষটি নিজের জন্য কিছুই করেননি। স্বাধীনতার পরও তাঁর জন্মদিন নিয়ে কোনো আদ্যিখেতা করতে দেননি তিনি। ’৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত হয়েছে সাদামাটাভাবে। নেতা-কর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। স্ত্রী রেণু ভালোমন্দ রান্না করেছেন, ব্যস এটুকুই। ১৯৭৪-এর ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মাথায় রেখেই জাসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি করেছিল। ওই কর্মসূচিতে জাসদ পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছিল। ওই অমার্জনীয় অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কেউ আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন, কেউ এখন শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার! বঙ্গবন্ধু জীবিতকালে শেষ জন্মদিন কাটিয়েছিলেন দেশ পুনর্গঠনে তাঁর নতুন উদ্যোগ ‘বাকশাল’ নিয়ে। এ সময়টা বঙ্গবন্ধু ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। এর মধ্যেও নেতা-কর্মীরা গণভবনে এবং ৩২ নম্বরে এসে বঙ্গবন্ধুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন। এ সময় চাটুকার এবং অতিভক্তদের উৎসাহ দৃশ্যমান হয়েছিল। খুনি মোশতাক চক্রের কিছু বাড়াবাড়ির ঘটনাও ঘটেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এসবকে প্রশ্রয় দেননি।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর ‘নিষিদ্ধ কাল’। এ সময় সর্বত্র নিষিদ্ধ হয় শেখ মুজিবুর রহমান নামটি। ’৭৬ থেকে ’৮১ সাল পর্যন্ত পত্রপত্রিকা ঘেঁটে কিছু ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ খবর পাওয়া যায়। ’৭৬-এর ১৯ মার্চ দৈনিক বাংলার মফস্বল পাতায় একটি খবর ছিল এ রকম- ‘১৭ মার্চ গোপালগঞ্জে আপত্তিকর ভাষণ প্রচারের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ মার্চ তারা ওই ভাষণ প্রচারের চেষ্টা করে।’ বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কোনো কারণ নেই যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারের চেষ্টা করেছিল কিছু তরুণ। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারের চেষ্টার কথা এর পর থেকে প্রতি বছর ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ এবং ১৫ আগস্টের পত্রিকা খুঁজলে পাওয়া যায়। ’৭৭ সালের ১৭ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে এক কলাম এক ইঞ্চির খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু ওই বছরের ১৯ মার্চ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগের শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামে তারা সমবেত হয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ করার চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ অভিযোগ করে। ধারণা করা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে তারা সমবেত হয়েছিল। জিয়া সরকার ‘জাতির পিতা’র ব্যাপারে নিñিদ্র নীরবতা চেয়েছিল। এ ভূখণ্ডের কোনো প্রান্তে তাঁর নাম উচ্চারিত হোক তা জিয়া চাননি। জিয়ার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গ্রেফতার-নির্যাতনের ঝুঁকি নিয়ে সেই নিষিদ্ধকালে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করেছিলেন। তারা এজন্য নির্মম বর্বরতার শিকারও হয়েছিলেন। ’৭৮ সালে চট্টগ্রামে ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করেন প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও নেতা-কর্মীরা ওই ভাষণের পুরোটা প্রচার করতে সক্ষম হন বলে দৈনিক আজাদীর ৮ মার্চের খবরে জানা যায়।

’৭৯ সালের ২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। ওই অধিবেশনেই প্রথম শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারিত হয় শোক প্রস্তাবের আকারে। ওইদিন সংসদে সুধাংশু শেখর হালদার এবং বিরোধীদলীয় নেতা আসাদুজ্জামান খান, সরকার বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। সংসদের প্রথম দিনে অনির্ধারিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে যারা মুছে ফেলতে চাইছে, এই সংসদে দাঁড়িয়ে তাদের বলছি, বঙ্গবন্ধু চিরকাল থাকবেন। যারা আজ ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছেন, তারাই ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।’ নিষিদ্ধকালে জাতির পিতার জন্মদিনের খবর সব দৈনিকে প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৮২ সালের ১৭ মার্চ। ১৮ মার্চ প্রকাশিত দৈনিক সংবাদের শেষ পৃষ্ঠায় এক খবরের শিরোনাম ছিল- ‘শেখ মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল’। এ খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। ’৮২ সাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ এবং ১৫ আগস্ট পালনের উদ্যোগ দেখা যায়। এ তিন দিনই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি করে আওয়ামী লীগ পোস্টার প্রকাশ করে। এ সময়ও বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ ছিলেন। কিন্তু ক্রমে ‘নিষিদ্ধ’ বঙ্গবন্ধু মানুষের আবেগ আর ভালোবাসার কেন্দ্রে জায়গা পেতে শুরু করেন। নিষিদ্ধকালে ৭ মার্চ ছিল বাঙালির জন্য এক অন্যরকম দিন। বিভিন্ন স্থানে মাইকে এ ভাষণ প্রচারিত হওয়া শুরু হয়। এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে নতুন করে শিহরিত করে, আপ্লুত করে। রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ বঙ্গবন্ধু জনগণের হৃদয়ের সবটুকু শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন। ’৮২ থেকে ’৯০ সাল ১৭ মার্চ, ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট বাঙালির আবেগের দিন হিসেবে ক্রমে জায়গা করে নিতে থাকে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর জন্য রোজা রাখা, কাঙালি ভোজ, কান্না, আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ ক্রমে জাতীয় গণমাধ্যমে জায়গা করে নিতে থাকে। নিষিদ্ধ শেখ মুজিবই হয়ে ওঠেন বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ, সবচেয়ে আপনজন। যেমনটি তিনি ছিলেন জীবিতকালে। ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় বেতার ও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারের দাবিতে রেডিও-টেলিভিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেয়। হাজারো মানুষ ওই কর্মসূচিতে যোগ দেয়। জনগণের ভালোবাসা, শ্রদ্ধায় নিষিদ্ধ বঙ্গবন্ধুই জনগণের জাতির পিতায় পরিণত হন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে যা হয়েছে সবটুকুই নিখাদ ভালোবাসা থেকে। নিরেট শ্রদ্ধা থেকে। অকৃত্রিম আবেগ থেকে। এর মধ্যে কোনো চাওয়া-পাওয়ার হিসাব ছিল না। কারও দৃষ্টি আকর্ষণের অরুচিকর প্রয়াস ছিল না। কাউকে খুশি করার ভাঁড়ামি ছিল না। এ রকম বহু মানুষ তখন সারা বছর টাকা জমাত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কিছু গরিব মানুষকে খাওয়াবে বলে। বহু তরুণ প্রস্তুতি নিত ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারের। একটা মাইক ভাড়া করে মহল্লায় ওই ভাষণ প্রচারের জন্য সারা রাত অপেক্ষার নির্ঘুম প্রহর গুনত। খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষ তার ভাঙা ঘরে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি টাঙিয়ে রাখত পরম মমতায়। বহু মানুষ ১৭ মার্চে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে গিয়ে নীরবে দুই ফোঁটা জল ফেলত। এ সবই ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, হৃদয় থেকে উৎসারিত। যে তরুণ পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাজাত, সে কোনো দিন মন্ত্রী কিংবা এমপি হওয়ার নেশায় বুঁদ হতো না। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে যে যুবক ৩২ নম্বরের সামনে একটি ফুল নিয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকত, সে কোনো দিন সচিব কিংবা বড় লোভনীয় পদ পাওয়ার আশায় এটা করত না। যে মানুষটি সেদিন মসজিদে বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়ত, সে মানুষটি কখনো এর বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করত না। নিষিদ্ধ যুগে জাতির পিতার প্রতি কিশোরের শ্রদ্ধা, তরুণীর ভালোবাসা, যুবকের আবেগ, প্রৌঢ়ের কান্না সবকিছু হৃদয় থেকে উৎসারিত।

কিন্তু আজ যখন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে উৎসবের আতিশয্য তখন আমরা কজন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব এ ভালোবাসা নিখাদ, নিঃস্বার্থ, লোক দেখানো নয়। এই সময়ে ১৭ মার্চ সবখানে বঙ্গবন্ধু। পত্রিকার পাতায় পাতায় বঙ্গবন্ধু। টেলিভিশনের ফ্রেমে ফ্রেমে বঙ্গবন্ধু। রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে পোস্টার ব্যানার ফেস্টুুনে। চারপাশে যেদিকে তাকানো যায় শুধু বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু। এর মধ্যে আবার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন এক বীভৎস প্রতিযোগিতায় মেতেছে। কোন প্রতিষ্ঠান কার চেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দিল, কোন সংস্থার ব্যানারটা সবচেয়ে বড় হলো। কোন ব্যাংকের ফেস্টুন টেলিভিশনে বেশিটা সময় থাকল। কি দুর্ভাগ্যজনক এ আতিশয্যের খেলা। যারা এ ভয়াবহ প্রতিযোগিতার খেলায় মেতেছে তারা কি আসলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, নাকি প্রাপ্তির আশায় দৃষ্টি আকর্ষণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে? ১৭ মার্চ সব দেখে শুনে আমার ইংরেজ কবি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের ‘দ্য রাইম অব দ্য এসনসিয়েন্ট মেরিনার’ কবিতার দুটো পঙ্ক্তি মনে হলো-

WATER WATER EVERY WHERE

NOR ANY DROP TO DRINK.

সবখানে পানি, তবু পানের জন্য এক ফোঁটা পানি নেই। জন্মশতবার্ষিকীতেও যেন তেমনি, সবখানে সরকারি বঙ্গবন্ধু কিন্তু বাঙালির জাতির পিতা যেন কোথাও নেই। চাটুকার, আমলাতন্ত্রের চতুর সুবিধাবাদী, মতলববাজরা বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন, বাঙালির শ্রেষ্ঠ মানুষটিকে যেন পণ্য বানিয়ে ফেলেছে। এরা অনেকেই কোনোরকম আবেগ, ভালোবাসা শ্রদ্ধা ছাড়া কেবল নিজেদের আখের গোছাতে জাতির পিতাকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি দুঃখিত, কিন্তু সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবের আড়ালে চলছে চাওয়া-পাওয়ার এক নোংরা হিসাব-নিকাশ। যাদের প্রাপ্তির সুযোগ নেই তাদের আছে ব্যবসা পসারের উদগ্র বাসনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যা হচ্ছে তার বড় অংশই মেকি, ভণিতায় ভরা, দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তোষামোদীর কসরত। এক অনৈতিক বাণিজ্য।

দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি মাঝেমধ্যেই বক্তৃতায় ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এত বড় সংগঠন, এত নেতা তারা কোথায় ছিলেন। জাতির পিতার হত্যার পর তারা কী করেছিল।’ আজ যারা চাটুকারিতার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার জন্য জাতির পিতাকে ব্যবহার করছে, যারা নানা রকম উৎসবের আড়ালে আসলে নিজেকে ‘বঙ্গবন্ধু -প্রেমিক’ হিসেবে উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছে এদের প্রধান উদ্দেশ নিজের বর্তমানটাকে আরও নাদুসনুদুস করা। আরও কিছু ব্যবসা আরও পদোন্নতির আশা। কিন্তু দুঃসময়ে এরা থাকবেন তো? এ চাটুকারদের কি খরার সময় খুঁজে পাওয়া যাবে?

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে যখন চারদিকে বঙ্গবন্ধুর নামে জয়ধ্বনি, যখন বঙ্গবন্ধুর ছবিতে ছবিতে ভরে গেছে গোটা বাংলাদেশ তখন আশির দশকে ছাত্রলীগের বহুল জনপ্রিয় একটি স্লোগানের কথা মনে পড়ল। ছাত্রলীগের মিছিলে বিপুল জনপ্রিয় এ স্লোগানটি ছিল এ রকম- ‘এক মুজিব লোকান্তরে/ লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে’। নিষিদ্ধকালে সত্যিই মুজিব ঘরে ঘরে ছিলেন, মানুষের হৃদয়ে ছিলেন, আবেগে ছিলেন। নিষিদ্ধ মুজিব ছিলেন অনেক শক্তিশালী। তাঁর একটি ভাষণ শোনার জন্য মানুষ হাসতে হাসতে জীবন দিয়ে দিত। আর এখনকার এ চাটুকারিতার যুগে বঙ্গবন্ধু যেন আমলা আর ধনাঢ্যদের বিষয়। সর্বসাধারণের মুজিবকে যেন ছিনতাই করেছে কিছু চাটুকার, তোষামোদকারী। জনগণের মুজিবকে যেন বন্দী করা হয়েছে আমলাতন্ত্রের ফাইলে। কৃষক, মজুর, জেলে, তাঁতির শেখকে যেন চুরি করে নিয়ে পণ্য বানিয়েছে হঠাৎ বনে যাওয়া সরকারি আওয়ামী লীগ। আর এখানেই আমার ভয়। তাই মুজিববর্ষে সরকারি কেরানিরা অন্য কোনো দুরভিসন্ধিতে লিপ্ত কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার। অবশ্য তার পরও আমি আশাবাদী। শেখ মুজিব জনগণ একসূত্রে গাঁথা। জিয়া, মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেও জনগণ থেকে আলাদা করতে পারেনি। এখন চাটুকাররা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লোক দেখানো উৎসব করলেও জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু আর জনগণ অভিন্ন এক সত্তা।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
পণ্য-বাজারে বৈচিত্র্য ও বাণিজ্য সংস্কারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন
সর্বশেষ খবর
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা
চট্টগ্রামে কৈশোর তারুণ্যের বইমেলা

২৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা
পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৬ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ
শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ

শোবিজ

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ