শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:৫৯, বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আপডেট:

“স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হচ্ছে!”

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
“স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হচ্ছে!”

ফরাসি বিপ্লবোত্তর চরম অরাজকতার মুখে মনীষী মাদাম রোনাল্ড (Madam Ronald) আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, 'Liberty, what crimes are being committed in thy name!'-  স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হচ্ছে! 

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশকে ‘সোনারবাংলা’ বানাতে চাইলেন জাতির পিতা। তাঁর বাঙালি সন্তানদের এজন্য ‘সোনার মানুষ’ হতে বললেন। কিন্তু পিতার ডাকে শামিল হওয়া নয় বরং বিভক্ত হলো, উল্টো তাঁকেই অস্ত্রবলে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে-ময়দানে ছড়িয়ে পড়ল। সুযোগ নিল এর সঙ্গে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাও। কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হতে থাকল। বাংলাদেশের নামই স্বীকার করলেন না, কেউ বললেন, ‘মুসলিম বাংলা’, কেউ বললেন ‘পূর্ববাংলা’, কেউবা ‘স্বাধীন বঙ্গভূমি’। 
অবাধ সাংবিধানিক স্বাধীনতার কুফল হাড়েহাড়ে টের পেল জাতি। জাতির পিতা যখন কঠোর হলেন, আর তখনই তাঁকে প্রায় সপরিবারে জীবন দিতে হলো। সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পার করেছি। কিন্তু রোধ হয়নি এতটুকু অবক্ষয়। বরং চারদিকেই চরম আকারধারণ করেছে। সমাজজীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে অবক্ষয় ভয়াবহরূপে নেই। পুরানো সব মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এখন নিশ্চিহ্ন। নেতাদের মুখে স্বাধীনতার মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লাখো কোটি বার উচ্চারিত হলেও বঙ্গবন্ধুর সোনার মানুষ কই? এটা ঠিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বদৌলতে একধরনের সরকারি উন্নয়নের চাঞ্চল্য সর্বত্র দেখা যায় সত্য কিন্তু তাকে প্রাণচাঞ্চল্য নামে অভিহিত করা যায় না। এ যেন আমাদের মরণের আগে হাত-পা ছোঁড়া। কারণ বস্তুগত উন্নয়ন হলেও উন্নয়ন হয়নি রাজনীতির, দৃশ্যমান নয়, ভবিষ্যত নেতৃত্ব। বিকাশ হয়নি বিকল্প রাজনৈতিক নেতৃত্বের। যিনি রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের সম্ভাব্য দাবিদার হতে পারেন। বরং দিন যতো যাচ্ছে শঙ্কা ততো ঘনীভূত হচ্ছে। আমরা সাংবাদিক সমাজ কেমন আছি? গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ ও ধারালো হাতিয়ার যে সংবাদপত্র, সেই সংবাদপত্র অতীতেও রেজিমেন্টড হয়েছে। অর্থাৎ বাক-স্বাধীনতা অতীতেও চাটুকারিতায় নিয়োজিত হয়েছে। কিন্তু এখানকার মতো নয়। এখন তো সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি। রাজধানীর দেয়ালগুলো আগে ছিল রাজনৈতিক দলের চিকা ভরা আর এখন নামসর্বস্ব সংবাদপত্রগুলোতে ঠাসা। প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতার মান নিয়েও। প্রশ্ন সরকারের আচার-আচরণ নিয়েও। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা। আসলে আমাদের দেশের সমস্যার ও জনগণের দুর্দশার অন্ত নেই। কিন্তু বেশিরভাগই কৃত্রিম ও আমাদের নিজ হাতে তৈরি। শাসক-পরিচালকদের ভুল-ভ্রান্তির জন্য এসব ঘটে। আমাদের জাতীয় জীবনের দুটা প্রধান দিক রাজনীতি ও সাংবাদিকতা। আজ দেশে-সমাজে, রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, সাহিত্যে ও সাংবাদিকতায়, বিদ্যালয়ে-মন্ত্রণালয়ে যা যা ঘটছে, মনে হয় তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আবুল মনসুর আহমেদরা বেঁচে থাকলে এসব ঘটতে পারত না। এই দুটা দিকেই তারা জীবদ্দশায় ছিলেন অনন্য ও অতুলনীয়। মৃত্যুর পরেও তাদের স্থলবর্তী জন্মেনি। বিশেষ করে মানিক মিয়া সাংবাদিকতায় ছিলেন মিশনারি আর রাজনীতিতে স্টেটসম্যান। এটাই ছিল তার প্রভাবের গূঢ়তত্ত্ব। 
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধুর মতো মানিক মিয়া, আবুল মনসুর আহমেদরা আত্মস্থ করেছিলেন দেশপ্রেম, রাজনৈতিক আদর্শবাদ, দুর্জয় সাহস, অমিত তেজ, বেপরোয়া ত্যাগ, স্বচ্ছ চিন্তা, সবল যুক্তি, কুশল-প্রকাশভঙ্গী এবং গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতা, এসবই। সামরিক স্বৈরাচারের সামনে তারা উন্নত মস্তকে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকারের কথা বলতে বুকের পাটা খুব কম লোকই দেখিয়েছেন। “সংবাদপত্র শিল্প আর ১০টা সাধারণ শিল্পের মতো নয়, পণ্য তৈরি করিলেই বাজারে বিক্রয় হইয়া যায়; কিন্তু সংবাদপত্রকে জনমতের বাহন হইয়া বাঁচিয়া থাকিতে হয়।” এ উক্তিটি সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার। তার ভাষায়, “দেশে দেশে যুগে যুগে সংবাদপত্রের উপর অসহিষ্ণু শাসকবর্গ হামলা করিয়াছেন এবং শেষ পর্যন্ত সংবাদপত্রই জয়যুক্ত হয়েছে। যাঁরা ইতিহাসের অমোঘ শিক্ষা উপেক্ষা করিয়া সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় আচরণে লিপ্ত হইয়াছেন, তাহাদের প্রতি আমার অনুকম্পা প্রকাশ করিতে হয়।” 
সত্যিই এই পুরুষসিংহ মানিক মিয়া শাসকদের অনুকম্পাই প্রদর্শন করতেন। তা নাহলে যে অর্ডিনান্সের খবরও সংবাদপত্রে ছাপানো নিষিদ্ধ ছিল, সেই তার বিরুদ্ধেই ওই ভাষায় ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ বা মুসাফির নামে কলাম কি করে লিখতেন?
এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে মানিক মিয়া থাকলে তিনি যুক্তির খড়াগাঘাতে ছিন্ন ভিন্ন করে দিতে পারতেন মিথ্যাকে। আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য- সহ সভাপতি ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবুল মনসুর আহমদের ভাষায়, “আমরা একবার সকলে মিলে জোর করে মানিক মিয়াকে আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বর করেছিলাম। বছর না ঘুরতেই তিনি বললেন, ভেতরের চেয়ে বাইরে থেকেই আওয়ামী লীগের বেশি খেদমত করতে পারবেন। করেছেনও তিনি। আমরণ আওয়ামী লীগের এমন খেদমত যার তুলনা হয় না। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, গোটা জাতি, সারাদেশ, শুধু পূর্ব পাকিস্তান নয়, গোটা পাকিস্তান তার কাছে ঋণী। তার অবদান এতো মূল্যবান ছিল যে, ইচ্ছা করলেই মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের পদাধিকারী হতে পারতেন। কিন্তু সেদিকে তার নজর ছিল না।”
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মতো আবুল মনসুর আহমদও বেঁচে নেই। বেঁচে আছে তাদের কথা। আবুল মনসুর আহমেদের ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ এবং ‘শেরেবাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক দুটো গ্রন্থ পঁচাত্তরত্তোর প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয়। যেখানেই সাংবাদিকতার নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ক্ষুন্ন, সেখানেই তারা আরও বেশি স্মরণীয়। ঠিক সেরূপ, যেখানে গণতন্ত্রের স্বার্থ বিপন্ন, জনগণের স্বার্থ বিপর্যস্ত, সে বিপদ ও বিপর্যয় শাসকদের ইচ্ছাতেই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক, তাদের অভাব সেখানেই তীব্রভাবে অনুভূত। গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ ও ধারালো হাতিয়ার যে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম, সেই সত্যকে স্বীকার করে অতীতে বহু সাংবাদিককে সরকার মুক্তি দিয়েছে বা দিতে বাধ্য হয়েছে। 
‘আমাদের বাঁচার দাবি’ ছয়-দফার সমর্থনে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের বিপ্লবে মানিক মিয়া ও তার ইত্তেফাকের মতো সার্বিক ত্যাগ স্বীকার খুব কম নেতা ও সংবাদপত্রকেই করতে হয়েছে। মানিক মিয়া ও ইত্তেফাকের ওপর আইয়ুব খানের জুলুমের নজির দুনিয়ার দ্বিতীয়টি নেই। আবুল মনসুর আহমদের ভাষায় “বস্তুত জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সাংবাদিকদের ত্যাগ ব্যাপকতায়, সামগ্রিকতায় ও মহিমা-মর্যাদা অপরিসীম। আমরা যারা সমানে জেল-জুলুম সয়েছি, তারা শুধু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে ভুগেছি। মানিক মিয়ার মতো সম্পত্তি ধ্বংস -বাজেয়াপ্ত হয়নি আর কোনো সাংবাদিক বা সম্পাদকের জীবনে। এতসব করেও ডিক্টেটররা মানিক মিয়াকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি।
যে গণ-দাবির সমর্থন করার অপরাধে ইত্তেফাক শাসকদের শ্যেনদৃষ্টির শিকার হয়েছিল, মাত্র তিন বছরেরই ছাত্রজনতার সংগ্রামের সামনে আইয়ুব শাহীর পরাজয় ঘটে। ষড়যন্ত্রমূলক কুখ্যাত আগরতলা মামলারও অবসান ঘটে। যা ছিল জঙ্গি ডিক্টেটর আইয়ুবের কুখ্যাত ‘সিভিল ওয়ার’ ও ‘আর্গুমেন্ট অব ওয়েপনের’ দর্প ও দম্ভের প্রথম নমুনা। রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমেদ তাই লিখেছেন, “জালিমশাহীর নমরুদী আক্রোশে যে বঙ্গবন্ধুকে পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে নির্যাতনের অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল সে আগুনের লক্-লকা জিভ ও উৎকীর্ণ স্ফুলিঙ্গ ইব্রাহিম নবীর কুসুমস্তবকের সুষমা ও সৌরভ নিয়ে ‘ইত্তেফাকের’ ফুলাসন ও পুষ্পমাল্যে রূপান্তরিত হয়েছিল। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার শক্তিধর ডিফেন্ডার হতে হলে পূর্বসূরি মানিক মিয়াদের জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণের বিকল্প নেই। গণতন্ত্রই মানবাধিকারের সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকবজ। সীমাহীন শক্তির অধিকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেদেশের সংবাদপত্রগুলো কিভাবে লড়াই করে গণতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষা করছেন, এটা দেখে আমাদের সাংবাদিকদের সঙ্কল্পবদ্ধ হতে হবে।”
রাষ্ট্র ও সংবাদমাধ্যম উভয়ের সমন্বয়ের প্রয়োজন, উভয়কে হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। যদি না চলে, অথবা উভয়ের গতি হয় অবক্ষয়ের দিকে, তা হলে তা রোধ করার পথ নির্দেশের দায়িত্ব কার? নিঃসন্দেহে সাহিত্য আর শিল্পের ভূমিকা দীর্ঘমেয়াদি, তার আবেদন ধীরসঞ্চারী, তার ফল দেখা দেয় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর। তাৎক্ষণিকের প্রয়োজন মিটাতে সংবাদমাধ্যম অদ্বিতীয়। সমাজের প্রতিদিনের চেহারাটা সংবাদপত্রেই প্রতিফলিত হয়। এ প্রায় দর্পণের কাজ করে - চেহারার কালো দাগটা সহজেই নজর কাড়ে, তখন তা মুছে ফেলার জন্য হাতটা ঊর্ধ্বাভিসারী না হয়ে পারে না। এ প্রায় জৈব তাড়নার মতো কাজ করে। জাতীয় জীবনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিভাবান, সুযোগ্য, দক্ষ ও কুশলী সাংবাদিকের অভাব নেই। অভাব সাহসী ও নির্ভীক সাংবাদিকের। যারা সমাজ ও রাষ্ট্র উভয়কে বিচার করতে আর পথ দেখাতে সক্ষম। সমাজ, রাষ্ট্র আর বৃহত্তর জনগণের স্বার্থ যেখানে জড়িত- তা এমন বৃহৎ ও মহৎ বস্তু যে, তার জন্য নিবেদিত সাংবাদিকরা যে কোনো নির্যাতনের মোকাবিলা করতে ভীত হতে পারেন না। স্বাধীনতার আগে যে ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন সাংবাদিকরা হতেন, সে রকম পরিস্থিতি অবসান ঘটেছে। তবে ধরন-ধারণ পরিবর্তন ঘটলেও অন্যরূপ, অন্য আকার নির্যাতন যে চলবে না বা এখনো চলছে না সে কথা বলা যায় না। সরকার যারা চালান তারাও দোষে-গুণে মানুষ, তারাও যে মাঝেমধ্যে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছেন না বা ভ্রান্ত নীতির অনুসরণ করেন না তা নয়। সাংবাদিকদের ফাঁসাতে সরকারকে কিভাবে আমলাতন্ত্র অসহিষ্ণু পথ বাতলে দিচ্ছিল, তা আমরা কিছু ঘটনায় প্রত্যক্ষ করেছি। দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের বিপদের ঝুঁকি নিয়ে হলেও সে সবের প্রতিবাদ জানাতে হবে, সরকারের ভুল-ভ্রান্তিকেও দেখিয়ে দিতে হবে আঙ্গুল দিয়ে। আশার কথা হচ্ছে, আমরা সাংবাদিকরা রাজনৈতিকায়ণের আওতাধীন আদর্শগত বৈপরীত্যের বেড়াজালে বিভক্ত হলেও সাম্প্রতিক সাংবাদিকদের ঐকমত্যে একটা আশার রেখাপাত দেখতে পাচ্ছি। 
বিপদের ঝুঁকি নিয়েই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হচ্ছে। এটা না করা হলে শুধু যে সাংবাদিক হিসাবে কর্তব্যচ্যুতি ঘটে তা নয়, পেশার প্রতিও করা হয় বিশ্বাসঘাতকতা। দেশের মানুষকে সর্বপ্রকারে সচেতন রাখা আর সচেতন করে তোলাই সংবাদমাধ্যমের এক বড় দায়িত্ব। এ দায়িত্বপালন রাজনীতিবিদদের দ্বারা হওয়ার নয়। কারণ তারা সবসময় সবকিছুই দলীয় চশমা দিয়ে দেখেন। তাই তাদের পক্ষে পুরোপুরি নিরপেক্ষ হওয়া বা যথাযথভাবে সবকিছু দেখা এবং তার মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের ঘটনাবলী সাধারণভাবে একটি প্রগতিপ্রবণ নির্দিষ্ট দিগন্তমুখী থাকার কারণে এবং মুক্তিসংগ্রামের ভাবাদর্শগত ও বস্তুগত উপাদানগুলো অনিবার্যভাবে স্বাধীন সত্তার দিকে বিন্যস্ত হওয়ার ফলেই বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। দ্বন্দ্বাত্মক বস্তু গতিধারার মাঝে মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে বিপ্লবাত্মক উপাদানের মধ্যেই। জট পাকিয়ে দিয়েছে সংগ্রামী ব্যুহ রচনার ক্ষেত্রে। সাময়িক প্রেক্ষিত নিয়েই এসেছে অভিঘাতের তাগিদ। পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে জুজু তৈরি করে তা সংক্রমিত হয়েছিল এ দেশের মানুষের মনেও। নিষেধের বেড়াজাল ছিল চারদিকে। মাঝে মাঝে এ ভয় আর বেড়াজাল ভাঙার জন্য দরকার পড়ত নির্ভীক মানুষের। একজন সাংবাদিকের অবদান তুচ্ছ নয়। তিনি দার্শনিক নন, সমাজকে নতুন দর্শন দান করেন না বটে, কিন্তু চলতি সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের যা কিছু ক্লেদ, যা কিছু অনভিপ্রেত আবর্জনা, সেগুলো রাত্রির আঁধার হতে দিবালোকে তুলে ধরেন। চলতি সমাজকে তিনি আঁধার ছেড়ে আলোর দিকে যেতে অনুপ্রাণিত করেন। আঁধারের দিকটা দেখিয়ে দেওয়া মানে আলোর প্রতি আকৃষ্ট করা। এটাকেই বলে সমাজ চেতনা। 
বাংলাদেশের পরিস্থিতি লক্ষ্য করে সেই মনীষীর উক্তির সঙ্গে সঙ্গে আমার মানসপটে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। দুঃসাহসিক সত্য ভাষণে তার অবদান আজও অনতিক্রম্য রয়ে গেছে। তার সাংবাদিকতা অপক্ষপাত ছিল তা বলব না, তবে নিজের আদর্শ আর বিশ্বাসে তিনি ছিলেন অনঢ়। বিপদের বহু ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দোর্দণ্ডপ্রতাপ সরকারের কাছেও কোনোদিন নত করেননি মাথা। বিপদের মুখে তার কলম যেন আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠতো। হয়ে ওঠতেন অধিকতর দুঃসাহসী। আমাদের সাংবাদিকতার বর্তমান চেহারা দেখলে প্রশ্নে জাগে আমরা সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার অতীত ঐতিহ্য অনুসরণ করছি কিনা? আমাদের গণমাধ্যমগুলো ‘জলো’ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজ রাষ্ট্র কি এখন সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে পৌঁছে গেছে? নিশ্চয়ই না। আমরা সমালোচনা করব গঠনমূলক সমালোচনা। করব নিজেদেরও আত্মসমালোচনা, সত্যকেই ভালোবাসব, মিথ্যাকে করব পরিহার। শেষে আবারও দৃঢ়কন্ঠে উচ্চারণ করব যে, দেশে দেশে যুগে যুগে সংবাদপত্রের উপর অসহিষ্ণু শাসকবর্গ হামলা করিয়াছেন এবং শেষ পর্যন্ত সংবাদপত্রই জয়যুক্ত হয়েছে। 

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস গবেষক।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

১ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

১৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৪৬ মিনিট আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার
প্রাক-প্রাথমিকে ১৫০০ বিদ্যালয়ে স্মার্ট টিভি-ল্যাপটপ দেবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
গোবিপ্রবির এএসভিএম বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ
দেশব্যাপী শব্দদূষণবিরোধী অভিযানে ২৬৫ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট
এখনো তৎপর মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস
ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’
‘অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই
ইমরানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন: পিটিআই

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার
গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা-ছেলে গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প
অভিবাসী বহিষ্কারে রেকর্ড গড়লেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো
বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চায় ডেসকো ওজোপাডিকো

পেছনের পৃষ্ঠা

আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত
আমবাগান পরিদর্শনে চীনের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরও জটিল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না
বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে
চীনের হাসপাতাল নীলফামারীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড
পল্লী বিদ্যুতে চালু রাখার চেষ্টা ডিইপিজেড

নগর জীবন

মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু
মোহনীয় কৃষ্ণচূড়া জারুল সোনালু

পেছনের পৃষ্ঠা

পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান
পাল্টা প্রস্তুতিতে পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিলা নূরের লুকোচুরি...
সাবিলা নূরের লুকোচুরি...

শোবিজ

বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না
বিনিয়োগকারীরা আর ঝুঁকি নিতে চান না

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা
অপকর্ম করলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক
গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার, বাবা-ছেলে আটক

দেশগ্রাম

শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা

সম্পাদকীয়

ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই
ব্যবসায় পরিবেশ উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা
শিশুশিল্পী থেকে যেভাবে তারকা

শোবিজ

আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি
আইসিইউতে অর্থনীতি, সংকটে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে কারিনা
বিতর্কে কারিনা

শোবিজ

শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ

সম্পাদকীয়

মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা
মোহামেডানকে কাঁদিয়ে ক্রিকেটে আবাহনীই সেরা

মাঠে ময়দানে

চম্পা কেন দূরে
চম্পা কেন দূরে

শোবিজ

গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প
গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যয়ে রপ্তানি শিল্প

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার
১৫ বছর পর সেমিতে বার্সা-ইন্টার

মাঠে ময়দানে

নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে
নাচে এখন পেশাদারির জায়গা তৈরি হয়েছে

শোবিজ

কী চায় নতুন দলগুলো
কী চায় নতুন দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে
মানুষ মর্যাদা পাবে তার গুণের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা
নাটকীয় ফাইনালে কিংসের শিরোপা

মাঠে ময়দানে