শিরোনাম
২৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০৬:৩০

তাইওয়ানকে গ্রাস করার চীনা কৌশল ব্যর্থ হচ্ছে

ফারাজী আজমল হোসেন

তাইওয়ানকে গ্রাস করার চীনা কৌশল ব্যর্থ হচ্ছে

চীন বারবার মারমুখি চেষ্টা চালিয়েও তাইওয়ানকে তার কব্জায় নিতে পারেনি। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে চীনের আকাঙ্ক্ষা অর্জিত হচ্ছে না। বেইজিংয়ের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে তাইওয়ান নেতৃবৃন্দ নতুন বন্ধুর সন্ধানে এখন সারাবিশ্ব চষে বেড়াচ্ছেন এবং সফল হচ্ছেন। অপরদিকে চীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাইওয়ানের বিচরণ সীমিত করার যে প্রয়াস চালাচ্ছে তা নিষ্ফল হচ্ছে। তাইপেই মিডিয়া সূত্রে এ কথা জানা যায়।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বেইজিংয়ের বিরোধিতা উপেক্ষা করে মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম ভাগ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্য আমেরিকা সফর করেন। তাইপেই থেকে বিদেশ ভ্রমণের প্রাক্কালে বিমান বন্দরে তাইওয়ানের পেসিডেন্ট দৃঢ়চিত্তে বলেন, ‘বাইরের কোন শক্তি আমাদের বিদেশ ভ্রমণের লক্ষ্য থেকে নিবৃত করতে পারবে না। আমরা আমাদের লক্ষের প্রতি ধীর-স্থির ও অবিচল। আমরা হার মানব না এবং কাউকে উস্কানিও দেবে না।’

বেইজিংয়ের ভয়ানক পরিণতির হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সংগে। এরআগে চীন হুমকি দিয়েছিল এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে তারা কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন করোনা মহামারীর আগে ২০১৬ এবং ২০১৯ এর মধ্যে, ছয়বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। সর্বশেষ সফরে তিনি মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়া এই সফরকালে তাইওয়ানে আমেরিকান ইনস্টিটিউটের চেয়ারপারসন তাকে সংবর্ধনা জানান। এই ইনস্টিটিউট একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাইওয়ানের সংগে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক পরিচালনা করে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট গত ২১ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কয়েক দিন আগে জো বাইডেন প্রশাসন বেইজিংকে এই বলে হুঁশিয়ার করে দেয় যে ইং ওয়েনের সফরকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে তাইওয়ান প্রণালীতে আগ্রাসনমূলক তৎপরতা জোরদার করা হলে পরিণাম ভালো হবে না।

একই সংগে চীনা নেতৃবৃন্দকে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সফর হচ্ছে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এর আগে, ২০২২ সালে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের হুমকি উপেক্ষ করে তাইপে সফর করেন। পেলোসির সফরের পর, বেইজিং তাইওয়ান প্রণালীর মাথার ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এছাড়া তাইওয়ান প্রণালীর মাঝ বরাবর অসংখ্য যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন এবং দ্বীপটি অবরুদ্ধ করে সামরিক মহড়া চালায়। এর মাধ্যমে সারাবিশ্বকে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করার পাশাপাশি বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের সংগে জলবায়ু সংক্রান্ত বৈঠক বাতিল করে।

এতসব হুমকির পরও বেইজিং, তাইওয়ানের সংগে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অক্ষুন্ন ও দেশটিকে মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে সমর্থনদান এবং চীন দ্বারা আক্রান্ত হলে সামরিক সাহায্য প্রদান করার অঙ্গিকার থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলীয় সদস্য স্পিকার ম্যাকার্থি গত ৫ এপ্রিল লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সিমি ভ্যালির রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সংগে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, তিনি তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিদর্শন স্বরূপ তাইপেই সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন মধ্য আমেরিকা সফর শেষে ফিরতি সফরে স্পিকার ম্যাকার্থির সংগে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে বেইজিং, শীর্ষ পর্যায়ের তিন মার্কিন নেতার সংগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ বন্ধ করতে উপর্যুপরি হুমকি দেয়। কিন্তু তাইওয়ান বা যুক্তরাষ্ট্র, কোন পক্ষই বিষয়টিকে আমলে নেয়নি। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভূখন্ডে তাইওয়ানের কোন প্রেসিডেন্টের সংগে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট ইং ওয়েন এবং স্পিকার ম্যাকার্থির সাম্প্রতিক বৈঠক এবং গত বছর তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরে বেইজিং তাইওয়ানে সামিরিক উপস্থিতি জোরদার করার প্রেক্ষাপটে তাইপের সংগে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক জোরদার করার ইঙ্গিত বহন করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক উভয় দলের দুই আইন প্রণেতার উপস্থিতিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টে সাই ইং-ওয়েনের সাথে বৈঠকের পরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্পিকার ম্যাকার্থি বলেন যে তারা কীভাবে তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহের গতি বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ম্যাকার্থির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, ‘আমাদের অবশ্যই তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি চালিয়ে যেতে হবে এবং সেদেশে সময়মতো অস্ত্র পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে’। স্পিকার আরো বলেন যে, এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে। দ্বিতীয়ত: বিশেষ করে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিসহ আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। বৈঠকের পর চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সংক্রান্ত প্রতিনিধি পরিষদের সিলেক্ট কমিটির রিপাবলিকান দলীয় চেয়ারম্যান মাইক গ্যালাঘের বলেন যে সৌদি আরবে যাওয়ার আগেই তিনি তাইওয়ানে জাহাজবিধ্বংসী হারপুন মিসাইল পাঠাতে চান। হারপুনর মত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চীনের সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে দ্বীপটির প্রতিরক্ষার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

বৈঠকে বক্তৃতাকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন সতর্ক করে বলেন যে, তার দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে। সেই সংগে তিনি চীনা হুমকি মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক সংহতির আহ্বান জানান। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে আমরা যে শান্তি বজায় রেখেছি এবং যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি তা আজ নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। স্বাধীনতার বাতিঘরকে আলোকিত রাখার প্রয়োজনীয়তাকে ছোট করে দেখা যায় না। মধ্য আমেরিকা সফরকালে তিনি গুয়াতেমালা এবং বেলিজে যান। এই দুই দেশের সংগে তাইপেইর আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। গুয়াতেমালায় তিনি সেদেশের প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো গিয়ামাত্তেইয়ের সংগে সাক্ষাত করেন। আমেরিকার অপর দেশ হন্ডুরাস সম্প্রতি তাইওয়ানকে ছেড়ে চীনের সংগে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়েছে।

এতে অবশ্য চীনের পুলকিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ হন্ডুরাস ত্যাগ করলেও তাইপেই শক্তিশালী পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন অর্জন করছে। চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে বিশ্বের কিছু দরিদ্র দেশকে তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক না রাখার ব্যাপরে সফলকাম হচ্ছে। কিন্তু শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে বেইজিংয়ের এই কৌশল সফল হচ্ছে না। জার্মানির শিক্ষামন্ত্রী বেটিনা স্টার্ক-ওয়াজিংগার গত ২০ থেকে ২২ শে মার্চ তিন দিনের সরকারি সফরে তাইপেই যান। এটি ১৯৯৭ সালের পর কোন সর্বোচ্চ পর্যায়ের জার্মান কর্মকর্তার প্রথম তাইওয়ান সফর। জার্মানির শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়েরও দেখভাল করে। মন্ত্রীর সফরটি ছিল চিপ গবেষণা ও উৎপাদন এবং সবুজ হাইড্রোজেন ও ব্যাটারি উৎপাদন বিষয় নিয়ে আলোচনা।

জার্মানির ক্ষমতাসীন ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার ইস্যুতে বেইজিংয়ের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থার রিপোর্ট বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তারা তাইওয়ান নিয়ে চীনের সাথে যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ১৯৭৯ সালের ‘তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্টের নীতি হচ্ছে, তাইওয়ানের সম্পদ রক্ষার অধিকার এবং বেইজিংয়ের দ্বারা একতরফাভাবে তাইওয়ানের মর্যাদা পরিবর্তন করার যে কোন প্রয়াস রোধ করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাই ইং-ওয়েন এবং কেভিন ম্যাকার্থির মধ্যে বৈঠকের পর বেইজিং এপ্রিলে তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনের মধ্যে প্রবাহমান বাশি চ্যানেলের মাধ্যমে বিমানবাহী রণতরী ‘শানডং’ প্রেরণ করে।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শানডংয়ের কাছাকাছি এক এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ‘নিমিৎজ’ মোতায়েন করে। এদিকে চীনের যুদ্ধাংদেহি তৎপরতা দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে তার সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে, এই এলকাটি বেইজিং তার নিজস্ব বলে দাবি করে আসছে। গত ২৩ ও ২৪ মার্চ মার্কিন নৌবাহিনী প্যারাসেল দ্বীপের কাছাকাছি যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে এই দ্বীপটি চীন তার দখলে নিয়েছে।

গত ২৩ শে মার্চ মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালিত ডেস্ট্রেয়ার ‘ইউএসএস মিলিয়াস’ প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করার পর বেইজিং দাবি করে যে চীনা নৌ ও বিমান বাহিনী জাহাজটিকে ফিরে যেতে বাধ্য করেছ। তাদের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য মার্কিন রণতরিটি অবাধ জাহাজ চলচলের অংশ হিসেবে আবারও দ্বীপটির কাছাকাছি অবস্থান নেয়। সপ্তম নৌবহরের মুখপাত্র লে. লুকা বাকিস এক বিবৃতিতে বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকার নিয়ে চীনের বেআইনি এবং অমূলক দাবি এই পথে অন্যদের অবাধ চলাচলের ওপর গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। চীনের এই অপতৎপরতার কারণে দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলীয় দেশগুলির নৌচলাচল ও বিমান উড্ডয়নের স্বাধীনতা এবং মুক্ত ও অবাধ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুযোগ হুমকির মুখে পড়েছে। বাকিস সংবাদ সংস্থা এপি’কে বলেন, ‘মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাড়িয়ে দেয়ার খবর সঠিক নয়, বরং জাহাজটি প্যারাসেল দীপের কাছে তার মিশন শেষে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিয়মমাফিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মার্কিন নৌ বাহিনীর এই তৎপরতায় সকল দেশের নৌচলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং সমুদ্রের বৈধ ব্যবহার অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে’। চীনের বিরোধিতা সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত জলপথে টহল দেওয়ার জন্য কয়েক দশক ধরে নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে। এই জলপথের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পাদিত হয়। তাছাড়া এই সাগরে মাছের বিপুল পরিমাণ মজুদ রয়েছে এবং সমুদ্রের নিচে রয়েছে মূল্যবান খনিজ সম্পদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি সালিশি ট্রাইব্যুনাল, ২০১৬ সালে এই মর্মে রায় ঘোষণা করে যে ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন সম্পর্কিত ইউএন কনভেনশন অনুযায়ী দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা দাবির কোনও আইনি ভিত্তি নেই।

মার্কিন বাহিনী বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদার করতে এবং চীনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ সামরিক ঘাঁটিগুলি বন্ধ করে দেয়ার ৩০ বছর পর সেগুলো আবার পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে। এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি, দুই পুরানো মিত্র দেশ- যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন ঘোষণা করে যে মার্কিন বাহিনীর চলমান সৈন্যদের পাঁচটি স্থানীয় ঘাঁটি ছাড়াও আরও চারটি সামরিক ক্যাম্পে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।

যেখানে বিপুল সংখ্যক আমেরিকান সৈন্যদের থাকার জন্য ব্যারাক এবং অস্ত্রগুদাম তৈরি করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইন ২০১৪ সালে একটি সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ম্যানিলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আন্দ্রেয়া ক্লো ওং-এর উদ্ধৃতি দিয়ে এপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুবিক উপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর পুরনো ঘাঁটিগুলোর কাছাকাছি নতুন ঘাঁটি নির্মাণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি তাইওয়ানে চীনের কার্যকরি আগ্রাসন মোকাবেলা করার সক্ষমতা অর্জন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

সর্বশেষ খবর