শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৫১, সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে কিছুক্ষণ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
অনলাইন ভার্সন
বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে কিছুক্ষণ

‘বাংলার বিহার উড়িষ্যার মহান অধিপতি, তোমার শেষ উপদেশ আমি শুনিনি জনাব। ইউরোপীয় বণিকদের ঔদ্ধত্য ব্যবহার আমি বারবার ক্ষমা করেছি। আমি তোমার রাজ্য রক্ষা করতে পারিনি দাদু। আমি দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করেছিলাম।’ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ নাটকের প্রথম দৃশ্যের প্রথম ডায়ালগে আলিবর্দী খাঁর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সিরাজউদ্দৌলার কথার অংশ বিশেষ। 

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বর্তমান পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনীর কাছে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলা নয়, হাজার বছরের ইতিহাসে পুরো ভারতবর্ষের জন্য সবচেয়ে বড় বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটে যায়। তার ফলে কয়েক বছরের মধ্যে পুরো ভারতবর্ষ দখল করে নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যা পরবর্তীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দামি উপনিবেশে পরিণত হয়। প্রায় ২০০ বছরের শাসনে ইংরেজ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুট করেছে তা শুধু নয়, শত শত বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে একই সঙ্গে বসবাসকারী উপমহাদেশের দুই প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে চরম সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষের বীজ বপন ও সেটিকে লালন-পালন করে এমন বিস্তার ঘটিয়েছে যে, যার সূত্র ধরে ভারতবর্ষ খন্ড-বিখন্ড হয়েছে, লাখ লাখ নিরীহ মানুষের রক্তে লাল হয়েছে গঙ্গা, ভাগীরথী আর সিন্ধু নদের পানি। ইংরেজদের তৈরি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ঘৃণার শিকার হয়ে ভারতবর্ষের তিনটি দেশেই আজও রক্ত ঝরছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই মহাবিয়োগান্ত ঘটনার সূত্রপাত হয় বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে, যেটি এখন ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি জেলা। 

২৬৬ বছর পেরিয়ে গেছে। তারপরও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে মুর্শিদকুলি খাঁ থেকে শুরু করে সিরাজউদ্দৌলার স্মৃতিবিজড়িত অনেক চিহ্ন এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন ইতোমধ্যে ভাগীরথী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যা আছে সেটি দেখতেই প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার দর্শনার্থী আসেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের প্রায় সব সদস্যসহ নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে ঘটে যাওয়া বাংলার ইতিহাসের দ্বিতীয় মহাবিয়োগান্ত ঘটনা আর ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সিরাজউদ্দৌলার বিয়োগান্ত ঘটনার মধ্যে স্থান, কাল ও পাত্র-পাত্রী ব্যতীত ঘটনাপ্রবাহের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতি বছর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একবার যাওয়া হয়। আর ধানমন্ডিতে গেলেই একবার মুর্শিদাবাদ যাওয়ার ইচ্ছা মনে জাগে। নানা কারণে এত দিন সময় সুযোগ হয়নি। তাই এবার গ্রীষ্মের দাবদাহ কিছুটা বিদায় নেওয়ার পর নভেম্বরের শুরুতে আবহাওয়া একটু আরামদায়ক হতেই সিদ্ধান্ত নিলাম মুর্শিদাবাদ যেতে হবে। ভ্রমণ কখনো একা একা আনন্দদায়ক হয় না। তাই আমি আর আমার স্ত্রী ইয়াসমিন এবং সঙ্গে আর্মির ব্যাচমেন্ট ও স্কুলসাথি কর্নেল শওকত আর ভাবি। 

বরাবরই ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে শওকতের অনেক আগ্রহ। চারজন একটা ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ঢাকা থেকে বিমানযোগে কলকাতা হয়ে সড়কপথে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করলাম। ১২ নভেম্বর সকালে কলকাতার হোটেল থেকে নাশতা সেরে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে গাড়িতে বসলাম। বড় জিপ গাড়ি। চালকের নাম সুকুমার, খাস বাঙালি। যাত্রার শুরুতেই বুঝলাম সুকুমার আর যেটাই হোক কথার কাঙাল নয়। কলকাতা শহর থেকে বের হতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ন্যাশনাল হাইওয়েতে একটু পরপরই ভাঙা জায়গায় এখন ব্যাপক মেরামতের কাজ চলায় ধীরগতিতে চলছে গাড়ি, ঝাঁকুনিও লাগছে। সুকুমার বলল, বুঝলেন না স্যার, লোকসভা নির্বাচন সামনে তাই রাস্তা মেরামতের খুব তোড়জোড় চলছে। ভোটের শেষে পাঁচ বছর আর কোনো খবর থাকবে না। তবে বাঙালি ভোটের সময় বাঙালিদের সঙ্গেই থাকবে, স্পষ্ট মত সুকুমারের। 

প্রান্তিক পর্যায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয় তাহলে রাজনীতিতে ধাপ্পাবাজি, মিথ্যাচার ও প্রতারণার সুযোগ অনেক কমে যায়। একাত্তরের খুব পরিচিত স্থান কল্যাণী ও কৃষ্ণনগর পার হতেই ভালো রাস্তা পেয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় সুকুমার। পথে মুর্শিদাবাদের বেশ একটু আগে পড়বে পলাশীর প্রান্তর। গাড়ির গতি দেখে শওকত মনে করিয়ে দিল, সুকুমার, পলাশীর প্রান্তর কিন্তু অবশ্যই দেখতে হবে। বেলা দেড়টার দিকে পলাশী যুদ্ধের স্মৃতিসৌধের পাদদেশে পৌঁছে প্রথম দৃষ্টিতেই কিছুটা হতাশ হলাম। ছোট একটু জায়গাকে ঘিরে পাথরের তৈরি সিরাজউদ্দৌলার প্রতিকৃতিসহ স্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে লেখা আছে পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্র ২৩ জুন ১৭৫৭। চটজলদি আমরা কয়েকটি ছবি তুললাম। ইতিহাসে বর্ণিত আম্রকানন সে রকমই দেখব তা প্রত্যাশা করিনি। তবে ভেবেছিলাম, ইংরেজ ও নবাব বাহিনীর সমাবেশস্থল এবং মীরজাফর ও ইয়ার লতিফ বাহিনী যে স্থানে দাঁড়িয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেগুলো অন্তত চিহ্নিত থাকবে। 

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন শেষ বেলায় মীরজাফরের গোপন সংকেতবার্তা পেয়ে ইংরেজ বাহিনী যে স্থান দিয়ে ভাগীরতী নদী পার হয়ে মোহনলাল-মীরমদন বাহিনীকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত করেছিল সেটি এখন একটি ফেরিঘাট। ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকায় ছোট ছোট গাড়ি এপার-ওপার আসা-যাওয়া করে। তবে কোনো স্মারকচিহ্ন নেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ইতোমধ্যে ২টা বেজে গেছে। ফেরিঘাট থেকে প্রধান সড়কে ফেরার পথে চারদিকে প্রাচীর দেওয়া একটা স্থাপনাকে পর্যটন কেন্দ্র বলে মনে হলো। প্রবেশ করে দেখি একদম নিরিবিলি। আম গাছের নিচে টেবিল-চেয়ারে বসে কয়েকজন কথাবার্তা বলছে। একটা আম গাছের গায়ে টাঙানো টিনের একটি বোর্ডে লেখা আছে, ঐতিহাসিক পলাশী যুদ্ধক্ষেত্র, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের অধীনে অতিথি নিবাস ও রেস্তোরাঁ। একজনকে জিজ্ঞাসা করতেই জানাল দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা যাবে, ভিতরে যান। ভিতরে ঢুকে দেখি লোকজনশূন্য, টেবিল-চেয়ার সব খালি। একজন এসে বলল, অর্ডার দেওয়ার পর প্রস্তুতি ও রান্না শুরু হবে এবং তাতে কম করে হলেও ১ ঘণ্টা লাগবে। একাই একশ পচেন সরকার। বাবুর্চি, পরিবেশনকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অর্ডার পেয়ে পচেন সরকার কাজ শুরু করল। 

হেমন্তের প্রায় শেষ, শীত আসি আসি করছে। নদীয়া জেলার এক পল্লীতে, পলাশী যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝখানে আম গাছের ছায়ায় ঘেরা অতিথি নিবাসের মধ্যে হেলে পড়া সুখের মিষ্টি রোদের আবেশে আমরা কেবল চারজন সবকিছু ঘুরে দেখতে দেখতে ১ ঘণ্টা কখন পেরিয়ে গেছে টের পাইনি। পেছন থেকে পচেন সরকারের ডাক, স্যার আসেন খাবার রেডি। গরম ভাত, ডাল তরকারিতে গরম ধোঁয়া উঠছে। খাবার মুখে দিয়ে বুঝলাম পচেন সরকার পাকা বাবুর্চি। খাবার শেষ করে আবার যাত্রা শুরু। মুর্শিদাবাদ শহরের একটু বাইরে একদম নিরিবিলি পরিবেশে ভাগীরথী পূর্বতীর ঘেঁষে আমাদের বুকিং দেওয়া জলছবি রিসোর্টে পৌঁছতে পৌঁছতে সূর্য লাল হয়ে পশ্চিমে ডুব দেবে দেবে করছে। রিসোর্টের সামনে অনেক বড় ফাঁকা মাঠের এক প্রান্তে ভাগীরথীর তীরঘেঁষে টেবিল-চেয়ার সাজানো। তাড়াতাড়ি রুমে লাগেজ রেখে ভাগীরথীর কূলে বসে পশ্চিমে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে চা-কফি আর গরম গরম সবজি পাকুড়া নিয়ে হাজির হলো হোটেলবয়। গরম চা-পাকুড়া মুখে আর সামনে শত শত বছর ধরে উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে চলা খরস্রোতা ভাগীরথী, যে নদীর গর্ভেই ডুবে যায় বাংলার শেষ নবাবের সূর্যাকাশ। অন্ধকার নেমে আসতেই দেওয়ালি উপলক্ষে সাজানো রংবেরঙের ঝলমলে আলোতে জ্বলে উঠে জলছবি চত্বর। আমরা বিশ্রামের জন্য রুমে চলে যাই। 

১৩ নভেম্বর সকালেই শুরু হয় দর্শনের মূল পর্ব। নিজেদের জিপ গাড়ি ছেড়ে একটা খোলা টুকটুক গাড়িতে সারা দিনের জন্য গাইডকাম চালক কৃষ্ণ বিশ্বাসকে নিয়ে যাত্রা শুরু। প্রথমেই পড়ে মীরজাফরের কবরস্থান। শওকত বলল, ভাই প্রথমেই মীরজাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দিনটা কি ভালো যাবে। কোনো অসুবিধা নেই স্যার, চিৎকার করে জবাব দেয় গাইড কৃষ্ণ বিশ্বাস। সারি সারি অনেক কবর, সবটাই পাথরে বাঁধানো। দর্শনার্থী অনেক। কোনো কবরেই নাম-পরিচয় লেখা নেই। ঢুকেই সবার মুখে একই কথা, মীরজাফরের কবর কোনটা। একজন একটাকে দেখিয়ে বলল, এটাই মীরজাফরের কবর। লক্ষ্য করলাম তার পাশ দিয়ে যেতেই প্রত্যেক দর্শনার্থী নিজের মতো করে বিড়বিড় করে গালি দিতে দিতে যাচ্ছে। গাইডের হুঁশিয়ারি, কেউ কবরে পা  দেবেন না, থুথু ফেলবেন না। এরকম আদেশের কারণ জিজ্ঞাসাতে একজন জানাল, একসময়ে দর্শনার্থীরা এসে মীরজাফরের কবরে থুথু ফেলত, আবার কেউ পা দিয়ে লাথি দিত। ধর্মীয় বিবেচনায় এটা ঠিক নয় বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই আদেশ জারি করেছে। এরপর মুর্শিদকুলি খানের প্রাসাদ ও মসজিদ দেখে হাজির হলাম মীরজাফরের বাড়ির সামনে। বিশাল লোহার গেটের গায়ে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে, নেমকহারামের দেউড়ি। গেটে বড় এক তালা ঝুলছে। ভিতরে এখনো কিছু বংশধর বসবাস করে। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, দর্শনার্থীরা এদের ওপর আক্রমণ ও মারধর করেছে। তাই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখন আর কেউ ভিতরে ঢুকতে পারে না। নেমকহারামের দেউড়ি থেকে কাঠগোলা দেখে জগৎশেঠের প্রাসাদে হাজির হলাম। অনেক বড় প্রাসাদ ঘুরিয়ে গাইড মাটির নিচে জগৎশেঠের গোপন কক্ষে নিয়ে গেল। এই কক্ষে বসেই হতো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। কাসিমবাজার কুঠির প্রধান উইলিয়াম ওয়াটস নাকি অনেক সময় শাড়ি আর বোরকা পরে গোপনে ছদ্মবেশে এই গোপন কক্ষে ষড়যন্ত্রে যোগ দিতেন। আলিবর্দী খাঁর সব কাজের সঙ্গী ছিলেন জগৎশেঠ। তার কারণেই ব্যাংক ও টাঁকশালসহ বিশাল ধন-সম্পত্তির মালিক হন তিনি। 

অথচ সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য সব টাকার জোগান দেন জগৎশেঠ। এসব শুনতে শুনতে শওকতকে বললাম, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কত জগৎশেঠ তৈরি হয়েছে তা কে জানে। জগৎশেঠের মতো একটা পরিবারই ছয়-সাতটা ব্যাংকের মালিক। শোনা যায়, তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তা শুধু নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেও টাকা ঢালছে। হাতিরঝিলে সিরাজউদ্দৌলা ও মতিঝিলে ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই এবার আমাদের মূল গন্তব্যস্থল সিরাজউদ্দৌলার কবরস্থান। সমাধিস্থল খোসবাগে যাওয়ার জন্য আমাদের ভাগীরথী পার হয়ে পশ্চিম পাড়ে যেতে হবে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় গাইড গাড়িসহ উঠে নদীর মাঝখানে যেতেই মনের ভিতর ইতিহাসের ছবি ভেসে ওঠে। নির্মল আকাশের নিচে নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে দূর স্রোতে আরেকটি পাল তোলা নৌকার দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকি ২৬৬ বছর আগে এমনই এক নৌকাযোগে এই ভাগীরথী দিয়ে পালানোর পথে ভগবানগোলার ঘাটে মীরজাফরের লেলিয়ে দেওয়া লোকের হাতে সিরাজউদ্দৌলা পরিবারসহ ধরা পড়েন এবং এক দিন পরই বন্দি অবস্থায় নিহত হন। এসব ভাবতে ভাবতেই ফেরি পাড়ে এসে যায়। ১৫ মিনিটেই খোসবাগে চলে আসি। 

জুতা খুলে সমাধিস্থলের ভিতরে প্রবেশ। প্রথমেই আলিবর্দী খাঁর কবর। তারপর আলিবর্দী খাঁর স্ত্রী ও সিরাজের মা আমেনা বেগমের কবর পাশাপাশি। গাইড একেক করে বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে। তার পরের ভাগেই সিরাজউদ্দৌলার কবর। পাশেই শায়িত স্ত্রী লুৎফা বেগম। এখানে এসেই সব দর্শনার্থী একবার কিছুক্ষণের জন্য থমকে যান। বিষণ্ণ মনে প্রত্যেকেই যে যার মতো করে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। ভাগ্যহত নবাব সিরাজের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতবর্ষের ভাগ্য হারিয়ে যায়। পশ্চিমে মারাঠা ও আফগান দস্যু, ঘরের মধ্যে ঘসেটি বেগম, শওকত জঙ্গ, রাজ্য প্রশাসনে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ, উমিচাঁদ ও জগৎশেঠ। চারদিকে শুধুই ষড়যন্ত্রকারী শত্রু। এর সুযোগ নেয় কাসিমবাজার আর ফোর্ট উইলিয়ামে ঘাঁটি গাড়া ইংরেজ বণিক। শেষ পর্যন্ত এত ভার বইতে পারছিলেন না মাত্র ২৫ বছরের যুবক সিরাজ। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বিকাল পর্যন্ত যখন মীরজাফর যুদ্ধ না করে সৈন্যবাহিনী নিয়ে নীরবে দাঁড়িয়েছিলেন তখন সিরাজউদ্দৌলা মাথার পাগড়ি খুলে মীরজাফরের পায়ের কাছে রেখে শেষবারের মতো বলেছিলেন, জনাব মীরজাফর আলী খান আপনি শুধু আমার প্রধান সেনাপতি নন, পরম আত্মীয়ও বটে, আমি সিংহাসন চাই না, আপনি আমার মৃত দাদু আলিবর্দীর ইজ্জত রক্ষা করুন, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করুন। কিন্তু মীরজাফরের হৃদয় তাতে নড়েনি। গাইডের আবেগঘন পাঞ্জল বর্ণনায় সবার মন ও হৃদয় ভারী হয়ে ওঠে। 

আনমনা হয়ে বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে আমাকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শওকত এসে বলল, ভাই যেতে হবে চল। ভাগীরথী পার হয়ে পূর্বপাড়ে এসে দুপুরের জন্য কিছু খেয়ে নিলাম। কাসিমবাজার কুঠি দেখতে হবে। মুর্শিদাবাদ থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে। কুঠি খুঁজে পেতে একটু কষ্টই হলো। এটি এখন কান্তবাবুর রাজবাড়ি নামে পরিচিত। তখন কাসিমবাজার কুঠির দায়িত্বে থাকা মেজর উইলিয়াম ওয়াটস কোম্পানির দূত হিসেবে কাজ করায় রাজপ্রাসাদসহ সর্বত্রই ছিল তার অবাধ যাতায়াত। এ কুঠিতে বসেই সব ষড়যন্ত্র হয়। কুঠি দেখা শেষ করে আমাদের রিসোর্টে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল। রাতে খাবার খেয়ে তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়লাম। রাষ্ট্র, রাজনীতি, ধনসম্পদ এবং তার সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ির রক্তাক্ত ঘটনার মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির কথা মন থেকে কিছুতেই দূর করতে না পারায় ঘুম ভালো হলো না। 

মানুষ প্রজাতি জন্মের শুরু থেকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো প্রাণিকুলে নিজেদের মধ্যে এত দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই। সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণদের কারণেই অশান্তি বেশি হয়। খুব ভোরেই বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। মুখ-হাত ধুয়ে রুমসংলগ্ন বারান্দায় গেলাম। মৃদু শীতের আবেশে পিঠে প্রাত সূর্যের রোদ, সামনে ভাগীরথী নদী। সুন্দর এক অনুভূতিতে ভাবি এত ট্র্যাজেডি এবং এত রক্তের সাক্ষী হয়েও অনন্তকাল ধরে নীরবে বয়ে চলেছে ভাগীরথী। এক দিনের জন্যও থেমে যায়নি। হেমন্তের এক বিকালে দেখা কাসিমবাজারের কুঠির কথা ভাবতেই ঢাকার গুলশান-বারিধারায় অধুনা কিছু কাসিমবাজারের কুঠির চেহারা মনে উঁকি দেয়। দুয়ের মধ্যে আড়াই শ বছরের ব্যবধান হলেও কী আশ্চর্য মিল। আর ঢাকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানের ভিতরে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ, জগৎশেঠ ও উমিচাঁদের সংখ্যা এখন কত হবে তা ভাবতেই মনে শঙ্কা আসে। সিরাজ যেমন দাদু আলিবর্দী খাঁর রাজ্য রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন, তেমনি আড়াই শ বছর পর একাধিকবার ভয়ংকর হত্যাচেষ্টার হাত থেকে এখনো বেঁচে থাকা শেখ হাসিনা পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সৃষ্ট বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য লড়াই করে চলেছেন। পাশে বহু লোক দেখা গেলেও এ যুদ্ধে সিরাজের মতো তিনিও একা। কিন্তু পার্থক্য এই, শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আছে, ২০০৭-০৮ সালে তার একটা পরীক্ষা হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এ যুদ্ধে শেখ হাসিনাকে জিততে হবে। সুতরাং আজকের মোহনলাল-মীরমদনরা হুঁশিয়ার।

লেখক : রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল উৎসব বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের অনন্য সাফল্য
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
সর্বশেষ খবর
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চা করা উচিত: ধর্ম উপদেষ্টা
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চা করা উচিত: ধর্ম উপদেষ্টা

২৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার
দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুলাই)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব
ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব

শোবিজ

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা
রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা

শোবিজ

বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়
বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি
কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি

নগর জীবন

আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’
আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’

শোবিজ

ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?
ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?

প্রথম পৃষ্ঠা

কারিনার রূপরহস্য
কারিনার রূপরহস্য

শোবিজ

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা