সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইনে ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনার আসামি কিলার হাসান আত্মগোপনে রয়েছেন। তাকে না পেয়ে আমিরাত পুলিশ তার দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে। হাসানের সন্ধানে আল-আইন জুড়ে চলছে পুলিশি তল্লাশি। এতে করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খুন হওয়ার স্থান তথা আল আইন ছানাইয়া ৩ নম্বর গলিস্থ বাসার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ সৈয়দ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ফোনে জানান, তারা দুইজন একই বাসায় থাকতেন। খুন হওয়া ব্যক্তি গত দুই বছর ধরে এখানে রয়েছেন। কিলার হাসান গত সাত ধরে থাকছেন ওই বাসায়। তবে ভিসা বন্ধ থাকায় দু'জনেই অবৈধভাবে কাজ করছেন।
খুনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ জানান, তাদের মধ্যে পুরনো দ্বন্ধ ছিলো। কাজে-কর্মে বিভিন্ন সময় তাদের ঝগড়াও হয়েছে। চলতি মাসে আমি দেশে থাকা অবস্থায়ও তারা আবার ঝগড়া করলে রুমের অন্য সদস্যদেরকে এ দু'জনকে রুম থেকে বের করে দেয়ার কথা বলি। ৩০ মে হাসানের বাসা ছেড়ে দেয়ারও কথা ছিলো। কিন্তু ২৯ তারিখ সে সোহেলকে খুন করে পালিয়ে যায়।
আল-আইন ছানাইয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিরা মিডিয়ার সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমরা ইলেক্টনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করছি। আল আইনে বর্তমানে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি এ ঘটনায় আতঙ্কিত। অবৈধ শ্রমিকদেরও দিন কাটাচ্ছে গ্রেফতার আতঙ্কে। খুনিকে যদি ধরিয়ে দেয়া যায় তবে প্রবাসীরা উপকৃত হবে। কারণ অনেক বাংলাদেশি শ্রমিককে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আল-আইনস্থ ছানাইয়া ৩ নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় তর্কবির্তকের একপর্যায়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার তোফায়েল আহমেদ এর ছেলে মোহাম্মদ হাসানের ( ২৬) ছুরির আঘাতে খুন হয় একই জেলার লোহাগড়া উপজেলার সোহেল ( ২৫) নামে প্রবাসী বাংলাদেশি।