প্রবাসে আল কোরআন চর্চার মহৎ প্রয়াসে কাতারে আলনূর কালচারাল সেন্টারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আল কোরআন সন্ধ্যা। শুক্রবার দোহার বিন যায়েদ সেন্টারে নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসূফ নূরের সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন ঢাকা এশিয়ান ইউনিভাসির্টির শিক্ষক মাওলানা শাহাদাত হোসাইন নদভী ও ফেনী করৈয়া ইসলামী ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সপ্যাল মাওলানা শরিফুল ইসলাম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পেয়ার মুহাম্মদ ও হাজী বাশার সরকার। মুনাজাত করেন প্রখ্যাত ইসলামী লেখক মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী।
কোরআন সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল আলনূর ও আল কুরআন শীর্ষক অর্থসহ তিলাওয়াত পর্ব। এতে যৌথভাবে অংশ নেন হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান ও রাকিবুল ইসলাম, হাফেজ জুনাইদ ও সালেহ নুরুন্নবী, হাফেজ মাহবুবুর রহমান ও প্রকৌশলী মুনিরুল হক, হাফেজ হিজবুল্লাহ ও প্রকৌশলী শামস্ ইলিয়াস।
মহিলা কর্ণারের পরিচালনায় ছিলেন মাওলানা মাহমুদা ও লুৎফুন নাহার। অনুষ্ঠানে রামজান ও ঈমান শীর্ষক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরুস্কার প্রদান করা হয়।
রাসুলের ভাষায় আল কোরআন বিষয়ক আলোচনায় মাওলানা শাহাদাত হোসাইন নদভী হাদীসের আলোকে আল কোরআনের পরিচিতি তুলে ধরে বলেন, কোরআন জ্ঞানের আঁধার, নৈরাজ্যের প্রতিরোধক, হিদায়াতের আলোক মশাল ও সার্বিক উন্নতির নির্ভুল নির্দেশিকা। ইহ-পরকালীন মুক্তির জন্য শুদ্ধভাবে কোরআন পড়া, কোরআনের অর্থ বুঝা ও কোরআন অধ্যায়নে মনোনিবেশ করা সকল মুসলমানের কর্তব্য।
মাওলানা শরিফুল ইসলাম আল কোরআনে আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করে বলেন, চরিত্র ও নৈতিকতার উন্নয়ন এবং আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা ছাড়া আল কোরআনের সঠিক অনুসারী হওয়া যায় না। জীবনের সর্বস্তরে রাসুলের সুন্নাত প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থাকা ঈমানের দাবি। পরিবার ও গৃহাঙ্গনে কোরআনের আলো ও সুন্নাতের সৌরভ ছড়িয়ে দেয়া প্রত্যেক অভিভাবকের দায়িত্ব।
মাওলানা ইউসুফ নূর মৌলিক ও অনুদিত তাফসির গ্রন্থসমুহের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করে বলেন, তাফসির শাস্ত্র মুসলমানদের কোরআন চর্চার গৌরবময় অধ্যায়। পৃথিবীর কোন ধর্মে এর নজীর নেই। আমরা তাফসিরের ইমামদের কাছে ঋণী। তাদের গভীর অধ্যাবসায় ও কঠোর সাধনা এবং মহান অবদানের ধারা কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষুন্ন থাকবে।তিনি আরো বলেন, কোরআনে নূর শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ২৪ বার এসেছে। তাই কোরআন শিক্ষা ও কোরআনী সংস্কৃতির বিস্তারে আলনূর সেন্টার সদা নিয়োজিত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল