বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে রহস্যপুরুষ খ্যাত সিরাজুল আলম খান (৭৭) গতকাল সোমবার রাতে টার্কিশ এয়ার লাইন্সে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন। তবে এবার তাকে হুইল চেয়ারে ভর করে জেএফকে ছাড়তে হলো। চিকিৎসার জন্য এ বছরের ১৮ মে সাইপ্রাস থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন সিরাজুল আলম খান। যাকে জাসদের নেতা-কর্মীরা ‘দাদা’ হিসেবে সম্বোধন করেন।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে জেএসডি যুক্তরাষ্ট্র শাখার শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসউদ্দিন আহমেদ শামীমের বাসায় এবারও আস্তানা গেড়েছিলেন দাদা। সাইপ্রাসের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এলমহার্স্ট হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণেও ছিলেন কয়েক দফা। অন্তত দু’দফা তাকে এই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ২৪ ঘণ্টা করে অতিবাহিত করতে হয়েছে।
‘শারীরিকভাবে চলনশক্তি একেবারেই কমে গেলেও সকলের সাথে হাসি-খুশী এবং ঠ্ট্টা-মস্কারায় অতিবাহিত করেন প্রায় প্রতিটি সন্ধ্যায়। ভক্ত-অনুরক্ত এবং বিশিষ্ট প্রবাসীরা আগের মতোই তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে নানা ইস্যুতে তাঁর মতামত জানতে চান’-উল্লেখ করেন শামসউদ্দিন। ‘মানসিকভাবে সামান্যতম দুর্বল বোধ করেননি এক মুহূর্তের জন্যও’-বলেন যুক্তরাষ্ট্র জেএসডির এই নেতা। তবে দাদা এখন পরনির্ভরশীল হয়ে পড়লেও
এয়ারপোর্ট ত্যাগের সময়ে আবারো আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বলে জানান তিনি।
জেএফকে এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে তাঁকে বিদায় জানান শামসউদ্দিন আহমেদ শামীম ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাকিকুল ইসলাম খোকন, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মিরাজ ভ’ইয়া, মো. সানি, দীদার প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব