লয়েশিয়ায় কর্মরত সকল বিদেশী শ্রমিকদের লেভী (কর) আগামী বছর থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে । মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সেক্টরের শিল্প মালিকদের সাথে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মানবসম্পদ মন্ত্রীর বৈঠক শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় কমিটির এটা প্রথম বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট সেক্টর এবং উপ-সেক্টরগুলির সাথে আলোচনা করার পর সম্মত হয়েছি, তাই আমরা এটি বাস্তবায়ন করার পরে তাদের প্রতিকূল প্রভাব ফেলবে না ।
মুহাহিদীন বলেন, সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের পরিমাণ আবার দেখা হবে, তাই এটি খুব বেশি ভারসাম্যহীন হবে না।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের যে লেভি নির্ধারিত আছে তার থেকে ২০% বৃদ্ধি করা হবে। যদিও লেভি বৃদ্ধির পরিমাণটা খুব একটা বেশি নয়, তারপরেও কিছু উপ-সেক্টেরে লেভির পরিমাণটা বেশি বলে মনে হতে পারে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
একবার আমরা এটি বাস্তবায়ন করার পরে আর কোনোভাবেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে না। আমরা এটা সহজেই বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে মনে করছি। তবে, অবশ্যই, এটা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন সাপেক্ষে।
মুহিউদ্দীন উল্লেখ করেন যে, সরকার আউটসোর্সিং প্রোগ্রাম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পূর্বে এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ছিল কিন্তু এখন আমরা মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাই এটি বর্তমান ব্যবস্থাগুলির সাথে আরও নিয়মিত এবং একই হবে ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানায়, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১০০টি আউটসোর্সিং কোম্পানি রয়েছে এবং তাদের অধীনে ২৬ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়োগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের কিছু সময় দিচ্ছি যাতে তারা তাদের কর্মচারীদের নির্বাচিত নিয়োগকারীদের কাছে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতে কিছু সময় লাগবে এবং আমরা মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়কে কাজগুলি পরিচালনা করার সুযোগ দেব। বিদেশী কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও মানব পাচারের রিপোর্টার ভিত্তিতে তাদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
এই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, সর্বমোট ১৮ লক্ষ ৯২ হাজার ২৪৭ জন বিদেশী শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় অস্থায়ী কাজের পারমিট দেয়া হয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত এবং মায়ানমার এই ৫টি দেশের শ্রমিক সর্বোচ্চ পরিমান মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে।
বর্তমানে চুক্তিবদ্ধ করা আছে ৩০০ থেকে ১৫০০ রিংগিত পর্যন্ত বন্ড পেমেন্ট সরকার বাজেয়াপ্ত করবে যদি কোনো শ্রমিক নির্ধারিত নিয়োগকর্তা থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে যায় অথবা নিজ দেশে ফেরত যায়। এই বন্ড পেমেন্ট বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছি আমরা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন, বেসরকারি সংস্থা এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করার পর চূড়ান্ত পরিমাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শ্রমিক বন্ডের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা