মিনি বাস উল্টে বাহরাইনে এক বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। তার নাম হারেছ খান।
বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় স্থানীয় চিতরা এলাকায় থানার অদূরে সেতুর উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন শরীয়তপুরের খলিল নামের অপর এক বাংলাদেশি।
চালকসহ বাকি ৩ জন অক্ষত অবস্থায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। নিহত হারেছের মৃতদেহ স্থানীয় সালমানিয়া মেডিকেল কমপ্লেক্স মর্গে রাখা হয়েছে। আহত খলিল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরেন। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য ও জনকল্যাণ প্রতিনিধি তাজ উদ্দিন সিকান্দার।
নিহত হারেছের পূর্ণ পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা না গেলে ও তিনি ঢাকার দোহারের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
আহত খলিল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কাজ শেষে বুধবার ভোরে চালকসহ ৫ বাংলাদেশি একটি মিনি বাসে ঘরে ফিরছিলেন। গাড়িটি উচ্চ গতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর পাশে রিলিং ও পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে চালকের পাশে থাকা হারেছ মারা যান। খলিল আহত হন। বাকিরা অক্ষত রয়েছেন। মানামার এক হোটেল মালিক ফরিদ জানান, হারেছ তার হোটেলে প্রতিদিন নিয়মিত কাস্টমার ছিলেন। কাজে যাওয়ার দিন ও এখান থেকে সে খাবার খেয়ে যান। তার মৃত্যুর সংবাদে আমি হতবাক। তিনি ৬ মাস দেশে থাকার পর মাত্র কিছু দিন আগে বাহরাইনে আসেন। বাহরাইনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহ দেশে পাঠাতে মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টার ভেতর মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করতে হয়। সে অনুযায়ী নিহত হারেছের মৃতদেহ দেশে পাঠানোর যাবতীয় প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছে বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিডি প্রতিদিন/কালাম