১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ১১:৪৯

‘কনটেম্পোরারি বাংলাদেশি পোয়েট্রি’র প্রকাশনা উৎসব

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

‘কনটেম্পোরারি বাংলাদেশি পোয়েট্রি’র প্রকাশনা উৎসব

কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ অনূদিত ‘কনটেম্পোরারি বাংলাদেশি পোয়েট্রি’র প্রকাশনা উৎসব ১২ অক্টোবর নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি হচ্ছে বাংলা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ। নিউইয়র্ক কালচারাল এফেয়ার্সের বিশেষ অনুবাদ গ্রান্টে এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে মূলধারার ক্রস-কালচারাল কমিউনিকেশন্স ও নিউ ফেরাল প্রেস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মার্কিন কবি ও প্রকাশক স্ট্যানলি এইচ বারকান। তিনি পড়েন তার লেখা ‘ঢাকা-কুইন্স’ কবিতাটি । বারকান বলেন, হাসান আল আব্দুল্লাহকে কবিতার ভেতর দিয়ে আমি চিনি। তিনি শুধু নিজের কবিতাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে নিজেকে সরিয়ে রেখে তার দেশের কবিতাকে উপস্থাপন করতেই ভালবাসেন। দু’হাজার সালে আমি তার প্রথম বই ‘বেথ অব বেঙ্গল’ প্রকাশ করি। হাসান আল বাংলা কবিতাকে কতটুকু ভালবাসেন তার অন্যতম উদারহরণ ‘কনটেম্পোরারি বাঙালি পোয়েট্রি’।

 লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভ রাইটিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ার প্রফেসর জন ডিগবি সিটি কালচারাল এফেয়ার্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই বইটি পাবলিক লাইব্রেরিসহ এদেশে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়-লাইব্রেরিতে স্থান পাবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা বাঙলা কবিতার সাধ পেতে এই বইটি হাতে তুলে নেবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রফেসর ডিগবি হাসান আল আব্দুল্লাহর সনেট ও ইংরেজি-ইতালিয়ান সনেটের একটি তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি বলেন, হাসান আল যেভাবে সনেটকে দেখেন আমরা কেউ সেভাবে দেখতে পারিনি, তিনি সনেটকে ডায়েলেকটিক ফর্মে নিয়ে এসে চৌদ্দ লাইনের এই কবিতাকে একটি সেমেট্রি ভেতরে বেঁধে ফেলেছেন।

জোন ডিগবি সংকলন থেকে হাসানআল আব্দুল্লাহর ‘স্বতন্ত্র সনেট ৭৭’ আবৃত্তি করেন।

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে আমি হাসান আলের অনুরোধে একটি প্রবন্ধ লিখছি। তার শততম জন্মদিন উপলক্ষে আমি প্রবন্ধটি খুব আনন্দের সাথে লিখছি, কারণ শেখ মুজিব শুধু বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাই নন, তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতা ছিলেন।

প্রাবন্ধিক আহমেদ মাযহার এই সঙ্কলনটিকে একটি মালা হিসেবে তুলে ধরে এর বহুল প্রচার কামনা করেন। 

বেলাল বেগ ও সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ এই বইকে বাংলাদেশের কবিতার একটি উল্লেখযোগ্য উপস্থাপন হিসেবে বর্ণনা করে প্রকাশক ও অনুবাদককে ধন্যবাদ জানান। কবি শামস আল মমীন নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় বাঙলা কবিতার একটি উজ্জ্বল অবস্থান তৈরি করার জন্যে হাসান আল আব্দুল্লাহকে সাধুবাদ জানান।

কবি নাজনীন সীমন সঙ্কলন থেকে কবি আবুল হাসান ও নিজের একটি করে কবিতা পড়ে শোনান। সঙ্কলন থেকে আরো কবিতা পড়েন নতুন প্রজন্মের দুই উজ্জ্বল মুখ মাহিরা রাহিম ও সামন্থা রহমান। কৌতুক পরিবেশন করেন শহীদ উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে কবির একমাত্র পুত্র একক সৌবীর বলেন যে তার বাবা নিজেকে প্রকাশ করার মাধ্যম হিসেবে কবিতাকে বেছে নিয়েছেন। সেদিন বেশি দূরে নয় যখন আমেরিকার কোনো শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাক দেড় ঘণ্টার লেকচার দেবেন বাঙলা কবিতা নিয়ে, আর মুগ্ধ হয়ে শুনবে ছাত্রছাত্রীরা।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর