২০ অক্টোবর, ২০১৯ ২১:৩৪

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘প্রবাসী গাও জীবনের গান’

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি :

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘প্রবাসী গাও জীবনের গান’

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘এমএম লাইভ-সিঙ্গারস অব লাইফ’ গানের প্রতিযোগিতা। এ উপলক্ষে রবিবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় বেলা ২টায় কুয়ালালামপুর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে এমএম লাইভের কো-ফাউন্ডার ও প্রধান নির্বাহী জাফর ফিরোজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এমএম লাইভের অফিসার অ্যাডমিন ক্রিতানা। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, ‘প্রবাসী গাও জীবনের গান’ স্লোগানে মালয়েশিয়া প্রবাসী ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।

তারা বলেন, এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য শুধু প্রতিভার সন্ধান নয়; আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মালয় এবং বাঙালি সংস্কৃতির মাঝে একটি ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করা। সেই সাথে বাঙালি সুরকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেয়া। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন গ্র্যান্ড ফিনালেতে মালয়েশিয়ান শিল্পীদের সাথে কয়েকটি দেশের শিল্পীরাও বাংলা গান পরিবেশন করবে।

প্রবাসে এই মহৎ কর্মযজ্ঞ একার পক্ষে সম্ভব নয়। আয়োজকরা মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিভাবক বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশ কমিউনিটি, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সকল প্রবাসীদের নিয়ে এই কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চান। সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে দুই দেশের মাঝে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে চান।

এমএম লাইভ সিঙ্গারস অফ লাইফ-২০২০ এর অনলাইন অডিশন রাউন্ড শুরু হয়েছে ২০ অক্টোবর থেকে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিযোগীদের এমএম লাইভ অ্যাপসে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এএম লাইভ অ্যাপসে অডিশন নামে একটি অপশন দেয়া আছে। প্রতিযোগীরা মোবাইলে গানের ভিডিও ধারণ করে আপলোড করবে।

সেখান থেকে ১০০ জনকে বাছাই করে দর্শকদের ভোটের জন্য এমএম লাইভ অ্যাপসে সবার জন্য ভিডিওটি উন্মুক্ত করা হবে। দর্শকদের ভোট এবং বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলীর রায়ে সেখান থেকে ৫০ জনকে স্টুডিও রাউন্ডের জন্য বাছাই করা হবে। স্টুডিও রাউন্ডে থাকবে বাংলা চলচ্চিত্রের চার মহানায়ক সালমান শাহ, রাজ রাজ্জাক, ফারুক এবং ইলিয়াস কাঞ্চন অভিনীত চলচ্চিত্রের গান।

এখানেও দর্শকদের ভোট এবং বিচারকদের ভোটে সেরা ২০ জনকে বাছাই করা হবে। সেমিফাইনালে সেরা ২০ জন থেকে ১০ জনকে বাছাই করে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মনোনীত করা হবে। সেরা ১০ জন নিয়ে হবে গ্রুমিং রাউন্ড। গ্রুমিং রাউন্ড শেষে সেরা ১০ জন গাইবে ফাইনাল রাউন্ডে।

দর্শকরা ফাইনাল রাউন্ডসহ সকল রাউন্ড এমএম অ্যাপসে দেখতে পারবে। প্রতিযোগী এবং অনলাইন দর্শকদের জন্য রয়েছে ২০ হাজার রিঙ্গিত সমমানের পুরস্কার। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন পুরস্কারের পরিমাণটা গ্র্যান্ড ফিনালে পর্যন্ত আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে।

এ ছাড়া অডিশন রাউন্ডের বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের নিয়ে ইভেন্টের মূল পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন- একুশে পদক প্রাপ্ত বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি প্লেব্যাক সিঙ্গার মো. খুরশিদ আলম, বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ভূষিত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খান, চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে যার কণ্ঠ, খ্যাতিমান প্লেব্যাক সিঙ্গার কনক চাঁপা, বর্তমান সময়ের আলোচিত সঙ্গীত পরিচালক সজীব দাশ এবং ইয়াং ক্রেজ শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা ঐশী।

এরই মাঝে প্রতিযোগিতার টাইটেল সং তৈরি করা হয়েছে। জাফর ফিরোজের কথায় এর সুর করেছেন সজীব দাস, কণ্ঠ দিয়েছেন আরজে রাজু। অডিশন রাউন্ডের প্রাথমিক বাছাই চলবে এই মাসব্যাপী। অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর ২০১৯ অনলাইন ভিডিও জমা দেয়ার শেষ দিন।

বিচারকদের রায় ও দর্শকদের অনলাইন ভোটে নির্বাচন করা হবে সেরা তিন। সেরা তিনজনকে নিয়ে মৌলিক মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হবে। ‘এমএম লাইভ সিঙ্গারস অব লাইফ’ সেরা ৩ জনের জন্য রয়েছে ১০ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (বাংলাদেশি ২ লাখ টাকা) সমমানের পুরস্কার এবং সেরা ২০ জনকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও আকর্ষণীয় গিফট দেয়া হবে।

এই প্রতিযোগিতার বিশেষ একটি দিক হচ্ছে দর্শকদের জন্য পুরস্কার। অনলাইন ভোটে অংশগ্রহণকারী দর্শকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে তিনজনকে ১০ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি ২ লাখ টাকা) সমমানের আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে দর্শকরা এই ভোটে অংশ নিতে পারবেন বলে জানান আয়োজকরা।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর