যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেটের লে. গভর্নর নির্বাচনের পর এবার অডিটর জেনারেল পদে লড়ছেন বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ। ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর উইমেন লিডার’র এ্যানডোর্সমেন্ট পেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৩০ বছরের অধিক সময় অভিবাসী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত নীনাকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার এশিয়ান আমেরিকান বিষয়ক উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। এরপর তিনি ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নীনা ঘোষণা দিয়েছেন, পেনসিলভেনিয়া রাজ্য প্রশাসনে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। অনিয়ম-অনাচার দূর করা হবে। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত এই রাজ্যে অভিবাসী সমাজের কেউই প্রশাসনিক দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি, নারীরাও পিছিয়ে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে চাই। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার স্লোগানে সকলেই শরিক হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন কেউ দেখেননি-আমি সেটি করে দেখাতে চাই পেনসিলভেনিয়ার আপামর জনতার সমর্থনে। এই রাজ্যের মানুষ এমন কাউকে দেখতে চান যার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে, ভরসা রয়েছে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতায়। অডিটর জেনারেল হিসেবে রাজ্য প্রশাসনে সেক্স্যুয়াল হয়রানির চ্যাপ্টার একেবারেই নিশ্চিহ্ন করবো। নারী-পুরুষ পরস্পরের সহযোগী হয়ে স্বাচ্ছন্দে কাজের পরিবেশ তৈরী করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। একইসাথে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাশের জন্যে আমার অফিসিয়াল ক্ষমতা ব্যবহারে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবো না।
নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনকালে ড. নীনাকে অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন পেনসিলভেনিয়া রাজ্য সিনেটর আর্ট হেউড, ফিলাডেলফিয়া সিটি কাউন্সিলওম্যান সিন্ডি ব্যাস, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ স্টিভ কিন্সী,জেয়ারড সলোমন এবং মভিতা জনসন-হ্যারেল, ফিলাডেলফিয়া শেরিফ হিসেবে ডেমক্র্যাট প্রার্থী রচেল বিলাল।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
