সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে জনসাধারণকে মুক্ত রাখতে জীবাণু মুক্তকরণ কেভিন তৈরি করেছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি বাবকো গ্রুপ।
এই কেভিনের নামকরণ করা হয়েছে ডিসইনফেকশন গেটওয়ে । করোনাভাইরাস-সহ সকল প্রকার ভাইরাস মুক্তকরণের জন্য অত্যন্ত আধুনিক মানের করে এই প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছেন রাস আল খাইমায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী পেয়ার মোহাম্মদ ও রাস-আল-খাইমা বোল্টন ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ফরিয়াদুল ইসলাম, সম্পর্কে তারা পিতা ও পুত্র।
আমিরাতের রাস-আল-খাইমায় সরকারি ডিপার্টমেন্ট থেকে জীবাণু মুক্তকরণ ইলেকট্রিক কেভিনটি বাজারজাত করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে বাবকো গ্রুপের স্বত্বাধিকারী পেয়ার মোহাম্মদ জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে ৩০টির উপর এই কেভিন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কোম্পানিতে সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি অনুমোদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে অসংখ্য কোম্পানি এই ইলেকট্রিক কেভিনের প্রচুর অর্ডার করেছে বাবকো গ্রুপে।
এই বিশেষ জীবাণু মুক্তকরণ কেবিনে দুটি অপশন রয়েছে। প্রথমত মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং পড়ে মেডিসিন স্প্রে করে জীবাণু মুক্তকরণ সিস্টেম। যদি কোনও ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা উচ্চপর্যায়ের থাকে তাহলে এই কেভিনের দরজা খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। যেসব ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা হাই লেভেলে থাকবে তাদেরকে দরজা দিয়ে প্রবেশ অধিকার থাকবে না বরং সে অসুস্থ বলে গণ্য হবে। কেবিনের সম্মুখে বসানো একটি ডিভাইস শনাক্ত করবে করোনাসহ তাপমাত্রা জনিত রোগ।
যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের নানা পদ্ধতি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু বাবকো গ্রুপের তৈরি ইলেকট্রিক কেভিনগুলো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও অত্যাধুনিক ডিভাইস দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। করোনা চলে গেলেও এ পদ্ধতি জীবানুমুক্ত করণের জন্য স্থায়ীভাবে কাজে লাগানো যাবে বলে কোম্পানির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ জানান।
তিনি জানান, বেশ কয়েক ক্যাটাগরির জীবাণু মুক্তকরণ কেভিন আমরা তৈরি করছি। বিভিন্ন বড় বড় শপিং মল, সুপার মার্কেট, অফিস-আদালত, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এই কেভিন জীবাণুমুক্তকরণ বা স্যানিটাইজেশনের জন্য ব্যবহার করা যাবে ।
তিনি এই জীবাণুমুক্তকরণ কেভিন বিভিন্ন ক্যাটাগরির মূল্য ৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার দিরহাম পর্যন্ত রয়েছে বলে জানান।
এই জীবাণুমুক্তকরণ ইলেকট্রিক কেভিন উদ্ভাবক এবং ডিজাইনার বাবকো গ্রুপের চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ ও ফরিয়াদুল ইসলাম প্রকাশকে এ গর্বিত কাজের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।
করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে জন জীবনকে বাঁচানোর লক্ষ্যে এই পদ্ধতিটি এখন মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে তারা উল্লেখ করেন। সূত্র: আমিরাত সংবাদ
বিডি প্রতিদিন/কালাম