করোনাভাইরাসের কারণে কানাডার শ্রমবাজারেও মন্দাভাব বিরাজ করায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর খেসারত দিতে হচ্ছে গ্র্যাজুয়েশনের পরই কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের। উদ্ভুত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ‘স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি’ প্রদার্নের শর্ত শিথিল করার দাবিতে ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার টরন্টোতে কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড’র অফিসের সামনে বিক্ষোভ করলেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। এটি ছিল লাগাতার কর্মসূচির সূচনা।
বিক্ষোভকারিরা কানাডার অভিবাসন আইন পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। শ্রমবাজার ঘুরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার শর্ত শিথিলের দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কারণ, বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে বিদ্যমান শর্ত পূরণ করা একেবারেই অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন। ‘মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স এলায়েন্স ফর চেইঞ্জ’র অন্যতম সংগঠক সারো রোহ বলেন, করোনা মহামারি সামগ্রিকভাবেই প্রভাব ফেলেছে আর্থিক কর্মকাণ্ডেও। এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও কানাডার চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন না। এজন্যে তারা গ্র্যাজুশেয়নও সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছেন না। তিনি উল্লেখ করেন, করোনার কারণে কানাডার লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা আয়-রোজগারে সক্ষম হচ্ছেন না। এমনি অবস্থায় অভিবাসী শিক্ষার্থীরাও কাজ সংগ্রহ করতে পারছেন না। কাজ ছাড়া কেউই স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে কানাডা অভিবাসন দফতরে আবেদনও করতে সক্ষম হচ্ছেন না। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্কপারমিটও নবায়নের ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা যদি বেকার থাকেন তাহলে কানাডায় অবস্থানের সুযোগ পাবেন না। অভিবাসন এজেন্টরা তাদেরকে গ্রেফতার করে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করেন বিক্ষোভকারিরা। এ অবস্থার অবসানে শিক্ষার্থীরা প্রাদেশিক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আপদকালীন সময়ে বেকার শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ক পারমিট নবায়নের রীতি পুনর্বহালের জন্যে। মানবিক কারণে হলেও এটি করা দরকার বলে তারা মনে করছেন। এমন একটি অনলাইন আবেদনেও স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। শনিবার বিকেল নাগাদ ১৮ হাজার সাক্ষর পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা