১২ মে, ২০২১ ১২:১৯

স্লোভেনিয়ায় ঈদ বৃহস্পতিবার

স্লোভেনিয়া প্রতিনিধি:

স্লোভেনিয়ায় ঈদ বৃহস্পতিবার

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবে মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া। 

২০১৮ সালের জনগণনা অনুযায়ী ৭,৮২৭ বর্গমাইলের দেশ স্লোভেনিয়ার মোট জনসংখ্যা ২১ লক্ষের কাছকাছি। যদিও সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটির শতকরা ৭৩.৪ ভাগ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী তবে দেশটিতে বর্তমানে ক্যাথলিক চার্চের প্রভাব তেমন একটা চোখে পড়ে না। ক্যাথলিক খ্রিস্টানিটির পর দেশটিতে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের ধর্ম ইসলাম। দেশটির মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩.৭ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন যাদের বড় অংশ বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, মেসিডোনিয়া ও কসোভো থেকে যুগোস্লাভিয়া শাসনামলে দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। 

এছাড়াও দেশটির স্থানীয় জনসাধারণের মাঝেও অনেকে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেন। স্লোভেনিয়াতে বসবাসরত মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ একটি প্রধান উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়।

করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ এখনও স্লোভেনিয়া থেকে পুরোপুরিভাবে কেটে যায়নি। রাজধানী লুবলিয়ানাতে অবস্থিত দেশটির একমাত্র সরকারি মসজিদ লুবলিয়ানা মসজিদে তাই এবার অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে ঈদ জামায়াতের ঘোষণা দিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সাপেক্ষে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ ঈদ জামায়াতে অংশ নিতে পারবেন, সাধারণ মুসল্লিদেরকে উক্ত ঈদ জামায়াতে অংশ নেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। 

ভাইরাসের সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে তাই ইসলামিক কমিউনিটি অব স্লোভেনিয়ার পক্ষ থেকে তাদের সকলকে বাসায় নিজ পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি ফজরের নামাজ ও সূর্যোদয়ের ৪৫ মিনিট পর দুই রাকাআত নফল নামাজের মাধ্যমে মুসল্লিদেরকে বিশেষ মোনাজাতের আহবান জানিয়েছে ইসলামিক কমিউনিটি অব স্লোভেনিয়া।

স্লোভেনিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলী তৌসিফ রহমান জানিয়েছেন, "প্রায় অর্ধশতাব্দীর প্রচেষ্টার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্লোভেনিয়ার ইতিহাসে সরকারিভাবে কোনো মসজিদের উদ্বোধন হয়েছে তবে দুর্ভাগ্যবশত করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা এখনও সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করার সুযোগ পায়নি।" 

তিনি আরও বলেন, "ঈদের নামাজ ছাড়া ঈদ আনন্দ সেভাবে পূর্ণতা লাভ করে না। তাই আল্লাহ তা'আলার কাছে ফরিয়াদ জানাই খুব দ্রুত পৃথিবী থেকে যাতে করোনার এ মহামারি তান্ডবের অবসান ঘটে এবং পৃথিবী যাতে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। পাশাপাশি আমি সবাইকে তার অবস্থান থেকে একটি আহ্বান জানাতে চাই যাতে আমরা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি।”

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর