সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে ধারাবাহিক সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে লন্ডনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার ডাকে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশ। পূর্ব লন্ডনে আলতাব আলী পার্কে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই প্রতিবাদ সভা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শতাধিক মানুষ সমমনা বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে এসে জড়ো হন। প্রতিবাদ সভায় গণসংগীত ও প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন যুক্তরাজ্য উদীচী ও সত্যেনসেন স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস। সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কবিতা আবৃত্তি করেন যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সদস্য বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী মুনীরা পারভীন।
সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুবি হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনসার আহমেদ উল্লাহ, যুক্তরাজ্য কমিটির সহ সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশা, যুগ্ম সম্পাদক স্মৃতি আজাদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি হরমুজ আলী, যুক্তরাজ্য সিপিবির সম্পাদক কমরেড আবেদ আলী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি রফিকুল হাসান খান, সত্যেন স্কুলের সভাপতি গোপাল দাশ, সেকুলার বাংলাদেশ মুভমেন্টের সভাপতি কাউন্সিলর পুষ্পিতা গুপ্তা, সাধারণ সম্পাদক সাহিত্য পাল।
এছাড়াও প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু এসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি প্রশান্ত পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক সুজিত চৌধুরী, যুক্তরাজ্য জাসদ সহসভাপতি মুজিবুল হক মনি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স কাউন্সিল ইউকের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাশ, বি হিউম্যান ফাস্ট মুভমেন্টের সভাপতি অজন্তা দেব রায়, মানবাধিকার নেতা সলিসিটর সৈয়দ ইকবাল, ব্যারিস্টার সৈয়দ রুম্মান, ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত দাশগুপ্ত, বারিস্টার কামরুল হাসান তুষার, জাসদ নেতা সাবুল শামসুজ্জামান, মাহমুদুর রহমান শাহনুর, ইউনাইটেড হিন্দু কালচারাল এসোসিয়েশনের সভাপতি গণেশ ঘোষ, মানবাধিকার নেতা সলিসিটর সাইদুজ্জামান সাঈদ, মোস্তফা কামাল মিলন, লেবার পার্টির নেতা মুরাদ কোরেশি, নারী নেত্রী সৈয়দা নাজনীন শিখা, হিন্দু ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের তপন মণ্ডল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুক্তরাজ্য শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির আখতারুজ্জামান এবং বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া নারকীয় তাণ্ডবের প্রতি ঘৃণা জানাতে তারা কোন দল বা সংগঠন নয় বরং মানুষ হিসেবে এখানে সমবেত হয়েছেন। রাজনৈতিক দোষারোপ ও সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি এবং প্রগতিশীল শক্তিসমূহের অনৈক্যের কারণে বারবার সুবিধা আদায় করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং একটি নির্দিষ্ট সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী।
রামু, নাসির নগর, শাল্লাসহ অতীতের কোনো সাম্প্রদায়িক আক্রমণের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় বক্তারা গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভা থেকে অবিলম্বে ধর্মের নামে সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা ও সংখ্যালঘু সংরক্ষণ আইন পাশ ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
