জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাই কমিশন নয়াদিল্লি বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করে।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার প্রায় ১ মাস পরে আজকের এই দিনে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু করে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এ সময়ে নেতৃত্ব দেন দূতাবাসের মান্যবর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য প্রটোকল মেনে অনুষ্ঠানমালায় অন্যান্য কর্মসূচিতে ছিল দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান।
বিকেলে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময়ে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ রাষ্ট্রপতির বাণী ও মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. এ. কে. এম. আতিকুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হেড অব চ্যান্সেরি মো: শফিউল আলম। এ সময়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় যাতে স্থান পায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নয়াদিল্লি ও ঢাকায় বিভিন্ন সমাবেশের দুর্লভ চিত্র।
সবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য এবং কারাগারে নিহত জাতীয় ৪ নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে এক দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মান্যবর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন