২৮ মে, ২০২৩ ১৪:৪২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীনতা দিবস ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

নাইম আবদুল্লাহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার স্বাধীনতা দিবস ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

সিডনিতে ‘ফিরে চল মাটির টানে শ্লোগানে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস ও বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সিডনির ইঙ্গেলবার্নের গ্রেগ পার্সিভাল কমিউনিটি সেন্টার হলে স্বাধীনতা দিবস ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়।

জাহিদ মাহমুদ ও লিঙ্কন শফিউল্লাহর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত সমস্বরে গেয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শুরু হয়। এরপর মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কামরুল মান্নান আকাশ তার উদ্বোধনী বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা গৌরবোজ্জ্বল দিনটি হলো আমাদের স্বাধীনতা দিবস। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সরাসরি বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে লেখা রয়েছে।

তিনি আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি হলের ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে দুঃখ প্রকাশ করে আগামীতে আরও বড় ভেন্যুতে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোস্তফা আবদুল্লাহ। বাংলাদেশের সিডনিস্থ কনসুলেট জেনারেল মো. শাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমারই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যালামনাই হিসেবে আজকে আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরেছি। এখানে রয়েছে আমার প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই-বোনেরা, আছে আমার বন্ধুরা এবং ছোট ভাই বোনেরা। মনে হচ্ছে আমি যেন আবার সেই দিনগুলোতে ফিরে এসেছি।

সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনায় অ্যাসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সিরাজুস সালেকিন উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানান।

সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনার করেন নুসরাত জাহান স্মৃতি। দুই পর্বের এই আয়োজনে প্রথমটিতে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইয়ের সন্তানদের নিয়ে পর্ব। এই পর্বে গান, নাচ ও ফ্যাশন শো। অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে ওঠা প্রজন্মদের এই পর্ব সকলকে মাতিয়ে রাখে। গান পরিবেশন করে সাফিনা জামান। নাচে অংশ নেয় তাশফিয়া শফিক ঈশিকা, তারা হুদা ও সাফিনা জামান। ফ্যাশন শোতে অংশ নেয় ইশান বিশ্বাস, নিয়ন আহমেদ, সৈয়দ তাইসির আলম, প্রান্তিক হক, প্রতীক হক, ফারহান শফিক প্রিয়, পূর্বা, সুমাইয়া রাফা, নাফিয়া নাঈম, মিলি ইসলাম ও ড. রফিক ইসলাম। আর এই পর্বের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নুসরাত হুদা কান্তা, নার্গিস বানু ও সাকিনা আক্তার।

দ্বিতীয় পর্বে অ্যালামনাই পরিবারের সাংস্কৃতিক আয়োজনে কবিতা আবৃত্তি করেন হায়াৎ মামুদ, মাফরুহা আলম, পলি ফরহাদ, সিন্থিয়া রহমান, শহিদুল আলম বাদল। সংগীত পরিবেশনায় তামিমা শাহরীন, শরিফা সুলতানা মুন্নী, নভেরা নুসরাত ইলোরা, সাব্বির বিন শহিদ, মাসুদ মিথুন ও শুভ্রা মুস্তারিন। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন অর্পিতা সোম চৌধুরী।

সাংস্কৃতিক পর্বের পর অ্যালামনাইয়ের পরিচালনা পরিষদের উপস্থিত সকল সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক বাদল। সবশেষে রাতের খাবারের নিমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহায়তায় ছিলেন রফিক উদ্দিন। তত্ত্বাবধানে ছিলেন খাইরুল হক চৌধুরী, মো. হালিমুস্সান, মো. হাদী, গোলাম মাওলা, সেলিম মমতাজ, তানিয়া ফারজানা, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, মুনির বিশ্বাস ও নাজমুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মাহাদী ও আত্ত্বাবুর রহমান। তবলায় সঙ্গ দেন বিজয় সাহা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর