ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন আগামী বছরের শুরুর দিকে ডিসঅ্যাবিলিটি বেনিফিট পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করেছে। এই প্ল্যান গেট ব্রিটেন ওয়ার্কিং হোয়াইট পেপারের একটি অংশ। এই হোয়াইট পেপারের টার্গেট হলো আরও বেশি লোককে চাকরির আওতায় আনা এবং এমপ্লয়মেন্ট সাপোর্ট সিস্টেম সংস্কার করা।
লেবার পার্টির সরকারের টার্গেট হলো এমপ্লয়মেন্ট হার বর্তমানের ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮০ শতাংশে উন্নীত করা। নতুন পলিসির মধ্যে রয়েছে ইউকে জব কেন্দ্রগুলোকে একটি বেনিফিট মনিটরিং এজেন্সি থেকে নতুন গঠিত ন্যাশনাল জবস অ্যান্ড ক্যারিয়ার সার্ভিসে ট্রান্সফার করা। বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা কমাতে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা মোকাবিলাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে হেলথ অ্যান্ড ডিসঅ্যাবিলিটি বেনিফিট সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বেশি মানুষকে কাজের আওতায় আনাসহ মানুষের হেলথ রিলেটেড ইস্যুগুলো সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হবে।
ডিডব্লিউপি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের স্প্রিংয়ে একটি নতুন পরামর্শ দেওয়া হবে। এতে বেনিফিট দাবিকারীদের বলা হবে যে ডিসঅ্যাবিলিটি ব্যক্তিদের অবস্থার ওপর নির্ভর করে বেসিক বেনিফিটের কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না। এ ছাড়া তাদের বেনিফিটকে উপেক্ষাও করা হবে না। ডিডব্লিউপি বর্তমানে প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন মানুষকে পারসোনাল ইন্ডিপেন্ডেন্স পেমেন্ট (পিআইপি) দেয়। এই পেমেন্টধারীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি মাসে ৩৩ হাজার মানুষ নতুন করে পিআইপি পেমেন্ট দাবি করছে। এই বিষয়টিও এড্রেস করা হবে।
বার্মিংহাম লাইভ রিপোর্ট জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে ফাইন্যান্স সাপোর্টকে ভাউচার একটি সবুজ কাগজ ভাউচার, গ্রান্ট বা কেনাকাটার ক্যাটালগ দিয়ে রিপ্লেস করা হয়।
ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন সেক্রেটারি লিজ কেন্ডাল বলেন, অসুস্থতা এবং অক্ষমতার বেনিফিটগুলো সংস্কারের জন্য আমাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা সামনে রাখা হবে। আমরা শিগগিরই এই বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, পিআইপি পেমেন্টের ব্যয় আগামী পাঁচ বছরে ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানের ২১.৬ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে বেড়ে ৩৫.৩ বিলিয়ন পাউন্ড হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই