শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:০৮, শনিবার, ০৬ জুন, ২০২০

সাম্য চিন্তক সোমেন চন্দ ও গল্পের নামকরণ

প্রণব মজুমদার
অনলাইন ভার্সন
সাম্য চিন্তক সোমেন চন্দ ও গল্পের নামকরণ

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি সবে। ফলাফলের জন্য অপেক্ষা। তিন মাস প্রতীক্ষা। এ সময়ে বরিশাল থেকে চাঁদপুরে এলেন অবিভক্ত বাংলার প্রখ্যাত প্রগতিশীল নেত্রী মনোরমা বসু মাসিমা। উঠেছেন আলীম পাড়ায় আমাদের নিকট প্রতিবেশি রেনু কণা রায় চৌধুরীর বাড়ীতে। সাম্যবাদের মন্ত্রে দীক্ষিত মাসিমার বোনের মেয়ে রেনু কনা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সম্মেলেনে প্রধান অতিথি হয়ে আসা মাসিমা সে যাত্রায় ছিলেন বেশ কিছুদিন। প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর নানা অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা তিনি। খেলাঘর করি। আলীম পাড়া ঐক্যতান খেলাঘর আসরের কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাসিমার সঙ্গে পরিচয়। তা করিয়ে দেন মাসিমার নাতনী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী বিউটি রায় চৌধুরী। বিউটিদি মাসিমাকে বলেছিলেন, দিদিমা প্রণব ভালো গল্প লেখে। ওর লেখা ছাপা হয় জাতীয় পত্রিকায়! মাসিমা আমাকে আদরে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। বললেন ভালো গল্প লিখতে চাইলে সোমেন চন্দের গল্প পড়বে। মাসিমার কাছেই সোমেন চন্দ নামটা প্রথম শুনি। পড়াশুনার দ্বিতীয় ধাপ পেরিয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ঢাকায় চলে আসি আশির দশকের শুরুতে। উইলস লিটলস ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষিকা ও প্রাবন্ধিক নিবেদিতা দাশ পুরকায়স্থ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক অভিনয় কুমার দাশের মেয়ে উপমাকে পড়াই। আরামবাগে তাঁদের বাসায় গল্প ও উপন্যাস পাঠে অতি মনোযোগী এই শিক্ষিকা। গল্প লেখার আমার অভ্যাস আছে জেনে বাংলা কথাশিল্পের রচনাগুলো নিয়ে ওনার সঙ্গে সে সময় প্রায়ই আলোচনা হতো। নিবেদিতা বৌদির কাছে সোমেন চন্দের গল্পের বেশ প্রশংসা শুনতে পাই। প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী আমি! ধীরে ধীরে সাম্যবাদের দর্শন আনন্দে ঝুঁকে পড়ি! গদ্য লেখায় আমার আগ্রহ বাড়ে। শ্রমজীবী, গরীব, নিঃস্ব, বঞ্চিত এবং নিপীড়িত মানুষের কষ্ট ও বেদনা আমার লেখার উপজীব্য! বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি নাটক, প্রবন্ধ এবং গল্প লেখাও আমার জীবনের সঙ্গে যুক্ত হয় প্রবলভাবে। বৌদির প্রেরণায় পাঠ্যভাসের মাধ্যমে সোমেন চন্দকে আবিস্কার করি একজন সাম্য চিন্তনের গল্পকার হিসেবে।

আমার প্রথম পাঠ বনস্পতি ও সিগারেট। সোমেন চন্দের গল্প দু’টি পড়ে বেশ প্রাণিত হই। উচ্ছ্বাস ও আবেগের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিলো যে হল জীবনে লিখে ফেলি তাঁকে ঘিরে অনুভতির একটি ছোট গল্প, যার নাম দিয়েছিলাম সোমেন চন্দ্র । গল্পের নায়ক সুকু শিক্ষিত একজন কারখানা শ্রমিক। ন্যায্য দাবী আদায়ে কারখানার মধ্যে শ্রমিকদের নিয়ে মিছিল সভা করে। সংঘবদ্ধ শ্রমিকের নেতৃত্বে সুকু। শিল্পাঞ্চলে মালিকদের সঙ্গে কর্মজীবীদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক নিয়ে দফায় দফায় সুকুর দেন দরবার ! কখনও সুকু জয়ী হয়! বেশিরভাগ সময় সে ব্যর্থ!  যে কারখানায় সুকু কাজ করে সেখানে তাঁর ন্যায্য মজুরি থেকে সে বঞ্চিত ! অথচ সহকর্মীদের মজুরি আদায়ের ব্যাপারে সে বেশ সোচ্চার। শিল্প মালিক আমজাদ চৌধুরীর সুন্দরী শিক্ষিতা তরুণী কন্যা কেয়া চৌধুরী। নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে সহকর্মীদের প্রতি গভীর ভালোবাসার বিষয়টি কেয়াকে অবাক করে দেয়! শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরির জন্য শ্রমিক নেতা সুকুর আন্দোলনকে মৌন সমর্থন দেয় কেয়া। কারখানার কাজে আমজাদ চৌধুরীর বাসায় আসা যাওয়া সুকুর! এ সময় ড্রয়িং রুমে মাঝে মাঝে সুকুর সঙ্গে কেয়ার সাক্ষাৎ হয়! আস্তে আস্তে তা ভালোলাগার দিকে গড়ায়। কেয়া দুর্বল হয়ে পড়ে সুকুর প্রতি। সোমেন চন্দ গল্পের কাহিনী গড়ায় অবশেষে প্রেমের দিকে! কিন্তু সে ভালোবাসা পরিণতির দিকে এগোয় না! গল্পটি লিখেছিলাম সাদা একটি কাগজে। হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের পড়াশুনা! স্নাতক সম্মান তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ধারাবাহিক চাপ ছিলো আমার। পুনরায় লিখে ডাকে বিচিত্রা পত্রিকায় গল্পটি পাঠাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামাঙ্কিত খাতার লিখিত গল্পের সেই ছেঁড়া কাগজটি খুঁজে পাইনি। হয়তো পুরানো দৈনিক পত্রিকার স্তুপের ভেতর আমার সোমেন চন্দ হারিয়ে গিয়েছিলো সেদিন! খুব আফসোস হয় তখন লিখিত গল্পটি না পাবার কষ্টে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জীবন শেষ করে যুক্ত হই ঢাকায় মূলধারার অর্থনীতি প্রতিবেদন সাংবাদিকতায়। আমার সাহিত্য চর্চা অনেকটা কমে আসলো। কিন্তু পাঠাভ্যাস বেড়ে গেলো পেশার কারণে। সাহিত্য নিয়ে তেমন লেখালেখি এ সময় না হলেও বিশেষ করে গল্প উপন্যাস পড়া থেকে বিচ্যুত হইনি। পরিণত বেলায় সন্ধান করে বেড়াই সোমেন চন্দের গল্পসমগ্র। বইমেলায় ১৯৯৬ সালে পেয়ে যাই ১৭টি গল্পের দুর্লভ সংকলন সোমেন চন্দের গল্পগুচ্ছ। পড়ে ফেলি মাত্র ৫ বছর আয়ুষ্কালে লেখা বাস্তববাদী ও বক্তব্যধর্মী ২৮ গল্প, ২টি উপন্যাস, ২টি নাটক এবং কিছু কবিতার মননশীল লেখক সোমেন চন্দের কিছু গল্প। যা অবিভক্ত বাংলার সেরা সৃষ্টি হিসেবে অভিহিত। সোমেনের গল্পগুলোর কাহিনী ও দর্শন যেন মর্তলোকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার যাপিত জীবনের চিরসত্য দৃশ্যমান বাস্তবতা। তাঁর গল্প বলার ভঙ্গি সহজ সরল এবং প্রতীকী। গল্পে কোনো ঘোরপ্যাঁচ যেমন নেই, তেমনি নেই ভাষাগত বা আঙ্গিকাশ্রয়ী কোনো জটিলতা। সংসার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তিনি গভীর অর্থবোধক বর্ণনা এবং সংলাপে। ইঁদুর, দাঙ্গা ও প্রত্যাবর্তন গল্প শ্রবণ আমাকেও ভাবিয়ে তোলে।

'দাঙ্গা' গল্পে দাঙ্গার বেশ ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে সাবলীলভাবে। পুরোপুরি অন্য রকম গল্প। দুটো ছেলে। একজন কোমর থেকে ছোরা বের করে একটা লোকের পেছনে বসিয়ে দেয়, তারপর বোঝা গেল দাঙ্গার সূত্রপাত। অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গল্প এগোয়। দাঙ্গা শুধু ক্ষয়ক্ষতিই করে না, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ সৃষ্টি হয় না, গভীর একটা ক্ষত তৈরি করে, যা শুধুই অশান্তি! যে ক্ষত হয়তো জীবনে আর পূরণ হয় না। দাঙ্গার অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে খ্যাতিমানদের অনেক গল্প রয়েছে। কিন্তু সোমেনের দাঙ্গা গল্পের বিষয়টি ভিন্ন, অভিনব ও বৈচিত্র্য। গল্পে অজু যখন কর্কশ কণ্ঠে বলে- তোমরা তো বলবেই ... তারপর মৃদুস্বরে..., আমরা হিন্দুও নও, মুসলমানও নও ..., আমরা ইহুদির বাচ্চা না রে? অশোক হা-হা করে হেসে বলে, সার্চ হোক বা না হোক, তাতে উল্লাস করারই বা কী আছে, দুঃখিত হবারই বা কী আছে, আসল ব্যাপার হলো অন্য রকম, দেখতে হবে এতে কার কতখানি স্বার্থ সম্পৃক্ত। দাঙ্গায় যে কার লাভ হয় তা তো কেউ বুঝতে পারে না কিন্তু ক্ষতি যাদের হয় তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারে না। অশোকের বাবা আর ফিরে আসেনি, মায়ের মলিন মুখটা আরো করুণ হয়ে ওঠে, ফিসফিসিয়ে মা বলে, ‘তাছাড়া আজ আবার মাইনে পাবার দিন’। গল্পে দাঙ্গার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট এবং তা থেকে উদ্বেগের একটা চিত্র উঠে এসেছে। অশোকের মতে, বিশ্বে যত দেশে দাঙ্গা হচ্ছে, তা সবই ফ্যাসিস্টদের কাজ, বড়লোকদের দালাল সবাই, শুধু বলি হয় সাধারণ মানুষ এবং তারা তাদের হাতের পুতুল হয়। মানুষ শুধু অন্যের প্ররোচণায় দাঙ্গায় জড়ায়, কিন্তু ফলাফল শূন্য, মাঝখানে মুনাফা লুটে নেয় মহাজন।

প্রত্যাবর্তন গল্পে দুই বন্ধুর দীর্ঘকাল পরে প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ দিয়ে গল্পটির সূচনা। ২৫ বছর পরে নিজ গ্রামে ফিরে আসে প্রশান্ত। অনেক পরিবর্তন চোখে পড়ে যায় তার, তাদের বাড়ির ভগ্নদশা দেখে মন তার খারাপ হলেও কালু মিয়ার সঙ্গে এক রাতে দেখা হলে সবই যেন ভুলে যায় সে। বাল্যকালের বন্ধু, অনেক স্মৃতি লেপ্টে আছে ওর সঙ্গে, পুরনো হলে বন্ধু সে তো বন্ধু, কালু মিয়া দরিদ্র কিন্তু এতটাই গরীব যা প্রশান্ত তা ভাবতে পারেনি কখনো, ওর ছেলে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে, কালুও তো একটা দুর্ভিক্ষের কঙ্কালসার অস্থি নিয়ে দাঁড়িয়ে। গল্পে যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, তা উপমার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট। মানুষের খাদ্য হরণ করছে পুঁজিপতিরা, ওরা কেড়ে খাচ্ছে দরিদ্রের খাদ্য। এভাবে বুর্জোয়া সমাজ প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের রক্ত-মাংস খেয়ে ফুলে ফেঁপে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে, আর নিম্নবিত্ত বা বিত্তহীন মানুষ হচ্ছে নিঃস্ব। মানুষে মানুষে বিরাজমান এ বৈষম্য সদ্য যুবক সোমেন চন্দের চিন্তনে গভীর ছায়া ফেলে। তাই তিনি তাঁর গল্পগুলোতে শ্রেণি প্রভেদের সে বক্তব্য গদ্যের কারুকাজে স্পষ্ট করেছেন পাঠকের কাছে।

প্রত্যাবর্তন গল্পের মতো 'ইঁদুর' গল্পটিও প্রতীকধর্মী। এখানেও দরিদ্র মানুষের কথাটি বেশ উচ্চঃস্বরেই উঠে এসেছে, বুর্জোয়া শ্রেণী দিন দিন কীভাবে ইঁদুরের মতো কুরে কুরে আমাদের সমাজ-সংস্কার আর সভ্যতাকে নিঃশেষ করছে, তারই ইঙ্গিত সোমেন প্রতীকের মতো গল্পে তুলে ধরেছেন। অভাব-অভিযোগ মানুষের লালিত স্বপ্নকে বিবর্ণ করে ফেলে, নিম্নমধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত অথবা বিত্তহীনকে বুর্জোয়া বা পুঁজিবাদ দমিয়ে রাখে, তার রোষানলে দলিত-মথিত হতে হতে একদিন সে ইঁদুরের খাবারে পরিণত হয়। গল্পে সুকুমার এমন একটি চরিত্র, যার মা-বাবা, ভাইবোন সবই আছে, আছে অভাব, স্বপ্ন হারানো এক হতাশা! তাকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়, দিন দিন সংকুচিত করে, সে বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। কিন্তু নিয়মিত এই পরিবারের মানুষদের ওই একটা বুর্জোয়া ইঁদুর তাড়া করে বেড়ায়, সুকুমার আড়ষ্ট থাকে, মা ভয়ে তটস্থ সবসময়, একটা শঙ্কা একটা অপরাধবোধ তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়, অভাবী পরিবারটি বাড়তি খরচা হিসেবে একটা ইঁদুর ধরার কল কেনার কল্পনাও করতে পারে না। তারপরও তারা ইঁদুরের সঙ্গে যুদ্ধ করে, সাম্রাজ্যবাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত ইঁদুরের যে উৎপাত, তা হয়তো কখনো নিবৃত্ত হবে না। অভাবে মানুষ পুষ্টিহীন হচ্ছে, অনাহারে দিন দিন তার শরীরের মাংস ঝরে যাচ্ছে, জীবন থেকে স্বপ্ন-বাসনা একটু-একটু দূরে সরে যাচ্ছে, ইঁদুর গল্পে এই বোধ সোমেনের ভাবনাকে সুদূর প্রসারিত করেছে। ইঁদুর যখন লেখা হয় তখন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসন চলছে, সে সময় নানা পর্বে দেশজুড়ে স্বাধীনতার জন্য চলছিল সক্রিয় আন্দোলন। গল্পে সংসারে অভাব-অনটনের চিত্র শিল্পরূপ পেয়েছে শ্রেণি চরিত্রহীন মধ্যবিত্তদের সার্বিক অবস্থা লেখক তুলে ধরেছেন এভাবে- ‘এরা কে জানো? এরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বটে, কিন্তু এরা না খেয়ে মরে! যে ফুল অনাদরে শুকিয়ে ঝরে পড়ে মাটিতে এরা তাই। এরা তৈরী করেছে বাগান, অথচ তারা ফুলের শোভা দেখে না। পেটের ভিতরে সুঁচ বিঁধেছে প্রচুর, কিন্তু এদের ভিক্ষাপাত্রও নেই। পরিহাস! পরিহাস!...।’

ইঁদুর গল্পে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের অনটনের দিকগুলো এসেছে সরাসরি বেশ সাবলীলভাবে চরিত্রের প্রয়োজনে। আমাদের এই স্বপ্নহীন বন্ধ্যা সময়ে সোমেন চন্দের গল্পের নায়ক সুকুমার দৃপ্ত প্রত্যয়ে আলোর পথ দেখায়। হতাশার বদলে সে শোনাতে পারে আলোর গান। সুকুমার বলে- ‘ইতিহাস যেমন আমাদের দিকে মোড় নেয়, আমিও ইতিহাসের দিকে মোড় নিলুম। আমি হাত প্রসারিত করে দিলুম জনতার দিকে, তাদের উষ্ণ অভিবাদনে ধন্য হলুম। তাদেরও ধন্যবাদ যারা আমাকে আমার এই অসহায়তার বন্ধন থেকে মুক্তি দিয়ে গেছে। ধন্যবাদ, ধন্যবাদ! গল্পের শেষের দিকে সুকুমারের ক’জন বন্ধুর পরিচয় ঘটে পাঠকের সঙ্গে। যারা শ্রেণি সংগ্রামি। মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যারা আত্মোৎসর্গ করছে। কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে তারা বলতে চায় ‘একদিন এ সংগ্রাম সফল হবেই, মানুষে-মানুষে বৈষম্য থাকবে না। গল্পের পরিণতিতে- ‘ব্যাপার আর কিছুই নয়, কয়েকটা ইঁদুর ধরা পড়েছে।’ বাক্যটি দিয়ে সঞ্চিত ক্ষোভের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই ধরনের হাজারো ক্ষোভ বর্তমান বিশ্বে ৯৯ শতাংশ মানুষের। বন্ধুদের মতে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল হতে পারে শোষিতের সংগ্রাম।

সাহিত্য বোদ্ধারা বলেন, ইঁদুর বাংলা সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যে একটি সার্থক ছোট গল্প। জনপ্রিয় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, সোমেন চন্দের ইঁদুর গল্প তাঁকে বেশ উদ্বুদ্ধ করেছিলো সাহিত্য অঙ্গনে আসতে। গল্প ইঁদুর পাঠের ব্যাপক প্রভাব পড়ে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস নন্দিত নরকে এবং শঙ্খনীল কারাগার সৃষ্টিতে।

১৯৩৭-১৯৪২ মোট পাঁচ বছর ছিলো সোমেন চন্দেরর সৃষ্টির ব্যপ্তিকাল। প্রথম দু’বছর তিনি রোমান্টিক ধারায় লিখলেও পরের বছরেই তিনি নিজেকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রোমান্টিক ভাবধারার বদলে তাঁর সাহিত্যকে তিনি করেছিলেন জীবনমুখী। রচনা, চরিত্র এবং উপমার দিক থেকেও প্রতিনিয়তই তিনি নিজেকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। সোমেন সাহিত্যের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা।

ছোটকাল থেকেই বইয়ের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ সোমেনের। পাঠাগারমুখী ছিলেন তিনি। প্রগতি ও মার্কসবাদী লেখক সোমেন চন্দ শ্রেণি শোষণের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ছিলেন। মুক্তির আকাঙ্খায় তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন যেমন রাজনৈতিকভাবে, তেমনি লেখনিতে।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ২১ এবং কথাশিল্পী সোমেন চন্দ ২২ বছর আয়ু পেয়েছিলেন। প্রগতিমনা দু’জনেরই অকাল প্রয়াণ! সুকান্তের মৃত্যু প্রথমে ম্যালেরিয়া পরে দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে। কিন্তু সোমেনের মৃত্যুটা ছিলো অপ্রত্যাশিত নিরোগে, দাঙ্গায় ঢাকার রাজপথে। তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি গল্প দাঙ্গার কাহিনীর মতোই তিনি বলিদান হন স্বদেশী রেভুলেশনরী সোশ্যালিস্ট পার্টি (আরএসপি) নামের উগ্রবাদী দলের সন্ত্রাসীদের হাতে। মাত্র ২২ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় তাঁকে। মৃত্যু ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মার্চ। জন্ম তাঁর ঢাকা জেলার নরসিংদীতে ১৯২০ সালের ২৪ মে। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন বাঙ্গালী এ দুই সাহিত্যিক। পরিণত বয়সে তাঁদের মৃত্যু হলে বিশ্ব সাহিত্য পরিমণ্ডলে তাঁরা শক্ত অবস্থানে স্থান পেতেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। আরও অনেক কিছু জমা করতে পারতেন বিশ্বসাহিত্য ভাণ্ডারে। বাংলা সাহিত্যে আজ তাঁরা অমর ও কালজয়ী মানুষ।

বাংলা সাহিত্যে ক্ষণজন্মা কথাশিল্পী সোমেন চন্দের সমৃদ্ধ লেখনি নিয়ে অনেক লেখা যায়। আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্য ভূবন তাতে আরও উন্নত হবে। লেখালেখি চর্চার সূচনা পর্বে যাঁর গল্প আমাকে করেছিলো বিমোহিত ও অনুপ্রাণিত সেই মহান ব্যক্তি সোমেন চন্দের ওপর গল্পটি পুনরায় লিখবো ভাবছি। স্বপ্নপুরুষ শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে নিয়ে লেখার গল্পটির কাহিনী একই রাখবো। সোমেন চন্দের শততম জন্মবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে পরম ভালোবাসায় আমার গল্পের নামকরণ থাকবে সেই সোমেন চন্দই। 

লেখক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
দেশে ফিরেছেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরেছেন আলী রীয়াজ

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

কানাডায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চায়নের ঘোষণা
কানাডায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চায়নের ঘোষণা

১৩ মিনিট আগে | পরবাস

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে বিসিবির বিশেষ আয়োজন
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে বিসিবির বিশেষ আয়োজন

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের
পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের

৩৫ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

খালি পেটে পানি পানের যত উপকার
খালি পেটে পানি পানের যত উপকার

৪৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ
ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসির সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ ১২ দলের বৈঠক আজ
ইসির সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ ১২ দলের বৈঠক আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পৃথিবীর  কাছাকাছি আসছে তিনটি গ্রহাণু, তবে ঝুঁকি নেই বলছে নাসা
পৃথিবীর  কাছাকাছি আসছে তিনটি গ্রহাণু, তবে ঝুঁকি নেই বলছে নাসা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পরিচয় গোপন করে চ্যাটের সুবিধা আনছে হোয়াটসঅ্যাপে
পরিচয় গোপন করে চ্যাটের সুবিধা আনছে হোয়াটসঅ্যাপে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ঢাকার বাতাস আজ কতটা বিষাক্ত?
ঢাকার বাতাস আজ কতটা বিষাক্ত?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঈমান ও ইসলামের পরিচয়
ঈমান ও ইসলামের পরিচয়

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

চাঁদপুরের যেসব এলাকায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ
চাঁদপুরের যেসব এলাকায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯ নভেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি
১৯ নভেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি
মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন