সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
পাঠকের লেখা

খুঁজে নিন ইতিবাচক দিক

খুঁজে নিন ইতিবাচক দিক

আপনাকে প্রায় জোর করে শীতসকালের কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে মা বাজারে পাঠাল আর আপনার বোকা বোকা চেহারায় আশ্বস্ত হয়ে মাছওয়ালা ধরিয়ে দিল বাজারের সবচেয়ে বাসি আর নিম্নমানের মাছ। যে মাছ বাসায় এনে স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় দফায় বকা হজম করতে হলো। অথচ একটু ইতিবাচক হলেই বুঝতে পারবেন যে, যেভাবেই হোক নিত্য বাজারে যাচ্ছেন বলেই এখনো কিছু বাজারের টাকা সরিয়ে দিব্যি সখিনার সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যেতে পারছেন।

জ্যামের কবলে পড়ে কিংবা নিজস্ব কোনো কারণে অফিসে আসতে আপনার লেট হয়। আর লেট হলেই ঝাড়ি। তবে একটু ইতিবাচক হয়ে ভাবলেই বোঝা যায় বড় কর্তাকে নিত্য নানা অজুহাত বানিয়ে বলতে বলতে একদিন আপনি ভালোমানের গল্পকার হয়ে যেতেই পারেন।

 

মাসের শুরুতে বেতন হাতে আসামাত্র বউ সব টাকা নিজের দখলে নিয়ে নেয়। প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার কালে গুনে গুনে শুধু বাস-রিকশা ভাড়াটা দিয়ে দেয়। যেন এক বন্দী জীবন। অথচ খানিকটা ইতিবাচক মনোভাব লালন করলেই বুঝতে পারবেন মহল্লার প্রতিটি চিপায়-চাপায় যেভাবে এই পার্টি সেই পার্টি কিংবা চোর-ছিনতাইকারী লুকিয়ে আছে তাদের থেকে নিরাপদ থাকতে কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে বউয়ের এই দখলকর্ম।

 

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য যে হারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে বাজারঘাটের পাশ দিয়ে যেতেও ভয়ে মন কেঁপে ওঠে আপনার। বাধ্য হয়ে বাজারে গেলেও মাছ-মাংস থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে শুধু শাক-সবজি নিয়েই বাসায় ফিরতে হয়। তবে একটু ইতিবাচক হলেই আপনার শরীরের পুষ্টিরক্ষায় এই নিরামিষভোজের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন।

— মুহসিন ইরম, সিরাজগঞ্জ সদর

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর