শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
অনন্য

পুঁতি কারিগর শেফালী রানী

দেশের বিভিন্ন স্থানে সুনিপুণ পুঁতির তৈরি এসব শোপিসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পুঁতিসহ বিভিন্ন উপকরণ তিনি ঢাকা থেকে কেনেন। অর্ডার নিয়ে বাড়িতে বসেই তৈরি করেন...

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর থেকে

পুঁতি কারিগর শেফালী রানী

অভাবী সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সুনিপুণ পুঁতির বিভিন্ন শোপিস তৈরি করে এক গৃহিণী বদলে ফেলেছেন তার ভাগ্যের চাকা। আকর্ষণীয় পুঁতি পণ্য তৈরির জন্য এলাকায় পুঁতি কারিগর হিসেবে পরিচিত শেফালী রানী রায়। প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও উদ্যমী এ নারী একটি কারখানা করে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এ কাজে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার স্বপ্ন দেখছেন। গৃহিণী হয়েও বিভিন্ন দোকানে অর্ডার নিয়ে এসব পুঁতির শোপিস তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি। তবে চাহিদা থাকা এসব তৈরি শোপিস বিক্রি করার একটি মাধ্যমও খুঁজছেন বলে জানান তিনি।

এসব পুঁতির শোপিস তৈরি ও বিক্রি করে যে কোনো গৃহিণী মাসে সাত-আট হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন। শুধু ইচ্ছা ও ধৈর্য থাকলে বাড়িতে থেকেই অভাবী সংসারকে ভালো রাখতে পারেন বলে মনে করেন তিনি।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহরের সেন্টারপাড়ার শেফালী রানী সংসার সামলে পুঁতির বিভিন্ন শোপিস তৈরি করেন। এখন তিনি অনেক গৃহিণীর কাছে মডেল।

সুনিপুণ পুঁতির শোপিস বাড়ায় ঘরের সৌন্দর্য। তার পুঁতির তৈরি শোপিসের মধ্যে টিস্যু বক্স, মহিলাদের মাথার ব্যান্ড, ভ্যানিটি ব্যাগ, চুরি, কাঁটা, বিভিন্ন প্রকার ফুল, কলা, আনারস, পুতুল, গোলাপফুল, মাছসহ ঘরে ঝুলানো ডোর বেল, ফুলদানি ইত্যাদি।

পুঁতি কারিগর খ্যাত শেফালী রানী রায় জানান, দুই বছর আগে এ কাজ নিজে নিজে শিখে তৈরি শুরু করেন। তার স্বামী বিশ্বনাথ রায় অসুস্থ। এরপর থেকে সংসার তাকেই দেখাশোনা করতে হয়। তার দুই মেয়ে। তারা ঢাকায় কলেজে পড়াশোনা করেন।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে সুনিপুণ পুঁতির তৈরি এসব শোপিসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অর্ডার নিয়ে বাড়িতে বসেই তৈরি করি। পুঁতিসহ বিভিন্ন উপকরণ ঢাকা থেকে ক্রয় করি। আর এসব শোপিস বিক্রি করে ভালোভাবে আমার সংসার চলছে। আমি মার্কেটিং করার একটা মাধ্যম পেলে এখানে বড় একটি কারখানা দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এই কারখানায় সমাজের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার পথ দেখাতে পারব।

সর্বশেষ খবর