ছাদবাগান নয়, যেন সবুজ প্রকৃতির পরিবেশ। দিনাজপুরের ছয়তলার ছাদে চার বছর বয়সের তেঁতুল বনসাই, আট বছরের বট বনসাইসহ ফুল ও ফুলের সমারোহের সবুজ প্রকৃতি গড়ে উঠেছে ছাদবাগানে। উদ্ভিদের সঙ্গে কাজ করতে করতে প্রকৃতি পরিবেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। পরিবেশের বন্ধু ও গবেষণার জন্য এমনই এক ছাদবাগান তৈরি করেছেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন। নিজের বাড়ির ছয়তলার ছাদে গড়ে তোলেন এই সবুজ প্রকৃতির পরিবেশ।
একটা-দুটা করে বসতবাড়ির ছাদে প্রকৃতির পরিবেশ গড়েন তিনি। মনের আত্মতুষ্টি ছাড়াও উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণায় এই ছাদবাগান তাকে সহায়তা করে। কয়েক দিনে অসময়ে তার গাছের আম খেয়েছেন। তাই দিনটা শুরু হয় এই ছাদবাগানের সবুজ মায়ায়। ছাদবাগানে আছে ফল, ফুল। শখের বশে গড়া এই ছাদবাগান এখন যেন তার গবেষণাগার।
ছাদের ওপরে সারিবদ্ধভাবে ফুল ও ফলের টবে মাটি ভরাট করে একটি করে ফুল ও ফলদ গাছ রয়েছে। বারো মাসই আম ধরে এমন কাটিমন জাতীয় গাছ রয়েছে। যেখানে দেখা যাবে একই গাছে এক ডালে আম আর অন্য ডালে মুকুল। অসময়ে ফল হয় এমন গাছও রয়েছে। কিছু ফলগাছ আছে যেগুলো সারা বছরই ফল ধরে। ছাদের উদ্ভিদগুলোর মধ্যে আম্রপালি, বারি-৪, কাটিমন বারো মাসি আম, তেঁতুল (বনসাই, চার বছর), বট (বনসাই, আট বছর), জাম, সাদাসহ তিন ধরনের জবা, গোলাপ, বরই, নয়নতারা, রংগন, থাই পেয়ারা, আমড়া, ড্রাগন ফল, পাতাবাহার, কামিনী ফুলসহ শতাধিক ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে।
দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও লেখক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিরাপদ ফল প্রাপ্তি সুবিধা নিশ্চিতকরণে অনেকে ছাদে বাগান তৈরির অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। একটা দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগান দিতে পারে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও পরিবারের চাহিদামতো নিরাপদ ফল। অবসর বিনোদনের প্রয়োজনে অনেক বৃক্ষপ্রেমিক ছাদবাগান সৃষ্টিতে আগ্রহী হন। সারা দেশে বিশেষ করে নগরে নগরে এমন করে ছাদবাগান তৈরি হলে কিছুটা হলেও প্রকৃতি সবুজের আবহ পাবে।