ঈদ আর পয়লা বৈশাখ উদযাপনে দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর বগুড়ার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে জেলার বিনোদন স্পটগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের দিন বিকাল থেকে শুরু হয়ে পরবর্তীতে বাংলা নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে বিনোদনপ্রেমীরা ঘুরে দেখেন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা। শনিবার পর্যন্ত এমন ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ঈদ ও পয়লা বৈশাখ উদযাপনে বগুড়ার যমুনাপাড়সহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে বাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়। ঈদের দিন বিকাল থেকেই বিনোদনপ্রেমীরা দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় করেন। বগুড়া শহরের বিনোদন পার্ক থেকে শুরু করে মমইন ইকো পার্ক, শখের পল্লী, মহাস্থানগড়, বেহুলার বাসরঘর কিংবা প্রেম-যমুনার ঘাটসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র দর্শনার্থী মুখর হয়ে ওঠে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে ঈদ আনন্দ।
সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর কালীতলা হার্ড পয়েন্ট, প্রেম যমুনার ঘাটসহ নদী তীরে এখনো উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে পুরো যমুনা পাড় মুখর হয়ে উঠেছে।
এসব এলাকায় মেলাও বসেছে। শুধু নদীর সৌন্দর্য উপভোগ নয়; নৌকায় নদী ভ্রমণ, নদী তীরে বসানো নাগরদোলাসহ বিভিন্ন খেলনা নির্মল আনন্দ দিচ্ছে। শহরের বাহিরে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়, গোকুলের মমইন ইকো পার্ক, সান্তাহারে শখের পল্লীসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় করছেন বিনোদনপ্রেমীরা। এ ছাড়াও শহরের খান্দার এলাকায় ওয়ান্ডার ল্যান্ড, শহীদ খোকন পার্ক, পৌর পার্কেও ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দর্শনার্থীর এ ঢল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
মহাস্থানগড়ের কাস্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানা জানান, ঈদের দিন থেকেই মহাস্থানগড়ের প্রত্ন নিদর্শন দেখতে দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। গত শুক্রবার মহাস্থান জাদুঘর, গোকুল মোড় ও গোবিন্দভিটায় প্রবেশ টিকিট বিক্রি করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের লাখ টাকার বেশি আয় হয়েছে। দর্শনার্থীদের পদচারণে শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।