পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজারের চেহারা বদলে দিয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ ৮০ কিলোমিটার দীঘ। এটি কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০১৭ সালের ৬ মে এটি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে এটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিল। তিনটি ধাপে মেরিন ড্রাইভটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার, দ্বিতীয় ধাপে শিলখালী থেকে টেকনাফ সদর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার ও শেষ ধাপে শিলখালী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়ক তৈরি করা হয়। এতে মোট খরচ হয় প্রায় ৪৫৬ কোটি টাকা। এর নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক বছর আগেই তা শেষ হয়। সড়কটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের ৮০ কিলোমিটার আগেই নির্মাণ শেষ হওয়ার পর এটিকে একেবারে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত সমুদ্রের কোলঘেঁষে ১৭০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সড়কে যুক্ত হয় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিদ্যমান ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। পরিকল্পনা রয়েছে এ সড়ক ঘিরেই মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠবে ছোট-বড় অসংখ্য রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। স্থানে স্থানে হচ্ছে ছোট ছোট সি-বিচ। এ মেরিন ড্রাইভ ঘিরে শুধু পর্যটনশিল্প থেকেই বছরে আয় করা সম্ভব হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত কাঁচা পণ্যের ব্যবসা। এছাড়া বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি বা সামুদ্রিক অর্থনীতিও উপকৃত হবে। সামুদ্রিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে সেটি কাজে লাগানো যেতে পারে এ মেরিন ড্রাইভ ব্যবহার করে। সমুদ্র থেকে যে পরিমাণ মৎস্য সম্পদ আহরণ করা হয় সেটি দ্রুততম সময়ে দেশের যে কোনো প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে শুধু মেরিন ড্রাইভের কারণে। এখানে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখছে এ সমুদ্রঘেঁষা সড়কটি। এ মেরিন ড্রাইভের কারণেই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকাগুলোর চেহারাও পাল্টে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় দেশের পূর্বাঞ্চলে একটি নতুন অর্থনৈতিক বেল্ট তৈরি হলো। সুরক্ষিত হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকা। এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল এলাকায়। এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ও দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ। বদলে যাবে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও। ওই অঞ্চলে কমবে বেকারত্ব। নানারকম কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে। এ মেরিন ড্রাইভ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নির্মাণাধীন চট্টগ্রাম বন্দর, বে-টার্মিনাল এবং সীতাকুন্ড উপকূলে প্রস্তাবিত মিনি বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায়ও এ মেরিন ড্রাইভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় মেরিন ড্রাইভের সুফল পাওয়া যাবে।
শিরোনাম
- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন
- দুই শিশুকে হত্যায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন
- সাইবার আইনের মামলায় বগুড়ার সাবেক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
- রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৮৪৬ মামলা
- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রংপুরে র্যালি ও আলোচনা সভা
- সরকারি অর্থে বিলাসবহুল বিমান ক্রয়, তোপের মুখে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন সানায়ে তাকাইচি
- নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে সোনাইমুড়ীতে মানববন্ধন
- চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে শ্রমিকের মৃত্যু
- কুলাউড়ায় গোগালি ছড়ার ব্রিজে মেরামত কাজ শুরু
- বিশ্বে প্রথম, রোবটের হাতে ব্রেন টিউমার সার্জারি সৌদিতে
- চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮
- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি চূড়ান্ত
- গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল, অভিযোগ কাতারের
- মোংলায় শ্যামা পূজা উপলক্ষে সনাতনীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়
- রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৬
- নারায়ণগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ
- নটিংহ্যাম ফরেস্টের নতুন কোচ শন ডাইচ, প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবেন পোর্তোর
- রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
বিশ্বের দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ
প্রতিদিন ডেস্ক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর