শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আপডেট:

মানবতাবাদী পিতার মমতাময়ী কন্যা

এ এস এম মাকসুদ কামাল
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মানবতাবাদী পিতার মমতাময়ী কন্যা

যাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মহান মানবতাবাদী, যিনি পিতার কাছে ছিলেন অতি আদরের ‘হাচু’- তিনি যে পিতৃ-আদর্শেই বড় হবেন তা বলাই বাহুল্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছায়াতলে বেড়ে ওঠা শেখ হাসিনা মানবিক বিশে^র রোল মডেল হিসেবে আজ সমাদৃত। অসহায় মানুষের হৃদয়ের বেদনা তিনি অনুভব করেন। বিলাসব্যসনহীন সহজ-সরল জীবনযাপন শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্য নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর মানবিক চিন্তার একটি সুস্পষ্ট ছাপ লক্ষ্য করা যায় স্বীয় কন্যা শেখ হাসিনার জীবন ও কর্মের বিশ্লেষণে।

মাদার তেরেসার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১০ সালের ৩ জুলাই ‘মাদার তেরেসা সেন্টার’-এর পরিচালক সিস্টার প্রেমার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সিস্টার প্রেমা মাদার তেরেসার সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি ছবির অ্যালবাম তাঁকে উপহার দেন। তিনি শেখ হাসিনার মানবিক গুণাবলির প্রশংসা করে বলেন, ‘মাদার তেরেসার মানবিক গুণাবলি ও কর্মকান্ডের সঙ্গে শেখ হাসিনার অনেক মিল রয়েছে।’

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীর অগ্নিকান্ডে স্বজন হারানো দুই বোনসহ মোট তিন মেয়েকে (রুনা-রত্না-শান্তা) নিজের মেয়ে হিসেবে বুকে টেনে নিয়ে এক অসাধারণ মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। স্বজন হারানোর ব্যথা তিনি নিজে উপলব্ধি করেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। শেখ হাসিনা নিজে গণভবনে অনুষ্ঠান করে স্বজনহারা মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বর-কনের উপহারসামগ্রী, ঘর সাজানোর সবকিছুই দেওয়া হয়। তিনি নিয়মিত তাদের খোঁজ নেন। নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২৭ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনাকে এতটাই মর্মাহত করে যার ফলে ২০১৩ সালে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের শয্যাসংখ্যা ৩০০-এ উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেন। ২০১৬ সালে চানখাঁরপুলে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’-এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনার মানবিক গুণাবলির সুনিপুণ দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে তাঁর ‘একানব্বইয়ের ডায়েরি’তে। ‘ওরা টোকাই কেন’ গ্রন্থের এ অধ্যায়ে তিনি ১৯৯১ সালে সমগ্র চট্টগ্রামে তথা উপকূলীয় বিশাল জনপদে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরেন। সাইক্লোন-পরবর্তী একজন মানবতার কর্মী হিসেবে তাদের দেখতে ছুটে যান এবং আশ্রয়স্থল হিসেবে পাশে দাঁড়ান মানবতার এই নেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আমি শুধু এটুকুই জানি এই বিপন্ন মানবতার পাশে গিয়ে আমাকে দাঁড়াতে হবে। এই হতভাগ্য মানুষদের জন্য আমি আর কিছুই করতে না পারি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত¡নার কথাটুকু তো অন্তত বলতে পারব।’ মানবসন্তান আর গো-শিশুর গলাগলি করে জড়িয়ে মরে পড়ে থাকার সেই বীভৎস দৃশ্য, গাছের শাখায় ঝুলে থাকা কিশোরী কিংবা গৃহবধূর লাশ মানবতার নেত্রীকে বিমূঢ় করে-তিনি বেদনায় ব্যাকুল হয়েছিলেন সেই দৃশ্য দেখে। একজন লেখক কিংবা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়; শেখ হাসিনা সেই করুণ দৃশ্য অনুভব করেছেন তাঁর মানবতাবাদী হৃদয় দিয়ে।

অটিজম ও প্রতিবন্ধী শিশু, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী, বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি শেখ হাসিনার উদার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে অনন্য মানবিক নেতৃত্বে পৌঁছে দিয়েছে। মানবিক নেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বক্তৃতায় বলেন, ‘অটিজমসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী শিশুদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাদের মেধা ও যোগ্যতা প্রকাশেরও অধিকার আছে। তাদের সে সুযোগ দিতে হবে।’ অটিজম শিশুদের আঁকা ছবিসংবলিত শুভেচ্ছা কার্ড বিভিন্ন উৎসবের সময় ব্যবহার করে তিনি কেবল তাদের উৎসাহিতই করেননি; বরং রাষ্ট্রের কর্মজীবী মানুষের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যাতে করে পূর্বের ন্যায় অটিজম শিশু ও তাদের মা-বাবারা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন না হয়। নিজ কন্যা সায়মা ওয়াজেদের কাছে অটিজম শিশুদের জন্য কাজ করার উৎসাহ পেয়েছেন। সায়মা ওয়াজেদের উদ্যোগে জাতিসংঘে অটিজম শিশুদের বিষয়ে রেজুলেশন হয় যা সারা বিশে^ সাড়া ফেলে। ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রী-কন্যা সায়মা জাতিসংঘের অটিজম সচেতনতা উদযাপন অনুষ্ঠানে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন।

শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইন-২০১৩ প্রণয়ন, নিউরো প্রতিবন্ধী ডেভেলপমেন্ট সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ পাস, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস, অটিজম ব্যক্তিদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য নিউরো প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট বোর্ড গঠনসহ বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে অটিজম রিসোর্স সেন্টার এবং অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে বিনামূল্যে তা বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মার্কিন জেনারেল ডগলাস ম্যাক আর্থার বলেছেন : ‘যিনি একজন সত্যিকারের নেতা তাঁর থাকবে আত্মবিশ্বাস, কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস, আর অন্যের চাহিদা শোনার অনুভূতি। তিনি যদি নেতা হতে প্রস্তুত নাও থাকেন তবুও তাঁর কর্মের ও চিন্তার এই সমতা তাঁকে মহান নেতা করে তোলে।’ ম্যাক আর্থার উপস্থাপিত আদর্শ নেতার এই গুণাবলি বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবতাবাদী নেত্রী শেখ হাসিনার মাঝে লক্ষ্য করা যায়। তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান আর মানুষের কথা শোনেন।

এমন অনেক ক্ষুদ্র বিষয় রয়েছে যা শেখ হাসিনার চোখ এড়াতে পারেনি। নাগরিকের প্রতিটি বিষয়কে তিনি দেখেছেন সমান দৃষ্টিতে। ময়মনসিংহের আবদুস সামাদ তার অটোরিকশা চুরি হওয়ার পর উপায়ান্তর না দেখে এসএমএস পাঠান প্রধানমন্ত্রীকে। তাকে নতুন অটোরিকশা কিনে দেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হয়েও হাজার কাজের ফাঁকে খেলোয়াড়দের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিতে দেশের খেলা দেখতে চলে যান স্টেডিয়ামে। এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিম-ওয়াসফিয়া-নিশাতকে ডেকে অভিনন্দন জানাতেও ভোলেননি তিনি। সোনারগাঁয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু সেঁজুতি প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবেসে চিঠি লিখেছিল। মানবতাবাদী শেখ হাসিনা মুগ্ধ হয়ে সেই চিঠির জবাবও দিতে ভোলেননি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের যেখানে সমাজ অচ্ছুত হিসেবে দেখে, শেখ হাসিনা তাদের বুকে জড়িয়ে বলেন, ‘তুমি আমার সন্তানের মতো’। শেখ হাসিনার কাছে এরকম ঘটনা নতুন নয়। ব্যস্ততার মাঝেও শিশুদের সঙ্গে গণভবনের লনে খেলার দৃশ্য আমরা গণমাধ্যমে প্রায়ই দেখতে পাই।

ফুটপাথে বেড়ে ওঠা টোকাইদের জীবনের চিত্র উঠে এসেছে শেখ হাসিনার ওরা টোকাই কেন গ্রন্থে। টোকাই হওয়ার পেছনে যে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট তা তুলে এনেছেন মানবতাবাদী শেখ হাসিনা তাঁর এ বর্ণনায়। তিনি শুধু টোকাইদের জীবনের বর্ণনাই দেননি; বরং তা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন। শেখ হাসিনা টোকাই শিশুদের ‘স্বর্গের দূত’ নামে অভিহিত করে আক্ষেপ করেছেন-কেন এ শিশুরা রাস্তায়? এদের নাম কেন হলো টোকাই? এদের জন্ম, বেঁচে থাকা, ভবিষ্যৎ সব কিছু আমার মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে।... এদের জন্মের যেমন কেউ খবর রাখে না, তেমনি মৃত্যুর খবরও কেউ রাখে না।

শেখ হাসিনার মানবতাবাদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর মানবিক আচরণ। ইউরোপের দেশগুলো যেখানে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যত্র থেকে উচ্ছেদ হওয়া আশ্রয়হীন জনগোষ্ঠীর জন্য ‘দরজা বন্ধ নীতি’ অনুসরণ করেছে, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রশ্নে এর সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে মানবতাবাদী নীতি গ্রহণ করলেন। অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্ব-দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ সময় আশ্রয়হীন অনিরাপদ জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। এমনকি ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পরও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির অধিকার ফিরে পেতে তাঁকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফলে মানবিক অনুভূতি থেকে আশ্রয়হীন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সদয় আচরণ করে তিনি বিশে^র প্রভাবশালী প্রায় সব গণমাধ্যমে ‘মানবিক এক রাষ্ট্রনায়ক’ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন ইতিমধ্যে। ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে সেখানে অবস্থানকারী স্বজনহারা মা ও শিশুরা তাঁকে জড়িয়ে ধরে পরম আশ্রয়স্থল হিসেবে। শেখ হাসিনার উখিয়া পরিদর্শনকালে বিবিসি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের ১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কেউ অমানবিক হলেও আমরা অমানবিক হতে পারি না। আমরা আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোকে আবার বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারি না, কারণ আমরা মানবিক।’

একদিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, অবার অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ বাসস্থান ফিরিয়ে দিতে তিনি একের পর এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার জান্তা সরকারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। যার মধ্যে ছিল- অনতিবিলম্বে ও চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও জাতিগত নিধন নিঃশর্তে বন্ধ করা; মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ; মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা; রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন। শেখ হাসিনার মানবিক চিন্তার বিবেচনায় ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন তাঁকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করে যার শিরোনাম ছিল- শেখ হাসিনা : দ্য ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’। ২০১৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস শেখ হাসিনাকে ‘বিশ্বমানবতার বিবেক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, শেখ হাসিনা ‘বিরল মানবতাবাদী নেতা’। ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থীর ভাষায় শেখ হাসিনা ‘বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা’।

শেখ হাসিনার দারিদ্র্য দূরীকরণ : কিছু চিন্তাভাবনা গ্রন্থে গ্রামের কৃষক শ্রেণি, দিনমজুরের প্রতি অকৃত্রিম দরদ চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। কীভাবে দরিদ্র-নিপীড়িত মানুষ নিঃস্ব হয়ে শহরমুখী হয় তার বর্ণনা উঠে এসেছে। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বেতার ও টেলিভিশন ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘গরিব কৃষক ও শ্রমিকের মুখে যতদিন হাসি না ফুটবে ততদিন আমার মনে শান্তি নাই। এই স্বাধীনতা তখনই আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলাদেশের কৃষক মজুর ও দুঃখী মানুষের দুঃখের অবসান হবে।’ এ কথা সত্য যে বাংলাদেশে সমস্যার অন্ত নেই। রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু এসব সমস্যা মোকাবিলা করে কীভাবে দেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধিশালী জীবন পেতে পারে সে লক্ষ্যে শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ফুটে উঠেছে তাঁর লেখনীতে।

২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তালিকা তৈরি করার আহ্‌বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজ নিজ এলাকায় দরিদ্র, গৃহহারা, হতদরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী তালিকা বানান। তাঁদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দেব। তাঁরা যেন বেঁচে থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করে দেব।’ ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য পর্যন্ত সব পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দরিদ্র মানুষের তালিকা করার আহ্‌বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই। নিজ নিজ এলাকায় কতজন দরিদ্র মানুষ আছে, গৃহহারা মানুষ আছে। যাঁর ঘর নাই, বাড়ি নাই-ঠিকানা নাই। নিঃস্ব-রিক্ত মানুষ আছে। কারা হতদরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী আছেন, আপনারা তাঁদের তালিকা বানান। তাঁদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দেব। তাঁরা যেন বেঁচে থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করে দেব। কারণ, তাঁরা আমাদের নাগরিক, এটা আমাদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। কাজেই জনগণের কল্যাণ করাই আমাদের দায়িত্ব।’ এই মমতাময় কল্যাণকামী রাজনীতি প্রসারের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

শেখ হাসিনার মানবতাবাদী চিন্তার আরেকটি দিক উঠে এসেছে তাঁর রচিত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন গ্রন্থে। আজ মানবতা ভুলে মানুষ যে কেবল অর্থসম্পদের পেছনে ছুটছে তাকে তিরস্কার করেছেন তিনি। শেখ হাসিনা চিন্তা করেন একটি বৈষম্যহীন সমাজ- যেখানে থাকবে না বিভেদ। শেখ হাসিনার ভাষায়- ‘আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই- যে সমাজে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত কোনো দ্ধন্ধ থাকবে না। মানুষের জীবনের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হবে।’ বস্তুত, সে লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা অতি সরল জীবনযাপন, মানবতাবাদী উদার দৃষ্টিভঙ্গি পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অর্জন করেছেন। বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ‘ফাঁসির রজ্জুকে যিনি উন্নত মস্তকে ধারণ করতে এগিয়ে গেছেন বহুবার, শুধু এই জাতির জন্য এ দেশের মানুষের জন্য! সেই মহান মানুষের ভালোবাসার জাতি আর মানুষই আমার কাছে তাঁর বড় আমানত। আর সেই আমানতকে শিরোধার্য করেই আমি জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত থাকতে চাই সোচ্চার, এদেশের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে, তাঁদের স্বার্থের প্রশ্নে।’ বঙ্গবন্ধুর মানবিক মূল্যবোধ ও নীতির উত্তরাধিকারে শেখ হাসিনা তাঁর যোগ্য কন্যা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। একটি দেশের উন্নতির জন্য এমন মানবতাবাদী ও মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনই অধিক।

লেখক : প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এই বিভাগের আরও খবর
মশার বিরুদ্ধে কার্যকর একটি আধুনিক সমাধান
মশার বিরুদ্ধে কার্যকর একটি আধুনিক সমাধান
আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও কার্যকর সমাধান নিয়ে মানুষের পাশে থাকব
আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ও কার্যকর সমাধান নিয়ে মানুষের পাশে থাকব
মশাবাহিত রোগে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে
মশাবাহিত রোগে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘কেবি মডেল’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘কেবি মডেল’
মশার বিরুদ্ধে এক্সট্রিম সুরক্ষা
মশার বিরুদ্ধে এক্সট্রিম সুরক্ষা
মশার আক্রমণে ঝরছে প্রাণ
মশার আক্রমণে ঝরছে প্রাণ
চোখের সামনে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ
চোখের সামনে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ
রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও
রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও
জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় অংশীজন
জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় অংশীজন
সেদিন আমিও ভয় পেয়েছিলাম
সেদিন আমিও ভয় পেয়েছিলাম
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য
পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য
গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল
গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল
সর্বশেষ খবর
কাজিকির তাণ্ডব ঠেকাতে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ভিয়েতনাম-চীন
কাজিকির তাণ্ডব ঠেকাতে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ভিয়েতনাম-চীন

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন আয়োজনের জন্য দেশ প্রস্তুত ও স্থিতিশীল আছে: প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচন আয়োজনের জন্য দেশ প্রস্তুত ও স্থিতিশীল আছে: প্রধান উপদেষ্টা

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনে আসছে ‘গর্ভবতী’ রোবট, মানবশিশু জন্ম দেবে যন্ত্র!
চীনে আসছে ‘গর্ভবতী’ রোবট, মানবশিশু জন্ম দেবে যন্ত্র!

১১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

আসছে ‘রাগিনী এমএমএস ৩’, মুখ্য ভূমিকায় তামান্না
আসছে ‘রাগিনী এমএমএস ৩’, মুখ্য ভূমিকায় তামান্না

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

প্রেমিকদের দেওয়া ২০ আইফোন বিক্রি করে বাড়ি কিনলেন তরুণী!
প্রেমিকদের দেওয়া ২০ আইফোন বিক্রি করে বাড়ি কিনলেন তরুণী!

২৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ সেটে অশান্তির তীব্র গুঞ্জন
‘অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে’ সেটে অশান্তির তীব্র গুঞ্জন

৩১ মিনিট আগে | শোবিজ

বিপাকে শ্রদ্ধা
বিপাকে শ্রদ্ধা

৩৫ মিনিট আগে | শোবিজ

টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

ম্যানচেস্টার সিটিতে যাচ্ছেন জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা
ম্যানচেস্টার সিটিতে যাচ্ছেন জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুদানের দারফুরে আধাসামরিক বাহিনীর হাতে ঝরল ১৩ প্রাণ
সুদানের দারফুরে আধাসামরিক বাহিনীর হাতে ঝরল ১৩ প্রাণ

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৮ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৮ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুটিং সেটেই হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ গেল পরিচালকের
শুটিং সেটেই হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ গেল পরিচালকের

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে ভুয়া পুলিশ ও গোয়েন্দা পরিচয়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের হেনস্তা, গ্রেফতার ৩
ভারতে ভুয়া পুলিশ ও গোয়েন্দা পরিচয়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের হেনস্তা, গ্রেফতার ৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৫% বেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন ভিসা ফি এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ
১৩৫% বেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন ভিসা ফি এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের ইনজুরিতে নেইমার
ফের ইনজুরিতে নেইমার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুঁজিবাজার: সূচকের বড় উত্থানে চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের বড় উত্থানে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে সোনাক্ষীর ‘দাহাড় ২’ শুটিং
ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে সোনাক্ষীর ‘দাহাড় ২’ শুটিং

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সিনেমা থেকে যেভাবে জনতার নায়ক হলেন থালাপতি বিজয়
সিনেমা থেকে যেভাবে জনতার নায়ক হলেন থালাপতি বিজয়

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাগুরায় ট্রাকের ধাক্কায় ট্রলি চালক নিহত
মাগুরায় ট্রাকের ধাক্কায় ট্রলি চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির বার্ষিক বনভোজন
বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির বার্ষিক বনভোজন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আজ ঢাকার বাতাস কতটা অস্বাস্থ্যকর?
আজ ঢাকার বাতাস কতটা অস্বাস্থ্যকর?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের তিন যাত্রী নিহত
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের তিন যাত্রী নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১০ দিনে কত আয় করল ‘ওয়ার ২’
১০ দিনে কত আয় করল ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাদক সন্ত্রাসে বেপরোয়া রোহিঙ্গা
মাদক সন্ত্রাসে বেপরোয়া রোহিঙ্গা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তরপ্রদেশে ট্রাক্টরে কন্টেনারের ধাক্কায় নিহত ৮, আহত ৪৫
উত্তরপ্রদেশে ট্রাক্টরে কন্টেনারের ধাক্কায় নিহত ৮, আহত ৪৫

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৫৮৬
সারাদেশে পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৫৮৬

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালালে যাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় বিমান উপদেষ্টার
শাহজালালে যাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় বিমান উপদেষ্টার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে পুলিশি অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
রাজধানীতে পুলিশি অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
বিএসএফের হাতে আটক পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে, ছিলেন পলাতক
বিএসএফের হাতে আটক পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে, ছিলেন পলাতক

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইয়েমেনের ‘নতুন ক্ষেপণাস্ত্র’ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ইসরায়েল
ইয়েমেনের ‘নতুন ক্ষেপণাস্ত্র’ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ইসরায়েল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুইজন ইউটিউব খুলে সাংবাদিক সেজে চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছে : ইলিয়াস
দুইজন ইউটিউব খুলে সাংবাদিক সেজে চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছে : ইলিয়াস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বরূপে ফিরছে 'সাদাপাথর', ফিরছেন পর্যটকরা
স্বরূপে ফিরছে 'সাদাপাথর', ফিরছেন পর্যটকরা

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ছয় চুক্তি-সমঝোতা সই
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ছয় চুক্তি-সমঝোতা সই

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার তেল ইস্যু, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর
রাশিয়ার তেল ইস্যু, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত মিসাইল ছুড়লো হুতি
এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত মিসাইল ছুড়লো হুতি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু নির্বাচনে সব প্রার্থীর ডোপ টেস্টের দাবি
ডাকসু নির্বাচনে সব প্রার্থীর ডোপ টেস্টের দাবি

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ক্যালিফোর্নিয়া-লন্ডন ফ্লাইটে ক্রুকে টয়লেটে পাওয়া গেল অশালীন অবস্থায়
ক্যালিফোর্নিয়া-লন্ডন ফ্লাইটে ক্রুকে টয়লেটে পাওয়া গেল অশালীন অবস্থায়

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাড়ল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
বাড়ল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার পর রুশ পারমাণবিক প্লান্টে আগুন
ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার পর রুশ পারমাণবিক প্লান্টে আগুন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসির শুনানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতি
ইসির শুনানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭ ফুট ৪ ইঞ্চির দৈত্য ফুটবলে
৭ ফুট ৪ ইঞ্চির দৈত্য ফুটবলে

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিকে আসছে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিকে আসছে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের অনন্য রেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের অনন্য রেকর্ড

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগামী পাঁচ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের শঙ্কা
আগামী পাঁচ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের শঙ্কা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাপলা চত্বরে হত্যা : সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
শাপলা চত্বরে হত্যা : সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিনেমা থেকে যেভাবে জনতার নায়ক হলেন থালাপতি বিজয়
সিনেমা থেকে যেভাবে জনতার নায়ক হলেন থালাপতি বিজয়

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউক্রেনের আরও ভূমি দখল রাশিয়ার, শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান
ইউক্রেনের আরও ভূমি দখল রাশিয়ার, শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে পুলিশের জরুরি বার্তা
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে পুলিশের জরুরি বার্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের সূচি চূড়ান্ত
আফগানিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের সূচি চূড়ান্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান’
‘অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আগামী ৬ সেপ্টেম্বর
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আগামী ৬ সেপ্টেম্বর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে সুদিন, মুদ্রার মান বেড়েছে ২১%
আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে সুদিন, মুদ্রার মান বেড়েছে ২১%

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার জন্য দায়ী ইউক্রেন
রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার জন্য দায়ী ইউক্রেন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তম কুমারের যে আবদার রাখতে পারেননি সুচিত্রা
উত্তম কুমারের যে আবদার রাখতে পারেননি সুচিত্রা

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জামিন পেলেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুল
জামিন পেলেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
স্বেচ্ছায় পাথর ফিরিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
স্বেচ্ছায় পাথর ফিরিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে করতে কুষ্টিয়ায় চীনের যুবক
ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে করতে কুষ্টিয়ায় চীনের যুবক

পেছনের পৃষ্ঠা

এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে
এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ধোঁয়া ধোঁয়া রাজনীতি, কুয়াশাময় গন্তব্য
ধোঁয়া ধোঁয়া রাজনীতি, কুয়াশাময় গন্তব্য

সম্পাদকীয়

কোথা থেকে এলো চার লাশ
কোথা থেকে এলো চার লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাড়ে ১০ বিলিয়ন ইউনিট
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাড়ে ১০ বিলিয়ন ইউনিট

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেরানো গেল না একজনও
ফেরানো গেল না একজনও

প্রথম পৃষ্ঠা

আসন সীমানা নিয়ে তুলকালাম
আসন সীমানা নিয়ে তুলকালাম

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তাপ
পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাদ পড়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম
কেন বাদ পড়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

শোবিজ

বিসিবিতে নির্বাচনি হাওয়া
বিসিবিতে নির্বাচনি হাওয়া

মাঠে ময়দানে

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে লাল শাপলা
মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে লাল শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারের বিক্ষোভ
রাজধানীতে জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারের বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভাইয়ের দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে অন্য দুই ভাই
ভাইয়ের দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে অন্য দুই ভাই

পেছনের পৃষ্ঠা

ইমন-ফারিয়ার প্রিয় এমন রাত
ইমন-ফারিয়ার প্রিয় এমন রাত

শোবিজ

নবায়নযোগ্য শক্তি রূপান্তরে প্রয়োজন ৪২ বিলিয়ন ডলার
নবায়নযোগ্য শক্তি রূপান্তরে প্রয়োজন ৪২ বিলিয়ন ডলার

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন
শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তা
বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

সংবিধান সংশোধন নির্বাচিত সরকার করবে
সংবিধান সংশোধন নির্বাচিত সরকার করবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিটিভি চট্টগ্রামের নতুন অনুষ্ঠান ‘ঢাকায় থাকি’
বিটিভি চট্টগ্রামের নতুন অনুষ্ঠান ‘ঢাকায় থাকি’

শোবিজ

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতিতেই সংসদ নির্বাচন হতে হবে
পিআর পদ্ধতিতেই সংসদ নির্বাচন হতে হবে

নগর জীবন

ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা তলানিতে
ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা তলানিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জাতীয় ঐক্য জোটের
সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জাতীয় ঐক্য জোটের

নগর জীবন

চাকসুতে তফসিল বৃহস্পতিবার
চাকসুতে তফসিল বৃহস্পতিবার

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকসু মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু
রাকসু মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার দাবিতে ডিসিকে স্মারকলিপি রায়হানের মায়ের
ন্যায়বিচার দাবিতে ডিসিকে স্মারকলিপি রায়হানের মায়ের

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে ট্রেনযাত্রা বিলম্বে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে ট্রেনযাত্রা বিলম্বে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে কারও কোনো সমস্যা থাকবে না
৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে কারও কোনো সমস্যা থাকবে না

নগর জীবন