বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

সাফল্যের ৫৩ বছরে আফতাব জুয়েলার্স

উত্তম ঘোষ, স্বত্বাধিকারী, আফতাব জুয়েলার্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার, বাজুস

সাফল্যের ৫৩ বছরে আফতাব জুয়েলার্স

আফতাব জুয়েলার্সের কর্ণধার উত্তম ঘোষ বলেন, আমার বাবা গোপাল ঘোষ ১৯৭০ সালে রাজধানীর মৌচাক মার্কেটে স্বর্ণের গহনার ব্যবসা শুরু করেন। সততা, নিষ্ঠা আর একাগ্রতায় আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাবাকে। ক্রমেই বেড়েছে ব্যবসার পরিধি। ১৯ বছরের মাথায় মৌচাক মার্কেটে ১৯৮৯ সালে ডিসেন্ট জুয়েলার্স নামে আরও একটি শোরুম উদ্বোধন করেন বাবা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রুচিশীল ডিজাইনের গহনা বাজারজাত করায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় আফতাব জুয়েলার্স। বাবার দেখানো পথে হাঁটছি আমরা দুই ভাই। আমি ও আমার ভাই গৌতম ঘোষ বাবার প্রতিষ্ঠিত দুটি শোরুম সফলতার সঙ্গে পরিচালনার পাশাপাশি আফতাব জুয়েলার্স-২ নামে আরেকটি শোরুম চালু করেছি দেশের বৃহত্তম শপিং সেন্টার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। এ ছাড়াও বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত যমুনা ফিউচার পার্কে রয়েছে আফতাব জুয়েলার্সের শোরুম। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ মেম্বার উত্তম ঘোষ বলেন, গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি আফতাব জুয়েলার্স সততার সঙ্গে ব্যবসা করছে। সব সময় ক্রেতাদের রুচিসম্মত ডিজাইনের গহনা ও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা নকশায় নতুনত্ব রাখতে নজর দিই। দেশেই আন্তর্জাতিক মানের স্বর্ণের গহনা তৈরি করছে আমাদের ঢাকা গোল্ড। এর বাইরেও বাহির থেকে অনেক ডিজাইন নিয়ে আসি আমরা।

আমরা এ খাতকে আরও উন্নত করতে পারি। সরকারের উচিত জুয়েলারির ওপর পড়াশোনার বিষয়ে ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। তবেই এ পেশার আরও উন্নয়ন ঘটবে। স্বর্ণ রপ্তানি করলে এ খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।

স্বর্ণের গহনা প্রস্তুতকারী ও হলমার্কিং প্রতিষ্ঠান ঢাকা গোল্ডের পরিচালক ও আফতাব জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী উত্তম ঘোষ বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্ব দেশের জুয়েলারি শিল্পকে নতুন রূপ দিয়েছে। প্রথমবারের মতো আমরা বাজুস ফেয়ার এক্সপোর আয়োজন করতে পেরেছি গত বছর। এ বছরও বাজুস ফেয়ার আয়োজন করা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে থেকে আমরা ব্যবসা করলেও দীর্ঘ ৫০ বছরে আমরা এ ধরনের ফেয়ারের আয়োজন করতে পারিনি। দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আসার কারণে এক্সপো আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফেয়ার অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সদস্য সচিব উত্তম ঘোষ বলেন, স্বর্ণশিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রশাসনিক জটিলতাকে সরিয়ে স্বর্ণ রপ্তানি করার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হবে। সরকারের উচিত গার্মেন্ট খাতের মতো আমাদেরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং উৎসাহিত করা। যাতে আমরা এ খাতকে আরও উন্নত করতে পারি। সরকারের উচিত জুয়েলারির ওপর পড়াশোনার বিষয়ে ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। তবেই এ পেশার আরও উন্নয়ন ঘটবে। স্বর্ণ রপ্তানি করলে এ খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে। আমাদের কারিগররা খুবই দক্ষ। তারা উন্নতমানের কাজ করতে পারে। দেশে কাজের অভাবে প্রচুর কারিগর বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমরা তাদের ধরে রাখতে পারিনি। সরকার রপ্তানিমুখী পরিকল্পনা নিলে আমরা আশার আলো দেখতে পাব। দেশে গোল্ড রিফাইনিং খুব দ্রুত হয়তো শুরু হবে। এটা শুরু হলে আমরা কিছুটা দাম কম পাব এবং স্বস্তি ফিরবে এ খাতে।

সর্বশেষ খবর