মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়

আদর্শ নাগরিক ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির সূতিকাগার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদর্শ নাগরিক ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির সূতিকাগার

সপ্তম সমাবর্তন-২০২২-এ সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে সনদ গ্রহণ করছেন

বিশ্বখ্যাত র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাংকিং-২০২২’-এ দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। অন্য র‌্যাংকিংয়েও রেখেছে কৃতিত্বের স্বাক্ষর। রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। মানসম্মত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা থাকার কারণে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা, গবেষণা নিশ্চিত হচ্ছে এখানে। তুলনামূলক কম খরচে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান শেষে দেশে-বিদেশে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন গ্র্যাজুয়েটরাও। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে অনেক টাকা লাগে- এটি সত্য নয় সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

তেজগাঁওয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বহুতলবিশিষ্ট নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস। ৪ বিঘা জমির ওপর নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরোদমে চলছে একাডেমিক কার্যক্রম। সুদৃশ্য একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার, খেলার মাঠ, মিলনায়তন ছাড়াও যুগোপযোগী শিক্ষা উপকরণ নিয়ে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছে মুক্তিযুদ্ধ লাইব্রেরি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব পরিবহনব্যবস্থাও। প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে স্বতন্ত্র ল্যাব সুবিধা, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা, ধূমপান-মাদক-রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ- সব মিলিয়ে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্য অবস্থানে।

২০০২ সালে পাঁচটি বিভাগে মাত্র ১০৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ১০টি বিভাগের ১৬টি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীসংখ্যা ১২ হাজারের অধিক। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে গেছেন। অন্যদিকে পাঠদান প্রক্রিয়া আরও গতিশীল এবং সময়োপযোগী রাখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন প্রোগ্রাম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যেমনটা বলা যেতে পারে- হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম, নার্সিং টেকনোলজি, হেলথকেয়ার ম্যানেজমেন্ট, মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম, পাবলিক হেলথ ইত্যাদি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মানের কোর্স কারিকুলাম, গবেষণার জন্য রয়েছে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং, শিক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেন্টার, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে স্বতন্ত্র ল্যাব সুবিধা, ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা, স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ।

২০৩০ সালের মধ্যে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সাউথইস্ট। আন্তর্জাতিক ও স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম বিনিময়ের চুক্তি করছে। মেধাবী ও আর্থিকভাবে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিশেষ ছাড় বা শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ছাড়া খেলোয়াড়, শিল্পী, বিতার্কিক, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ভাই-বোন/স্বামী-স্ত্রী, করপোরেট, বিসিএস ক্যাডার ও সামরিক ব্যক্তিবর্গের জন্য টিউশন ফি ছাড়ের সুবিধা রয়েছে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, দুটি শাখা লাইব্রেরি এবং চারটি সেমিনার লাইব্রেরি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও ওয়েব বেইজড। শিক্ষক ও ছাত্ররা যে কোনো স্থান থেকেই অনলাইন ক্যাটালগের মাধ্যমে লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে লাইব্রেরিতে ই-বুকসহ লক্ষাধিক বই রয়েছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা প্রকাশকদের প্রকাশিত ২৫ হাজার ৮৩৭টি অনলাইন জার্নাল ও ১ হাজার ২৫০টি ই-বুক অ্যাকসেস ও ডাউনলোড সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে হাজারের অধিক গ্রন্থের সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার গড়ে তোলা হয়েছে।

একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশে পরিচালিত হচ্ছে ১৯টি সংগঠন বা ক্লাব। এর মধ্যে রয়েছে কালচারাল সোসাইটি, ইংলিশ ক্লাব, গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব, মুভি অ্যান্ড ড্রামা ক্লাব, ট্যুরিজম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব, ন্যাচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ক্লাব, মডেল ইন্টা. অর্গানাইজেশন ফোরাম, ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার ক্লাব, বিজনেস ইনোভেশন ফোরাম, কম্পিউটার ক্লাব, ফার্মেসি ক্লাব, টেক্সটাইল ক্লাব, ইইই ক্লাব, মুট কোর্ট সোসাইটি, সাহিত্য সারথি ক্লাব, আর্কিটেকচার ক্লাব ও ইকোনমিস্ট ক্লাব।

পুস্তকভিত্তিক পড়াশোনায় কিছুটা হলেও শূন্যস্থান থেকে যায়। সেদিক থেকে হাতে-কলমে শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই। অন্যদিকে কিছু বিভাগের পড়াশোনাই অনেকটা এমন যে ব্যবহারিক জ্ঞান না থাকলেই নয়। সবকিছু বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহারিক ল্যাবের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেদিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। কেননা এখানে প্রতিটি বিভাগের জন্য আধুনিক ল্যাব রয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ বিশেষ কম্পিউটার ল্যাব ছাড়াও আইন বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগের জন্য আলাদা কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। সিএসই বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক টেলিকমিউনিকেশন ল্যাব রয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য অ্যানালগ ও ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, মেশিন ল্যাব, পাওয়ার সিস্টেম ল্যাব, টেলিকমিউনিকেশন ও মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব রয়েছে, যা অত্যাধুনিক যন্ত্রে সজ্জিত। বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের নিয়মনীতি মোতাবেক সমৃদ্ধ ছয়টি ফার্মেসি ল্যাবসহ মাইক্রোবাইয়োলজি ল্যাব এবং স্বতন্ত্র সেমিনার লাইব্রেরি রয়েছে ফার্মেসি বিভাগে। টেক্সটাইল বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ টেক্সটাইল ল্যাব, নিটিং ল্যাব, ডাইং ল্যাব, ওভেন ল্যাব, এক্স-রাইট স্পেকট্রোফটোমিটারসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।

বলে রাখা ভালো, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বীমা পলিসি চালু রয়েছে। ‘পিপলস পারসোনাল অ্যাক্সিডেন্ট ইন্স্যুরেন্স পলিসি’ শীর্ষক এ পলিসির আওতায় শিক্ষার্থীরা যে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে আর্থিক সহায়তা পাবেন এবং নির্বিঘ্নে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রয়েছেন ফুলটাইম চিকিৎসক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর