বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেখা মিলছে নতুন মুখের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দেখা মিলছে নতুন মুখের

ঢাকায় চলে এসেছে আফগানিস্তান। এই প্রথম আইসিসির সহযোগী দেশটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। যদিও এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দলটির বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মাশরাফিদের। সাফল্য সমানে সমান। তবে মাশরাফিদের বর্তমান পারফরম্যান্সের যে ধারাবাহিকতা, তাতে ফেবারিটের তকমাটা কিন্তু টাইগারদের গায়েই সেঁটে আছে। ফেবারিট হয়ে আফগানদের বিপক্ষে ক্রিকেট লড়াইয়ে নামবে। সিরিজটি আবার বেশ কয়েকটি রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে মাশরাফিদের। সিরিজটি জিতলে টাইগারদের র্যাংকিংয়ে ৬ নম্বরে ওঠার পথ তৈরি হবে। সিরিজের দুটি ম্যাচ জিতলে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ১০০ নম্বর ওয়ানডে জেতার রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ। সিরিজটি সামনে রেখে স্কোয়াড প্রায় তৈরি করেই রেখেছেন মিনহাজুল আবেদীনের নেতৃত্বে নির্বাচক প্যানেল। শুধু অপেক্ষায় পেসার তাসকিন আহমেদের রিপোর্টের। আজ তা পেলেই স্কোয়াড ঘোষণা করবেন। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান বলে টিম ম্যানেজমেন্ট স্কোয়াড সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বেশকিছু নতুন মুখ দিয়ে। ফিরতে পারেন বাঁ হাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেল। আরেক বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও রয়েছেন রেসে। নতুন মুখ হিসেবে ক্যাপ পরতে পারেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে চাইছেন সুইং বোলার শফিউল ইসলাম সুহাসকে। যদি কোনো কারণে তাসকিন খেলতে না পারেন, তাহলে অলরাউন্ডার আলাউদ্দিন বাবুকেও দেখা যেতে পারে স্কোয়াডে।

আফগানিস্তান গতকাল ঢাকায় পা রাখে। দলটির সফর শুরু ২৩ সেপ্টেম্বর ফতুল্লায় বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে। প্রথম ওয়ানডে ২৫ সেপ্টেম্বর মিরপুরে। এরপর বহু আকাঙ্ক্ষিত ইংল্যান্ড সিরিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির দল নামাতে টাইগারদের টিম ম্যানেজমেন্ট গিনিপিগ হিসেবে বেছে নিচ্ছে আফগানিস্তানকে। সিরিজে ওপেন করবেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। যদিও আঙ্গুলের ইনজুরির জন্য তামিমকে প্রথম ওয়ানডেতে নাও দেখা যেতে পারে। তখন হয়তো এনামুল হক বিজয়কে দেখা যেতে পারে। ওয়ান ডাউনে দেখা যাবে সাব্বির রহমান রুম্মনকে। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম খেলবেন। ৭ নম্বর পজিশনে নাসির হোসেনের পরিবর্তে খেলতে পারেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর হয়ে ৬৫০ রান করেছেন। সৈকত প্রয়োজনে মিডিয়াম পেস বোলিংও করেন। টেকনিক ও টেম্পারমেন্টের জন্য কোচের খুব পছন্দের ক্রিকেটার। নাসির হোসেন পরীক্ষিত ক্রিকেটার। প্রয়োজনে অফ স্পিনটা বেশ ভালো করেন নাসির।

কাঁধের অস্ত্রোপচারের জন্য মাঠের বাইরে মুস্তাফিজুর রহমান। তার জায়গায় ফিরছেন শফিউল ইসলাম। শফিউল সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন দুই বছর আগে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচে পুরোদমে বোলিং করছেন রুবেল হোসেন। রুবেলের বিধ্বংসী বোলিংয়ে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। রুবেল জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে।

২০০৮ সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছিলেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। এবার জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না। কিন্তু এইচপির স্পিন কোচ ভেঙ্কটপতি রাজুর পছন্দ হওয়ায় তাকে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানিস্তান সিরিজে তাকে খেলতে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাকে নেওয়া হচ্ছে সাকিবের জুটি হিসেবে। রেসে থাকা তাইজুলের চেয়ে তিনি এগিয়ে ব্যাটিং সুবিধায়। ৩৪ বছর বয়সী মোশাররফের ভাগ্য খুলেছে মূলত আরাফাত সানির নিষিদ্ধ হওয়ায়। যদিও আরাফাত সানি বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়েছেন তাসকিনের সঙ্গে।

সম্ভাব্য স্কোয়াড

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মাশরাফি বিন মর্তুজা, ইমরুল কায়েশ, তাসকিন আহমেদ/আলাউদ্দিন বাবু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রুবেল হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, আল-আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর