শিরোনাম
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যতিক্রম শুধু চার ক্লাব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যতিক্রম শুধু চার ক্লাব

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের হাতে গড়া ঢাকা আবাহনীর ক্রীড়াঙ্গনে অভিষেক ঘটেছিল ১৯৭২ সালে। সে তুলনায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের বয়স তুলনামূলক অনেক কম। আর বসুন্ধরা কিংসের আগমন তো সেদিন। ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়শিপ লিগ দিয়ে কিংসের যাত্রা। সাফল্যের কথা বললে এখন চার ক্লাবের নামই উচ্চারিত হয়। ৪৭ বছরে পুরনো ক্লাব আবাহনী। তাই শিরোপার পাল্লাটা তাদের ভারী হবে এটাই স্বাভাবিক। সব খেলা মিলিয়ে প্রায় শত ট্রফি জয়ের রেকর্ড রয়েছে শেখ কামালের আবাহনীর।

আবাহনীর পাশে মোহামেডানেরই থাকার কথা ছিল। এক সময়ে তাদের শিরোপা জেতাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। সেই মোহামেডানের ঐতিহ্য প্রায় ম্লান। পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ ছয়বার চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। অন্যদিকে মোহামেডানে শুধুই হতাশা। ধানমন্ডি ক্লাব শেখ জামাল নামে রূপান্তরিত হওয়ার পর শুরুতেই পেশাদার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। তিনবার লিগ ও তিনবার ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন ছাড়াও বিদেশের মাটিতে ট্রফি জেতার রেকর্ড রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও অন্যতম শক্তিশালী দল শেখ জামাল। শুধু মাঠে নয়, নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে ফুটবল ও ক্রিকেট একাডেমি আছে তাদের।

 

বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ক্লাবের সভাপতি হওয়ার পর শেখ জামালে নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছে।

শেখ রাসেলের সাফল্যও চোখে পড়ার মতো। এক  মৌসুমে ফুটবলে ট্রেবল শিরোপা জয়ের রেকর্ড রয়েছে। টেবিল টেনিসে পুরুষ ও নারী বিভাগে একাধিকবার লিগ জয়ের রেকর্ড। বিদেশের মাটিতেও সুনাম কুড়িয়েছে ক্লাবটি। ক্রীড়াপ্রেমিক বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ রাসেলের জৌলুস আরও বেড়েছে। দলের খেলোয়াড়ই বলেন, চেয়ারম্যান স্যার আমাদের যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দেন তাতে মনে হয় আমরা ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাবে খেলছি।

শেখ জামাল ও শেখ রাসেল বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয়। কিন্তু বসুন্ধরা কিংস গ্রুপের নিজস্ব ক্লাব। আর কিংস মানেই নতুন এক ইতিহাস। ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেশাদার লিগে সুযোগ মিলে। অভিষেক আসরেই ফুটবলে কিং বনে যায় বসুন্ধরা কিংস। যা বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন এক ইতিহাস। স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন ও একই মৌসুমে ফেডারেশন কাপে রানার্স আপ হয় কিংস। নতুন দল হয়েও বিশ্বকাপের তারকা ড্যানিয়েল কলিনড্রেসকে এনে চমকও দেয় কিংস। ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, দলীয় সাফল্য তো আছে। কিংসের লক্ষ্য ফুটবল উন্নয়ন ও হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা। কথায় নয়, বাস্তবেও তার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবল ক্যাম্প, নিজস্ব ভেন্যু ও আলাদা সমর্থক গোষ্ঠী গড়ে কিংস ক্রীড়াঙ্গনে নজর কেড়েছে।

ক্যাসিনো ও অন্যান্য অনৈতিক কাজে জড়িয়ে অন্য ক্লাবগুলো যখন ধিক্কারে ভাসছে তখন পুরোপুরি আলাদা পথে চলছে আবাহনী, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংস। যাদের চিন্তা শুধু খেলা আর খেলার উন্নয়ন। শৃঙ্খলা, সিনসিয়ারিটি, কমিটমেন্ট ও পেশাদারিত্ব যেখানে থাকবে সেখানেই সাফল্য আসবে। চার ক্লাবে এসব আছে বলেই তারা সাফল্যের পথে হাঁটছে। কোনো অনৈতিক কাজ তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। নিজে নয় কর্মকর্তারা ক্লাবের স্বার্থ চিন্তা করেন বলেই চার ক্লাব এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে কর্মকর্তারা ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর