শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজকোটে হারের জন্য দায়ী টাইগারদের হতাশাজনক বোলিং

------ দাবি সাবেকদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রাজকোটে হারের জন্য দায়ী টাইগারদের হতাশাজনক বোলিং

হালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন রোহিত শর্মা। ক্যারিয়ারের শততম টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন রাজকোটে। শুধু ম্যাচ খেলেই থেমে ছিলেন না ভারতীয় অধিনায়ক, আলোকিত ব্যাটিং করে রাঙিয়েছেন রাজকোটকে। সমৃদ্ধ করেছেন ক্যারিয়ারকে। সিরিজে ফিরিয়েছেন ভারতকে। শুধু রোহিতের দাপটের কাছেই অসহায় হয়ে পড়েন টাইগার বোলাররা। দিল্লির সফল বোলাররা অসহায় ছিলেন রাজকোটে। সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের হারের কারণ হিসেবে হতাশাজনক বোলিংকে দোষারোপ করেছেন সাবেক ক্রিকেটারদের কেউ কেউ। আবার একই সঙ্গে জানিয়েছেন ফ্লাট উইকেটে আরও ২০-৩০ রান করা দরকার ছিল মাহমুদুল্লাহদের।

টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এখন কোচ কাম ক্রিকেট বিশ্লেষক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ দেখে সাবেক অধিনায়কের মনে হয়েছে, ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন রোহিত একা। ভারতীয় অধিনায়ক ৮৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন মাত্র ৪৩ বলে। ছক্কা ছিল ৭টি। রাজকোটের ফ্লাট উইকেটে রোহিতের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে টাইগার বোলাররা লাইন-লেন্থ হারিয়ে ফেলেন। পাইলট বলেন, ‘রোহিত এতটাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন যে, রাজকোটের ফ্লাট উইকেটে মুস্তাফিজ, শফিউল, আল-আমিনদের কিছুই করার ছিল না। তবে প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে রোহিত ও শেখর ধাওয়ানকে আউট করলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারত। দিল্লির ম্যাচই তার প্রমাণ।’ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এবং বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক এহসানুল হক সেজান বলেন লেন্থ বজায় রাখতে পারেননি বোলাররা, ‘ফ্লাট উইকেটে প্রথম ৪ ওভারে নতুন বলে কোন লেন্থে বল করতে হবে, সেটা বুঝে বোলিং করতে পারেননি বোলাররা। আমি মনে করি ম্যাচে ওখানেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি। রোহিতের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে যে মোমেন্টাম পেয়ে যায় ভারত, সেটাকে আটকে রাখতে পারেনি আমাদের বোলাররা।’

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন আল-আমিন, আফিফ, আমিনুলরা। রাজকোটে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। মুস্তাফিজ ৩.৪ ওভারের স্পেলে রান দেন ৩৫। প্রথম ম্যাচে দারুণ বোলিং করা শফিউল দ্বিতীয়টিতে ২ ওভারে দেন ২৩ রান। আল আমিন ৪ ওভারে ৩২ রান দেন। রোহিত ঝড়ে ল-ভ- হয়ে মোসাদ্দেক সৈকত এক ওভারে রান দেন তিন ছক্কায় ২১। আফিফ দেন এক ওভারে ১৩ রান। অথচ দিল্লিতে ৩ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১১ রান। দিল্লির মতো রাজকোটেও দারুণ বোলিং করেন লেগ স্পিনার আমিনুল। প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়টিতেও ২ উইকেট নেন ২৯ রানের খরচে। রবিবার সিরিজ মীমাংসার ম্যাচ নাগপুরে। সেটা জিততে বোলারদের আরও দায়িত্বশীল বোলিংয়ের পরামর্শ দেন সেজান, ‘ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে পেসারদের খুবই ভালো বোলিং করতে হবে।’

ওরা স্পিনারদের বিপক্ষে অসম্ভব ভালো ব্যাটিং করেন।’

রবিবার টি-২০ সিরিজ শেষ। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইছেন ধারাবাহিকতা। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি জ্বলে উঠতে হবে বোলারদেরও।  

সর্বশেষ খবর