বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফিজের জাদুকরী ক্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফিজের জাদুকরী ক্যাচ

ছবি : রোহেত রাজীব

অপেক্ষা বাড়ছে সাকিব আল হাসানের। মাত্র এক উইকেট পেলেই শ্রীলঙ্কার লিজেন্ড ফাস্ট বোলার ল্যাসিথ মালিঙ্গার পাশে নাম লিখবেন সাকিব। কিন্তু সেটাই হচ্ছে না গত দুই ম্যাচে। দুই উইকেট পেলে এককভাবে টি-২০ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হবে বাঁ হাতি স্পিনার। তৃতীয় ম্যাচের মতো গতকাল চার নম্বরটিতেও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। কিন্তু দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত দলগত পারফরম্যান্সের ছবি এঁকেছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টাইগার ত্রয়ীর চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং ও বোলিং পারফরম্যান্সে ৫ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ও করে টাইগাররা।

দলগত পারফরম্যান্সের দিনে ব্যর্থ হয়েছেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিক এবং তরুণ লিটন। তিন তারকার ব্যর্থতাকে পাশ কাটিয়েছেন নাঈম, মাহমুদুল্লাহ ব্যাট হাতে। বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন নাসুম এবং মুস্তাফিজ। কাটার মাস্টার বোলিংয়ে পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন। অবশ্য ম্যাচে টাইগার ক্রিকেটাররা ভালো ফিল্ডিং করেছেন। দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন ২৯ রানের ইনিংস খেলা নাঈম। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১৬ নম্বর ওভারের শেষ বলে দারুণ এক কাটার করেন মুস্তাফিজ। কিউই ব্যাটসম্যান কোল ম্যাককঞ্চি বুঝতেই পারেননি। বোকার মতো শট খেলেন। মুস্তাফিজ উড়ে আসা বলে ঝাঁপিয়ে বাঁ হাতে ফিরতি ক্যাচ নেন। ক্যাচটি ছিল চোখ ধাঁধানো। দারুণ বোলিং করে মুস্তাফিজ ৩.৩ ওভারের স্পেলে ১২ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। ১৬ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরান টম ব্লান্ডেল ও ম্যাককঞ্চিকে। এছাড়াও কাটার মাস্টার আউট করেন উইল ইয়ঙ ও ব্লেয়ার টিকনারকে। ইয়ঙ আবার নিউজিল্যান্ড ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার। ৪৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রান করেন তিনি।

মুস্তাফিজের দুর্দান্ত ক্যাচের দিনে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন নাসুম। ১৩ ম্যাচ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁ হাতি তরুণ স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ওভারের স্পেলে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ১৯ রানের খরচে। গতকাল ৬ উইকেটের জয়ী ম্যাচে নেন ১০ রানের খরচে ৪ উইকেট। ৪ ওভারের স্পেলে বিস্ময়করভাবে মেডেনও ছিল দুটি। ডট বল করেন ১৭টি। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আঘাত হানেন প্রথমবার। দুই কিউই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও ফিন অ্যালেনকে আউট করেন তৃতীয় ওভারের মধ্যে। এরপর জোড়া আঘাত হানেন ১২ নম্বর ওভারে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে যথাক্রমে হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে সাজঘরে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান। নিকোলসকে স্ট্যাম্পড এবং গ্রান্ডহোমকে বল কট বিহাইন্ড করেন। ভালো বোলিং করেছেন অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনও। ৩ ওভারের স্পেলে ১৬ রানের খরচে নেন ১ উইকেট। তবে উইল ইয়াঙয়ের স্ট্রেইট ড্রাইভ ঠেকাতে গিয়ে আঙুলে ব্যথা পান সাইফুদ্দিন।

টার্গেট মাত্র ৯৪ রান। যদিও মিরপুরের ধীরলয়ের লো বাউন্সি উইকেটে এই স্কোরই আকাশসম। চাপ সামলে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদুল্লাহ। ক্যাপ্টেন্স নক করে অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে। ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি আবার নিন্ডিদ্র ছিল না। ১৭ নম্বর ওভারে এজাজ প্যাটেলের বলে স্ট্যাম্পিং থেকে বেঁচে যান টাইগার অধিনায়ক। এরপর ম্যাচ শেষ করেন ২০ নম্বর ওভারের প্রথম বলে পুল শটে চার হাঁকিয়ে। টাইগার অধিনায়ক ৬৮ বলের ইনিংসে ওই চার ছাড়াও দুটি ছক্কা হাঁকান। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর