শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

জামাল তপুদের নির্ঘুম রাত

রাতের অন্ধকারে কেবলই সমুদ্রের গর্জন। আর সব নিশ্চুপ। এরই মধ্যে মালদ্বীপের রাজধানী মালের টিম হোটেলে নীরবে কাঁদলেন ফুটবলাররা। নেপালের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালে ড্র করে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সদস্যদের কান্না শুরু হয়েছিল ম্যাচ শেষের পর পরই। ড্রেসিং রুমে একে-অপরকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। কোচ অস্কার ব্রুজোন শিষ্যদের সান্ত্বনা দিয়ে ড্রেসিং রুম ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। মালদ্বীপের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে পাঁয়চারী করে দুঃখ ভোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ দুঃখ কী এতটা সহজেই যায়! ভুলতে পারেননি বলেই ম্যাচের রাতে ঘুমাতে পারেননি ফুটবলাররা।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুমন রেজার প্রথম গোল নিয়ে কত প্রশংসা গল্প হয়তো লেখা হতো পত্রিকার পাতাজুড়ে। কিন্তু বিতর্কিত এক পেনাল্টি কেড়ে নিল সবকিছু। গত লিগে স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল করেছিলেন সুমন রেজা। জাতীয় দলে ডাকও পান। গত বছরের নভেম্বরে অভিষেক হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই গোল করলেন সুমন। কিন্তু নেপালের বিপক্ষে কাক্সিক্ষত জয়ের দেখা মিলল না। সুমন বললেন, ‘রাতে ঘুম হয়নি। সবারই মন খারাপ।’ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি নিজের প্রতিও কিছুটা রেগে আছেন তিনি। গোল করা ছাড়াও দুটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ডি বক্সে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। একটিতে নেপালের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে সুমনকে আটকে দেন। সুযোগ পেয়েছিলেন ইব্রাহিমও। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি।

বাংলাদেশ দলের ঢাকায় ফেরার কথা ১৭ অক্টোবর। তবে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর আগেই দেশে ফেরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় নির্ধারিত দিনেই মালদ্বীপ ছাড়তে হচ্ছে ফুটবলারদের। কিন্তু এই কদিন যেন তাদের কাছে দুঃসহ বেদনার হয়ে উঠছে। গতকাল টিম হোটেলে জাতীয় দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বললেন, ‘আমি লাল কার্ড দেখার পর খুবই আশাহত হয়েছিলাম। ভাবছিলাম, বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে আর আমি মাঠে থাকতে পারব না। কিন্তু বাংলাদেশ যে ফাইনাল খেলতে পারবে না, এটা আমি কল্পনাও করিনি। এখন তো আমাদের কাছে প্রতিটা দিনই দুঃসহনীয়।’ যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চান তিনি। জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রূপুও বললেন, ‘রেফারি পুরোপুরিই সন্দেহের বশে পেনাল্টিটা দিয়েছেন। কারণ, তিনি কার্ড দেখিয়েছেন বিশ্বনাথ ঘোষকে। অথচ বলের কাছাকাছি থেকে লাফিয়েছিল সাদ। এতেই বুঝা যায় সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর