বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বকাপ ফাইনালের স্টেডিয়ামে হবে স্কুল-হাসপাতাল

রাশেদুর রহমান, কাতার থেকে

বিশ্বকাপ ফাইনালের মাঠ লুসাইল স্টেডিয়াম। কাতারের ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৌলের আদলে গড়া হয়েছে এই স্টেডিয়াম। ৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠেই লিওনেল মেসিরা বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উৎসব করেছেন। আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা উপহার দিয়েছেন এই মাঠেই। বিশ্বকাপ ফাইনালের এই মাঠের কী হবে?

কাতার বিশ্বকাপে মোট স্টেডিয়াম ছিল ৮টি। এর মধ্যে সাতটিই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে কাতার খরচ করেছে প্রায় ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বকাপ উপলক্ষে নানা ধরনের স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলা হয়েছিল। তৈরি করা হয়েছিল আধুনিক আবাসন। তাছাড়া এখানকার স্টারস লিগের ক্লাবগুলোরও আছে নিজস্ব স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি। বিশ্বকাপের জন্য গড়ে তোলা মাঠ আর স্পোর্টস ফ্যাসলিটির তাহলে কী হবে? কাতারের কর্তৃপক্ষ আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম আর স্টেডিয়াম থাকবে না। এখানে হবে স্কুল, শপিং সেন্টার, হাইজিং, ক্যাফে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্থানীয় কমিউনিটির জন্য এটা হবে দারুণ একটা স্থান। একই সঙ্গে তারা এখানে অনেক কিছুই পাবে। এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালের স্টেডিয়াম কখনোই ভিন্ন কিছুতে পরিণত হয়নি। বরং ফাইনালের স্টেডিয়ামগুলো খ্যাতি নিয়ে টিকে আছে এখনো। এই দিক দিয়ে ইতিহাসই গড়ল কাতার। ফাইনালের মাঠ তারা বদলে দিল স্কুল-হাসপাতাল আর শপিংমলে!

কাতার বিশ্বকাপের ৮টি স্টেডিয়ামের প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আসন সরিয়ে ফেলা হবে। এগুলো ফুটবলের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দিয়ে দিবে কাতার বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ। শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর পুরোপুরিই ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পোর্টেবল এই স্টেডিয়াম পুরোটাই স্থানান্তরিত হয়ে উরুগুয়েতে চলে যাওয়ার কথা। অবশ্য মরক্কোর নামও শোনা যাচ্ছে এখন। বিশ্বকাপে তারা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে। মরক্কোতেও যেতে পারে নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়াম। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের মালিকানা চলে যাবে কাতার ফাউন্ডেশনের কাছে। তারা এই স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ৪৫ হাজার থেকে কমিয়ে ২০ হাজারে নিয়ে আসবে।

সর্বশেষ খবর