বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইনজুরিতে হৃদয় ভাঙল তৌহিদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইনজুরিতে হৃদয় ভাঙল তৌহিদের

প্রথমে মনে হচ্ছিল ইনজুরি গুরুতর নয়। পরে রাতে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে জানানো হয় তাদের সেরা তারকা তৌহিদ হৃদয়ের হাতে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অন্তত দুই সপ্তাহ তিনি খেলতে পারবেন না।

কী দারুণ ব্যাটিং। টানা তিন ম্যাচে তিন হাফ সেঞ্চুরি সিলেটের ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়ের। ৫৫, ৫৬ এবং ৮৪ -অসাধারণ তিন ইনিংস। ৬৫ গড়ে করেছেন ১৯৫ রান। স্ট্রাইরেট রীতিমতো ঈর্ষণীয় -১৬৬.৬৬। তিন ইনিংসে ছক্কাই হাঁকিয়েছেন ১০টি, এ ছাড়া ১৪টি বাউন্ডারি। বিপিএলের বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান এমন ক্যারিশম্যাটিক শুরু করেছে কিনা তা বলা কঠিন।

প্রথম ম্যাচে তিনি ব্যাটিং করার সুযোগই পাননি। তারপর দুই ম্যাচে চালিয়েছেন তাণ্ডব। শেষ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিরুদ্ধে ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটি ছিল দেখার মতো। পাঁচ পাঁচবার বল গ্যালারিতে নিয়ে গেছেন। প্রতিটি ছক্কাই ছিল বিশাল বিশাল। সাধারণত বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানকে এমন বড় বড় ছক্কা হাঁকাতে দেখা যায় না।

কিন্তু এই ম্যাচেই দুঃসংবাদ পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের এই তারকা। ফিল্ডিং করার সময় ইনজুরিতে পড়েন। ইনিংসের ১২তম ওভারে তিনি ফিল্ডিং করছিলেন পয়েন্টে। রেজাউর রহমান রাজার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের একটি শর্ট বলে কাট করেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। ক্যাচ ধরার জন্য প্রস্তুত ছিলেন হৃদয়। কিন্তু বলের গতি এতই বেশি ছিল যে তালুবন্দী করতে পারেননি তিনি। বল তার হাতে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির দিকে। এরপর দেখা যায়, হৃদয়ের হাত থেকে রক্ত ঝড়ছে। দ্রুত ফিজিও মাঠে ঢুকে তাকে ড্রেসিং রুমে নিয়ে যায়। তারপর হাসপাতালে নেওয়া হয় দ্রুতই। প্রথমে মনে হচ্ছিল ইনজুরি গুরুতর নয়। পরে রাতে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে জানানো হয় তাদের সেরা তারকা তৌহিদ হৃদয়ের হাতে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অন্তত দুই সপ্তাহ তিনি খেলতে পারবেন না।

এমন খবরে নিশ্চয় হৃদয় ভেঙে গেছে তৌহিদের। কেন না তিন ম্যাচেই ক্যারিশমা দেখিয়ে বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে ছিল তার নাম।

এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স দারুণ দাপট দেখাচ্ছে। সাফল্যের মূলে রয়েছেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি ও তরুণ ক্রিকেটাররা। তরুণ ক্রিকেটারদের দাপুটে ব্যাটিং সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের তরুণ ক্রিকেটার যারা আছে, ওদেরকে চাপে না ফেলে এই স্বাধীনতা দেওয়া আছে যে, ওরা যেভাবে চায় নিজেদের মেলে ধরতে পারে। এটাও সত্যি যে ওরা বেশ কিছুদিন ধরে খেলছে। ‘এ’ দলে খেলেছে, এইচপিতে খেলেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছে ওরা সবাই। এই ধারণা তাই ওদের আছে যে কীভাবে খেলতে হবে। আর এই উইকেটে ওরা খেলেছেও অনেক।’

‘ওদেরকে যেটা বলা হয়েছে যে, উইকেট বুঝে টি-২০ যেভাবে খেলা উচিত, সেভাবে যেন খেলে। ওই স্বাধীনতা ওদের শুরু থেকেই দিয়েছি। আমাদের থেকে ওদের ওপর কোনো চাপ নেই।’

তবে হৃদয়ের ইনজুরিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সও কিছুটা চাপে পড়ে গেল। টানা চার ম্যাচে চার জয়ে দলটি এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।

সর্বশেষ খবর