বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ঢাকা, কুমিল্লা ও রংপুর রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন হয় তার নেতৃত্বে। গত আসর থেকে খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে। এবারও তাকে রেখে দিয়েছে দলটি। দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ির সিলেট বিপিএল খেলছে ২০১২ সালের প্রথম আসর থেকে। ২০২৩ সালের সর্বশেষ আসর পর্যন্ত খেলেছে দলটি। মাশরাফির নেতৃত্বে সিলেট গত আসরে ফাইনাল খেলেছিল। কিন্তু বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থেকেছে। এবার একটি মিডিওকার দল গড়েছে। মাঝারি শক্তির দল নিয়ে কোচ রাজিন সালেহ টার্গেট করেছেন প্লে অফ, ‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবছি। দলটি খুব শক্তিশালী নয়। আবার দুর্বলও নয়। এই দল নিয়ে আমাদের টার্গেট প্লে অফ।’ সিলেটের প্রথম ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। সিলেটকে নেতৃত্ব দেবেন কোন ক্রিকেটার? মাশরাফি না নাজমুল হোসেন শান্ত?
দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাশরাফি। গত আসরে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার খেলবেন কি না, এখনো নিশ্চিত নয়। দলের সঙ্গে এখনো যোগ দেননি টাইগার সাবেক অধিনায়ক। কবে যোগ দেবেন, নিশ্চিত নয়। অবশ্য দলের কোচ রাজিন বলেন, ‘মাশরাফিকে কেন্দ্র করেই আমরা দল গুছিয়েছি। সে আমাদের তো না বলেনি। আমি বিশ্বাস করি সে খেলবে।’ মাশরাফি ছাড়া দলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২৩ সাল দারুণ কাটিয়েছেন নাজমুল। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল। তার অধিনায়কত্বেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দেশটিকে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচে হারিয়েছে। সিলেটে বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েল, জর্জ স্ক্রিমশ, আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর, অস্ট্রেলিয়ার বেন কাটিং, জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগ্রাভা, রায়ার্ন বার্ল শ্রীলঙ্কার দুশন হেমন্তা। স্থানীয়দের মধ্যে পরিচিত মুখ নাজমুল শান্ত ছাড়াও মোহাম্মদ মিথুন, ইয়াসির আলী, জাকির হাসান, আরিফুল হক। কোচ রাজিন জানিয়েছেন দলটির মূল শক্তি ব্যাটিং, ‘আমাদের বেশ কয়েকজন ভালোমানের ব্যাটার রয়েছেন। যারা ম্যাচ উইনার। আমি মনে করি, আমাদের ব্যাটিং বিভাগ অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী। দলে রয়েছেন শান্ত, মিথুন, ইয়াসির রাব্বি, আরিফুলদের মতো স্থানীয় ক্রিকেটার। এ ছাড়া বিদেশিদের মধ্যে টেক্টর, হাওয়েল, বার্ল রয়েছেন।’ ব্যাটিং বিভাগকে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী বললেও দলের বোলিং বিভাগকে খাটো করেননি কোচ, ‘আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ভালোমানের পেসার রয়েছেন। রয়েছেন মাশরাফির মতো একজন অসাধারণ বোলার। এ ছাড়া তানজিম সাকিব, শফিকুল ইসলাম, রিচার্ড এনগ্রাভা, রেজাউর রহমান রাজাদের মতো দ্রুতগতির বোলার রয়েছেন। তবে স্পিনার হিসেবে নাঈম ইসলাম যথেষ্ট পরিপক্ব। নাজমুল ইসলাম অপু অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সব মিলিয়ে দল একেবারে খারাপ হয়নি।’
দলটি এবার বড় কোনো তারকা ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ায়নি। অথচ এই দলে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, ইংল্যান্ডের জেসন রয়, শ্রীলঙ্কার উপল থারাঙ্গা, দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহিরের মতো তারকা ক্রিকেটার।
