ক্রীড়াঙ্গনে অফিস দলের দেখা মিলছে না সেভাবে। অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, কাবাডি, উশু, কুস্তি, বক্সিং ও জিমন্যাস্টিকসে অফিস দলের কিছুটা দেখা মিললেও জনপ্রিয় তিন খেলা ফুটবল, ক্রিকেট ও হকিতে এখন অফিস দল নেই বললে চলে। এক সময় ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে অফিস দলের ছিল ছড়াছড়ি। এখন সেই অবস্থান না থাকলে বিজেএমসির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দুই আমলে চারবার শিরোপা ছাড়াও লিগে রানার্সআপ হয়েছিল বেশ কবার। ই পি জিমখানা চল্লিশ দশকেই শিরোপা জয় করেছিল। বিজি প্রেসও একবার চ্যাম্পিয়ন হয়। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, পিডব্লিউডি, বিজিপ্রেস, ওয়াপদা, বিআরটিসি, সাধারণ বীমা, অগ্রণী ব্যাংক ফুটবল লিগে অংশ নিয়েছিল। কালের বিবর্তনে ফুটবলে আর অফিস দল নেই বললে চলে। বিশেষ করে পেশাদার লিগে এর সংখ্যা শূন্য কোঠায় নেমে এসেছে। ১০টি দলের মধ্যে একমাত্র অফিস দল টিম বিজেএমসি। তারপরও তাদের আগমন নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। শিরোপা না জেতার কৃতিত্ব না থাকলেও পিডব্লিউডি, ওয়াপদা ও সাধারণ বীমা শক্তিশালী দল গড়ত। পেশাদারের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও অফিস দল নেই বললে চলে।
এ তো গেল ফুটবলের কথা। ক্রিকেটেও একই অবস্থা। পাকিস্তান আমল থেকে লিগ খতিয়ান মেলালে দেখা যায় পিডব্লিউডির বেশ কবার শিরোপা জেতার কৃতিত্ব রয়েছে। জহির আব্বাসের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটার এই দলে খেলে গেছেন। ফুটবলের মতো না হলেও ক্রিকেটেও একেবারে অফিস দলের সংখ্যা কম ছিল না। সত্তর দশকের শেষের দিকে সাধারণ বীমা ও রূপালী ব্যাংক শক্তিশালী দল গড়ে। ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে টানা তিন ম্যাচে শীর্ষ তিন দল মোহামেডান, আবাহনী ও বিমানকে হারিয়ে রীতিমতো আলোড়ন তুলে ছিল সাধারণ বীমা। বাংলাদেশ বিমান তো ছিল ক্রিকেটে সুপরিচিত দল। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে প্রথম বিভাগে অভিষেক ঘটিয়ে প্রথম ট্রফি দামাল-সামার জয় করে নিয়েছিল। মোহামেডান-আবাহনীর সঙ্গে তারাও শিরোপা ঘরে তুলেছে অনেকবার। বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিমানের অবদান কম নয়। অথচ সেই বিমানের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংক শক্তিশালীরূপেই খেলছে। কিন্তু আগে যেমন অফিস দলের ছড়াছড়ি ছিল তা নেই। প্রথম বিভাগে অবশ্য অগ্রণী ব্যাংক এখন কোনো মতে টিকে আছে। অথচ এই দলই ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রানাতুঙ্গা ও জয়সুরিয়াকে নিয়ে গড়া ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানকে দামাল-সামার সেমিফাইনাল ও লিগেও পরাজিত করেছিল। হকিতে সাধারণ বীমার দাপটের কথা কার না জানা। ১৯৮৬ সালে অভিষেক ঘটিয়ে প্রথম বিভাগ লিগে তারা টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বেশ কয়েক মৌসুম শক্তিশালী দলও গড়ে। এখন যেন লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছে। সোনালী ব্যাংক আছে তাদেরও হকিতে সেই দাপটটা আর নেই। কথা হচ্ছে প্রধান তিন খেলাতে অফিস দলের এত করুণ অবস্থা কেন? এক সময় তো ক্রীড়াঙ্গনের দিকে তাদের সুনজর ছিল। অর্থই কি তাহলে মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। না, কর্মকর্তাদের সেই আগ্রহটা হারিয়ে গেছে। এখন তারা ইউনিয়ন গড়া রাজনীতিতে ব্যস্ত রয়েছেন। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে নেতা সেজে নিজ ভাগ্য উন্নয়নেই ব্যস্ত রয়েছেন। খেলাধুলা একটা অফিসের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দেয় সেদিকে তাদের নজর নেই।
শিরোনাম
- ইতিহাসে দীর্ঘতম হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন
- ভাল্লুকের আক্রমণ ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করল জাপান
- ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে : ডা. জাহিদ
- ‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’, ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে ডিএনসিসি
- রংপুরে বেড়েছে খড়ের কদর, লাভবান কৃষক
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮
- জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ২২ ডিসেম্বর
- পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
- উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ওয়ারীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা
- বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রবাসী ভোটার আবেদন তদন্ত করতে বলল ইসি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
- সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই
- আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ইউনিসেফ প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
- বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
- তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
- আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
অফিস দলের বিলুপ্তি!
ক্রিকেট ফুটবল হকি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
নাম ভিন্ন ভিন্ন, কিন্তু ভোটার তালিকায় ছবি ব্রাজিলের মডেলের, বোমা ফাটালেন রাহুল
৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম
‘আরবান ট্রি মিউজিয়াম’, ‘বৃক্ষ সেবা ও ছাদবাগান সহায়তা কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে ডিএনসিসি
১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন