ব্যবধান মাত্র দুই মাস। পার্থক্য চার ম্যাচ। এর মধ্যেই দুই দুইবার শয়ের নিচে অলআউটের লজ্জায় নীল হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ৫৮ রানে বাক্সবন্দী হওয়ার লজ্জা আড়াল হতে না হতেই শুক্রবার ফের শয়ের নিচে অলআউট টাইগাররা। এবার মুশফিকদের লজ্জায় ডুবালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেসে মাত্র ৭০ রানে প্যাকেট হয়েছেন মুশফিকরা। বিদেশ বিভুঁইয়ে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বনিু স্কোর বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে গত ২৮ বছরে ১৬ বার শয়ের নিচে ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়লো। শয়ের নিচে স্কোর করার রেকর্ডের তালিকায় বাংলাদেশের পরেই জিম্বাবুয়ে, ১২ বার।
৩১৩ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে যে ক্রিকেটারদের, সেই ক্রিকেটাররাই কি না ৫৮, ৭০ রানে গুটিয়ে যাচ্ছেন বারবার। কিন্তু কেন? বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য কি তাহলেই এতটুকুই। যে জয়গুলো এসেছে, সেগুলো কি হঠাৎ প্রাপ্তি? সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট কিন্তু সেটা মনে করেন না। সাবেক অধিনায়কের মতে দলটির ব্যর্থতার মূল কারণ সমন্বয়হীনতা, ৫৮, ৭০ রানে অলআউট হওয়া অবশ্যই লজ্জার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরশু ক্রিকেটারদের খেলা দেখে মনে হয়েছে দলের সবার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু ক্রিকেটাররা হয়তো বুঝতে পারছেন না তাদের উইকেটের মূল্য কতটুকু। জিততে হলে অবশ্যই দলের সবার মধ্যে বোঝাপড়াটা থাকতে হবে।’ প্রথম ম্যাচে জিততে জিততে হেরে যাওয়া এবং কাল ৭০ রানে অলআউটের লজ্জায় ডোবার জন্য ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি টিম ম্যানেজম্যান্টে অপরিপক্বতাকে দোষারোপ করেছেন সাবেক অধিনায়ক, ‘আমি কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছি না ধীরগতির উইকেটে চারজন ওপেনার খেলানোর যৌক্তিকতাকে। ধীরগতির উইকেটে যেখানে স্পিনারদের খেলানো উচিত, সেখানে চারজন ওপেনার নিয়ে একাদশ সাজানোর কারণ আমার মাথায় আসছে না। আমি মনে করি এই অপরিকল্পনার জন্যই ব্যাকফুটে চলে এসেছে দল।’ কাল বাংলাদেশ শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ১৩ রানে। এর আগে গত জুনে ভারতের বিপক্ষে ১৪ রানে হারিয়েছিল ৭ উইকেট। শুক্রবার তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেউই দুই অংকের রান করতে পারেননি।
গত ডিসেম্বর থেকে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে হারের চক্করে ঘুরছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টেস্ট ড্র এবং টি-২০ বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জেতা ছাড়া সাফল্য নেই বললেই চলে মুশফিকবাহিনীর। শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপ, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে পর্যন্ত টানা ১১টি ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা। অবশ্য টানা হারের রেকর্ড এটা নয় মুশফিকদের। ১৯৯৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ২৩ ওয়ানডে হেরেছিল বাংলাদেশ। সে মূল্যমানে এটা কিছুই নয়। কিন্তু যে দল ২০০৬ সালে ২৮ ম্যাচের ১৮টি জিতেছিল, যে দলের বিশ্বকাপে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর ইতিহাস রয়েছে, তাদের এরকম অসহায় আত্মসমর্পণ এখন কি আর মানায়?
১৯৮৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। প্রথম জয় পায় ১১ বছর পর ১৯৯৭ সালে। গত ২৮ বছর হেরেছেই বেশি। তবে জিতেছেও। হার-জিতের রেসে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে একটু একটু করে বদলে যেতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট। হার-জিতের মধ্যেই ধীরে ধীরে রূপ নিতে থাকে ‘টিম বাংলাদেশ’ হয়ে। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা দল ২০১২ ও ২০১৩ সালে ১৮ ওয়ানডেতে ১০টিতেই জিতেছে। সেই দলের টানা ১১ হার! অবিশ্বাস্য! হারতে হারতে ক্রিকেটারদের মানসিকতা ও আÍবিশ্বাস এখন আটলান্টিকের তলানিতে!
এমন যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে। বলাবলি করছে ক্রিকেট কি তাহলে উল্টো পথে হাঁটছে?
শিরোনাম
- আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ
- ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
- মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেফতার
- হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
- বৈদ্যুতিক গোলযোগে হঠাৎ অন্ধকারে ঢাকার উল্লেখযোগ্য অংশ
- করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৯
- ইভ্যালির রাসেলের ৩ মাসের কারাদণ্ড
- ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি
- শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
- বাংলাদেশে ভারতীয় ‘রিপাবলিক বাংলা’ টিভির সম্প্রচার বন্ধে রুল
- সাবেক ভূমিমন্ত্রীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- তরুণ নৌ কর্মকর্তাদের কুচকাওয়াজে মুগ্ধ সেনাপ্রধান
- মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
- ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করল ইসি
- '১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'
- হলিউড সিনেমার শুটিংয়ে দুর্ঘটনার মুখে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
উল্টো পথে টাইগাররা!
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর