আরও একবার দেশকে লজ্জায় ডোবালেন মুশফিকুর রহিমরা। ওয়ানডে ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়লো টাইগাররা। মাত্র ৭০ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারলো ১৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এটা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। সব মিলিয়ে সপ্তম বড় লজ্জাজনক হার। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এমন লজ্জার হারের জন্য টাইগার অধিনায়ক দুষেছেন ব্যাটসম্যান খামখেয়ালি ব্যাটিংকে।
২৪.৪ ওভার স্থায়ী বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অংকের রান করেছেন একমাত্র তামিম ইকবাল। তামিমের ৩৭ ও অতিরিক্ত ৫ রান বাদে বাকি ১০ ব্যাটসম্যানের মিলিত স্কোর ২৮! এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসে মাত্র একজন ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করেছিলেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুধুমাত্র সাকিব আল হাসান করেছিলেন ৩০। বাকি ১০ ক্রিকেটারের মিলিত রান ছিল ৪০। শুক্রবার সুনিল নারাইন, কেমার রোচ ও রবি রামপালের দুর্বিসহ বোলিংয়ে মুশফিকবাহিনী শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ১৩ রানে। অবশ্য ৪ রানে শেষ ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ড রয়েছে জিম্বাবুয়ের। গত জুনে ভারতের বিপক্ষে ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার ম্যাচে শেষ ৭ উইকেট মুশফিকরা হারিয়েছিলেন ১৪ রানে।
পরশু গ্রেনাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭০ রানে অলআউট হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের চার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান শুভ, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও নাসির হোসেন মিলিতভাবে রান করেছেন ১৬ (৪, ৬, ০ ও ৬)। প্রথম ম্যাচেও ব্যর্থ ছিলেন এই চারজন। রান করেছিলেন ৫৭ ( ৮, ১২, ১১ ও ২৬)। মজার বিষয় এই চার ব্যাটসম্যানের একজন আবার জেনুইন ওপেনার। শুধুমাত্র মুমিনুল হক বাউন্সের বিপক্ষে দুর্বল বলে কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহের ইচ্ছায় ওপেনার শামসুরকে খেলানো হয় চার নম্বরে। হাস্যকর এক সিদ্ধান্ত! দুই ম্যাচে যার রান ১২।
পরশু ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৭০ রানে অলআউট হওয়ার পর অধিনায়ক মুশফিক দুষলেন ব্যাটসম্যানদের, 'বোলাররা আবারও ভালো বোলিং করেছেন। কিন্তু রান করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটসম্যানদের খামখেয়ালি ব্যাটিংয়েই দলের এই করুণ হাল।' ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও পরের ম্যাচে ভালো খেলার প্রত্যাশা করেছেন টাইগার অধিনায়ক, 'আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ভালো ব্যাটিং করব।' ভালো ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা করলেও এক ম্যাচে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।