জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার কবে বিতরণ করা হবে? ২০১২ সালে শেষবারের মতো ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এখন তিন বছর অতিক্রম হলেও এর কোনো খবর মিলছে না। দেশের সেরা ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্স ও সংগঠকদের কর্মকাণ্ড বিচার করে ১৯৮১ সাল থেকেই জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সেবার ১৯৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০ ও ৮১ এক সঙ্গে ছয় বছরের পুরস্কার দেওয়া হয়। অথচ ৭২ থেকে ৭৫ এ চার বছরের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদদের পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। অনেকে বলেন, রাজনৈতিক কারণে তৎকালীন সরকার এ পথ বেছে নিয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৯৮১ সালের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয় ১৪ বছর পর। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯৬, ৯৭ সালের পুরস্কার দেন। মাঝে ৮২, ৮৩, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৮৭, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪ ও ৯৫ সালকে মূল্যায়ন করা হয়নি। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ দুই বছরে অনুষ্ঠানে কোনো গ্যাপ ছিল না। কথা ছিল আগে যাই ঘটুক না কেন এবার থেকে প্রতিবছরই পুরস্কার দেওয়া হবে।
না, অনিয়ম আর নিয়মে পরিণত হয়নি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সরকার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ২০১১ সালে এক সঙ্গে তিন বছরের জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। এখন সামনে যে অনুষ্ঠান সেখানে দিতে হবে এক সঙ্গে চার বছরের পুরস্কার। কিন্তু এই অনুষ্ঠান কবে হবে? বা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কথা ছিল ২০১৩ সালে নভেম্বরেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার বলেছিলেন, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে অনুষ্ঠান করেই যাব। না, তিনি পারেননি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বলা হলো দেশের যে অবস্থা অনুষ্ঠান করা অসম্ভব। কিন্তু দেশেতো এখন উত্তপ্ত পরিবেশ নেই। এরপরও অনুষ্ঠান হচ্ছে না কেন? এর পেছনে কি কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে? যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও টেলিফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। তবে ক্রীড়া পরিষদের এক ঊধর্্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, খুব শীঘ্রই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ হবে। তবে অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক বাছাই নিয়ে রয়েছে মতানৈক্য। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেককে বিরল সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যা নিয়েই চরম বিরোধ। আসলে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে বিষয়টি নতুন নয়। শুরু থেকেই অনেক যোগ্য ক্রীড়াবিদকে পাস কাটিয়ে অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ক্রীড়ার দেশসেরা পুরস্কার।