ফুটবলে সিলেটের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। এই অঞ্চলের খেলোয়াড়রা নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতাপূর্ব পাকিস্তান ফুটবল দলকে। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ জাতীয় দলেও সিলেটের খেলোয়াড়দের ছিল দাপুটে অবস্থান। সেই ধারবাহিকতায় জাতীয় দলের হয়ে এখনো খেলছেন সিলেটের তিন উদীয়মান তরুণ। এ অঞ্চলের খেলোয়াড়রা জাতীয় ফুটবলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও সিলেটে কখনো অনুষ্ঠিত হয়নি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ। সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবি এতদিন ছিল উপেক্ষিত। শেষ পর্যন্ত কাল সিলেটের ফুটবলপ্রেমী মানুষের বহুকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। ওইদিন বিকাল ৫টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও নেপাল অনূধর্্ব-২৩ ফুটবল দল। এই ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছে সিলেট। সুষ্ঠু ও সফলভাবে খেলা আয়োজনের সব প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে নিয়েছে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট (ডিএফএ)। টানা বৃষ্টির মধ্যেও খেলার উপযোগী করা হয়েছে মাঠ।
স্বাধীনতাপূর্ব পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের গোলকিপার ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন সিলেটের কৃতীসন্তান রণজিত দাস। ফুটবলে অনবদ্য অবদানের জন্য ইতিমধ্যে তার গলায় ঝুলেছে একুশে পদক। তার যোগ্য অনুসারী হিসেবে স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন রামা লুসাই, ভানু রঞ্জন, কায়সার হামিদ, চেরাগ আলীরা। আর বর্তমানে জাতীয় ফুটবলে তরুণ তুর্কি হিসেবে রয়েছেন সিলেটের কৃতীসন্তান তকলিস আহমদ, ওয়াহেদ ও ইয়াসিন চৌধুরী মুন্না। শুক্রবার বাংলাদেশ দলের অন্যতম কাণ্ডারি হিসেবে তারা মাঠে নামার কথা রয়েছে।
ফুটবলে গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক সিলেটে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের দাবি দীর্ঘদিন থেকে জানিয়ে আসছেন এ অঞ্চলের ক্রীড়ামোদীরা।