বেশ খোশ মেজাজে আছেন ফুটবলাররা। আগামী মাসে তারা এশিয়ান গেমস খেলতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আগস্টের শুরু থেকেই চলছে পুরোদমে প্রস্তুতি। লোকাল দলের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন ক্রুইফের শিষ্যরা। প্রথমটি ড্র হলেও বাকি তিনটিতে জয় পেয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার নেপালকে হারানোর গুরুত্বটাই আলাদা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচেই নেপালের কাছে ২ গোলে হার মানে। মূলত এ হারই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়।
গ্রুপ পর্ব খেলেই মামুনুলদের দেশে ফিরে আসতে হয়। তাই প্রীতি ম্যাচ হলেও প্রতিপক্ষ নেপালকে গুরুত্বসহকারে দেখেছিল বাংলাদেশ। এশিয়ান গেমস অনূধর্্ব-২৩ দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও দুই দলেই জাতীয় খেলোয়াড় রয়েছেন। তবে সংখ্যাটা ছিল নেপালের বেশি। সুতরাং ফুটবলে সংকটাপন্ন অবস্থায় নেপালকে হারানোটাই এখন কম কীসের। সোহেল রানার গোলে বাংলাদেশ জয়লাভ করে।
রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে আর্মি স্টেডিয়ামে আনন্দের ঢল নেমে আসে। যে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছিল তাতে ব্যবধানটা আরও বাড়তে পারত। তাতে কী, জয় তো এসেছে। যে ক্রুইফকে সাধারণত গম্ভীর দেখা যায় তাকেও দেখা গেল খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোলাকুলি করতে।
যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তাতে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ যেন বড় টুর্নামেন্টে ট্রফি জিতেছে। জয় পেয়ে দারুণ খোশ মেজাজে রয়েছে পুরো দল। ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু বললেন, 'দুপুরে আমরা একসঙ্গে চাইনিজ খেয়েছি। খেলোয়াড়দের আত্দবিশ্বাস বেড়ে গেছে। আশা রাখি সিলেটেও জয় পাব। নেপালকে টানা দুই ম্যাচ হারালে আত্দবিশ্বাস নিয়ে কোরিয়ায় যেতে পারব। এতে গ্রুপ পর্বে উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারবে ফুটবলাররা।'