'আমি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নিচ্ছি। ...আফ্রিকার সবাইকে ধন্যবাদ। এতে যারা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন।' ...টুইট করেছেন ক্যামেরুনের কিংবদন্তি ফুটবলার স্যামুয়েল ইতো। জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ হারানোর একদিন পরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন চারবারের আফ্রিকান বর্ষসেরা এই খেলোয়াড়। এদিকে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে গুডবাই জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ তারকা জাবি আলনসো। তিনি বলেন, 'স্পেন জাতীয় দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শেষ। যেকোনো বিদায়ই অনেক কষ্টের। আমারও বিদায়বেলায় খুবই খারাপ লাগছে। তারপরেও আমি মনে করি, জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। আমি অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' ৩২ বছর বয়সী জাবি স্পেনের ২০০৮ এবং ২০১২ সালে ইউরো কাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন তিনি। সে সব স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বিদায় বেলায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জাবি। তিনি বলেন, 'স্পেন জাতীয় দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ১১ বছর। এই সময়ে কত মধুর স্মৃতি রয়েছে। এখন সবই অতীত। খুবই খারাপ লাগছে।' এদিকে ক্যামেরুনের ৩৩ বছর বয়সী তারকা স্যামুয়েল ইতো অনেকটা অভিমান করেই যেন বিদায় জানালেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে ২০১৫ আফ্রিকান নেশন্স কাপের বাছাইপর্ব। এজন্য ২৫ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্যামেরুন। কিন্তু প্রাথমিক দলে জায়গা হয়নি ইতোর। ক্যামেরুনের জার্সিতে ইতো সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
মেঙ্েিকার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল ক্যামেরুন। ১৯৯৮, ২০০২, ২০১০ সালের পরে এটি ছিল ইতোর চতুর্থ বিশ্বকাপ। ক্যামেরুনের হয়ে ১১৬টি ম্যাচে খেলে ইতো ২০০০ ও ২০০৮ সালে দুইবার আফ্রিকান নেশন্স কাপ জিতেছেন। এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ১৮ গোল করার মালিকও তিনি। এছাড়া ক্যামেরুনের হয়ে রেকর্ড ৫৬টি গোলও করেছেন। ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অর্জন।
জাতীয় দলের হয়ে ইতোর সাফল্য আহামরি না হলেও ক্লাব পর্যায়ে তার সাফল্য ঈর্ষণীয়। দুইবার বার্সেলোনা ও একবার ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন। চারবার আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলেয়াড় হবার পাশাপাশি ২০০৬ সালে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন। যদিও ব্রাজিল বিশ্বকাপে হাঁটুর ইনজুরি তাকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে দিয়েছে। সে কারণে বিশ্বকাপে সুবিধা করতে পারেননি। তাই জার্মান কোচ ভলকার ফিনকের বিবেচনায় আফ্রিকান নেশন্স কাপের বাছাইপর্বের দল থেকে বাদ পড়ে অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ইতো।