আজ থেকে ৮৬ বছর আগে, ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অভিষেক টেস্ট খেলে লর্ডসে। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ক্যারিবীয় দলের ক্রিকেটারদের কেউই হয়তো বেঁচে নেই। যদি বেঁচে থাকতেন লিয়ারি কনস্টাইন, চার্লি গ্রিফিথরা, তাহলে আজ সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে উৎসবে মেতে উঠতেন দলের ৫০০ নম্বর টেস্ট খেলা উপলক্ষে। হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড তাদের বিশেষভাবে সম্মানিতও করত। তারা না থাকলেও যে পথের সূচনা করে গেছেন, সে পথ ধরেই ৫০০ নম্বর টেস্ট খেলতে নামছে উত্তাল আটলান্টিক মহাসাগর এবং শান্ত ক্যারিবীয় উপসাগরের তীরঘেঁষা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেন্ট লুসিয়া টেস্টের ফল যাই হোক না কেন, রেকর্ড বুকে খোদাই হয়ে থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশের নামও। ১৩৭ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর তৃতীয় দেশ হিসেবে ৫০০ টেস্ট খেলার বিরল রেকর্ড গড়ছে সত্তর-আশি দশকের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী দেশটি।
লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিল ইনিংস ও ৫৮ রানে। ওই শুরু। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বিশ্বকে উপহার দিয়েছে স্যার গারফিল্ড সোবার্স, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল, ক্লাইভ লয়েড, মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল, রিচি রিচার্ডসন, গর্ডন গ্রিনিজ, ডেসমন্ড হায়ান্স, কোর্টনি ওয়ালস, কার্টলি অ্যামব্রোস, ব্রায়ান লারাদের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটার। যারা এক-একজন ছিলেন ম্যাচ উইনার। তাদেরই উত্তরসূরিরা আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০০ নম্বর টেস্ট খেলবে। আগের ৪৯৯ টেস্টে জিতেছে ১৬২টি। হেরেছে ১৬৮ এবং ড্র ১৬৮টিতে। টাই ১টি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ১৯৬৪ সালে টেস্টটি ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম 'টাই টেস্ট'। এরপরও অবশ্য টাই হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত টেস্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯৯ টেস্টের মধ্যে ১১১টি খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩২ জয়ের বিপক্ষে হেরেছে ৫৪টি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এবারের আগে খেলেছে ১১টি। তাতে জিতেছে ৭টি এবং হেরেছে ২টি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৮ টেস্ট খেলে জিতেছে ৫৩টি, হার ৪৫টি। ভারতের বিপক্ষে ৯০ টেস্টে জয় ৩০, হার ১৬। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ টেস্টে জয় ১৩, হার ১৩। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৬ টেস্টে জয় ১৫, হার ১৬, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৫ টেস্টে ৩ জয়, হার ১৬। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ টেস্টে ৩ জয়, হার ৬ এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ টেস্টের ৬টিতে জিতেছে।