'ইস, ৪৯তম ওভারে কেন সাকিব বোলিং করতে আসলেন, রুবেল কেন নয়?'- কাল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর টাইগার ভক্তদের প্রশ্ন এটি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৯তম ওভারেই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছিলেন রুবেল। কিন্তু ভক্তদের ধারণা, এ ম্যাচেও রুবেল কিছু একটা ঘটাতে পারতেন! আবার কেউ কেউ পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন, হারছে বলেই সিদ্ধান্তটি ঠিক মনে হচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয় নিয়ে নানাভাবে পোস্টমর্টেম করেছেন ভক্তরা। তবে জিততে না পারলেও টাইগারদের লড়াকু হারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সবাই। সত্যিই তো, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ এতো ভালো খেলবে তা কি কেউ ভেবেছিল! কোয়ার্টার ফাইনাল তো আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, একটু এদিক-সেদিক হলে কুপোকাত হয়ে স্বাগতিকরা। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ থাকার কথাও নয়। বরং কিউইদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা আত্দবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে কোয়ার্টার ফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি 'ইতিবাচক' দিক খুঁজে পাওয়া যায়। এক. রিয়াদের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। ৩৪৪ করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান এখন চতুর্থ। তার সামনে কেবল সাঙ্গাকারা, ভিলিয়ার্স ও দিলশান। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওরা খেলেছে ছয়টি করে ম্যাচ, আর মাহমুদুল্লাহ পাঁচটি। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে দুটি হাফ সেঞ্চুরি- রিয়াদের এই দুর্দান্ত ফর্ম কোয়ার্টার ফাইনালে অন্য ব্যাটসম্যানদের জন্যও অনুপ্রেরণা হবে। দুই. সৌম্য সরকারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। ভারতের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে আরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেলতে পারবেন তিনি। তিন. এ ম্যাচে চার উইকেট পেয়েছেন সাকিব। চার. বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখন ভারত। আর নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে হতো। প্রোটিয়াদের চেয়ে শেষ আটে কোহলিদের পেয়েই খুশি হওয়ার কথা মাশরাফিদের। কেননা ভারতের হাঁড়ির খবর সবই জানা। কোথায় তাদের দুর্বলতা, আর কোথায় শক্তিমত্তা।